ভ্রমণ করতে কত টাকা লাগে?

ভ্রমণ করতে টাকা লাগে।

কিন্তু যাদের অনেক টাকা আছে তারা কি ভ্রমণ করতে পারে?

প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আগ্রায় গিয়ে তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘এই পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ বসবাস করে। এদের একদল তাজমহল দেখেছে, অন্য দল তাজমহল দেখেনি।’

আমি জানি যে, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের এই কথাটার ভাড়িত্ব বোঝার ক্ষমতাও সকল মানুষ রাখে না।

আমি তাজমহল দেখতে গিয়েছি, দেখেছি; একবার নয় দু’দুবার। কারণ, তাজমহল একবার দেখলে প্রাণ ভরে না। মন জুড়ায় না।

আমি যখন সবে মাত্র ব্যবসায় শুরু করি, সেটা সেই ১৯৯৪ সালের কথা। ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫ এই দু’টি সাল ছিলো আমার জীবনের সবচে অর্থকস্টের সময়কাল। নতুন ব্যবসা। আমিও বয়েসে অনেক বেশীই তরুন। ব্যবসা চলছে না। মাসে ১২০০ টাকা অফিস ভাড়াও আসে না। ল্যান্ডলর্ডের প্রেসারই নিতে পারি না এমন একটা অবস্থা। মনে আছে কোনও কোনদিন (সব দিন পারতামও না) দুপুরে তীব্র ক্ষুধা মিটাতে ২ টাকা দিয়ে একটি পুরি কিনে খেতাম। ঐ ২ টাকাই তখন আমার কাছে অনেক দামী নোট।

আমার ব্যবসা করার প্রতি যেহেতু আমার বাবার তীব্র আপত্ত্বি ছিলো, সেহেতু আমিও জিদ করেছিলাম যে, তাঁর থেকে কোন বাড়তি সাহায্য না নিয়েও ব্যবসায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখবো।

এবং মাত্র ২ বছরের মাথায় তা রেখেওছিলাম।

থাকুক, সে গল্প করার জন্য এই গল্প লিখতে বসিনি।

কাহিনীটুকু বললাম, এজন্য যে, সেই চরম ক্রাইসিসের মধ্যেও আমি হাতে সামান্য কয়েকশত টাকা ’আলাদা’ করতে পারলেই সেই টাকা দিয়ে নন-এসি বাসে করে গিয়ে সস্তা হোটেলে রাত কাটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতাম।

ঐ সময়েই (১৯৯৪-১৯৯৫) আমি ঢাকা থেকে বাসে চট্রগ্রাম-রাঙামাটি-কক্সেসবাজার ঘুরে বেড়িয়েছি। জীবনে প্রথম বিমানে উঠার স্বাদ নিতে চট্রগ্রাম থেকে কক্সেসবাজার গিয়েছিলাম বিমানের এটিপি ফ্লাইটে – ২৫০ টাকা ভাড়া ছিলো তখন। কক্সেসবাজারে কম খরচে আরও দু’দিন বেশী থাকার লোভে খুঁজে বের করেছিলাম মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ার ‘যুব পান্থ নিবাস’। গিয়েছি বগুড়া, দিনাজপুর, নওগা।

তখন আমার টাকা ছিলো না, কিন্তু তখনও আমি ভ্রমণ করতাম।

সেই দু’বছরে আমি আরও ভ্রমণ করেছি কুড়িগ্রামের রাজিবপুর-রৌমারি উপজেলা। জামালপুর ইসলামপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা কর্ণঝরা, শেরপুর নলিতাবাড়ী; আরোও বেড়িয়েছি কুয়াকাটা, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, মঙলা, সুন্দরবন।

জ্বি, শুধুমাত্র ইচ্ছে থাকলে-ই টাকা না থাকলেও ভ্রমণ করা যায়; আমি করেছি। ভ্রমণে আহামরি টাকা লাগে না।

