হংকং টু লাস ভেগাস

লস এঞ্জেলেস আমার ভালো লাগলো না।
এই শহরটার প্রতি আমার এক প্রকার কঠিন প্রেম ছিল। অনেক অনেক বছরের স্বপ্ন ছিল এই শহরটিকে ঘরে। এমনকি এমনও ভাবনা ছিল যে বাকী জীবনটা না হয় লস এঞ্জেলেস শহরেই কাটিয়ে দেব।

কিন্তু তা আর পারলাম কৈ?
রাত দেড়টার দিকে জেটব্ল’র এয়ারক্রাফটটি ল্যান্ড করলো ল্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। প্যাসিফিকের সংগে লাগোয়া বিশাল এয়ারপোর্ট কিন্তু ততটা ব্যস্ত বলে মনেই হলো না।

এরাইভাল ও ডিপার্চার বোর্ডে দেখলাম কিছু আঞ্চলিক ফ্লাইট এর আসা-যাওয়াতে-ই সীমাবদ্ধ এই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটি। অবশ্য আমি জানি লস এঞ্জেলেস শহরে তিনটি এয়ারপোর্ট রয়েছে। সবগুলি মিলিয়ে হয়তো ব্যস্ত- কিন্তু আমি সেই যুক্তিতে কেন যাব?

নিউ ইয়র্কেও তো ৩টি এয়ারপোর্ট রয়েছে- সে হিসাবে জেএফকে তুলনা করলে তো পৃথিবীর কোন এয়ারপোর্টই তার সংগে পেরে উঠবে না।

যাই হোক, ল্যাক্স এ ল্যান্ড করলাম।
যেহেতু ডোমেষ্টিক ফ্লাইট- ইমিগ্রেশনের কোন বালাই নেই। সরাসরি লাগেজের জন্য বেল্টের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলাম, কোন ব্যস্ততাই নেই। মনে হচ্ছিল যেন রাত বেশী তাই এয়ারপোর্টটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! হতাশ হলাম।

লাগেজ নেবার পরপরই সব বাতি অফ হয়ে গেল।
যেন কারেন্ট চলে গেল! লস এঞ্জেলেস শহরের উপর আমার বিরক্তি শুরু হলো।
জানলাম, কন্সট্রাকশন চলছে- তাতে আমার কি? লাইট অফ হবে কেন?

সকালে যেহেতু লাস ভেগাস যাবো- সেহেতু চিন্তা করলাম সামান্য ৩/৪ ঘন্টার জন্য হোটেল নেয়াটা একটা স্রেফ বাহুল্য। আর আমি তো বাহুল্য পছন্দ করি না।

আইফোনটি পকেটে রেখে আইপ্যাড বের করে ফেসবুকিং করে আর চেজ খেলেই সময় কাটিয়ে দেয়া সম্ভব।

৪ দিন পর ফিরলাম আবারও লস এঞ্জেলেস এ, লাস ভেগাস থেকে।
২ রাত থাকবো। সবজি ও দেশী মাছ দিয়ে দু’টো ডাল ভাত খাবারের আশায় কোরিয়া টাউনের পাশেই লিটল বাংলাদেশ এলাকায় একটা সস্তা হোটেলে উঠে পড়লাম। ৭৫ ডলার ডেইলী ভাড়া, সকাল ১১টায় চেক আউট টাইম। ব্রেক ফাষ্ট নেই।

লস এঞ্জেলেস শহরের ফুটপাতগুলি অপ্রশস্থ।
ঢাকার মতোই ফুটপাতে হকারীদের ভীড়। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট (সাবওয়েসহ) সার্ভিস খুবই বাজে ও বিরক্তিকর। দেশী রেষ্টুরেন্টগুলিতে খাবারের প্রাচুর্য্য নেই ততটা।

ডাউনটাউটটাও পছন্দ হলো না। আহামরি করে বলার কিছুই পেলাম না লস এঞ্জেলেস শহরকে নিয়ে। অনেকটা ডালাসের মতো।

লস এঞ্জেলেস এর উপকন্ঠে হলিউডটা দারুন।
বিশেষ করে ইউনিভার্সাল ষ্টুডিও আমার নজর কাড়তে পেরেছে গভীরভাবেই।
হলিউড তো ‘হলিউড’ হবেই। সেখনে বলার কিছুই নেই।

সান্তা মনিকা সি-বীচটি বড়, বাট আমার ততটা ভালো লাগেনি। যে চোখে কক্সেস বাজার দেখা হয়েছে- সে চোখে অন্য বীচ কিভাবে ভাল লাগবে শুনি?

