বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ

শব্দযুগলটি বেশ মজার।আমিও অনেক বছর আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শুধুমাত্র ‘এই’ বিষয়টির জোড়েই আমেরিকাকে কেউ পরাস্থ করতে পারবে না।

হ্যাঁ, ‘ইন্টেলেকচ্যুয়েল প্রপার্টি’ মানে Intellectual Property.বাংলা করলে অর্থটা দাঁড়ায় ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ’ বা অতি সহজে বলা যায় ‘মেধা’।

অর্থাৎ এই মেধার জোড়ে আজ, আজকের এক অতি উচ্চতায় উঠে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমেরিকা।

ঠিক ১৭৫৭ সালে ভারত-বর্ষ যখন বৃটিশদের কাছে পদানত হওয়া শুরু করলো, তার ঠিক বছর ১৯ পরই আমেরিকায় পরাজিত হয়ে সেখানকার শাসনক্ষমতা থেকে বিতারিত হয়- ঐ একই বৃটিশরাই। আর তখনই তৈরী হয়ে ‘ইউনাইটেড ষ্টেটস অফ আমেরিকা’।
তবে, তারও আগের ঘটনাগুলোও পর্যালেচনার দাবী রাখে।বিশাল ‘আমেরিকাস’ ভুখন্ডটি আবিস্কার হবার পর ইওরোপের সবচে মেধাবী, সাহসী, পরিশ্রমী, দূরদর্শি এবং বুদ্ধিমান মানুষগুলো ‘বিশাল-উত্তাল আটলানটিক মহাসাগর’টি পাড়ি দিয়ে পৌছে গেল নতুন পৃথিবীতে- দলে দলে। ইওরোপের সাদা মানুষগুলো এর আগে বউ-বাচ্চা নিয়ে উত্তাল মহাসাগর পাড়ি দেবার কথা কখনওই ভাবতেও পারেনি। কিন্তু যখনই শুনলো বিশাল এক নতুন মহাদেশ যা হোল-ইওরোপের চেয়েও বড় কিন্তু সেখানে হাতে গোনা সামান্য কিছু রেড ইন্ডিয়ান নামের অনগ্রসর যাযাবর গোত্র ছাড়া কোন মানুষ নেই অর্থাৎ বলতে গেলে সম্পূর্ণটাই খালি; ওখানে যে আগে যাবে এবং যতটুকু খুশী জায়গা দখল করে নিলেই মালিক বনে যাবে; তখন কে-না জীবনের ঝুঁকি নিতে চায়- তার উপর মানুষটি যদি হয় মহাসাহসী, চতুর এবং লোভীও!

তাই-ই হয়েছিল।ইওরোপ থেকে লাখ লাখ মানুষ চলে গিয়েছিল আটলানটিক মহাসাগরের উপারে। মারাও গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ সাধারণ ঐ পাল-তোলা কাঠের জাহাজ সেই উত্তাল সাগরে ডুবে।

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ বসবাস করেন টেক্সাসে। সেখানে তিনি যে বাড়ীটিতে বসবাস করেন- সেটা ১৬০০ একর জায়গা নিয়ে বিশাল এক এলাকা। হ্যাঁ ১৬০০ একর। আর আমরা বাংলাদেশে হিসাব করি কাঠা বা শতাংশ নিয়ে। ১০০ শতাংশে ১ একর; এরকম ১৬০০ একর জায়গায় (অবকাশ জীবনে) বসবাস করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও তার স্ত্রী লরা বুশ।

আমেরিকায় জায়গা-জমির মূল্য অনেক সস্তা। আর সবচে সস্তায় জায়গা কিনতে পাওয়া যায় টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া ও আরিজোনায়। এসব জায়গায় আপনি যদি বড় কোন জায়গা কিনতে চান তাহলে একর প্রতি জায়গার দাম হয় ৩০০ ডলারেরও কম। আপনি যদি ৫০ একর জায়গা কিনতে চান সেটা ১০,০০০ ডলারেই কিনে ফেলতে পারবেন। এখনও লাখ লাখ একর জায়গা খালি পরে রয়েছে। বিরান ভূমি। আমার সুযোগ হয়েছিল আরিজোনা, ইউটাহ, কলোরাডো, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া নেভাদার মতো স্টেটগুলোতে ওরকম খালি জায়গার উপর দিয়ে যাবার, দেখার। এতটাই নির্জন যে, আমি সাহস করে উঠতে পারিনি ওখানে বসবাস করার। তার উপর সৌদী আরবের মরুভূমির মতোই গরম। রাটেল স্নেক এর মতো হিংস্র সব সাপ, জলাভূমিতে এলিগেরটরসহ অসংখ্য ওয়াইল্ড এনিমেল এর বিচারণভূমি। এদের সংগে যুদ্ধ করেই ওসব জায়গায় বসবাস করছেন জর্জ বুশের মতো লোকেরা।