আমার মনে আছে, আমি ১৯৯৬ সালে প্রথম ভারত-নেপাল ভ্রমণ করে আসার পরপরই আমার দূর-সম্পর্কের এক আত্মীয় কোলকাতা ভ্রমণ করে এসে আমাকে তাচ্ছিল্ল্যে স্বরে গল্প শুনিয়েছিলো যে, সে ফ্লাইটে কোলকাতা ভ্রমণ করে এসেছে, সে দ্য পার্ক হোটেলে (ফাইভ স্টার) থেকেছে, খেয়েছে। ইত্যাদি। তার কোলকাতা ভ্রমণে খরচ হয়েছিলো নাকি ৩০ হাজার টাকা।

আর আমি আমার প্রথম ভারত (কোলকাতা, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, গোরাকপুর) এবং নেপাল (কাঠমান্ডু) ভ্রমণে খরচ করেছিলাম সর্বমোট ৮ হাজার টাকা।

জ্বি, আমি এখন আমেরিকায় বসবাস করি এবং সেদিন পুরো পৃথিবী চক্কর দিয়ে আসলাম। কিন্তু সেদিনের সেই ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা আত্মিয় ভদ্দরলোকটি এখন কোথায় তা আমার সত্যিই জানা নেই।

আমার বিশ্বাস উপরের গল্পটুকুতে আমি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি যে, আসলে ভ্রমনের জন্য টাকা নয়, ‘ইচ্ছে’ থাকতে হয়।

ইচ্ছে যখন আপনার পুঁজি – তখন আপনাকে আটকিয়ে রাখার ক্ষমতা পৃথিবীরও থাকে না।

ভ্রমনের জন্য আমাকে কেউ আটকিয়ে রাখতে পারেনি।

আমার বাবা আমাকে আমার প্রথম ভ্রমণে অনুমতি দেননি; আমি আমার প্রথম পরিকল্পিত ভ্রমণটি সেজন্য তখন করতে পারিনি। কিন্তু আমি আমার প্রথম ভ্রমণ পরিকল্পনা ব্যর্থ হবার ২ মাস পরই দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা করে ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন আমি আমার আব্বার কাছে ‘অনুমতি-ই চাইনি’। আমি জানতাম তিনি অনুমতি দিবেন না, কিন্তু আমি গিয়েছিলাম। এবং সেই অনুমতি ছাড়া ভ্রমণের জন্য তিনি আমার সংগে টানা ১ বছর কথা বলা বন্ধ রেখেছিলেন।

কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন?

কয়েক বছর পর আমার সেই আব্বাই আমাকে আমার অসীম আগ্রহ এবং নাছোরবান্দা স্বভাব দেখে বিদেশ ভ্রমণের জন্য তার পেনশনের টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিলেন।

এবং সেদিন আমি তৃপ্তির হাসি হেসেছিলাম।

আমি জানতাম, আমার ইচ্ছেশক্তি একদিন বিজয়ী হবেই হবে।

আমার আব্বা হয়তো ততদিনে বুঝে ফেলেছিলেন যে তার ছেলে তার অনুমতি না নিয়ে কোন ‘অন্যায়’ বা ’ভুল’ করেনি।

এবং আমি সেটা বুঝেছিলাম সেদিন- যেদিন তিনি আমার প্রথম প্রকাশিত বইটি (থ্যাংক য়্যূ) হাতে পেয়ে অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেই প্রথম রাতেই এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছিলেন এবং আমার লেখার ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন। আমার আব্বা কিন্তু মোটেও বই পড়ুুুয়া ছিলেন না। প্রচন্ড ভালোবাসা না থাকলে একটি আড়াইশ পাতার বই এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা অসম্ভব।

অনেকেই জানতে চান, আমার ভ্রমণে কত টাকা খরচা হয়।

অথবা, আমি এতো টাকা কোথায় পাই এতো এতো ভ্রমণ করার জন্য?