তারপরও জীবনে প্রথমবার আমেরিকার সর্বপশ্চিম পাড় থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পানি স্পর্শ করে দেখার মজাই অন্যরকম।

মনে পরে গেল, জীবনে যে সন্ধ্যায় প্রথম কক্সেস বাজার এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করি (সেটাই ছিল আমার প্রথম বিমান ভ্রমণ); সে সন্ধ্যায়ই হোটেলে ব্যাগেজ রেখে সোজা চলে গিয়েছিলাম সী-বিচ দেখার জন্য।

কক্সেস বাজারের সী-বিচে পৌছে প্রথম যে কাজটা করেছিলাম তা হলো- বেশ কিছুটা পানি মুখে নিয়ে সত্যি সত্যিই খেয়ে দেখেছিলাম যে, সাগরের পানি লবনাক্ত হয় কি না?

ওহ, বলে রাখি- প্যাসিফিক এর পানিও কিন্তু কড়া লবনাক্ত!

বাংলাদেশের মানুষকে আমি একটা শহর খুব বেশী করে ভ্রমণ করতে অনুরোধ করবো।

সেটা হলো স্যাংহাই শহর।

আমার অনেক লেখাতেই আমি স্যাংহাই কে নিয়ে আসি। সত্যি বলতে স্যাংহাই শহরটিই আমার সবচে ভালো লাগা শহর।

আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে না দেখেই অনেকগুলি শহরের প্রেমে পরেছিলাম আমি। তবে, তন্মোধ্যে সেরা শহরগুলির লিষ্টে রাখতাম সান ফ্রান্সসিসকো, লস এঞ্জলেস, নিউ ইয়র্ক, স্যাংহাই, সিংগাপুর, হংকং, শিকাগো, দুবাই ইত্যাদি।

মস্কোর প্রতিও আমার একটা গভীর টান রয়েছে কিন্তু প্রেম নেই কোন।
একটা মজার বিষয় হলো, কৈশরে আমার প্রিয় শহরের তালিকায় ছিল কাঠমান্ডু শহরটিও।

স্যাংহাই সত্যিই অনেক বড় একটা শহর। একমাত্র এই শহরটি ভ্রমণ করলেই এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনার অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে সকলেরই।

আমার জীবনের প্রথম স্যাংহাই ভ্রমণটি ছিল স্যাংডং প্রভিন্সের রাজধানী জেনান থেকে উড়ানের মাধ্যমে। টান টান উত্তেজনা তখন আমার- ‘স্যাংহাই যাচ্ছি’। ওহ, সে কি উম্মাদনা কিন্তু কারো সংগে শেয়ার করতে পারছি না।

শুধুমাত্র একান্ত আনন্দগুলি শেয়ার করার জন্য হলেও একজন একান্ত মানুষ দরকার।

স্যাংহাই শহরটি বিশাল।
এটাকে অনেকে ‘সেকেন্ড নিউ ইয়র্ক’ বলে থাকে। অত্যন্ত ব্যস্ত একটা শহর। রাস্তাগুলি এভারেজে ৪ চলা বিশিষ্ট। আমার মধ্যে বিল্ডিং এর ফ্লোর গোনার বাতিক আছে। স্যাংহাইতে গড়ে ৫০ তলার নীচে বিল্ডিং খুঁজে পাওয়া সত্যিই কষ্টকর।

ঢাকার চেয়েও ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে স্যাংহাই শহরে। মানুষ আর মানুষ।

পিচ্চি পিচ্চি দেখতে চাইনিজ মেয়েগুলি তাদের ছোট ছোট পায়ে কি যে এক অদ্ভুৎ গতিতে হেঁটে চলে; আপনি দৌড়েও খুব সহজে তাদের সংগে পেরে উঠবেন না।

শহরটি অত্যন্ত জীবন্ত।
ভালো না লেগে আপনার যাবেই না।
এই শহরটি এ পর্যন্ত মোট ১২ বার আমাকে টেনে নিয়েছে তার বুকে, বেঁধেছে কঠিন এক প্রেমের বাঁধনে।

স্যাংহাই তে মোট দু’টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
পুডং নদীর উপর দিয়ে আমার দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ ফ্লাইওভার কাম ব্রীজটি ৭টি পাক দিয়ে ওপাড়ে চলে গেছে। আবার ঠিক একই স্থান দিয়ে ফিরে এসেছে পুডং নদীর নীচ দিয়ে সাবওয়ে হয়ে।

৫০৩ কিলোমিটার স্পীডে বুলেট ট্রেনে চেপে যাতায়াত করার আনন্দই অন্যরকম যা শুধুই স্যাংহাই-ই আমাকে দিতে পেরেছে।

