গণতন্ত্র এবং বিজয় দিবস?

বিদেশ গেছেন কখনও?
যদি না যেয়েই থাকেন- তাহলে ঢাকার গুলশানের ডিপ্লোমেটিক জোন এ গেছেন নিশ্চয়ই।
 
আমেরিকান এম্বাসীর পাশেই রয়েছে কানাডিয়ান হাই কমিশন অফিস।
আমেরিকা ও কানাডিয়ান ভবনগুলির ঠিক অপজিট পারে পাবেন কোরিয়ান এম্বাসী।
আবার কানাডিয়ান হাই কমিশনের পেছনেই তৈরী হচ্ছে ইন্ডিয়ান হাই কমিশন ভবন।
 
আমি কিন্তু একটা ইচ্ছে করেই প্যাচ লাগিয়ে দিলাম।
একবার হাই কমিশন আবার এম্বাসী! জটিল প্যাচ।
 
তাহলে এবার বলেন তো কিছু দেশ হাই কমিশন আবার কিছু দেশ এম্বাসী লিখে কেন?
 
আচ্ছা, মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন? কুয়ালা লামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনটি কে কি বলে? দেখেছেন কখনও? ওটা বাংলাদেশ হাই কমিশন।
আবার যদি ব্যাংকক বা বেইজিং যেয়ে থাকেন- সেখানে দেখবেন বাংলাদেশ এম্বাসী।
 
আমেরিকায় যদি আসেন- তাহলে ওয়াশিংটন ডিসি তে বাংলাদেশ মিশনটির নাম ‘বাংলাদেশ এম্বাসী।
কিন্তু কানাডার টরোন্টতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনটির নাম কিন্তু ‘বাংলাদেশ হাই কমিশন’।
 
কত প্যাচ!
হিসাব এবার সহজ করে দিই।
হিসাবটার গোড়াতে রয়েছে আসলে বৃটিশ রাষ্ট্রটি।
 
এই দেশটি একসময় বলতে গেলে প্রায় পুরো পৃথিবীকেই শাসন করেছে। বলা হলো, বৃটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্থ যায় না। বিষয়টা হলো- বৃটিশ অধ্যূষিত রাষ্ট্রসমুহের এক মাথায় সূর্য যখন অস্ত যেত- তখন দেখা যেত পৃথিবীর অন্য প্রান্তের আরেকটি বৃটিশ অধ্যূষিত রাষ্ট্রে সূর্য্য মাত্র উদিত হচ্ছে।
 
এই বৃটিশরা কি করলো- তারা যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তর পরিস্থিতিতে একে একে তাদের সবগুলি উপনেবিশ রাষ্ট্রগুলিকে স্বাধীন করে দিল- তখন নিজেদের পুরানা বাহাদূরী টিকিয়ে রাখতে গঠন করলো ‘বৃটিশ কমনওয়েলথ’ নামে একটা ফালতু সিষ্টেম।
 
বিশ্বের যে যে দেশগুলি এক সময় বৃটিশ শাসনাধিন ছিল- তাদেরকে সদস্য করা হলো এই ‘আকাজ’ এর সংগঠনটিতে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ মালয়েশিয়া, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের মোট ৫২টি স্বাধীন দেশ এই বৃটিশ কমনওয়েলথ এর সদস্য।
 
আমেরিকা কিন্তু বৃটিশ শাসনে ছিল। তারা বৃটিশদের সংগে যুদ্ধ করে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তারা বৃটিশ কমনওয়েলথ এর সংগে নেই।
 
এবার হিসাবটা মিলিয়ে দিই।
বৃটিশ কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলিতে অন্য একটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশ যখন কুটনৈতিক মিশন খুলবে তখন সেটাকে বলা হবে ‘হাইকমিশন’।
 
অপরদিকে বৃটিশ কমনওয়েলথ এর বাইরে কোন দেশে অবস্থিত কুটনৈতিক মিশনগুলিকে বলা হবে ‘এম্বাসী’।
 
অতি সাধারণ একটা হিসাব।
 
আরেকটু মজার হিসাবও কিন্তু রয়েছে।
শুনবেন?
 
