ডিজিটাল মুলা

দারুণ একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম আজ।
প্রশ্নটা করেছিলেন নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির একজন পরিচিত সংবাদকর্মী।
 
আমাকে করা তার দুর্দান্ত প্রশ্নটি ছিল, ‘বাংলাদেশটাতো এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। সবকিছুই শুনতেছি ডিজিটাল। আমার জানামতে ডিজিটাল হয়েছেও। তাহলে আপনি কেন বর্তমান সরকারের বিরোধীতা করে লেখালেখি করেন? একটা দেশ ডিজিটাল হলে দেশতো অটোমেটিক উন্নত হবেই।’
 
ভদ্রলোকটিকে আমি চিনি প্রায় দু’বছরেরও বেশী সময় ধরে।
আমেরিকায় বসবাস করেন প্রায় বিশ বছর তো হবেই। দেশেও তেমন একটা যান না। কমপিউটার চালাতে জানেন। কমপিউটারেই লেখালেখি করেন। গুগল সার্চ করতে পারেন। মাঝে বেশ কিছুদিন ব্লাক ক্যাবও ড্রাইভ করেছেন।
 
আমেরিকায় দীর্ঘদিন থাকলে যে-কোন মানুষই অতি উন্নত ও সভ্য পরিবেশের কারণেই অটোমেটিক যথেষ্ঠ বুদ্ধিমান হয়ে উঠে।
 
আমি উনার প্রশ্নে প্রথমে একটু হেসে দিলাম।
তার কাছে জানতে চাইলাম আপনি শেষ কবে বাংলাদেশে গিয়েছেন। বললেন গত বছর দশেকের মধ্যে দেশে যাওয়া হয়নি।
 
অপরদিকে আমি জানালাম ১৯৯৪ থেকে ব্যবসা শুরু করি এবং ২০১৪তে টানা ২০ বছর ব্যবসা করে আমেরিকায় দেশান্তরী হয়েছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনকাল নিজে প্রত্যক্ষ করেছি এবং দেশের সংগে সর্বদা অতি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এখনও রক্ষা করে চলি, কিছু ব্যবসায়িক কারণেই চলতে হয়।
 
তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘ডিজিটালাইজেশন’ বলতে আপনি ঠিক কি বুঝেন?
 
ভদ্রলোক মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে মুখটা কাচামাচু করে ফেললেন।
বললেন, ‘ভাল প্রশ্ন করেছেন। সত্যিই আমি সেভাবে ঠিক বুঝি না যে ডিজিটাল কিভাবে হয়।’
 
‘আপনি যেটা জানেনই না, সেই প্রশ্নটি কেন করলেন?’ আমি হাসতে হাসতে জানতে চাইলাম।
 
‘সবাই বলে তাই বললাম।’ পরিচচ্ছন্ন ও সরল উত্তর। আমেরিকায় বসবাসকারী মানুষগুলি সরলও হয়ে উঠে। এটাও এদেশের আবহাওয়ার জন্যই সম্ভবত।
 
যাই হোক, ভদ্রলোককে কিছু কথা বলেছিলাম। সেগুলিই শেয়ার করতে বসেছি।
 
আসলে ‘ডিজিটালাইজেশন’ বিষয়টা অনেকেই জানেন না বা বুঝেন না। ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান টি প্রথম ব্যবহার করে। একই সংগে তারা ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ করবে বলেও প্রচারণা শুরু করে।
 
আমি-সহ দেশের অধিকাংশ মানুষ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বা ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ এ মোটেও উৎসাহ পাইনি। আমরা মুলত বিএনপির বিদায় চেয়েছিলাম। বিএনপির অপশাসনে বিরক্ত হয়েই ১৯৯৬-২০০১ পিরিয়ডের আওয়ামী শাসনকে তুলনায় নিয়ে মন্দের ভালো হিসাবে নৌকায় ভোট প্রদান করেছি। আওয়ামী লীগে ডিজিটাল বাংলাদেশ করবে বা কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার বসাবে- এসব নিয়ে সত্যিকারার্থে কেই সেভাবে মাথা ঘামায়নি।
 
আর আমি যেহেতু সজীব ওয়াজেদ জয় কে ব্যক্তিগতভাবেই চিনতাম, সেহেতু সে যে কি ‘ডিজিটাল দেশ’ উপহার দেবে সেটা বেশ ভালোই বুঝতাম- শ্রেফ নির্বাচনী প্রপাগন্ডা হিসাবেই আমি ভেবে নিয়েছিলাম। জয়ের দৌড় আমার মুখস্থ ছিল – যখন সে ধানমন্ডির আইটিসিলি (ইন্টিলিজেন্ট ট্রেড সিষ্টেমস লিমিডেট) এ কমপিউটার হার্ডওয়ার ও ডেলিভারী সাপোর্টের চাকুরী করতো তখন থেকেই।
 
