বেশ্যার দালাল

শুরুটা করেছিলেন বিচারপতি শাহবুদ্দিন আহম্মেদ।
সেই শুরুটা ছিল প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদকে নপুংসক করার মধ্য দিয়ে।
 
একজন বিচারপতির কাছে সকল সাধারণ মানুষের একটাই প্রত্যাশা থাকে- সকল আবেগ, প্রভাব ও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার সম্পূর্ণ উর্দ্ধে উঠে- সঠিক ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা; মানুষের ভুল হতেই পারে- সেই ভুলের জন্য একজন খুনী আসামী যদি ছাড়া পেয়ে যায়- যাক; কিন্তু একজন নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন ১ ঘন্টাও জেল না খাটে বা কোন প্রকার সাজাপ্রাপ্ত না হয়।
 
১৯৯০ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনের মুখে এরশাদ বাধ্য হলেন বিরোধী জোটের রূপরেখানুযায়ী পদত্যাগ করতে। প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ দায়িত্ব নিলেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট এর।
 
গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগী প্রেসিডেন্টকে তিনি গ্রেফতার করলেন, এবং এরশাদের সকল অধিকারও ক্ষুন্ন করলেন তিনি।
 
গণআন্দোলনের মূখে বেগম খালেদা জিয়াও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী একটা বাজে ও বিরক্তিকর ইলেকশন দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন- কিন্তু তাকে গ্রেফতার হতে হয়নি।
 
এরশাদকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল।
 
আওয়ামী লীগের ‘মুলতঃ প্রধান ব্যক্তি’ শেখ মুজিব দেশে আওয়ামী লীগ’কেই বিলুপ্ত করে বাকশাল নামের একদলীয় সরকারব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। এবং তিনি প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন।
 
– কিন্তু সেই আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের ‘একদলীয় শাসন’ ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।
– এবং সেই আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের ‘প্রেসিডেন্ট’ পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা থেকেও সরে এসেছে।
– আর মুজিবের স্বপ্নের বাকশালকে হত্যা করে শেখ হাসিনা আবারও আওয়ামী লীগ গঠন করে নাকি- মুজিবেরই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করছে! এটা হাসিনার দুঃস্বপ্ন না মুজিবের স্বপ্নদোষ- কে জানে?
 
যেমন পিতা তেমন তার কন্যা!
 
ঠিক অপর দিকে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনিও দেশে প্রেসিডেন্ট শাসন ব্যবস্থা প্রচলন করে গেছেন।
 
কিন্তু, বেগম খালেদা জিয়াও ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ এর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ‘প্রেসিডেন্ট’ পদ্বতির সরকার ব্যবস্থা কে-ই দুরে সরিয়ে দিয়েছে।
 
গোড়ায় এতটা গলদ নিয়ে কিভাবে যে- এই ‘দুই মহিলা’ তাদের পিতা-স্বামীর আদর্শ বাস্তবায়ন করে চলছেন- সেটা ভাবলে ওই ‘আওয়ামী লীগ’ আর ‘বিএনপি’কে আমার কাছে শ্রেফ সার্কাসের জোকার বলেই মনে হয়।
 
যাই হোক, বলছিলাম ১৯৯১ সালের নির্বাচন নিয়ে এবং তখনকার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ এর কথা।
 
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সেদিন ‘বিচারপতি সুলভ’ ন্যায় বিচার এরশাদের সংগে করেন নি। অথচ তিনি ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
 
এরশাদ তখনও অবধি বিচারের ভাষায় ‘দোষী’ ছিলেন না।
 
এরশাদকে ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করে তার মানবাধিকার হরণ করেছিলেন ‘দেশের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ’।
 
৯১ এর হিসাবনুযায়ী শূন্য পদে ‘প্রেসিডেন্ট’ নির্বাচন না দিয়ে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ ‘সংসদ’ নির্বাচন দিলেন- এটাও অন্যায় বিচার ছিল।
 
