যুদ্ধ যুদ্ধ

১৯৬৫ সালে ভারত- পাকিস্তানের কাছে চরম মাইর খায়; সেটা তারা এখনও ভুলতে পারেনি।
শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদেই বিডিআর এর হাতে কুড়িগ্রাম এ ভারতীয় বর্ডারে বিএসএফ এর ৪ জন অক্কা পায়। সেটাও ভুলতে পারার কথা না ভারতের।
এখন মাত্র ২ জন স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধার হাতে কাশ্মিরে ১৭জন ভারতীয় সেনা সদস্য জীবন হারালো।
 
কাশ্মিরীদের ‘ডু অর ডাই’ মনোবল! কিভাবে পারবে ভারতীয় সেনারা?
 
আসলে ভারতের সামরিক শক্তি কতটুকু?
আমি জানি ভারতের অনেক অনেক বড় সেনাবাহিনী, অত্যন্ত সমৃদ্ধ নৌবাহিনী ও বড় বিমান বাহিনী রয়েছে। কিন্তু, শুধু বড় বাহিনী দিয়েই কি যুদ্ধ জয় করা সম্ভব?
 
বদরের যুদ্ধের কথা মনে আছে?
 
Battle of Badr :: Strength
313 infantry and cavalry: 2 horses and 70 camels
950 infantry and cavalry: 100 horses and 170 camels
 
মুহাম্মদ (সা.) এর নেতৃত্বে মাত্র ৩১৩ জন সেনা আর দু’টো ঘোড়া নিয়ে ৯৫০ জন সেনা ও ১০০ ঘোড়ার দলকে কিভাবে পরাজিত করেছিল!
 
আসলে যে-কোন যুদ্ধের সবচে বড় অস্ত্র হলো মানুষের ‘নৈতিক মনোবল’।
 
১৯৭১ সালে অত্যন্ত শক্তিশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছিল ‘সামান্য গেরিলা’ মুক্তিযোদ্ধারা এবং সেদিন সংগে যুক্ত হয়েছিল ভারতীয় সেনারাও।
 
পাকিস্তানের বড় বাহিনী সেখানে কাজ করেনি।
কারণ সেদিন সেই গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের ‘নৈতিক মনোবল’ ছিল অনেক বেশী।
 
ভারতীয় সেনারাও জানে- তারা অন্যায় করে যাচ্ছে।
তাদের নৈতিক কোন মনোবলই নেই; স্রেফ কিছু রাশিয়ান সেকেলে অস্ত্র ছাড়া।
 
কিন্তু পাকিস্তানীরা আদর্শিক শক্তিতে অত্যন্ত মনোবল সমৃদ্ধ। বিশাল ভারত কোনদিনও ক্ষুদ্র পাকিস্তানের সংগে পেরে উঠেনি- কোনদিন পারবেও না।
 
আর আমি চায়নার কাছে ভারতকে কোনদিনই দাঁড় করাবো না।
জীবনে বহু বহু বার চায়না ও ভারতে যেয়ে নিজ চোক্ষে দু’টি দেশকেই পর্যবেক্ষন করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে।
 
ভারতের কাছে ভুটানের শক্তি যতটুকু- ঠিক চায়নার কাছে ভারতের শক্তিও ততটুকুই!
 
আসলে যুদ্ধ করতে মনোবল লাগে।
 
প্রতিদিন একটা দুইটা করে বন্দুক যুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা করে অথবা নিরীহ মানুষকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গুম করে রাব পুলিশ প্রচুর বাহাদুরী দেখায় সাধারণ মানুষের সংগে।
 
কিন্তু যখন সত্যি সত্যিই ‘বাহাদুরী’ দেখাবার সময় আসে- তখন তাদের দু’জন ‘দুর্দান্ত অফিসার’ স্পট ডেট হয়, ১৮/২০ জন হসপিটালে গিয়ে কাৎরায় এবং রাব আর পুলিশের শীর্ষ কর্তারা প্রকাশ্য রাস্তায় হাজার হাজার পুলিশ-রাব নিয়ে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে প্রস্রাব করে জামা-কাপড় নষ্ট করে। কারণ ওদের মনোবল নেই।
 
বাংলাদেশের মানুষ যদি আজ দল বেঁধে রাস্তায় নেমে পরে খুনী হাসিনার পদত্যাগের জন্য- আমি নিশ্চিত রাব-পুলিশ দিয়ে হাসিনা ৩দিনও টিকে থাকতে পারবে না।
 
কিন্তু মানুষের মনোবল কোথায়?
 
কার নেতৃত্বে মানুষ মনোবল দেখাবে?
   Send article as PDF