প্লান বি

বর্তমান বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের সম্ভবত ২১ বছর।
আইনটা যাষ্ট এতটুকুই। এই আইনটির কিছু দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশে অনেক ছেলে-মেয়ে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করে ফেলে এবং নানা কাহিনী, হাজতবাস, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কথিত ধর্ষন, জেল-জরিমানা ইত্যাদি হয়ে থাকে।
চলুন এবার আমরা একটু উল্টে যাই।
ধরুন, আইনটা যদি এমনভাবে করা হতো যে, ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স ন্যুনতম ১৮ বছরই থাকলো। তবে, শর্ত দেয়া থাকলো যে-
১) ১৮ বছরের বেশী কিন্তু ২১ বছরের কম অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র সন্তানের পিতা-মাতা অথবা লিগ্যাল অভিভাবকের উপস্থিতিতে এবং সম্মতিতেই সন্তানকে বিয়ে দেয়া যাবে। তারা নিজেরা নিজেরা বিয়ে করতে পারবে না।
২) ২১ বছরের বেশী বয়স হলে তখন ছেলে-মেয়ে নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে পারবে।
তাহলে কেমন হতো?
বাংলাদেশের বেশীরভাগ আইন-ই ত্রুটিপূর্ণ এবং সংক্ষিপ্ত। যে-কারণে দেশের অনেক আইনী ঝামেলা তৈরী হয় এবং আদালতকে ব্যস্ত থাকতে হয়, মানুষের কর্মঘন্টা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এটা একটা স্যাম্পল দেখালাম। এসব নিয়ে আরও আলোচনা করা যেতে পারে। আরও সুন্দরভাবে আইন তৈরী করা যেতে পারে বা পারতো কিন্তু সেটা হলো না বা হয়নি।
১/১১ এর তত্ববধায়ক সরকার গঠনের সময় ফখরুদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টা করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনুছ কে সরকার প্রধান হবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উত্তরে ড. মুহাম্মদ ইউনুছ জানিয়েছিলেন তাকে ‘স্বল্প সময়ের সরকারের প্রধান’ করায় তার সম্মতি নেই; যদি তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকার প্রধান করা হয়- তাহলে তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ এতে রাজী হতে পারেননি।ফখরুদ্দিন সাহেব সরকার প্রধান হলেন ২ বছরের জন্য। কিছু দিন পরই ড. মুহাম্মদ ইউনুছ একটি রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং চেস্টা করে প্রয়োজনীয় জনসমর্থন না পেয়ে পাততারী গুটিয়ে ফেললেন।
আমার প্রশ্নটি হলো, ড. ইউনুছ ক্ষমতা নিয়ে ঠিক কি করতেন?তার চিন্তা-ভাবনা কি ছিল? ধরলাম, তাকে ৫ বছরের জন্যই ক্ষমতা দেয়া হলো- কি করতে পারতেন তিনি। সেটা কেউ জানে না। আমি বিশ্বাস করি ড. ইউনুছ নিজেও তা জানেন না। আর জানেন না বলেই তিনি খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করতে লাগলেন যে তিনি একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করবেন। ইত্যাদি।
বাস্তবিক অর্থে এসবই অগোছালো চিন্তা-চেতনা। তার কোন সুনির্দিষ্ট ভিশন ছিল না। তিনি হয়তো ভালোই নেতৃত্ব দিতেন। তিনি হয়তো বা কিছু সুদুরপ্রসারী কর্মকান্ডও শুরু করতেন। কিন্তু সেটা কি? জনগনের তাতে কি কাজে আসতো- তা কেউ জানতেও পারেনি।
কিভাবেই বা জানবে- ড. ইউনুছ নিজেই তো জানতেন না! তিনি চেয়েছিলেন ক্ষমতায় যেতে; ঠিক যেভাবে শুধুই ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন শেখ মুজিবর রহমানও। কোন ভিষন ছিল না, কোন প্লান ছিল না।
আমাদের দেশটা আসলে এমনই। আওয়ামী লীগ ঠিক কি করবে, বা বিএনপি ঠিক কি করবে- সেটা তারা নিজেরাই জানে না। আর তারা জানে না বলেই দেশের জনগণও মাথামুন্ডু কিছুই জানে না বা বুঝে না অথবা তারা ভাবে- তাদের এসব জানার কোন প্রয়োজনও নেই। বেগম জিয়া বা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে যা করবেন সেটাই হোক। আমরা তো শুধুই ভোটের মালিক।
(যদিও ভোটটিও ঠিক-ঠাক দিতে পারে না)।
আর ঠিক, এই কারণেই দেশের জনগণ তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা পাচ্ছে না। ঠিক এই কারণেই দেশের জনগণ তাদের কোনই নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারছে না।ঠিক এই কারণেই দেশের মানুষ অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা জানেও না যে, এসবই তাদের ন্যায্য অধিকার। অন্তত পক্ষে ফ্রি চিকিৎসা সেবাটা যে গরীব মানুষের মিনিমাম রাইটস- সেটাও তারা জানেই না।
উপরোন্ত, তারা তাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা করাচ্ছেন দেশের প্রেসিডেন্টকে, দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ তাদের চৌদ্দগুষ্টিকে। নিজেরা পাচ্ছে লবডংকা।
যেন, এমনটাই হবার কথা!দেশের মানুষ ধরেই নিয়েছে যে এটাই হবে।
তাহলে রাষ্ট্র কি করবে? রাষ্ট্রের কাজ কি? শুধুমাত্র সরকার আর রাস্ট্র প্রধানদের আরাম-আয়াসের জন্য রাস্ট্র ব্যবস্থা!