প্রধান বিচারপতি হয়ে তিনি সংবিধান স্পষ্টভাবে লংঘন করেছিলেন সেদিন।
 
৯১ এর নির্বাচনে এরশাদকে কোন প্রচারণা চালাতে দেয়া হয়নি।
এরশাদকে টেলিভিশনে পর্যন্ত একটা বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি- যদিও শেষ মুহুর্তে বিচার বিভাগের আদেশ ছিল এরশাদের পক্ষে- কিন্তু সেই আদেশকেও ‘ষ্ট্রে’ করে দেয়া হয়েছিল ‘নির্বাহি ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে।
 
নির্বাচন হলো।
এরশাদ সাহেব কোন প্রকার প্রচারণা ছাড়া, জেলে বসেই নিজে ৫টি আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন এবং তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসন পেল জাতীয় সংসদে। এবং আরও মজার বিষয় হলো- সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১০০টিরও বেশী আসনে মাত্র ১০০ থেকে ৫০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল বিএনপি বা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংগে।
 
ওদিন এরশাদ ন্যায় বিচার পেলে- বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হতো।
 
একটু মনে করে দেখুন তো ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বধীন বিএনপি- প্রচারণার সকল সুযোগসুবিধা পেয়েও কয়টি আসন পেয়েছিল?
 
মনে পরে?
হ্যাঁ। মাত্র ৩৫টি।
 
তাহলে প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ কতটা অপরাধী?
প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বিচারটা কে করবে?
 
প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদদের মতো জংলিদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের নষ্টামী শুরু।
 
বিচারপতি আজিজের কথা কি মনে পরে?
বেগম জিয়া কর্তৃক গঠিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশানার’ পাগলা আজিজের কথা বলছি।
 
সেই (অ)ভদ্রলোকও বাংলাদেশের একজন মহান ‘বিচারপতি’।
 
প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক না কি যেন নাম ঐ (অ)ভদ্রলোকের?
যে কিনা একটি চমৎকার সুন্দর ও প্রতিষ্ঠিত ‘নির্বাচনকালীন তত্ববধায়ক সরকার’ ব্যবস্থাকে তার এক কলমের খোঁচায় ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে দিলেন।
 
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ সরাসরি ভোটে ৩০০ প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে- যাদের বলা হয়ে থাকে সংসদ সদস্য। দেশের মানুষ একজন এমপি’কে যা-ইচ্ছে জ্ঞান করুন না কেন- আসলে এমপি’দের কাজ হলো আইন প্রণয়ন।
 
৩০০ প্লাস আরও ‘৫০সেট অলংকারী হানিমুন এমপি’র দায়িত্ব হলো দেশের মানুষের জন্য আইন প্রণয়ণ করা।
 
যেহেতু এই ৩০০ জন সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত অর্থাৎ সরাসরি তারা জনগণের প্রতিনিধি। তাদের সম্পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে আইণ প্রণয়ণ করার। তাদের কর্তৃক কৃত আইন-ই দেশের মানুষের মতামতের ভিত্তি। এবং সেই আইন অনুযায়ী দেশ চলবে।
 
এবং ঐ ‘তত্ববধায়ক সরকার’ পদ্ধতি যে কতটা সুন্দর একটা নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল- সেটার সুফল বাংলাদেশের মানুষ ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেখেছে এবং তার প্রসংসা করেছে।
 
কিছু সংশোধন বা পরিমার্জন করার সুযোগ ছিল ঐ আইনে। সেটাও সংসদ সদস্যারা মিলে সংশোধন করতে পারতেন।
 
কিন্তু।
একজন মাত্র মানুষ, তিনি কারো প্রতিনিধিও না।
তিনি নির্বাচিতও নন।
তিনি ফেরেস্তাও নন।
তিনি ঘুষ খেতে পারেন, প্রভাবিত হতে পারেন।
তিনি মনোনীত একজন ব্যক্তি মাত্র।
তিনি ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র আবেগের বসিভুত হতে পারেন সহজেই।
তিনি টাকার কাছে নিজের মাথা বিক্রিও করতে পারেন।
 