আমি ডিজিটালাইজেশন সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য উপস্থাপন করার লোভ সামলাতে পারছি না।
 
একটা কাজ করুন। গুগল এ চলে যান। আমি একটা বাসার ঠিকানা বলছি- যাষ্ট ঠিকানাটা লিখুন এবং এন্টার করুন। দেখুন কি হয়। ঠিকানাটা 8924 182nd Street, Hollis, NY 11423
 
লক্ষ্য করুন, একটা ম্যাপ দেখাচ্ছে এবং ঠিকানাটা দেখাচ্ছে 8924 182nd St, Hollis, NY 11423 এর পরিবর্তে 8924 182nd St, Jamaica, NY 11423
 
অর্থাৎ ‘হলিস’ এর পরিবর্তে ‘জ্যামাইকা’।
ম্যাপের উপর বা বাড়ীর যে ছবিটা দেখাচ্ছে সেখানে ক্লিক করুন- পুরো বাড়ীটাই দেখতে পাবেন।
 
দু’টি প্রশ্ন। হলিসের ওখানে জামাইক্যা দেখালো কেন?
কারণটি ঠিকানাটা ভুল লেখা হয়েছিল তাই গুগল নিজ দায়িত্বে শুদ্ধ করে দিল। আর দুই নাম্বার হলো- স্থানীয় ম্যাপ এবং বাড়িটি থ্রি-ডি আকারে দেখাচ্ছে।
 
ইহাকে ডিজিটাল বলে।
 
এবার বাংলাদেশের কোন একটা ঠিকানা লিখুন। দেখুন তো ভুল লিখলে শুদ্ধ করে দেয় কিনা অথবা বাড়ীটি থ্রি-ডি ছবি দেখায় কি না?
 
না। দেখাবে না। কারণ বাংলাদেশ ডিজিটাল নয়। তাই দেখাচ্ছে না।
(গুগলের নিজস্ব ম্যাপের কারণে ঢাকার অতি সামান্য কয়েকটা ঠিকানা দেখানোর কথা থাকলেও সারা দেশের বিবেচনায় সেটাকে ডিজিটাল বলা হয় না। কারণ সেবাটি সম্পূর্ণভাবেই গুগলের দেয়া। বাংলাদেশ সরকারের নয়।)
 
এবার আসুন, আরেকটি কাজ করি। গুগলে 10462 Area Map লিখুন তারপর এন্টার করুন। আমেরিকায় মোট ৪৩,০০০ জিপ কোড রয়েছে। এর পরিবর্তে যে-কোন একটা জিপ কোড লিখে এন্টার করুন। তারপর দেখুন কিভাবে এড়িয়ে ম্যাপ দেখায়।
 
ইহাকে ডিজিটাল বলে।
 
এবার বাংলাদেশের একটা পোষ্ট কোড লিখে এন্টার করে দেখুন। তারপর নিজে নিজে একটু হাসুন।
 
কারণ কিছুই দেখাবে না। বাংলাদেশ ডিজিটাল নয়; তাই দেখাচ্ছে না।
 
আপনার ছোট ভাইটি কোলকাতায় খুব বিপদে পরেছে। তার এখুনি ৫০০০ রুপি লাগবে নইলে দেশে ফিরতে পারবে না। আপনি তো ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোলকাতায় ওয়েষ্টার্ণ ইউনিয়ন, ম্যানিগ্রাম রয়েছে- পাঠান তো ৫০০০ রুপি দেখি পারেন কি না? ঘরে বসে অনলাইনও রয়েছে আপনার কমপিউটারটি।
 
পারবেন না, কারণ বাংলাদেশ ডিজিটাল নয়।
 
আপনি চায়না থেকে একটা স্যাম্পল আনাবেন, ১২১ ডলার ট্রান্সফার করতে হবে চায়নাতে। ধরলাম আপনার ক্রেডিট কার্ড রয়েছে- দেখি তো কি ডিজিটাল হলেন- ১২১ ডলার ট্রান্সফার করে দেখান একটু।
 
পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ ডিজিটাল নয়। ইভেন আপনার তো মশাই ক্রেডিট কার্ডই নেই যা ইন্টারন্যাশনালী কাজ করবে। সুতরাং আপনি কিসের ডিজিটাল?
 
আপনার গাড়ীটি বিক্রি করবেন অথবা নতুন গাড়ী কিনবেন। মিরপুর বিআরটিএ তে না গিয়ে ঘরে বসে নিজে নিজে গাড়ীটি নিজের নামে ট্রান্সফার করে ফেলুন। পারবেন?
 