কানাডার রাষ্ট্র প্রধান কে জানেন? অথবা অষ্ট্রেলিয়ার?
বৃটিশ রাষ্ট্র প্রধান হলেন উত্তরাধিকার সূত্রে মানে রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রানী দ্বিতীয় এলিজাভেথ।
 
হ্যাঁ। কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড সহ এরকম আরও ১৬টি দেশ রয়েছে যারা বৃটিশ কমনওয়েলথ ‘রেলম’ ভূক্ত। এই ১৬টি দেশের সরকার প্রধানও কিন্তু বৃটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাভেথ। বৃটিশ রানী একজন গর্ভণর জেনারেলকে নিয়োগ দেন ওসব ‘রেলম’ দেশগুলিতে এবং তারাই বৃটিশ রানীর প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং দেশগুলি বৃটিশ রানীকেই আনুষ্ঠানিকভাবেই তাদেরও রানী হিসাবেই সম্মান করে।
 
সম্ভবত (স্মৃতিশক্তি প্রতারণা করছে) কয়েক বছর আগে অষ্ট্রেলিয়াতে গনভোট হয়েছিল- তারা বৃটিশ রানীকেই তাদের রানী হিসাবে রাখবে কি না? এবং গণভোটে রানীর পক্ষেই বেশীর ভাগ সমর্থন পাওয়া যায়।
 
বৃটিশ ও চায়নিজদের মধ্যে হওয়া প্রথম অপিয়াম যুদ্ধের পর বৃটিশরা ১৮৪৩ সালে হংকং নামের দক্ষিন চায়নার কিছু দ্বীপ দখল করে নেয় এবং পরবর্তীতে লিজ এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে ‘বৃটিশ হংকং’ নামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।
 
বৃটিশরা হংকংকে শাসন করতে থাকে।
হংকং এই বিশ্বের সবচে জনঘনত্বপূর্ণ দেশ। এবং হংকং একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই গণতন্ত্র হংকংকে সরাসরি উপহার দিয়েছে বৃটিশরাই।
 
অতপর, ১৯৯৭ সালের ১লা জুলাই এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী হংকং কে চায়নার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
 
চায়না হংকং ফেরত নেবার সময় প্রতিজ্ঞা করে যে, হংকং যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। চায়না সেই সংগে তাদের বিখ্যাত ‘এক চীন দুই নীতি’ ঘোষনা করে। অর্থাৎ একদলীয় কমিউনিষ্ট রাষ্ট্র চায়নার অংশ হয়েও হংকং এ বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান।
 
চায়নায় গাড়ী চলে রাস্তার ডান দিক দিয়ে আর হংকং এর বাম দিক দিয়ে।
চায়নার কারেন্সীর নাম রিনমিমবি বা আরএমবি আর হংকং এ রয়েছে হংকং ডলার।
 
এবং চায়নিজদের হংকং যেতেও নিজস্ব চাইনিজ পাসপোর্টে হংকং এর টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে যেতে হয়।
 
‘বৃটিশ হংকং’ হয়ে যায় ‘হংকং সার’।
হংকং কে বলা হয়ে থাকে এশিয়ার রাজধানী।
 
তার মানে হংকং পরাধীন রাষ্ট্র?
অষ্ট্রেলিয়াও কি পরাধীন? কানাডা? নিউ জিল্যান্ড?
 
সারা পৃথিবীর মানুষ উন্নত বিশ্বের স্বাদ পেতে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে বেছে নিচ্ছে কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড এমনকি হংকংকেও।
 
আসলে পরধীনতা কি জিনিস? স্বাধীনতাই বা কি?
একটু পেছনে ফিরে যাই।
 
১৭৫৭ সাল।
বৃটেনের একটা ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী’ যার নাম ছিল ‘ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী’- তাদের কাছে স্বাধীনতা হারাতে শুরু করে ভারতবর্ষ। একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী তারপর ১০০ বছর ধরে ভারতবর্ষকে শাসন করতে থাকে। তারপর ‘ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী’র মালিকানাধীন ভারবর্তকে অধিগ্রহণ করে ‘বৃটিশ গভার্ণমেন্ট’।
 
১৭৫৭ সালের অাগে তাহলে কি আমরা স্বাধীন ছিলাম? সিরাজউদ্দৌলা নামের একজন রাজা যে কিনা একটা বৃটিশ কোম্পনীর কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়। এরকম একজন বেকুব রাজা ‘বাংলা-বিহার-উরিষ্যা’কে কি শাসন করেছে- সেটা ঐ ‘পরাজয়’টাকে হিসাব করলেই বোঝা যায় কি শাসন ব্যবস্থা ছিল তখন।
 
না। ১৭৫৭ সালেও কিন্তু সিরাজউদ্দৌলা স্বাধীন রাজা ছিলেন না। আমরাও স্বাধীন ছিলাম না।
শিয়া মুসলিম অবাঙালী সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন মোঘল সাম্রাজ্যের অধিনস্থ একজন রাজা নবাব বা জমিদার মাত্র। আর মোঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল দিল্লীর শাজাহানাবাদ।
 