সেই একজন সাধারণ মানুষ ‘কলম’ এর ক্ষমতা হতে পেয়ে- তার একক সিদ্ধান্তে ১৬ কোটি মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তৈরী করা একটা ‘আইন’ বাতিল করে দেবার ক্ষমতা রাখেন না।
 
কোন ভাবেই তার সেই ক্ষমতা থাকতে পারে না।
কোন যুক্তিতেই না।
 
যদি থাকেই- তাহলে ভেংগে ফেলুন ঐ সংসদ ভবন।
ওখানে তৈরী করুন ‘এতিমখানা’ অথবা ‘বেশ্যাখানা’।
 
আর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে দেন বিচারপতিদের হাতে।
বিচারপতিরাই দেশ চালাক।
 
গণতন্ত্রকে তো আগেই ছুড়ে মেরেছেন। মানবাধিকারর ‘ম’ও খুঁজে পাওয়া যাবে না আর।
 
কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে সংসদ নির্বাচন দিয়ে, সংসদ অধিবেশন এর নামে সময় ও অর্থ নষ্ট করার দরকারটা কি?
 
বিচারপতি আছে না?
প্রধান বিচারপতি আছে না?
ওরাই চালাক দেশ।
 
একটা অতি চমৎকার নির্বাচনকালীন ‘তত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থাকে একজন বিচারপতি প্রভাব, আবেগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার নাম নিয়ে ১৬ কোটি মানুষের বুকে লাথি মেরে এক কলমের খোঁচায় শেষ করে দিল।
 
দেশটাকে ধ্বংশের মুখে নিয়ে গেল ঐ প্রধান বিচারপতি খায়রুল ইসলাম।
 
এসব অসভ্য, অযোগ্য, নষ্ট ব্যক্তিগুলি কিভাবে দেশের প্রধান বিচারপতি হতে পারে- সেটা আমার কল্পনারও বাইরে!
 
এরপর এলো আরেক প্রধান বিচারপতি সিনহা।
এই নষ্ট আর যোগ্যতা ও পার্সোনালিটিহীন ‘চিহ্নিত ব্যক্তি’ একছত্র ক্ষমতা হাতে পেয়ে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে একে এক হত্যা করেছে নিরাপরাধ কিছু ইসলামী ব্যক্তিত্বকে।
 
তথাকথিত আন্তর্জাাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের নামে কোন একটা বিচারও স্বচ্ছ ভাবে করা হয়নি। কিছু চোর আর টাওটকে স্বাক্ষী সাজিয়ে বিচারের নামে মিথ্যা স্বাক্ষ্য নিয়ে, পয়সার বিনিময়ে ৭৫ সালে জন্ম নেয়া ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষদর্শী সাজিয়েছে ৭১ সালের কথিত ঘটনায়!
 
যেখানে প্রতিটি বিচার-ই ছিল প্রহসনের, প্রতিটি বিচারই ছিল যুক্তিহীন, প্রমাণহীন। মানুষ হত্যার এক উৎসাবের নেতৃত্ব দিয়েছে এই নষ্ট কুলাংগার প্রধান বিচারপ্রতি সিনহা বাবু।
 
এবং সেই বিচারে কিছু বিরোধী মতদর্শকে থামিয়ে দেবার বাসনায় রাষ্ট্রিয় হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে।
 
এই ‘ওয়াইল্ড এনিমেল’ গুলি দেশের ‘প্রধান বিচারপতি’।
রাস্তার বেশ্যাপল্লীর একজন দালাল এর সাথে দেশের এসব বিচারপতি, প্রধান বিচারপতিদের কোন পার্থক্য আমি অন্তত খুঁজে পাইনা; বরং এরা ঐ বেশ্যাপল্লীর দালাদের চেয়েও অসভ্য, সস্তা এবং জংলী।
 
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে প্রকাশ্যে পুলিশ লীগের সদস্যরা ধরে নিয়ে গেল।
মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমানকে তার বাড়ী থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেল পুলিশ লীগের সদস্যরা।
দেশের সেনাবাহিনীর সবচে সৎ, দুর্দান্ত অফিসার গোলাম আযমের ছেলেকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হলো এবং শেষে সেই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমিকেও বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গেল একই পুলিশ লীগ কর্তারা।
 
সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে এদের গুম করে দেয়া হলো।
দেশের ১৬ কোটি মানুষ দেখলো!
 
