কিন্তু, আমার নিজস্ব উত্তর হলো- মালাউন মানে অভিশপ্ত।
সে ধর্মীয় নামে হিন্দুও হতে পারে আবার মুসলিম বা বৌদ্ধ অথবা খৃষ্টান বা ইহুদী বা নাস্তিকও হতে পারে।
মোদ্দ কথা যে ভ্রান্ত, বদমাশ, টাউট প্রকৃতির সে-ই মালাউন।
যার কথা বা কাজ দ্বারা দেশ বা দশের ক্ষতি হয় কিন্তু তার কথাবার্তা যথেষ্ঠ মিষ্ট প্রকৃতির- সে-ই প্রকৃত মালাউন।
এককভাবে শুধুমাত্র হিন্দু বা মুসলিম অথবা অন্য কোন ধর্মীয় বা নাস্তিক ব্যক্তিকে মালাউন বলাটা ভুল ও অন্যায়।

মালাউন এর কোন প্রকার নেই।
বদমাইশ সবসময় এক প্রকারেরই হয়ে থাকে; যদিওবা তাদের কার্যক্রমে ভিন্নতা থাকতে পারে।

১০টি উদাহরণ:
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি মালাউনদের সংখ্যাধিক্য বেশী দেখা যায়। কারন এসব দেশে কোন কাজকর্ম নেই- এরা শুধু খায় আর ঘুমায়; সেই সংগে তরল চিন্তায় মগ্ন থাকে; খুব দ্রুত বড়লোক হবার স্বপ্ন দেখে – সেটা যে-কোন অসৎ রাস্তাই হোক। সংগে চায় ক্ষমতার অংশীদার হতে।
শুধু ব্যক্তি নয়- মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানও মালাউন উপাধি পাবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।

তবুও বাংলাদেশের আলোকে ১০জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মালাউন এর উদাহরণ দেয়া গেল:
১) শেখ হাসিনা পরিবারবর্গ
২) মন্ত্রী ছায়দুল হক
৩) সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (ব্লাক ক্যাট)
৪) ড. জাফর ইকবাল
৫) প্রথম আলো
৬) মোজাম্মেল টিভি- না সরি; ৭১ টিভি
৭) মুন্নী সাহা জই মামুন দম্পত্তি
৮) শাহরিয়ার কবীর
৯) হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্যজোট
১০) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহা
&
১১) বাংলাদেশ পুলিশ লীগ।

বি.দ্র. মাত্র ১০টি উদাহরণ দেবার জন্য বলা হয়েছে; আমার হাতে আরও প্রায় শতাধিক নাম রয়েছে- কিন্তু সময় ও কাগজের অভাবে উত্তর দেয়া সম্ভব হলো না। আর আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তো আরও বড় মালাউন।
ইমরান এইডস শয়তানের নামটা উদাহরণ হিসাবে দেবার জায়গাই পেলাম না! কি আশ্চর্য্য!