আমার অনেক গল্পেই আমি উল্লেখ করেছি যে, আমি মোটে ১৩০০ ডলার হাতে করে আমেরিকায় আসি। এবং আমি আমেরিকায় কোনদিন চাকুরী করিনি। বলতে পারেন ব্যবসা শুরু আগ পর্যন্ত টানা ২ বছর বসে বসে খেয়েছি।

এবং এই দুই বছরেও আমি ভ্রমণ করেছি টেক্সাস, প্যানসালভ্যানিয়া, নিউ জার্সী, ওয়াশিংটন ডিসি এবং নায়েগ্রা ফলস।

আমি টাকার পেছনে কখনও ছুটি না।

তবে, হ্যা টাকাই আমার পেছন পেছন দৌড়ায়।

কারণ, আমি জানি টাকাকে নিজের পেছনে ছুটতে ঠিক কি কি ম্যাকানিজম করতে হয়, আমি তা করি। আমি বাড়তি টাকা কখনও খোঁজ করি না। যতটুকু দরকার ততটুকুই আয় করি।

আমি জানি সকলেই প্রশ্ন করবেন, আমেরিকার মতো উচ্চমূল্যের দেশে কিভাবে মাত্র ১৩০০ ডলার নিয়ে এসে ২ বছর সার্ভাইভ করা সম্ভব? এর সহজ উত্তর হচ্ছে ‘এতটুকু’ যোগ্যতা না থাকলে কি আমেরিকা কাউকে ভিজিট ভিসা দেয়?

এনিওয়ে, সেটাও বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে যে পারে – সে সব জায়গাতেই করে দেখাতে পারে। যে পারে না তার জন্য সবকিছুতেই সমস্যার দেয়াল দেখা মিলে। একটু মাথা খাটাতে পারলে মাসে ২ হাজার ডলার আয় করা কারো জন্যই মোটেও কস্টকর হবার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশীরা শরীর খাটাতে চায় – মাথা নয়। আমি আমার জীবনে শরীর খাটিয়ে একটি টাকাও আয় করিনি, সবটুকুই মাথা খাটানো আয়।

আমি যখন ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ভারত-নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করি, তখন আজকের মত গুগল-বাবাজী ছিলো না; ইন্টারনেটতো নয়-ই। সে আমলে স্রেফ ভ্রমনের জন্য খুব কম মানুষই ভারত যেতো। নেপাল যাওয়া লোক পাওয়া যেতো না।

আমি শুধুমাত্র এটুকু তথ্য জানার অপেক্ষায় ছিলাম ভারতে থাকা-খাওয়া এবং গাড়ী ভাড়া কেমন? এবং জেনেও গিয়েছিলাম, আর তা নাকি ছিলো বাংলাদেশের চেয়েও কম।

ল্যাপটপ নিয়ে বসে গেলাম, আমি কমপ্যাকের একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে আসছিলাম ১৯৯৫ সাল থেকে। দূরত্ব মেপে মেপে আনুমানিক বাস-ট্রেন ভাড়া নির্ণয় করেছিলাম; হোটেল ভাড়ার ধারণাটা একটু ভুল হয়েছিলো কিন্তু বাস-ট্রেন ভাড়া এবং খাবার খরচ বেশী ধরে ছিলাম। ফলে কাটাকাটি হয়ে আমার ৭,৫০০ টাকার বাজেটটি ৮ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছিলো।

আমি কোন ট্যূর গাইড নিতাম না।

আমি কোন ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতাম না।

যদি ট্যুর গাইড-ই নিই বা ভ্রমণ প্যাকেজই আমাকে কিনতে হয় – তাহলে আমার ভূগোল জ্ঞান এবং যাবতীয় অর্জিত বিদ্যা-বুদ্ধির কি-ই-বা মূল্য থাকলো!

যাই হোক, এবারে গতকাল শেষ হওয়া ভ্রমণটি নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক।

২০১৩ সালেই একবার মহাপরিকল্পনা করেছিলাম পুরো পৃথিবীটাকে বৃত্তকারে একটি চক্কর দিবো। ভেবেছিলাম ড্রাগন এয়ারে ঢাকা থেকে হংকং হয়ে পূব দিকে নিউ ইয়র্ক যাবো এবং লস এঞ্জেলেস থেকে পশ্চিমে সিংগাপুর বা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে করে ঢাকা ফিরে আসবো।

কিন্তু দু’টো সমস্যা দেখা দিলো।

এক। অর্থনৈতিক সংকট। ২০১০ সাল থেকেই আমার ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়া শুরু করে। এবং ২০১৩ তে ক্রাইসিস আরও বেড়ে গিয়েছিলো।