আরও সহস্রাধিক নিরীহ মানুষকে এই পৃথিবীর আলোর বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হলো- এদের কারো কারো পিতা-ভাইকেও হত্যা করা হয়েছে ক্রস ফায়ারে!
 
ঐ প্রধান বিচারপতি সিনহা সেদিন সরাসরি বললও যে ‘মীর কাশেম এর ছেলে পুলিশ কাষ্টডিতে রয়েছে’।
আবার বলেছে, ‘দেশে আইন রয়েছে ২৪ঘন্টার বেশী কাউকে গোপনে আটক রাখা যাবে না।’
ঐ প্রধান বিচারপতি সিনহা নিজে ঘোষণা দিয়েছে ‘কাউকে অপহরণ স্টাইলে’ গ্রেফতার করা যাবে না- তার পরিবারকে জানাতে হবে।
 
কিন্তু এসব নিরীহ মানুষদের জন্য দেশের আইন প্রযোজ্য না।
 
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যদি আপনি মুখ খুলেন- তাহলে দেশের কোন আইন আপনার জন্য প্রযোজ্য না।
 
কথিত ‘বাশঁ উন্নয়ন’ এর নামে দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটপাট করে খেয়ে ফেলছে আওয়ামী লীগ নেতারা- আপনি কিছুই বলতে পারবেন না।
 
ছাত্র লীগ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে- ওসব কোন অন্যায় না।
 
প্রধান বিচারপতি সিনহা ওসব দেখতে পাবে না।
তাদের শুয়োমটো বল তখন কাজ করবে না।
– কিভাবে করবে?
– ওয়াল্ড এনিমেলদের কি সেই বোধ থাকে?
– থাকতে পারে?
 
পুলিশ, রাব বিরোধীমত দমনের নামে সরাসরি ক্রসফায়ার এর নামে হত্যা করছে প্রতিদিন- এসব কোন অন্যায় না; এসব উন্নয়ন।
 
বিনা বিচারে ৪ বছর অন্যায়ভাবে আটক, নির্যাতন করার পর মাহমুদুর রহমানকে জামিন দেয়া হয়েছে- কিন্তু বিচারপতি রায় লেখার সময় পায় না এক মাসেও!
তবে আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াবা সম্রাট বদি’র জেল হওয়া সত্বেও অস্বাভাবিক দ্রুততার সংগে ঐদিনই তাকে জামিন এবং মুক্তিও দেয়া হয়।
 
এসব মুক্তি দিয়েছে দেশের বিচারপতিরা।
এদের কি আমি বিচারপতি বলবো না কি বেশ্যা পাড়ার দালাল বলবো?
 
ওয়ান এলেভেন খ্যাত তত্ববধায়ক সরকার একই সংগে খালেদাসহ বিএনপি নেতাদের নামে এবং হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা দিয়েছিল। সেই মামলা থেকে আওয়ামী লীগের সব নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
 
কিন্তু বেগম জিয়ার বিচার চলছে, বিএনপি নেতাদের বিচার চলছে।
 
এবং বাংলাদেশে নাকি বিচার বিভাগ আছে!
 
ওটা বিচারা বিভাগ না- ওটা বেশ্যাপাড়া।
আর ওটার বিচারপতিরা বেশ্যার দালাল।
 
এবং এত এত কিছুর পরও- আপনি এসব বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারবেন না।
 
এই বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন।
 
আমি বাংলাদেশের ঐ সংবিধানকে লাথি মারি।
আমি বাংলাদেশের ঐ বিচারপতিদের মুখে থুথু মারি।
 
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের আরেকজন বিচারপতি শামুসদ্দিন চৌধুরী মানিক এর কথাবার্তা ভুলে যাই নি।
 
দিন কয়েক আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে এক রায় দিয়েছে এই ওয়াইল্ড প্রধান বিচারপতি’র নেতৃত্ব আপিলেড বিভাগ- অর্থাৎ ‘বিচারপতিদের কে সংসদ সদস্যরাও বরখাস্ত করতে পারবে না বা জবাবদিহি চাইতে পারবে না’।
 
ওকে, বেশ ভালো কথা। আপনি বিচার বিভাগকে সরকার থেকে স্বাধীন করতে চান। করুন।
 
রায়টা দেবার সময় নিজেদের পিঠ বাঁচালেন- কিন্তু ‘কে আপনাদের কাছে জবাবদিহি চাইবে’- সেই রায়টা কেন দিলেন না?
 