ব্রীজে কোন টোলগেট নেই; অযথা গাড়ী থামিয়ে টাকা নেবার নামে সময় নষ্ট এবং ট্রাফিক জ্যাম সৃস্টি করাকেই এনালগ বা মান্ধ্যাতার আমল বলে- আর ডিজিটাল হলো এখানে গাড়ীগুলো তার স্বাভাবিক স্পীডে চলে যাবে কোন টোলগেট থাকবে না ‘স্বয়ংক্রীয় ক্যামেরা’ গাড়ীর নাম্বার প্লেট রিড করে তার বাসায় অটোমেটিক টোল এর বিল পাঠিয়ে দেবে মেইলে অথবা তার একাউন্ট থেকে অনলাইনে অটোমেটিকভাবেই ‘টোল মূল্য’ কেটে নিবে।
 
তো, বাংলাদেশের কোন ব্রীজে টোলগেট বিহীন টোল নেবার ডিজিটাল সিষ্টেম রয়েছে? যমুনা ব্রীজে কি বসেছে ঐ ডিজিটাল ক্যামেরা?
 
রাস্তায় চলন্ত গাড়ী ট্রাফিক শৃঙ্খলা অমান্য করলে রোডে লাগানো স্বয়ংক্রীয় ক্যামেরাই সেটা ইন্সট্যান্ট চেক করে তার বাড়ীতে ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করার জরিমানাসমেত টিকেট পাঠিয়ে দেয়- কোন লোকজনের প্রয়োজন হয় না ম্যানুয়ালী চেক করার বা ঘুষ খেয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়ার জন্য। আছে নাকি সজীব জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে এই সিষ্টেম?
 
ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় টিকেটিং মেশিন নিয়ে- কোন গাড়ীকে অবৈধভাবে পার্কিং করতে দেখলে বা পার্কিং টিকেট না নিয়ে থাকলে যাষ্ট গাড়ীর নাম্বার প্লেট স্ক্যান করে অনলাইনেই টিকেট দিয়ে দেয় এবং তার বাড়ীতে জরিমানার টিকেট মেইল এ চলে যায়। বাংলাদেশে যেন কবে চালু হলো এই ডিজিটাল সিষ্ট্রেম?
 
কিসের ডিজিটাল আপনি?
 
শুধু নামই শুনেছেন ‘ডিজিটাল’ কিছুই জানেন না।
 
পোষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ ফ্রি ট্রাকিং নাম্বারযুক্ত লেভেল সরবরাহ করে- আপনি সবচে সস্তা ডাকটিকেটযুক্ত ইনভেলপ-এও একটা ফ্রি ট্রাকিং লাগিয়ে দিতে পারেন এবং অনলাইনে টেক করতে পারেন আপনার মেইল আপডেট। আছে নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশে?
 
 
আগামী নির্বাচনে ভোট দিবেন। ভোটার লিষ্টে আপনার নাম নেই। ঘরে বসে অনলাইনে নিজের নাম নিজে যে-কোন সময় ভোটার লিষ্টে তুলতে পারবেন?
পারবেন? ডিজিটাল হয়েছেন?
 
৫০ হাজার টাকা ব্যাংক লোন দরকার। আজই। আপনার কাগজপত্র সবই ফ্রেস। সিআইবিও ভালো। দেখি তো- ঘরে বসে এখুনটি আপনার একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসুন তো? পারবেন? ডিজিটাল হয়েছেন?
 
সেদিন গেলাম ফেডেক্স এ বাংলাদেশের কিছু ডকুমেন্ট সেন্ড করতে। সেলস এ কালো মেয়েটি আমার ড্রাইভার লাইসেন্সটি চাইলো, দিলাম। সে শুধু লেজার স্কান করেই কার্ডটি আমাকে ফেরত দিল। দেখলাম আমার নাম ঠিকানা সব চলে গেল তার ডাটাবেজে।
 
বাংলাদেশেরও তো ‘স্মার্ট কার্ড’ রয়েছে শুনছি- কি হয় ওটা দিয়ে?
 
আমেরিকায় কিছু স্যাম্পল পাঠাবেন। আপনার হাতে সময় নেই। বাংলাদেশ পোষ্ট অফিস রয়েছে, তাদের ইএমএস সার্ভিও রয়েছে যেটা বেশ চিপ। আপনি গুলিস্তান যাবার সময় পাচ্ছে না। অনলাইনে বসে একটা শিপিং লেভেল তৈরী করে ফেলুন। তারপর ‘অনলাইন পিকআপ’ দিয়ে রাখুন- কাল সকালে পোষ্ট অফিসের গাড়ী এসে আমার ‘গুডস’ নিয়ে যাবে এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিউ ইয়র্কে পৌছে দিবে।
পারবেন? ডিজিটাল হয়েছেন?
 