আমরা যেমন বাংলাদেশে চাকুরী বলুন, ব্যবসা বলুন, একটা বাড়ী করা বলুন সবকিছুর জন্যই ছুটে যাই ঢাকা শহরে। আমেরিকায় কিন্তু সেটা হয় না। এদেশে কারো কোথাও যাবার কেন প্রয়োজন হয় না। কারণ আপনার যা বেসিক নিডস, তার সবই আপনি নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। আপনার দরকার শুধু একটা গাড়ী ও ড্রাইভার লাইসেন্স। এটা এদেশে সকলেরই আছে। একজন মানুষ মানেই এখানে তার একটি বা দুটি গাড়ী এবং ড্রাইভার লাইসেন্স থাকবেই। এখানে জীবনটাই এমন। পুরো দেশটাকে এরা এভাবেই সাজিয়েছে।

এজন্য জর্জ বুশকে সেই টেক্সাসের মতো রিমোটের এক গ্রামে বসবাস করতে কোন সমস্যায় পরতে হয় না। আর তাকে কিছু দরকার হলেই ‘ঢাকায়’ যেতে হয় না। কারণ তার বাড়ীর কাছে ‘ঢাকা’ রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রতিটি সরকারী দপ্তরই এদেশে প্রতিটি কাউন্টিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কাউন্টি হচ্ছে অনেকটা বাংলাদেশের হিসাবে উপজেলা অঞ্চলের মতো- যেখানে কাউন্টি কোর্ট থাকে, এবং স্থানীয় সিটি পুলিশও থাকে। একটা কাউন্টিতে একাধিক সিটি থাকতে পারে। আবার একটি সিটি নিয়েও একটি কাউন্টি হতে পারে। যাই হোক, সেটা ভিন্ন আলাপ।

কিন্তু বাংলাদেশে ‘ঢাকা’ না গেল কিছুই হয় না। কিছু করা মানেই ঢাকা যেতে হবে। এদেশে নৌবাহিনীর সদর দপ্তরও ঢাকায়, সিনেমার এফডিসিও ঢাকায়, সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানও ঢাকায়, সংসদ ভবনও ঢাকায়, বড় গরুর হাটটিও ঢাকায়, সবকিছু-সবকিছুই ঢাকায়। এক বর্গ কিলোমিটার স্থানে নাকি বসবাস করে ৭০ হাজার মানুষ। ওখানে গাড়ীর স্পীড নাকি ঘন্টায় ম্যাক্সিমাম কিলোমিটার- একজন মানুষ হেঁটে গেলেও ঘন্টায় ৩ কিলোমিটারই যেতে পারে।

এমন একটি মেধাহীন অযৌক্তিক দেশ- যার আবার স্রষ্টাও নাকি ‘ইয়া-মহান’ একজন মানুষ- (হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ চালাক-চতুর-বেকুব)। ‘বেকুবদের দল তো মহাবেকুবকেই সম্মান করবে- এতে আর কার কি দোষ!’ এদেশে চলে চেতনার চাষাবাদ। ৯ মাসের যুদ্ধে যেখানে ম্যাক্সিমাম লাখ খানেক মানুষ মারা গেছে- সেটাকে চেতনার যুক্তিতে ৩০ লাখ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার ঐ ৩০ লাখের চেতনা মার্কেটিং করে ৭ কোটি মানুষের জন্য ৭ কোটি কম্বল খয়রাতি সংগ্রহ করে সেই কম্বল দেশবাসীকে না দিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন সেই একই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষটি। নিজে এবং নিজের পরিবারকে স্থায়ভাবে ক্ষমতাসীন রাখতে বৃটিশদের থেকে প্রাপ্ত সংবিধানকে রহিত করে বাকশাল নামের এক গার্বেজ তৈরী করে সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষটি সদ্য পাওয়া গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দেন মুহূর্তেই।

