রাজনীতির বৈশিষ্ট্য

বর্তমান বিশ্বের একক পরাশক্তি আমেরিকার আন্তর্জাতিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণভাবেই আঞ্চলিকতা নির্ভর।
 
এক অঞ্চলের সংগে তারা অন্য অঞ্চলকে মেলায় না।
 
দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয় রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ্য শক্তি চায়নাকে থামাতে আমেরিকার প্রয়োজন ভারত-কে।
 
৭১এ তারা চায়নার সংগে নতুন সম্পর্কের স্বার্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে- পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে; সেটাও শুধুই আঞ্চলিকতার জন্যই।
 
আমেরিকা বাংলাদেশের সংগে বেশ কয়েক বছর কয়েকটি সামরিক চুক্তির চেষ্টা করেছিল- কিন্তু বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে- আমেরিকাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
 
চুক্তিগুলি থাকলে পরিস্থিতি আজ অন্যরকম থাকতো।
 
এই পৃথিবীর ৩৮টি দেশে আমেরিকার প্রায় ৬৬২টি মেলেটারী বেইজ রয়েছে যার মধ্যে জার্মানী, ইসরেল, ইটালি, জাপান, সাউথ কোরিয়া, কুয়েত, স্পেন, ফিলিপিন্স, সিংগাপুর, তুরুস্ক, বৃটেনও রয়েছে। এসব দেশগুলি কিন্তু পরাধীন হয়ে যায়নি।
 
বরং উল্লেখিত দেশেগুলির দিকে চোখ তুলে তাকাবার সাহস এই পৃথিবীতে কেউ রাখে না।
 
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমেরিকার (কিংম্বা চায়না বা পাকিস্তানের) কাছে ঝুঁকিতে পরবে না- পরছে ভারতের হাতে।
 
বাংলাদেশ সাহসী তো নয়ই, রাজনীতিও বুঝে না।
আর তাইতো, সেই আঞ্চলিকতা নির্ভর রাজনীতিতে বাংলাদেশ এর নাটাই এখন ভারতের হাতে।
 
ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে নাচাবে- সেভাবেই নাচতে হবে, নাচতে থাকবে!
 
যতদিন না পর্যন্ত বাংলাদেশের ‘একজন কেউ বিদ্রোহী’ হয়ে গর্জে উঠবে- ভেংগে মুচরে দেবে সেই ভারতীয় নাটাই।
 
শক্তি কেউ কাউকে দেয় না- ওটা নিজস্ব।
 
   Send article as PDF