স্যাংহাই ও ইয়াংশান পোর্ট সংযুক্তির ৩২.৫০ কিলোমিটার লম্বা ‘ঢংগি ব্রীজ’ নামের এই পৃথিবীর সবচে দীর্ঘতম ব্রীজটি না দেখলে আপনার আর কি দেখা হলো, বলুন? অসাধারণ একটা ব্রীজ। (অবশ্য সম্প্রতি নির্মিত হংকং-ম্যাকাও-চায়ানর মধ্যে তৈরী ব্রীজটি বর্তমান বিশ্বের দীর্ঘতম ব্রীজ।)

স্যাংহাই এর সবচে খারাপ দিকটি হলো- এই শহরে আমি যতবারই ম্যাকডনাল্ডস বা কেএফসি খেয়েছি ততবারই আমার ডিসেন্ট্রি হয়েছে! ওহ বিরক্তিকর। ফ্লাজিল আর ওআরএসই কেবল রক্ষা!

বিশাল শহর বেইজিংও আমাকে আটাকতে পারেনি তার ভালবাসায়। বেইজিং এর মানুষগুলি অত্যন্ত গ্রাম্য। সে তুলনায় স্যাংহাই স্মার্ট, আর্টিষ্টিক।

সিংগাপুর, দুবাই বা কুয়ালা লামপুরও আমাকে টানে না। ভাল লাগেনি। সিওল দারুণ একটা শহর। তারপরও আমার কাছে অসম্পূর্ণই মনে হয়েছে। ব্যাংকক এখনও তৃতীয় বিশ্বের মানচিত্র থেকে উঠতে পেরে উঠছে না।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে উঠা নয়া দিল্লী শহরটি আমার নজর কেড়েছে।
দিল্লীর কিছু কিছু এরিয়া কুয়ালা লামপুর বা সিংগাপুরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। মুম্বাই এখনও নোংড়া শহর। নেভী মুম্বাই যথেষ্ঠ উন্নত কিন্তু সেটা নিয়ে তো আর আসল মুম্বাই না।

আগেই বলেছি, বহুবারই বলেছি- ভারত পুরোপুরিভাবে ফলো করে আমেরিকাকে। এবং তার রাজধানী নয়াদিল্লী শহরটিও নির্মিত হয়েছে সম্পূর্ণ ভাবেই ওয়াশিংটন ডিসিকে ফলো করেই।

ওয়াশিংটন ডিসি তে পৌছে বিষয়টা সত্যিই আমাকে অবাক করেছে- দিল্লীর সৌন্দর্য্যের একটা ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছি। তবে, চাইলেই তো আর ওয়াশিংটন ডিসি হওয়া যায় না!

কপি মাল তো কপিই হয়- আসল কিভাবে হবে?
কোলকাতায় প্রাণ পাই, তবে সেখানে টাউট-বাটপারদের সংখ্যাই অত্যধিক। আমাদের আশে পাশের একমাত্র ঠান্ডা, ছিমসাম, শান্ত শহর আগরতলা। গৌহাটি ভারতবর্ষের সবচে দুর্ধর্ষ শহর আমেরিকায় যেমন শিকাগো।

আগেই বলেছি, নিউ ইয়র্ক সম্পর্কে আমার অনেক উচ্চাশা ছিল।
আমার ভাবনা ছিল অসাধারণ একটা শহর হবে এই নিউ ইয়র্ক, ঝকঝকে তকতকে। দেখা মাত্র চোখ জুড়িয়ে যাবে।

তখন আমি স্কুলে পড়ি। নিউ ইয়র্ক সম্পর্কে তখনই আমার জানা হয়। কোন একটা ক্লাসের ইংলিশের একটা গল্প ছিল এই নিউ ইয়র্ককে নিয়ে।

একদিন স্বপ্নেও দেখলাম, স্কুল বাসে করে নিউ ইয়র্কের কোন একটা স্কুলে যাচ্ছি। ঘুম ভেংগে বাস্তবে ফিরে আসাটা ছিল আমার জন্য সবচে কষ্টকর মুহুর্ত।

কাতার এয়ারের বোয়িংটি যখন জেএফকে ল্যান্ড করছিল, নীচে তাকিয়ে আমার মোহভংগ হলো। আমার ভাবনার ঝকঝকে তকতকে নিউ ইয়র্ক কোথাও খুঁজে পাইনি।

ম্যানহ্যাটন এর কিছু এলাকা আর টাইমস স্কোয়ার বাদ দিলে নিউ ইয়র্ক বহু বছরের পুরাতন আর নোংরা একটা শহর। তবে, অনসীকার্য যে, ২০০ বছর আগের ডিজাইন করা নিউ ইয়র্ক বর্তমান সময়ের ডিজাইন করা যে-কোন শহরের চেয়েও অনেক অনেক অনেক বেশী আধুনিক। এখানেই নিউ ইয়র্কের আসল সৌন্দর্য্য। আর নিউ ইয়র্কের আসল শহর তো তার মাটির নীচে।