কারণ সেই সাহস আপনাদের নেই- অযোগ্যর কোন সাহস থাকে না, মেরুদন্ডও থাকে না।
 
আপনারা কি সবকিছুর উর্ধে?
যা খুশী তাই করবেন, যা মন চায় তাই বলবেন?
 
বিচারপতি হয়েছে- এবার আপনারা ঈশ্বরের চেয়েও উপরে উঠে গেছেন- কাউকে পরোয়া করার কোন দরকার নেই আপনাদের!
 
আর তাইতো আপনার মতো সামান্য যোগ্যতাহীন নামকাওয়াস্তে সিনহা বাবু, মুসলিম দেশের পবিত্র মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষনা দেবার স্পর্ধা দেখান যে ‘মসজিদে নজরদারী করবেন’!
 
মিষ্টার সিনহা বাবু, কয়দিন জিহবার বাহাদুরী করবে?
আপনার মতো মালাউনকে তো খুঁজেও পাওয়া যাবে না দু’দিন পর!
আমার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকলে শুধুমাত্র এই ‘অপবাক্য’ উচ্চরণের জন্য তোমার জিহবাটা আমি কেটে ফেলতাম সিনহা!
 
মানুষ হত্যা আমি পছন্দ করি না- কিন্তু তোমাকে যদি কেউ হত্যা করেও আমি অখুশী হবো না।
 
তবে বেশী খুশী হবো যদি কেউ সিনহা মালাউনের জিহবাটা কেটে নেয়- আমি তাকে পুরস্কৃতও করবো এই ‘সঠিক ও ন্যায় বিচার’ করার জন্য।
 
এটা বাংলাদেশের মুসলিম জনগনের বিচার হবে।
আর জনগনের বিচারই সর্বচ্চো বিচার।
 
যেই বিচার অপেক্ষা করছে শেখ হাসিনার জন্যও!
শেখ মুজিবও যে বিচার থেকে মাফ পায়নি।
 
৮০ শতাংশ মুসলিমদের দেশে দাঁড়িয়ে তুমি প্রধান বিচারপতি হয়ে ‘মসজিদে’ তল্লাশি করবে!
 
দেশের সুপ্রিম কোর্টে তুমি গ্রীক দেবীর মুর্তি স্থাপন করো?
একটা মুসলিম অধ্যুষিত দেশে তুমি মুতি বসাও!
 
সারা পৃথিবী যে মুসলিমদের রাসুল মুহাম্মদ (সা) কে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক মানে- আর তুমি মুহাম্মদ (সা) এর প্রতিদ্বন্দ্বী বানাও কোথাকার কোন গ্রীক পুরাণের দেবীকে?
 
তোমাকে তো সর্বোচ্চ শাস্তিই দেয়া দরকার।
 
কে দিয়েছে ক্ষমতা তোমায়?
তোমার মতো মালাউনের স্থান বাংলাদেশ নয়।
 
তোমাকে উচ্ছেদ করা এখন রীতিমতো ফরজ হয়ে উঠেছে মি. সিনহা!
 
দেশটাকে ধ্বংশস্তুপে পরিণত করা, দেশের মানুষের টাকা করে নিয়ে নেয়া এবং একটা প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বিধ্বস্থ করে দিয়ে দেশটাকে ইন্ডিয়ার কাছে বর্গা দিয়ে, দেশে ইসলামকে অবৈধ ঘোষনার দারপ্রান্তে নিয়ে আসার বিচার তো আমাদেরই আজ করতে হবে।
 
   Send article as PDF