ধ্যান

২৫ বছর বয়সে আরবের এক ধনাঢ্য বিধবা (৪০ বছরের) মহিলা হযরত খাদিজা (রা) কে বিয়ে করেন মুহাম্মদ (সা)।
 
খাদিজা (রা) যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন মুহাম্মদ (সা) দ্বিতীয় কোন বিয়ে করেনি। এবং শুধুমাত্র খাদিজার গর্ভেই মুহাম্মদ (সা) একাধিক সন্তান জন্ম নিয়েছে। খুব ভালো বাসতেন মুহাম্মদ (সা) তাঁকে।
 
আমি আসলে অন্য কথা বলতে বসেছি। খাদিজা (রা) কে বিয়ের পর থেকেই মুহাম্মদ (সা) ঐহিতাসিক হিরা পর্বতের একটা গুহায় বসে ‘ধ্যান’ করতেন, তিনি চিন্তায় মশগুল থাকতেন।
 
এবং এভাবেই ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়াত প্রাপ্ত হলেন।
 
আধ্যাতিক লোকজনই মূলত ধ্যানে মগ্ন হন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ধ্যান যে-কেউ ই করতে পারে।
 
ধ্যান মূলত একটা গভীর প্রাকটিস মাত্র।
ধ্যানের মাধ্যমে যে-কোন সাধনা করে কাঙ্খিত ফল অর্জন সম্ভব।
 
আমি যখন ছোট, আমাদের গ্রামে একজন দাদী ছিলেন, আদু কাকার মা।
 
কারো হাত বা পা’য়ে ব্যাথা পেলে সবাই ওনার কাছে যেতেন। ওনি কিসব দোয়া-দরুদ পরে একটা ম্যাসাজ করে, ফু দিয়ে দিতেন এবং তাতেই ব্যাথা ভালো হয়ে যেত।
 
পরে জানলাম কাঠ পুরানো বাসী ছাই ব্যাথা উপশমের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি একদিন পায়ে ব্যাথা পেয়ে- সুযোগ পেয়ে গেলাম বিষয়টা পরীক্ষা করার এবং দেখলাম ওনি দোয়া দরুদ পড়ছেন এবং বাসী ছাই দিয়ে আমার পা’টা ম্যাসাজ করে দিলেন।
 
বিষয়টা এরকম, যে ব্যক্তি জানে যে বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন হয়, পানির স্রোত দিয়ে বা পারমানবিক শক্তি দিয়ে কিংম্বা কয়লা পুরিয়ে; কিভাবে ন্যাশনাল গ্রীডে সংযুক্ত হয়ে পরবর্তীতে ২২০ ভোল্টে পরিণত হয় এবং আপনার বাসার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে ব্যবহার যোগ্য করে তোলে; সে ব্যক্তি যেমন ‘সুইচ’ টিপলেই বাতি জ্বলে উঠে আবার আপনার বাসার কাজের লোকটি যে অতসত কিছু্ই বুঝে না সেও কিন্তু ঐ সামান্য ‘সুইচ’ টিপে দিলেই বাতি জ্বলে উঠে!
 
কলেজে পড়াকালীন সময় আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে কিছু পড়াশোনার সুযোগ হয়েছিল আমার। বেশ কয়েকটা ভালো বইও হাতে পেয়ে গেলাম। আধ্যাত্মিকতার বিষয়টা কিছু বুঝতে পারলাম।
 
খুব উৎসাহ নিয়ে প্রাকটিস শুরু করলাম।
 
অনেকগুলি বিষয়ই ততদিনে আমার মাথায় ঝট পেকে ছিল, যেমন: মসজিদের হুজুররা পানি পরা দিলে অসুখ ভালো হয় কেন? আবার একই বিষয় ব্রাহ্মনরাও করে কিন্তু তারা কোন দোয়া দরুদ পরে না; তারা তাদের মন্ত্র পরে ফু দেয়।
 
সব ক্ষেত্রেই কাজ কিন্তু একই।
 
বিষয়গুলি আমাকে বরাবরই দ্বিধায় ফেলে দিত। আমি নিজেও কিছু চমৎকার দোয়া শিখে ফেলেছিলাম। খুব বেশী পেটে ব্যাথা হলে আমি নিজেই ফুঁ দিয়ে সাড়িয়ে দিতে পারতাম।
 
যে কারণে আগ্রহ আরও বেড়ে গেল।
জানলাম বিজ্ঞান নির্ভর যুক্তি।
 
মানুষ মূলত তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে অথবা মানুষের মনের ৩টি স্তর রয়েছে।
 