বাংলালিংক এর সীমকার্ড ব্যবহার করেন। ওদের আর ভালো লাগছে না- অথচ নাম্বারটিও পরিবর্তন করতে চাচেছন না। নাম্বারটি ঠিক রেখে গ্রামীন ফোনের সার্ভিস চাচ্ছেন।
করে ফেলুন না, অনলাইনে বসেই।
কি? পারবেন না? ডিজিটাল হননি এখনও?
 
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিবেন? ‘লার্নার’ কিভাবে পাবেন? বিআরটিএতে যেতে হবে? কোন পরীক্ষা হবে কি? কি কি প্রশ্ন আসতে পারে জানেন? ইন্টারনেট তো রয়েছেই- ঘরে বসেই সব করে ফেলুন না। দেশতো এখন ডিজিটাল! তাই না?
 
ক্লাইন্ট আপনাকে কিছু টাকা পাঠাবে। আপনি তার একাউন্ট নাম্বার জানেন। সে আপনাকে তার লিখিত অনলাইন অনুমতিও দিচ্ছে টাকা তুলে নিতে তার একাউন্ট থেকে। নিয়ে নিন। চেকের কি দরকার? ডিজিটাল অনুমতি তো সে দিলই। নিয়ে নিন, নিয়ে নিন।
কি পারছেন না? ওহ! তাহলে ডিজিটাল হননি এখনও? এখনও চেকের জন্য বসে থাকতে হবে?
 
ওয়াও! কি দারুণ ডিজিটাল! ডিজিটাল বাংলাদেশ!
 
আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যে-কোন কারণেই হোক আপনাকে ধরে নিয়ে গেল। এবার আপনার পরিচয় জানতে চাইলো। কি কি প্রশ্ন করবে? আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, গ্রাম, পোষ্ট অফিস, থানা, জেলা, অভিভাবকের নাম ইত্যাদি আরও কত কিছু তাই না?
কিন্তু দেশ তো আপনাদের ডিজিটাল। এতো কিছুর দরকার কি? শুধু নাম আর জন্ম তারিখ দিয়ে হয় না?
 
দেশ তো ডিজিটাল। ৪৩ হাজার কোটি টাকা কি করলো সজীব ওয়াজেদ জয়?
নাম আর জন্ম তারিখ দিয়ে আপনার সম্পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না?
 
ইহাকে ডিজিটাল বলে না স্যার! ডিজিটাল অনেক সহজ বস্তু! আপনাকে মুলা দেখানো হয়েছে গত দশ বছর! ওটা ডিজিটাল মুলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ নয়।
 
আর এগুতে ইচ্ছে করছে না।
সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেও জানে না ‘ডিজিটালাইজেশন’ কি জিনিস? এটা খায় না মাথায় দেয়। কারণ এই সেই সজীব ওয়াজেদ জয় যে কি না বাংলাদেশকে ডিজিটাল করবে বলে ৪৩ হাজার কোটি টাকা সরকার থেকে তুলে নিয়েছে ২০১০ সালে। সারাদেশের কিছু ইউনিয়নে কয়েকটা কমপিউটার বিক্রি করে সারাদেশ ডিজিটাল করে দিয়ে সেই টাকা আমেরিকায় পাচার করেছে।
 
সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতি মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার নামে দুই লাখ ডলার (এক কোটি ষাট লক্ষ টাকা) ফরেন রেমিটেন্ট থেকে নিয়ে নিচ্ছে।
 
হ্যা, সজীব ওয়াজেদ মিঞা একটা ক্ষেত্রে সফল ডিজিটাল বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। আর সেটা হলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার সম্পূর্ণ ডিজিটালভাবে চুরি করে ফিলিপিন্সে পাচার করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে কোন এনালগ ব্যবস্থার সুবিধা নেয়া হয়নি।
 
আপনারা সকলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পেয়েছেন তো?
অলরেডী প্রায় ১০ বছর হয়ে গিয়েছে দেশ এখন ডিজিটাল!
 
‘একটা মিথ্যা এক হাজার বার বললে সেটা সত্য হয়ে যায়’ কথাটা হিটলারের এসিসটেন্ট গোয়েবলস এর। প্রতিটা আওয়ামী লীগার একজন করে ‘গোয়েবলস’। তারা ‘ডিজিটাল’টাকে সত্যি সত্যিই – সত্যে পরিণত করে ফেলতে পেরেছে।
 
আপনি এবার আনন্দ করুন।
করতেই থাকুন।
 
আর বলুন ‘ডিজিটাল জয় ডিজিটাল মুলা’।
   Send article as PDF