রাগ খুবই খারাপ একটি বিষয়।অথচ আপনি চাইলেই নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন।
খুব সোজা। প্রতিদিন দিনে দুই বার করে চোখ বন্ধ করে ১ ঘন্টা সময় নিয়ে বসে থাকবেন। ঘর বন্ধ করে নিবেন। কেউ যেন আপনাকে বিরক্ত করতে না পারে। তারপর সেই চোখ বন্ধ অবস্থাতেই সিদ্ধান্ত নিবেন- ‘আজ থেকে যত কঠিন বিষয়ই আমার সামনে আসুক আমি আমার রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখবো।’ লক্ষ্য করুন বাক্যটিতে কোন ‘না’ শব্দটি নেই। সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেছি।
হ্যা, ‘না’ শব্দটি প্রকৃতির বড্ড অপছন্দ। নিজের মনকে এভাবে প্রতিিদিন উপদেশ দিন। দু’বার করে। এরপর আপনি কল্পনার রাজ্যে চলে যাবেন, সেখানে দেখবেন- সুন্দর প্রকৃতি। প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে। ঘাস ফড়িংরা সব খেলা করছে। আপনার মন খুবই ভালো, কিন্তু মজার বিষয় সামনে একটা সাপ ফনা তুলে চলে গেলো, অথচ আপনার কোনই রাগ হলো না যে এতো সুন্দর পরিবেশে কেন একটা সাপ থাকবে। এরকম প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য কল্পনা করবেন, যেটাতে দেখবেন আপনার মধ্যে কোন রাগ কাজ করছে না।
তিন মাস প্রাকটিসটি করুন। এরপর আর আপনি রাগ করতেই পারবেন না।
মনে রাখবেন আপনি ধ্যানে বসে বা প্রতিদিন আপনার মনকে যে উপদেশ দিবেন- সেটা বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহন করে এই প্রকৃতি। আপনি নিজের মনকে যা করতে বলবেন- প্রকৃতি সেটা করিয়ে দিবে। কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
প্রাকটিসটাই সবকিছু। আমিও আমার রাগ নির্মুল করেছি বহুবহু বছর আগেই।
কোন কিছুতেই আর রাগ হয় না। আমি হতবাক বা বিস্মিতও হই না। তবে বিরক্ত হই। বিরক্তি নিজের মধ্যেই রাখি প্রকাশ করি না। মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করেই রাগের ‘অভিনয়’ করি। কারণ কিছু কাজ রাগ দেখানো ছাড়া উদ্ধার করা যায় না।
কিন্তু আমি যখন ঐ রাগের অভিনয়টুকু করি, তখন আমার একটা সমস্যা হয়।
সমস্যাটা হলো, ওই অবস্থায় আমি বাংলা ভাষাটা সম্পূর্ণ ভুলে যাই। একটা বাংলা শব্দও আমার মনে আসে না তখন। রাগের মাথায় ইংলিশ ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারি না।
রাগ নির্মূল করে অদ্ভুৎ এক রোগ বাঁধিয়েছি। তবুও তো ভালো, সব ভালোরই একটা খারাপ দিক থাকে।