জনগণ কি শুধু ‘এনিমেল’- তারা শুধু রাষ্ট্রকে চালাতে অর্থ যোগান করে যাবে? কিছুই পাবে না তারা!
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে এমনটাই হচ্ছে। এমনটাই হয়।
আসলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি যখন গঠিত হলো, তখন এর প্রতিষ্ঠাতারাও জানতো না যে তারা ঠিক কি করতে যাচ্ছেন। এবং অদ্যবধি কোন রাষ্ট্রনায়কও আসেনি- যারা দেশের মানুষকে একটি জনমুখী রাষ্ট্র-ব্যবস্থা উপহার দেবার কথা চিন্তা করেছেন।
সকলেই গতানুগতিক বৃটিশদের করে দেয়া সংবিধান থেকে পাকিস্তান শব্দটির বদলে বাংলাদেশকে প্রতিস্থাপন করে বসে রয়েছে। এর বাইরে কিছুই হয়নি। যা হয়েছে তা শুধুই রাষ্ট্রক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করতে কিছু জোড়াতালি বা কাটাছেরা। আর কিছুই নয়।
একটা দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা হতে হবে জনগণের জন্য। জনগণের কল্যানে।বাংলাদেশের একটি আইন কি কেউ বলতে পারবেন- যেখানে শুধুই জনগণের কথা ভেবে করা হয়েছে? খুঁজেও পাবেন না।
এদেশে আইন করাই হয়, কিভাবে ট্যাক্স বাড়াবে, কিভাবে সরকারের আয় বাড়াবে। কিভাবে ভ্যাট যুক্ত করা হবে। কিভাবে আমদানী শুল্ক, রপ্তানী শুল্ক বাড়িয়ে এনবিআরকে মোটাতাজা করা হবে। আর সরকারী লোকদের, এমপি মন্ত্রীদের, তাদের বউ-বাচ্চদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো যাবে।
এবং সেই টাকা হরিলুট করার বিভিন্ন বুদ্ধি-ই শুধুমাত্র নেতাদের মাথা থেকে বের হবে। কে কিভাবে কত টাকা হরিলুট করবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত তাকে টোটাল রাস্ট্র ব্যবস্থা।
এতে কি হয়?একটা শ্রেণী দেশে গড়ে উঠেছে যারা আয় করছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এবং সেই টাকা তারা দেশে যে কাজে লাগাবে সেই মেধাটুকুও তাদের নেই বিধায় তারা তখন সেই টাকাটা পাচার করে দিচেছ মালয়েশিয়া, কানাডা বা অন্য কোন দেশে। তারপর পরিবারকেও সেখানে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরা আরও বেশী উৎসাহ নিয়ে রাষ্ট্রিয় টাকা বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে- যার সামান্য কিছু ছিটেফোটা আমরা নিউজ পেপারের মাধ্যমে জানতে পাই। অধিকাংশই থাকে অজানা।
মানুষ যে প্রতিবাদ জানাবে বা নতুন কিছু দাবী করবে, সেটা করার কথাও তারা চিন্তা করতে পারে না। কি দাবী জানাবে? তারা তো ভোটই দিতে পারে না।
দেশের চলছে ক্রস-ফায়ারের নামে বিচার-বর্হিভূত হত্যাকান্ড। অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে যে, মানুষ এখন এটাই বৈধ বিচার হিসাবে মনে করতে শুরু দিয়েছে। দেশে যে তথাকথিত একটা বিচার ব্যবস্থা রয়েছে- সেটাও মানুষ জানে না। কোন একটা হত্যাকান্ড ঘটলে- সেটারও বিচার হয় না; বিচার চাইতে হয় মিছিল করে, ব্যানার পোষ্টার লাগিয়ে। আর তাই এখন দেশের মানুষ কোন অন্যায় হলে, সরাসরি ক্রস-ফায়ার দাবী করে বসে। যেন এটাই বিচার।
যেহেতু দেশে কোন নিরাপদ পরিবেশ নেই সেহেতু মানুষ- যারা একটু দুই পয়সা বেশী আয় করতে পারে তারা তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।
দেশের যে ভালোভাবে বসবাসের কোন পরিবেশ নেই- সেটা সকলেই জানেও। কিন্তু কি করা উচিত বা কি করতে হবে- সেটা নিয়েও যেন কারোরই কোন মাথা ব্যথাও নেই।
তাই বলে কি এভাবেই চলবে?একটা দেশ ১৭ কোটি মানুষের চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে- কেউ মাথা ঘামাবে না?