সচেতন, অচেতন এবং অবচেতন।
 
আমরা যখন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকি সেটাই সচেতন অবস্থা।
যখন ঘুমে থাকি বা অজ্ঞান হয়ে যাই সেটাই অচেতন।
কিন্তু মানব জীবনের সবচে কৌতুহলউদ্দিপক বিষয়টা হলো অবচেতন।
 
আর এই অবচেতন মনের খেলাটাই হলো আসল মজা।
 
এই অবচেতন মন থেকেই কোন মানুষ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে। অবচেতন মনে মানুষ তার নিজেকে, তার পারিপার্ষিক অবস্থানের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নেবার ক্ষমতা অর্জন করে। এমনকি এই অবচেতন মনের একটি বিশেষ অবস্থায় পৌছে অন্য মানুষকেও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। আপনি আপনার ভবিষত পরিকল্পনাটা অবচেতন মনে পৌছে করুন; সাফল্য অনিবার্য।
 
আমরা যে স্বপ্ন দেখি, মুলতঃ তা বিক্ষিপ্তভাবে দেখি। কিন্তু অনেক স্বপ্নই কখনো কখনো অনেকের জীবনেই বাস্তবে পরিণত হতে দেখা যায় বা ভবিষ্যতে মিলে যায়।
 
অনেকে আবার স্বপ্নের ব্যাখা দিতেও পারদর্শিতা দেখান।
আসলে স্বপ্নগুলো শুধু স্বপ্নই।
 
মানুষের অনেক বিষয়ই এখন অবধি ব্যাখ্যার অতীত।
 
তারপরও মানুষ নিয়মিত গবেষনা করে যায়।
 
আসলে স্বপ্ন কখনোই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কিন্তু আপনি চাইলেই স্বপ্নকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আর সেজন্যও আপনাকে অবচেতন মনে পৌছতে হবে।
 
অবচেতন মন মানে হলো ধ্যানাবস্থা। আপনাকে ধ্যান করা শিখতে হবে। গভীর ধ্যান। আপনার মনের সবচে গভীর স্তরে পৌছতে হবে আপনাকে।
 
এটা একটা কঠিন প্রাকটিস।
যাই হোক আমি এক সময় ধ্যান করা শুরু করে দিলাম।
 
প্রতিদিন ভোড়ে আর রাতে ঘুমানোর পূর্বে। প্রায় এক ঘন্টা করে অবচেতন মনের গভীরে নিয়ে যেতাম নিজেকে।
 
এই কাজটা খুব গোপনে করতে হয়।
 
আমিও তাই করতাম। মাস খানেক পর খুব আনন্দ পেয়ে গেলাম বিষয়টাতে। টানা প্রায় বছরখানেক আমি অবচেতন মনে পৌছে যেতাম। প্রথম প্রথম প্রায় বিশ পচিশ মিনিট লেগে যেত অবচেতন মনে পৌছতে কিন্তু প্রাকটিস করতে করতে একটা সময় আসলো যখন ২ বা ৩ মিনিটের মধ্যেই যে-কোন অবস্থায়ই পৌছে যেতে পারতাম।
 
অনেকগুলি মজার বিষয় আমি এর মধ্যে আয়ত্ব করে ফেললাম। সত্যি বলতে কি আমার নিজের কাছেও বিষয়গুলি খুব বিব্রতকর মনে হতো।
 
কিভাবে হচ্ছে? কিভাবে পারছি?
 
যেমন, আমি এখনও যদি নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুম থেকে উঠে যেতে চাই- অামার ঘুম ঠিক সেই সময়েই অটোমেটিকভাবে ভেংগে যাবে। আমার কোন এলার্ম বা ঘড়ির প্রয়োজন হয় না। এটা একটা খুবই সহজ মানসিক ব্যায়াম।
 
কিন্তু এজন্য আপনাকে আগে মন নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। একটা পর্যায়ে আমার কৌতুহল বাড়তে বাড়তে এর মাত্রাও ছাড়িয়ে যেতে থাকে।
 
তখন ঢাকার নবাবগঞ্জে আমার অফিস। আমি তখন খুব সকালে আমার অফিসে পৌছতাম। আমার তখন কোন পিয়ন ছিল না। নিজের অফিস নিজেকেই ঝাড়ু দিতে হতো, প্রতিদিনই দিতাম। অপরিচ্ছন্নতা আমার অপছন্দ।
 
আমার তৎকালিন অফিসের অপজিটে নবাবগঞ্জ পোষ্ট অফিস। এর মধ্যে একদিন সকাল ১০টা দিকে আমি আমার অফিসের বাড়ান্দায় দায়িয়ে আছি।
 