আড়াইশ বছর আগে জর্জ ওয়াশিংটন একটি যুদ্ধের মাধ্যমে আমেরিকা নামের দেশটির জন্ম দেন। এবং সেই দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি যে কাজটা করেছিলেন সেটা হলো একটি ‘কনসটিটিউশন’ প্রণয়ন করা। এমন একটি কনসটিটিউশন- যেটার শক্তিতে আজ আমেরিকা সারা বিশ্বে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। যেই কনসটিটিউশনের শক্তিতেই আজ সারা পৃথিবীর সেরা বুদ্ধিমান, সেরা মেধাবী মানুষগুলে আমেরিকায় চলে আসার জন্য ‘পাগল’ হয়ে যায়।

সেই কনসটিটিউশনের শক্তিতেই আজ আমেরিকা অর্থে, বিত্তে, বৈভবে, ক্ষমতায়, শক্তিতে, যোগ্যতায়, স্পোর্টসে, চিন্তায়, ব্যবসায়, বুদ্ধিতে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। এদেশে গণতন্ত্র আছে, ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে- প্রতিটি মানুষই মাথা উচু করে কথা বলতে পারে। দেশের প্রেসিডেন্ট চুল পরিমান বেশী ক্ষমতা দেখাতে পারেন না এদেশের একজন অতি সামান্য নাপিতের চেয়েও।

আমরা দেখেছি এই মুহূর্তে এই বিশ্বের সবচে বুদ্ধিমান মানুষ ইলন মাস্ক সেই সাউথ আফ্রিকা ছেড়ে, কানাডা ছেড়ে অবশেষে এই আমেরিকাতে এসেই থিতু হয়েছেন। কারণ তিনিও জানেন- এই ভূখন্ডের মাটিতে বসেই জ্ঞান-চর্চা করার সুযোগ সবচে বেশী।
অথচ জর্জ ওয়াশিংটন সাহেব চাইলে তার প্রতিপক্ষকেও হত্যা করে কংগ্রেসে দাড়িয়ে এক হাতে চুরুট নিয়ে অন্য হাত উঁচিয়ে বলতে পারতেন, ‘কোথায় আজ সিরাজ সিকদার!’ তৈরী করতে পারতেন ‘বাকশাল’ও। এবং শেষটায় আমেরিকা হতো বিশ্বের সবচে বড় গার্বেজ।
কিন্তু আমরা তাকে তা বলতে দেখিনি। আমরা তাকে দেখেছি এমন একটি কনসটিটিউশন প্রনয়নের নেতৃত্ব দিতে যেই কনসটিটিউশনের শক্তিবলে আফ্রিকা থেকে আসা কালো পিতার ওরষ্যের কালো মানুষ বারাক ওবামা শুধুমাত্র নিজের যোগ্যতা বলে এই সাদা দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়ে আমেরিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বাংলাদেশে আপনি যদি আপনার বাড়ীতে মাটি খুঁড়ে কিছু স্বর্ণমুদ্রা পেয়ে যান আপনাকে কিন্তু সেই স্বর্ণমুদ্রগুলো বাংলাদেশ সরকারকে দিয়ে আসতে হবে- ওদেশে সবই নাকি সরকারের সম্পদ। বাংলাদেশ সংবিধান তাই বলে। তারপর সেই টাকা সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান, প্রশাসনের আমলা, ব্যবসায়ি আর ঠিকাদার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিলে মিছে লুটেপুটে খেয়ে নিবে। আপনি হলেন তাদের কাছে গরু-ছাগল-গাধা বিশেষ; আপনার কাজ আপনি কষ্ট করে টাকা আয় করে ঐ সরকারকে তার অংশ দিবেন। দিতেই থাকবেন, দিতেই থাকবেন। নাগরিক হিসাবে পাবেন লব-ডংকা।

কিন্তু আপনি যদি এই আমেরিকায় থাকেন- তাহলে সেই খুঁজে পাওয়া স্বর্ণমুদ্রা তো অতি তুচ্ছ বিষয়, আপনার জায়গায় যদি ‘ন্যাচারাল এসেট’ তেল-গ্যাসও পেয়ে যান বা পেয়ে যান স্বর্ণ বা হিরা খনিও- দিন শেষে তার সবটুকুর মালিক আপনি নিজে। কারণ ওটা আপনার প্রপার্টি। আপনি পেয়েছেন। কিসের সরকার? কার সরকার? সবার আগে আপনি। সবার আগে মানুষ। সরকারের কাজতে আপনাকে পাহাড়া দেয়া। আপনার সম্পদকে রক্ষা করার জন্য আপনি ট্যাক্স দেন। আপনার সম্পদ নেবার ক্ষমতা কারোরই নেই।