কারো না কারো তো মাথা ঘামানো উচিৎ।আর তাইতো, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছিলাম যে মাথাটা আমি ঘামাবো।
একটা দেশ কিভাবে চললে- দেশটাকে বসবাসের উপযোগী হিসাবে তৈরী করা যাবে সেটার একটা কমপ্লিট ফর্মূলা আমি প্রকাশ করবো ইনশাল্লাহ।
আগামী বইমেলায় আমার এই বিষয়টি নিয়ে নতুন বই বাজারে আসবে; আমি লিখছি।
দুই একটা বিষয় আলোচনা করবো।আমি যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবো তার মধ্যে অল্প কয়েকটা-
ক) বাংলাদেশটাকে একটা সুশৃঙ্খল দেশ হিসাবে গড়তে সর্বপ্রথম গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের পুলিশ একাই এই কাজটা করতে পারে- সেই সক্ষমতা তাদের রয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। অন্তত আমার পরিচিত অসংখ্য অফিসারদের যে সেই যোগ্যতা রয়েছে, সেটা আমি নিজেই দেখেছি। কিন্তু তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।
এমন একটি কাঠামো তৈরী করা হবে যেন পুলিশ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। কোন নেতা-পাতিনেতা বা মন্ত্রী কিংম্বা সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান যেন কোন পুলিশ অফিসারকে কোন নির্দেশ দিয়ে আইনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে না পারে। আর সবচে বড় কথা, পুলিশকে এমন একটা বেতন কাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরী করে দিতে হবে যেন তারা ঘুষের কথা মাথায়ও না আনে। আমি বিশ্বাস করি, সুন্দর পরিবেশ পেলে তারা ঘুষের কথা ভুলে যাবে। এটা সম্ভব। আমি এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখবো। এবং পরিশেষে পুলিশকেও যেন নজরদারীতে রাখা যায় এবং তারাও যেন আইনের শুধুই পাহাড়াদার হয় সেটাও নিশ্চিত করার ব্যবস্থা থাকবে।
খ) দেশের একটি স্থায়ী অবকাঠামো তৈরী করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের জন্য একটি মাত্র রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকা ঠিক না। দেশটাকে কমপক্ষে ১০টি প্রদেশে বিভক্ত করা প্রয়োজন। ১০টি প্রদেশের ১০টি প্রাদেশিক রাজধানী গঠন করা হবে, সেখানে প্রাদেশিক সংসদ থাকবে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে সরকারের প্রতিটি স্তর পরিচালিত হবে। অনির্বাচিত কোন ব্যক্তি নেতৃত্বে থাকতে পারবে না। নির্বাচিত গভর্ণর হবে ষ্টেট এর হেড। দেশের প্রেসিডেন্টরও ক্ষমতা থাকবে না তাকে বা একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে ক্ষমতাচুত্য করার।
দেশে ফেডারেল পদ্ধতির একটি সরকার ব্যবস্থা থাকবে। দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান হবেন একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র বিবেচনায় তার মেয়াদ হওয়া উচিত ৩ বছর এবং ম্যাক্সিমাম ২ মেয়াদে ৬ বছর একজন মানুষ ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এর বেশী নয়।
দেশের বর্তমান উপজেলা বা ইওনিয়ন ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেয়া হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে, কাউন্টি। বর্তমান একটি ইওনিয়নকে নিয়ে একটি কাউন্টি করারটাই বেশী যুক্তিযুক্ত হবে। এক বা একাধিক কাউন্টি নিয়ে গঠিত হবে একটি সিটি কর্পোরেশন। প্রতিটি সিটির একটি করে সিটি গর্ভণমেন্ট থাকবে, তাদের পার্লামেন্ট থাকবে; তারা ষ্টেট গভর্ণমেন্টের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে- ষ্টেট এর আইন মেনে তাদের চলতে হবে।