হঠাৎ দেখলাম অসম্ভব রূপবতী একটা মেয়ে পোষ্ট অফিসের গেটে দাড়িয়ে রয়েছে।
 
আমার মাথায় একটা বদমাসী চিন্তা ভর করলো।
ভাবলাম আজ আমার মনের ক্ষমতা একটু পরীক্ষা করে দেখবো। আমি মুহুর্তে ধ্যানে চলে গেলাম। এবং ওই মেয়েটাকে আমার অফিসে আসার নির্দেশ দিতে থাকলাম। আমার বিশ্বাস ছিল আমার ধ্যানের প্রতি।
 
কিন্তু. এক পর্যায়ে দেখলাম মেয়েটা চলে যাচ্ছে।
 
আমি নিজেকে ক্ষমতাকে নিয়ে নিজে নিজেই মজা করলাম।
 
ভাবলাম আসলে সব কিছু সম্ভব নয় মনের শক্তি দিয়ে অর্জন করা।
যা ই হোক। অফিসে গিয়ে বসে পেপার দেখছি। আমার অফিসটা দোতালায়। ওহ, আমার ওটা ছিল একটা কমপিউটার ট্রেণিং স্কুল।
 
মিনিট বিশেক পর হঠাৎ আমি আবিস্কার করলাম কোন একটা মেয়ে আমার অফিসে উঠছে। আমি ছেলেদের এবং মেয়েদের হাটার শব্দের পার্থক্য বুঝি। চিন্তা করলাম সেই মেয়েটা না তো?
 
এবং হ্যা। সেই মেয়েটাই আমার অফিসে চলে এসেছে।
 
আমি জীবনে শুধু ঐ একদিনই কোন মেয়েকে দেখে আমার হাত-পা কাঁপতে দেখেছি।
 
মেয়েটার জন্য নয়, আমার মনের ক্ষমতার বিজয়ে।
 
মেয়েটা ঢুকলো আমার রুমে। আমি সাধারণত সব পরিবেশেই খুব সাবলীল থাকি। কিন্তু সেদিন আমি সব গুলিয়ে ফেলেছিলাম। মেয়েটা সালাম দিয়ে বসলো আমার অনুমতি না নিয়েই। আমি একটু সময় নিয়ে স্বাভাবিক হলাম।
 
ও বলল আমার নাম সাথী। (আমি বুঝে ফেললাম ও বানিয়ে বলছে, এটা ওর আসল নাম না)। আমি স্বাভাবিক হলাম। এবং তখনই আবার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরেয়ে নিলাম।
 
আমি হেসে বললাম, সঠিক নাম টা বলুন, এটা আপনার সঠিক নাম না।
 
মেয়েটা বিব্রত হলো। আমি কনফিডেন্স ফিরে পেলাম।
 
পরে বলল, ‘আমার নাম মনি’।
 
আমার অফিসে সবাই আসে কমপিউটার শিখতে। এসেই ট্রেনিং এর বিষয়, খুটিনাটি, খরচ-পাতি এসব জানতে চায়। কিন্তু মনি ওসব কিছুই বলছে না। এক পর্যায়ে প্রশ্ন করলাম, আপনি ঠিক কি কারণে আমার অফিসে এসেছেন। ও হাসলো। বলল, এমনিতেই। অফিসটা দেখতে এলাম। আরও দু একটা কথা বলে মনি ওদিনের মতো চলে গেল।
 
এরপর আরও ১০/১২দিন ও আমার অফিসে এসছে। একদিন বলল কমপিউটার শিখবে। একদিন বা দুই দিন ফ্রি টেনিংও দিলাম। ও একদিনও কমপিউটার শিখতে আমার অফিসে আসতো না। ও সম্ভবত অন্য কোন চিন্তা নিয়ে আসতো- কিন্তু আমার তখন অন্য কোন চিন্তা ছিল না।
 
তাছাড়া ওই বয়সে আমি মেয়েদের একটু বেশীই এড়িয়ে চলতাম, তাতে এক ধরণের ‘ফালতু’ মজাও পেতাম।
 
আমি একদিন মনিকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসলাম, ‘আমার অফিসে আপনি ওদিন কেন এসেছিলেন?’
 
