আরবিয়ান কাহিনী

মনে করেন হাসিনার হাতে হঠাৎ কোন এক গায়েবী থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার চলে আসলো! এরপর তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অবস্থায় পৌছবে – ঠিক সেই একই অবস্থানটাই হচ্ছে বর্তমান সৌদী আরব।

অর্থাৎ মেধাহীন, উগ্র এবং আত্মাভিমানীর এক জ্বলন্ত উদাহরণ সৌদী আরাবিয়া। বেপরোয়াভাবে পারিবারিক ভোগ-বিলাসিতা ছাড়া টাকাকে ঠিক কিভাবে খরচা করতে হয় – সেই বুদ্ধিটুকুনও তাদের নেই।

যদি থাকতো তাহলে ৩১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ‘নিওম’ সিটি তৈরীর ভৌতিক চিন্তা অথবা ৩৮ বিলিয়ন ডলার ই-গেমে নস্ট না করে অন্তত পক্ষে মক্কা শহরে একটি বিমানবন্দর, মক্কার রাস্তাঘাট-হাঁটাচলার ফুটপাত এবং মক্কায় ঢোকা-বের হবার আরও কমপক্ষে ১০০ টি এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট তৈরী করতো। এবং কিভাবে এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় – সেটুকু জানতো। ঢাকার গুলিস্তানের মতো ফুটপাত মক্কায় দেখতে হবে – সেটা অন্ততপক্ষে আমার মাথায় একটিবারের জন্যও কাজ করেনি।

মিলিয়ন মিলিয়ন তীর্থযাত্রীদের সহজে চলার জন্য ‘চলমান সড়ক’ এর ব্যবস্থা করতো। মদীনার মসজিদের নববী (প্রফেট’স মসজিদ)-টিকে আরও ৫গুন বড় করতো এবং মানুষের সাচ্ছন্দে চলাফেরা ও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা থাকতো।

এবং মক্কা-মদীনার বুলেট ট্রেনে ঢোকা ও বের হবার ব্যবস্থাপনাটুকু ‘সুসভ্য’ হতো। নীচ তলা থেকে দো-তলায় মালামাল নিয়ে উঠে চেকিং করে আবার সিড়ি দিয়ে নীচ তলায় নেমে ট্রেনে উঠার পরিবর্তে নীচতলাতেই চেকং করার সিস্টেম করার বুদ্ধি একটা ১০ বছরের বাচ্চাও রাখে।

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো থাকলেও ঢাকার মতোই দরদাম করে উঠতে হয় তাতে। ২০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা চাইতেও তাদের বুক কাঁপে না। এবং সেটা পবিত্র মক্কা শহরে! পবিত্র মদীনায়ও!

কিন্তু সৌদী সরকারের এসব সিস্টেম ঠিক করার সেই বুদ্ধিটুকুও নেই।

শুধু আছে মানুষের থেকে টাকা কামানোর ধান্ধা এবং একদল অসভ্য, বেয়াদব পুলিশ লালন করার মাথা।

এমনকি চাইনিজরা যতটুকু ইংলিশ বলতে জানে – তার সিকিভাগও সৌদীরা জানে না।

ফাইভ স্টার হোটেলে পর্যন্ত ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা নেই!

এই গাধা জাতি জানেই না যে, যে-কোন ওয়েদারেই ২৪-ঘন্টা গরম ও ঠান্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা উন্নত ও সভ্য দুনিয়ার একটি অতি সাধারণ বিষয়।

মুহাম্মদ (সা) মানুষের সংগে সর্বদা হাসি মুখে কথা বলতেন, মানুষকে সুসভ্যতার শিক্ষা দিতেন। কিন্তু আরবরা সেই ম্যানার বা কার্টেসীটুকুও জানে না; শিখেনি।

মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ সৌদী আরবে হজ্ব বা উমরাহ করতে গিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে আর সেই টাকায় সৌদী রাজারা ভোগ-বিলাসে ব্যস্ত থাকে; নিওম সিটি বানায়, জুয়ায় বিনিয়োগ করে! ফ্রান্সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রাসাদ কিনে, মোনালিসার ছবি কিনে, প্রমোদতরী কিনে আর ৩০০ ব্যক্তিগত কর্মচারী নিয়ে ভ্রমণে যায়!

এটাই আমার প্রিয় রাসুল (সা) এর দেশ।

দেশটি নাকি কোরআন এর আইনে চলে। কিন্তু ’চুরি করলে হাত কাটা’ বা ’বড় অপরাধে (রাজতন্ত্রের বিরোধীতার কথা বাদই দিলাম) কল্লা ফেলে দেয়া’ ছাড়া ইসলামের ঠিক কোন নিয়মটা সেখানে আছে – বলতে পারেন?

প্রতিটি মানুষ যেন জেলখানায় বসবাস করে।

তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে না; মানবতাবোধের লেশ মাত্র নেই দেশটিতে।

   Send article as PDF