অর্থাৎ শাজাহানাবাদ থেকেই তখন ভারতবর্ষ শাসিত হতো। এবং পুরো ভারতবর্ষটি ছিল মুলত অসংখ্য জমিদারীর ব্যবস্থাধীন।
 
আমরা আসলে স্বাধীন কোনদিন-ই ছিলাম না।
 
বৃটিশ গেল। পাকিস্তান ঘাড়ে চেপে বসলো।
পাকিস্তানীরা আমাদের অধিকার বঞ্চিত করে রাখলো। গণতন্ত্র ছিল না। মানবাধিকার ছিল না। তারা আমাদের শাসনের নামে শোসন করা শুরু করে দিল।
 
বাংলাদেশের মানুষ তখন গর্জে উঠলো পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের মানুষ তখন কতটা গর্জে উঠেছিল সেটা বোঝা যায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের শেখ মুজিবের ভাষন দেখলে। দেশের সর্বস্তরের গণমানুষ তখন স্বাধীনতার দাবীতে উত্তাল। কিন্তু সুচতুর শেখ মুজিব ‘কোন ব্যক্তিগত ঝামেলা’ এড়াতে ৭ই মার্চ স্বাধীনতার কোন ঘোষনা বা দিক-নির্দেশনা দিলেন না।
 
২৫শে মার্চ শেখ মুজিব নিজ পরিবারকে মাসিক ১৫০০ টাকার পাকি-ভাতা’র ব্যবস্থা করে দিয়ে স্বেচ্ছা-ধরা দিয়ে দেশবাসীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেলেন করাচীর জেলে। না। অনেকের দাবী, পরামর্শ উপেক্ষা করে শেখ মুজিব দেশবাসীকে ঝুকির মুখে রেখে নিজে ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাকিস্তানীদের কাছে স্বেচ্ছাবন্দী হলেন।
 
এবং পাকিস্তানীরা সেরাতেই দেশবাসীর উপর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো।
 
মেজর জিয়া যদি সেদিন স্বাধীনতার ঘোষনা না করতেন এবং মেজর জিয়ার মতো অন্য বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালী অফিসাররা যদি বিদ্রোহ না করতেন- তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না।
 
আজ যেমন বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ জনগণ বর্তমান অবৈধ সরকারের উপর ফুঁসে রয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র একজন যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে কোন কিছুই হ্চেছ না ঠিক সেই ২৫শে মার্চ রাতের পরও একই অবস্থা ছিল। কোন নেতা তখন ছিল না। শেখ মুজিবের মতোই তৎকালীন আওয়ামী লীগাররাও কেউ নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসে নাই তখন।
 
মেজর জিয়া-রা তখন দেশকে সঠিক নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন। দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তি বাহিনী গঠন করে গর্জে উঠেছিল সেদিন।
 
এবং অতপর ১০ এপ্রিল অাওয়ামী নেতারা মুজিবনগর সরকার নামে স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। ৯ মাসের যুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।
 
যাই হোক- আলহামদুলিল্লাহ।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলো।
 
এরপর বাংলাদেশ জাতির ঘাড়ের উপর বসে পড়লো শেখ মুজিব।
বাংলাদেশের মানুষ তখন বুঝতে পারলো- স্বাধীনতা কি বস্তু!
 
শেখ মুজিব ক্ষমতা নিয়েই দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করলো।
শেখ মুজিব ক্ষমতা নিয়েই মানবাধিকারকে উচ্ছেদ করলো।
 
দেশের সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ করলো।
শেখ মুজিবই প্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ‘নপুংসক’ করে দিল। তাদের ঘাড়ের উপর তখন ‘রক্ষী বাহিনী’। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা থাকলো না।
 
বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে নিজ পরিবারকে সারাজীবন ক্ষমতায় রাখতে গঠন করা হলো ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা’।
 
শেখ মুজিব ছিল বাংলাদেশের সাথে বেঈমানী করা প্রথম ব্যক্তি।
নবগঠিত দেশটাকে ধ্বংশের দারপ্রান্তে নিয়ে গেল শেখ মুজিব।
 
মানুষ স্বাধীনতার অর্থ বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছিল সেই ১৯৭৫ সালে।
শেখ মুজিব ‘স্বাধীনতা’ বুঝিয়ে দিয়েছিল সেদিন।
 
মেজর জিয়ার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ভাষনকে শ্রেফ একটা ‘বার্তা পাঠক’ হিসাবেই পরিণনিত করা যেত যদি সেদিন তিনি প্রথম ঘোষনায় নিজেকে ‘নবগঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রধান’ হিসাবে ঘোষনা না করতেন। এবং পরবর্তীতে তিনি শেখ মুজিবের পক্ষে ঘোষনা করে নিজের নেতৃত্বের যোগ্যতার বিচক্ষন প্রমাণ দিয়েছিলেন।
 