শুধু কি তাই? আলাস্কা নামের একটি স্টেট রয়েছে- সকলেই জানেন। এটা মুলত সাবেক সোভিয়েট ইওনিয়নের অংশ। বা রাশিয়ার অংশ ছিল। সোভিয়েট রাশিয়া এই সুদুরের বিশাল বরফঢাকা অঞ্চলটিকে তাদের ‘সমস্যা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। তাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছিল এই বিশাল ভূমিটি। তারা অর্থনৈতিক সংকটে থাকার কারণে কিছু নগদ টাকা পেলে আলাস্কা বিক্রি করে দেবে বলে ঘোষনা দেয়।


জ্বি, এই সেদিন ১৮৬৭ (October 18, 1867) সালে আমেরিকা দরদাম করে সেই সময়ের মাত্র ৭.২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আলাস্কা কিনে নেয়। আজ সেই আলাস্কায় রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় তেল সম্পদ। এবং সেই তেল বিক্রি করা অর্থের একটা অংশ আলাস্কা সরকার সেখানকার নাগরিকদের ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে জমা করে দেয়। আলাস্কায় রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণের খনি। আপনিও চাইলে সেখানে জমি কিনে স্বর্ণ উত্তোলন করতে পারেন। কাউকে দিতে হবে না; আপনার সম্পত্তির মালিক আপনি। সরকার আপনার সম্পদের পাহাড়াদার মাত্র।


আমেরিকার কনসটিটিউশন এই বিশ্বের ‘প্রতিষ্ঠিত’ শ্রেষ্ঠতম কনসটিটিউশন। এই কনসটিটিউশেনর ক্ষমতাবলে এই দেশের মানুষ আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ। একজন আমেরিকানের গায়ে হাত তুলে কথা বলবে- অন্য কোন দেশ সেটা করার আগে ১ হাজার বার চিন্তা করে।


আর এই কনসটিটিউশন বলেই আজ এই দেশটিতে ইন্টেলেকচ্যুয়েল প্রপার্টির প্রপার নার্সিং করা হয়। যতটুকু সাহায্য সহযোগীতা দরকার একজন মানুষ তার মেধা দিয়ে কিছু সৃস্টি করার জন্য- তার সবটুকু সাহায্য করার জন্য এদেশের সরকার রেডী হয়ে বসেই রয়েছে।


আর এজন্যই এই ভূখন্ড থেকেই তৈরী হয়েছে, হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক পণ্যগুলো একটার পর একটা। আর বুদ্ধিবৃত্তিক পণ্যগুলোর ক্ষমতাবলেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা। এদেশের সরকারগুলোর প্রধানতম কাজই প্রতিটি মানুষের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার সাহায্য করা। এদেশে যে মানুষটি ঠিক যা- তাকে তাই হতে সবরকমের সহায়তা দেয়া হয়। তার মেধাকে একিউরেটলি প্রস্ফুটিত হতে স্কুল পর্যায় থেকেই নার্সিং করা হয়।
আমেরিকা এখন অভিযোগ করছে চায়না এদেশ থেকে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ’ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা সত্যিই একটা গুরত্বর অভিযোগ চায়নার বিরুদ্ধে। এই বুদ্ধিবৃত্তিক প্রপার্টি চুরির কাজটি ইন্ডিয়াও করে চলছে- কিন্তু আমেরিকা সেটাকে গুরুত্ব দেয় না কারণ ইন্ডিয়াকে নিয়ে আপাতত তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। করুকগে তারা। কিন্তু চায়না যেহেতু সুপার পাওয়ার হবার চেষ্টা করছে, টাকার জোরে বিশ্বের দেশে দেশে বাহাদুরী দেখাতে চাচ্ছে- এবং যেহেতু চায়নার হাতে পর্যাপ্ত টাকাও রয়েছে সেহেতু তারা যদি এখন ‘বুদ্ধি’ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে- তাহলে সেটা অবশ্যই আমেরিকার জন্য ক্ষতির কারণ।
আমেরিকা সেটা হতে দিবে না। দেয়া উচিৎও না। আর তাইতো ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে উঠেপরে লেগেছে চায়নার বিরুদ্ধে।


কিন্তু আমেরিকার কনসটিটিউশনটি তো উম্মুক্ত।এটা চাইলে তো চুরি করার দরকার হবে না; স্রেফ কপি-পেষ্ট করে নিয়ে নিলেই হবে।


যে কনসটিটিউশন বলে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রপার্টি তৈরী করা যায়- সেই গোটা কনসটিটিউশনটি কি আমরা চুরি করে নিতে পারি না?

   Send article as PDF