এর উত্তরে ও শুধু হেসেছিল।
 
একবার শুধু বলল, ‘আপনাকে দেখলাম অনেকক্ষন দাড়িয়ে রয়েছেন এজন্য আসলাম আপনাকে দেখতে।’
 
যা ই হোক। সেদিনের সেই ঘটনার পর আমি মাইন্ড কন্ট্রোল প্রাকটিসটা সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিই। কিন্তু সমস্যাটা হলো মানুষ ৩টি জিনিস কোনদিনও ভুলতে পারে না।
 
১) সাইকেল চালানো।
২) সাতার কাটা। এবং
৩) মন নিয়ন্ত্রণ।
 
 
নিজের কথাই বেশী বলে ফেললাম।
 
যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি আপনার নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন- ততক্ষন পর্যন্ত আপনার মনই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
 
এবং, এটার রেজাল্ট বা পরিণাম কখনোও ভালো হয় না।
সুতরাং, আপনার নিজের মনকে অাগে নিয়ন্ত্রণ করুন।
 
নিজের নিয়ন্ত্রিত মনই আপনার সবচে বড় শক্তি।
 
আপনি ঠিক যেদিন থেকে আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন- সেদিন থেকেই আপনার সামনে একটা নতুন পৃথিবী দেখতে পাবেন।
যেই পৃথিবী চলবে শুধুই আপনার-ই কথামতো।
 
ঐ পৃথিবী সবসময় আপনার নির্দেশেই চলবে।
 
মানুষের মনের ৩টি স্তর রয়েছে।
১) সচেতন মন (সম্পূর্ণ সচেতন অবস্থায় আমরা যেমন থাকি, বা ভাবি)
২) অচেতন মন (ঘুম বা অজ্ঞান অবস্থা)
৩) অবচেতন মন (ধ্যান বা গভীর ঘুমের অবস্থা)
 
মানুষের অবচেতন মন- মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে।
 
অবচেতন মনের চিন্তা-ভাবনাসমূহই- ‘প্রকৃতি’ মানুষের কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে দেয়। সম্পূর্ণ প্রকৃতি বা ন্যাচার সর্বক্ষন ব্যস্ত থাকে মানুষের অবচেতন মনের চাহিদা পূরণে।
 
কাজেই অবচেতন মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারাটাই একজন মানুষের সফলতার প্রকৃত, প্রথম ও প্রধান মূলমন্ত্র।
 
আমি আমার অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রনে আনার শিক্ষাটি গ্রহণের পর থেকে ‘না’ শব্দটির ব্যবহার ভুলেই গিয়েছিলাম।
 
সবসময় একটি ‘হ্যাঁ’ আমার ভেতরে সদাজাগ্রতময়।
 
কিন্তু মানুষের জীবনে কখনও কখনও একটি ‘না’ অনেক বেশী প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দেয়।
 
তখন সত্যিই এই ‘না’ শব্দটি-ই ‘অনেক বেশী ভারী’ হয়ে সামনে দাড়ায়।
(যাদের অবচেতন মনের উপর কন্ট্রোল নেই- তাদের জন্য ‘না’ কোন মূল্যবান শব্দই নয়।)
 
এই অবচেতন মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে-ই না বলার ট্রেনিং নিচ্ছি।
 
দেখা যাক কি হয়!
 
এবার কাজের কথা বলি। আর সেটা হলো স্বপ্ন। আপনিও চেস্টা করুন অবচেতন মনে পৌছতে। অবচেতন মনে পৌছতে পারলে আপনি অনায়াসে আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করবেন।
অবচেতন মনে পৌছতে পারলে আপনি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়েও নিতে পারবেন।
 
আপনি নিজ ইচ্ছাধিন স্বপ্ন দেখতে পারবেন।
 
আর, অবচেতন মন মূলত প্রকৃতির সংগে সম্পর্কিত।
 
আপনি যখন অবচেতন মনে কিছু চাবেন তখন এই বিশাল বিশ্বভ্রামান্ড আপনার সেই চাহিদা পূরণের জন্য কাজ শুরু করে দেবে।
 
আপনাকে চাইতে হবে এমন ভাবে যেন আপনি বিশ্বাস করনে যে- আপনি যা চাচ্ছেন সেটা পেয়ে গেছেন।
 
তখন দেখবেন আপনার কাজের গতিও চেঞ্জ হয়ে গেছে। আপনার কাজ-কর্ম তখন শুধুমাত্র সেই চাওয়াকে ঘিরেই আবর্তন করে যাচ্ছে।
একজন মানুষকে সফল হতে হলে তার নিজের প্রতি সর্বপ্রথম বিশ্বাস ও আস্থা আনতে হবে। নিজেকে বিশ্বাস করতে পারলেই আপনি সফল হবে।
 
কাজেই সবার আগে নিজেকে বিশ্বাস করুন।
দেখবেন সফলতা শুধু সময়ের ব্যাপার।
 
   Send article as PDF