এবং তার নেতৃত্বগুন, যোগ্যতা, সততা, দেশপ্রেম ও বিচক্ষনতা দেখা গিয়েছিল সিপাহী বিপ্লবের পর ক্ষমতায় আরোহনের পরে। একমাত্র প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ই বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল।
 
এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে পর্যালোচনা করলে ‘স্বাধীনতা’ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
 
এবং ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ যে বিজয় অর্জন করেছিল, ৫ই জানুয়ারী সেই স্বাধীনতাটুকুও ধ্বংশ হয়ে যায়।
 
১৬ই ডিসেম্বর ‘করাচী’ থেকে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে ঢাকা’য় স্থাপন করেছিলাম যে রাজধানী, ৫ই জানুয়ারী সেই রাজধানী অলিখিতভাবে চলে গেল সেই ‘নতুন দিল্লী’।
 
বাংলাদেশের মানুষ কি এখন স্বাধীন?
বাংলাদেশের মানুষ কি স্বাধীনতার মানে বুঝে?
 
যে দেশে মুখ দিয়ে সত্য কথা বললে হতে হয় ‘রাজাকার’!
যে দেশে পুলিশের কথার উচিৎ জবাব দিলে ট্যাগ খেয়ে হতে হয় ‘জংগী-সন্ত্রাসী’!
যে দেশে সরকারের বিরুদ্ধে একটা কথা বললে ‘গুম’ হয়ে যেতে হয়!
যে দেশে বিচার বিভাগ প্রকাশ্যে মানুষকে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলায়!
 
সেই দেশ স্বাধীন?
আমাকে স্বাধীনতা চিনান?
 
যান, গিয়ে ঘুরে আসুন চায়নার কাছে চিরপরাধীন ‘হংকং’।
দেখে আসুন- স্বাধীনতা কি জিনিস?
দেখে আসুন- গণতন্ত্র কি জিনিস?
দেখে আসুন- মানবাধিকার কি জিনিস?
 
কি স্বাধীনতা আপনাদের ওটা?
 
‘স্বাধীনতা’, ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’ দেখার জন্য আপনাদের তো আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, বৃটেন ভিসাই দেবে না- এতটাই অগ্রগতি আপনাদের।
 
আপনারা স্বাধীন? আপনারা অনেক উন্নত দেশ? আপনারা বিশাল কিছু? আপনার মধ্য আয়ের দেশ? আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশ? দেশের উন্নতি করে ভাসিয়ে দিয়েছেন?
মানুষকে ‘কম গণতন্ত্র’ শিখান? ‘বেশী উন্নয়ন’ শিখান?
 
 
তাহলে আমেরিকা আপনাদের ভিসা দেয় না কেন?
তাহলে পরাজিত পাকিস্তান আপনাদের ভিসা দেয় না কেন?
 
দেশের সেনাবাহিনীকে শেখ মুজিব স্ট্যাইলে আবারও ‘নপুংসক’ বানিয়ে দেয়াকে গণতান্ত্র বলে? স্বাধনতা বলে? বিজয় বলে?
 
আপনারা আবার ‘বিজয় দিবস’ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
‘বিজয়’ শব্দের মানে বুঝেন?
 
‘করাচী’ থেকে রাজধানী ‘দিল্লী’ নেয়াকে বিজয় বলে?
দেশের অবৈধ সরকার আপনার টাকায় কেনা বন্দুক, গুলি আপনার উপর ব্যবহার করাকে বিজয় বলে?
যে পুলিশ আপনার ট্যাক্সের পয়সায় তার সন্তানের খাদ্য জোগায়- সেই পুলিশ আপনাকে ক্রস ফায়ারে হত্যা, গুম করবে- সেটা কে বিজয় বলে?
 
বিজয় দিবস পালন করবেন?
করুন।
 
আপনাদের ‘স্বাধীনতা’, আপনাদের ‘বিজয় দিবস’ আপনারাই পালন করুন।
 
স্বাধীনতা পেতে ‘স্বাধীন দেশ’ দরকার পরে না।
স্বাধীনতা পেতে ‘গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার’ প্রয়োজন হয়।
 
আর ‘গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার’ অর্জন করতে নিজেকে পরিশ্রম করতে হয়, সভ্য হতে হয় এবং যোগ্য নেতা নির্বাচন করা শিখতে হয়।
 
এগুলি আগে শিখুন।
তারপর ‘স্বাধীনতা’ ‘স্বাধীনতা’ করুন।
 
   Send article as PDF