বাংলাদেশে হিন্দুদের পাশাপাশি একটা বড় সংখ্যার খৃষ্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করেন।
বৌদ্ধ ধর্মে ’জীব হত্যা মহাপাপ’। শুনেছি তারা জীব হত্যা করে না, চায়নার টিবেট এর রাজধানী লাসায় দেখেছি সেখানকার বৌদ্ধরা মাছ পর্যন্ত খায় না- মাছকে তারা ছোট অসহায় জীব বিবেচনা করে।
বাংলাদেশে বসবাসরত কোন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে কোনদিনও দেখিনি মুসলিমরা জীব হত্যা করলে প্রতিবাদ জানাতে; বরং তাদের শান্তিপূর্ণ জাতি হিসাবেই বরাবর দেখে এসেছি, এখনও দেখছি।
খৃষ্টানরা শুকরের মাংস (পর্ক) খায়।খৃষ্টানরা গরুও খায়। তবে খৃষ্টানরা কচ্ছপ খায় কি না জানি না। আসলে জানার সুযোগও কম। কারণ বাংলাদেশের কোন খৃষ্টানকে কোন দিনও শুকর জবাই নিয়ে বা গরু অথবা কচ্ছপের মাংস নিয়ে ‘শব্দ’ করতে দেখিনি। খৃষ্টানদের বরাবরই বৌদ্ধদের মতোই শান্তিপূর্ণ জাতি হিসাবেই বাংলাদেশে দেখে আসছি।
বাংলাদেশের সবচে সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী হচ্ছে মুসলিমরা। মুসলিমরা শুকর বা কচ্ছপ খায় না। কিন্তু আজ অবধি বাংলাদেশের কোন খৃষ্টান বা হিন্দু কি শুকর বা কচ্ছপ এর মাংস খেতে কোনও রকমের বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে? কোন দিনও কি কোন একজন মুসলিম কোন খৃষ্টানকে শুকর খেতে বা হিন্দুকে কচ্ছপ খেতে বাঁধা দিয়েছে? ১টা প্রমাণ দেখাতে পারবেন?
চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- এরম একটি উদাহরণও দেখাতে পারবেন না। এমনকি পারবেন না এমন একটা উদাহরণও দেখাতে যে- কোন হিন্দুকে বাংলাদেশের কোন মুসলিম ‘গরুর মাংস’ খেতে বাধ্য করা দূরে থাকুক, কোন কালেও বিন্দুমাত্র উৎসাহও দেয়নি। উপরোন্ত, বাড়ীতে কোন হিন্দু বন্ধু আসলে বা আসার কথা থাকলে বাড়ীতে চেষ্টা করা হয় গরুর মাংস রান্না করা থেকে বিরত থাকতে। ইভেন, হিন্দু অতিথীরা যেন বিন্দুমাত্র বিব্রত না হয় সেদিকেও নজর রাখা হয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের কোন হিন্দু ১টি কচ্ছপ কিনে বাড়ী ফেরার সময় বা কোন খৃষ্টান এক কেজি শুকরের মাংস নিয়ে বাড়ী ফেরার সময় কি কোন মুসলিম কর্তৃক ‘হারাম মাংস’ বহন করার অপরাধে রাস্তাঘাটে নাজেহাল হয়েছে? ১টা মাত্র প্রমাণও কি দিতে পারবেন?
আবারও চ্যালেঞ্জ দিলাম- পারবেন না।
বাকী রইলো হিন্দুরা। তো দাদারা, আপনাদের নিয়ে এতো সমস্যা কেন হচ্ছে? আপনারাই কেন এতে ঝামেলা সৃষ্টি করছেন? সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি না করলে কি আপনাদের চলে না? সুপ্রিম কোর্টে গরুর মাংস বন্ধ করার কি আদৌ কোন নৈতিক অধিকার আপনাদের রয়েছে?
আপনাদের স্বজাতিরা ভারতে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর কত শতশত মুসলিমকে গরুর মাংস কেনার ’অপরাধে’ নাজেহাল করেছে, প্রকাশে পিটিয়ে হত্যা করেছে!
আচ্ছা বলুন তো আপনারা এতো অসভ্য কেন?আপনাদের সুস্থ্যতা জাগ্রত হবে কবে?
নেপালও তো হিন্দু রাষ্ট্র! কোথায়, কোন নেপালীকে তো এরম অসভ্যতা করতে দেখা যায় না কখনও!
বরং দেখুন, হিন্দু নেপালীরা পর্যন্ত ভারতীয় হিন্দুদের ঘৃণা করে। আর আপনারা কিছু ভারতীয় তাবেদার হিন্দু বাংলাদেশের মাটিতে বসে দু’দিন পরপর ষড়যন্ত্র করে চলছেন। আপনাদের মতো কিছু নষ্ট হিন্দুদের জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত শান্তিপ্রিয় লাখ লাখ নিরীহ হিন্দু পর্যন্ত লজ্জিত হচ্ছে! কারণ সব হিন্দুতো আপনাদের মতো নষ্ট প্রজাতির নয়!
একটু ভাবুন তো, এই মুসলিমরা পুরো ভারত-বর্ষকে টানা ৪০০ বছর শাসন করেছে। শুকুরের মাংস বা কাছিমের মাংস খাওয়া কি তখন বন্ধ করা হয়েছে? কোন মন্দির কি বন্ধ করা হয়েছে?
এই নরেন্দ্র মোদীর মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী খুনীটা ক্ষমতায় আসার পরই আপনাদের দৌরাত্ম বেড়েছে। আপনারা ভেবেছেন বাংলাদেশের ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার আপনাদের নরেন্দ্র মোদীর ধুতি ধরে চিরকাল ক্ষমতায় বসে থাকবে?
পৃথিবীটা কি এতটাই সোজা!মোদী-হাসিনাকে যেতে হবে, সব কিছুর-ই শেষ। তখন আপনারা কোথায় যাবেন?
আপনাদের নামগুলি কিন্তু লেখা থাকছেই আমাদের কাগজে।
সেদিন ’সাম্প্রদায়িকতা সাম্প্রদায়িকতা’ বলে চিৎকার যতই করেন না কেন- আপনাদের ’সাম্প্রদায়িক পিঠের চামড়া’ কিন্তু বাঁচাতে পারবেন না।
কথাগুলি মনে রাখবেন। তখন আর নরেন্দ্র মোদী বা হাসিনা আপনাদের বাঁচাতে পারবে না। তারা নিজেরাই ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতে করতে মরবে।
সুতরাং সাবধান হয়ে যান, ভালো হয়ে যান।
খুব বেশী বেড়েছেন আপনারা।মনে রাখবেন, উঁই পোকারও কিন্তু পাখা গজায় মরার আগ দিয়ে।