নিউ ইয়র্ক ছেড়ে চলে গেলাম ডালাস।
আশির দশকে বিটিভিতে যারা ডালাস টিভি সিরিয়ালটি দেখেছেন- তাদের মতোই আমিও মোহিত ছিলাম ডালাসকে নিয়ে। ডালাস পরিপাটি সুন্দর শহর। ডালাসের চেয়ে বেশী সুন্দর লেগেছে আমার ফোর্ট ওর্থ শহরটি।

কিন্তু আমেরিকার লোকল ব্যবসায় আমার অনভিজ্ঞতা এবং দেশী খাবারের অভাব আমাকে আবার সেই নিউ ইয়র্কার বানিয়ে ছেড়েছে।

এই সবকিছুকে ছাড়িয়ে প্রথম যখন সাগরের বুকে ভেসে পাহাড়ের কিনারায় হংকং এয়ারপোর্টটিতে ল্যান্ড করতে যাচ্ছিলাম ড্রাগন এয়ারের ফ্লাইটে- মনে হচ্ছিল স্বর্গে নামছি!

হংকংই ছিল এযাবৎ কালে আমার দেখা সবচে সুন্দর, নয়নাভিরাম, স্বপ্নের শহর।

হংকং বলতে আমি ছিলাম অজ্ঞান।
হংকং এর সৌন্দর্য বর্ণনা করার ভাষা সত্যিই আমার অজানাই ছিল।
অত্যন্ত ব্যস্ত, মানুষে ঠাসা একটা শতভাগ শহুরে দেশ হংকং। কাউলুন ও হংকং দু’টো দ্বীপই অসাধারণ শহর। অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন রাস্তাঘাট, ট্রাফিকিং, বিশাল ও পরিচ্ছন্ন ফুটপাত, সাবওয়ে সবই অনন্য। সভ্যতা নিয়ে অনেক গল্পেই আমি হংকং কে টেনে নিতাম। নিইও এখনও অবধি।

কিন্তু।
সেই আমার সেই দীর্ঘদিনের লালিত প্রেম হংকং এর কাছ থেকে আমার প্রেম অন্য একটা শহর ছিনিয়ে নিয়ে নিয়েছে।

সেটা লাস ভেগাস।
লাস ভেগাস যাবার পূর্বেও ভাবিনি যে এই শহরটির সংগে আমার সখ্যতা সৃষ্টি হবে বা হতে পারে।

আমেরিকার শহরগুলিতে গ্রাম্য একটা ভাব স্পষ্ট। আমেরিকার শহরগুলি গড়ে উঠেছে গাড়ী নির্ভর জীবনযাত্রাকে লক্ষ্য করে। এখানে পায়ে হাটার চিন্তা করে কোন স্থাপনা বা অঞ্চল ডেভেলপ হয়নি।

সকলেরই গাড়ী রয়েছে। গাড়ী ছাড়া এদেশে জীবন যাত্রা চিন্তাও করা যায় না।

সে তুলনায় মরুভূমির উপর নির্মিত বিশাল শহর লাস ভেগাস নেভাডা ষ্টেটে অবস্থিত। শহরটি সত্যিই বিশাল। বিশাল বিশাল হোটেল, আলোর ঝলকানি, চমৎকার সুন্দর ও ঝকঝকে রাস্তা। হাজার হাজার মানুষ, গাড়ী, রেষ্টুরেন্ট কি নেই এই শহরে!

এই পৃথিবীর সব বিলিওনিয়ররা আসে এই লাস ভেগাস শহরে।
ক্যাসিনো যদিও আসলতম টার্গেট, সংগে গড়ে উঠেছে মদ ও মেয়ে মানুষের ব্যবসাও।

আর এসব বিলিওনিয়ারদের ছাড়িয়ে, আমার মতো শুধু দর্শক হিসাবেও আসছে হাজারে হাজারে পর্যটক লাস ভেগাসকে নেটওয়ার্ক হাব হিসাবে ব্যবহার করে আরিজোনা, ইওটাহ এবং কলোরাডো ষ্টেটে অবস্থিত গ্রান্ড ক্যানিয়ন এবং মরুভূমিতে গিয়ে কিছু ছবি তুলতে।

আমার দৃষ্টিতে একটা প্রকৃত শহর ঠিক যেমন হবার কথা বা হওয়া উচিৎ- লাস ভেগাস ঠিক সেরকমই একটা শহর।

আমার প্রেম এখন লাস ভেগাসের সংগে।
কে জানে কত বার যাওয়া হবে সেই লাস ভেগাসে আমার!

   Send article as PDF