পুলিশ থাকবে সিটির অধীনে। দেশে প্রতিটি সিটির অধিনে ভিন্ন ভিন্ন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এবং পুলিশের কাজ থাকবে সুনির্দিষ্ট। পুলিশ কাউকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে পারবে না- তাকে সরাসরি স্থানীয় কাউন্টি কোর্টে নিতে হবে। তাকে কি করা হবে সেটা আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। পুলিশের কাজ শুধুই আইনের পাহারা দেয়া।
ফেডারেল গভর্ণমেন্ট শুধুমাত্র পররাষ্ট্র, অর্থ, ইন্টারষ্টেট-যোগাযোগ, ডাক বিভাগ ইত্যাদি তদারকি করবে। বাদবাকী সবকিছু প্রাদেশিক বা ষ্টেট গভর্ণমেন্ট দেখবে।
ফেডারেল এর হাতে বা ষ্টেট গর্ভণমেন্ট এর হাতে নির্বাচন কমিশনের কোন কর্তৃত্বই থাকবে না। তারাও স্বাধীনভাবে কাজ করবে। তাদের জন্য আলাদা বাজেট থাকবে। কেউ তাদের প্রভাবিত করলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে আদালত, পুলিশ।
গ) দেশের মানুষকে যেন কোন কাজের জন্য রাজধানীতে দৌড়াতে না হয়; বরং প্রতিটি সেবা যেন প্রতিটি কাউন্টিতেই পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি মানুষের ট্যাক্স আইডি বা সোসাল সিকিউরিটি নাম্বার থাকবে। সকলকে তাদের ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করতে হবে যদি সেটা জিরো-ইনকামও হয়। এতে করে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা জানা যাবে এবং সরকারী সুযোগসুবিধা প্রদান করা সহজতর হবে। কেউ আত্মিয়তার প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
ঘ) একটি নির্দিষ্ট আয়ের নীচে যদি কারো বার্ষিক ইনকাম হয়; তাহলে রাষ্ট্র বাধ্য থাকবে তার ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। বাসস্থান না থাকলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সরকারী শেল্টার গঠন করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিবে সরকার। চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবে। নইলে তার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
ঙ) বিক্ষিপ্ত কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, একটি সুনির্দিষ্ট যোগাযোগ-নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হবে সারাদেশে- রাজধানী, প্রাদেশিক রাজধানী, সিটি, কাউন্টিকে একটা মাকরসার জালের মতো করে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হবে। যেটা হবে একটি আদর্শ দেশের জন্য আদর্শ নেটওয়ার্ক।
যাই হোক, হাজারো বিষয় রয়েছে যা আমি বইটিতে উল্লেখ করতে যাচ্ছি। এখানে যাষ্ট কয়েকটা পয়েন্ট আলোচনা করলাম অতি সংক্ষেপে।
মুল বিষয় হবে, দেশে এমন একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে, যেন সেটাতে কাটাকাটি করার সুযোগ কম থাকে। এবং দেশের প্রেসিডেন্ট এবং একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতার কোন পার্থক্য না থাকে।
মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, কথা বলার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার ১০০% নিশ্চিত করে এমন একটি সংবিধান আমাদের থাকতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, এমন একটি সংবিধান পেলে বাংলাদেশের মানুষও ঘুরে দাঁড়াবে। কৃষি ভিত্তিক নয়, বাংলাদেশের মানুষ বেশী জায়গা কম। সুতরাং শিল্পায়ন ঘটাতে হবে ব্যাপক হারে।
দেশের মানুষ বিদেশে যাবার জন্য লাইন ধরবে না। বরং পরিবেশ পেলে বাইরে থাকা মানুষগুলো দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে পরবে।
এছাড়া অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, ধর্মীয় বিষয়াদি, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতকরণসহ ইত্যাদি সকল বিষয়েই আমি কথা বলার চেষ্টা করবো; একটি সুনির্দিষ্ট গণমুখি ধারণা দিতে পারবো।
দেখা যাক কতটুকু লিখতে পারি। সকলের দোয়া কামনা করছি।

   Send article as PDF