দুই। খুব লক্ষ্য করে দেখলাম যে, হংকং থেকে যে ফ্লাইটটি নিউ ইয়র্কে যায় সেটা সোজা পূব দিকে না গিয়ে উত্তর মেরু হয়ে নিউ ইয়র্কে পৌছায়। এবং ঠিক বিপরীত দিকেও লস এঞ্জেলেস থেকে বিমানটি নর্থ পোল হয়ে সিংগাপুর বা কুয়ালা লামপুর যায়। অর্থাৎ বৃত্তকারে পৃথিবী নামক গ্রহটিকে পরিভ্রমণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

মানি ম্যানেজমেন্ট আমি খুব ভালোই জানি; সুতরাং প্রথম সমস্যাটি উৎড়িয়ে উঠতে পারলেও দ্বিতীয় সমস্যাটি প্রধান বাঁধা হয়ে দেখা দিলো। কাজেই সিদ্ধান্ত বাদ।

কিন্তু, ঐ যে, একবার ইচ্ছে প্রকাশ করা। সেই স্তমিত ইচ্ছেটি আমাকে এই বিগত ১০টি বছর ভালো থাকতে দেয়নি। তাই এবার ঠান্ডা মাথায় পুরো বিশ্বকে পরিভ্রমন করার ছক এঁকে ফেললাম।

নিউ ইয়র্ক থেকে সোজা পূব দিকে যাবো মধ্যপ্রাচ্যে। রিয়াদ হয়ে দুবাই। এরপর দুবাই থেকে আরো পূবে যাবো সোজা ম্যানিলা। ম্যানিলা থেকে সোজা প্রশান্ত মহাসাগড় পাড়ি দেয়ার ফ্লাইট পাচ্ছিলাম না। তাই একটু বিকল্প উপায় খুঁজে নিলাম। ম্যানিলা থেকে দক্ষিন পূর্বে গেলাম সিডনী; এবং সিডনী থেকে উত্তর পূবে গেলাম হাওয়াই। আর হাওয়াই থেকে সোজা আরও পূবে চলে আসবো নিউ ইয়র্ক। ব্যাংকক-এ সামান্য কাজ ছিলো; ম্যানিলা থেকে ব্যাংকক গেলাম এবং সেখানে কিছু কাজ এবং চান্সে পূর্বে না দেখা সিয়াং-মাই ও ফুকেট দেখে আসলাম।

জ্বি এতেই আমার ইচ্ছেটির জয় হলো।

পূর্ব দিকে প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করে পুরো বিশ্বকে মাত্র ১ মাসে একটি চক্কর দিতে পারলাম।

কত টাকা খরচ হলো?

সত্যি বলছি আমি তা একটিবারও হিসাব করিনি।

হিসাব করে কখনও কোন ‘আনন্দ’ সম্পূর্ণ করা যায় না।

কোভিড প্যান্ডামিক পরবর্তী বর্তমান সময়ে বিমান ভাড়া একটু বেশী। হিসাবটা আপনিই করে নিন। আমি ক্লু দিয়ে দিচ্ছি। প্রতি ১০ হাজার কিলোমিটার বিমান ভাড়া কমবেশী ৫০০ ডলার। প্রতি রাতের হোটেল (থ্রি বা ফোর স্টার) ভাড়া কমবেশী ৭৫ ডলার। আর আমি দু’বেলা খাই। প্রতি বেলা খাবার খরচ গড়ে ১৫ ডলার।

এই মোটামুটি খরচ।

আশা করি অনেকেই তাদের সঞ্চিত প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে গেছেন।

আমার এই গল্পটির একটি মেসেজ রয়েছে।

গল্পটি লেখার সময় আমি একটি কথাই মাথায় রেখেছি – আর তা হচ্ছে আপনিও ভ্রমণ করুন। ভ্রমণ করতে পয়সা খরচ হয় না, প্রচন্ড ইচ্ছেশক্তি লাগে।

আর ভ্রমণ করার আগে প্রচুর স্ট্যাডী করুন।

সব বিষয়ে; যেমন, বৈশ্বিক অর্থনীতি, ভূগোল এবং নিজের ব্যাংক একাউন্টের দিকেও খেয়াল রাখুন।

ঘুরে দেখুন এই বিশ্বটাকে।

তবে, রবী দাদুর সেই কবিটাটুকুও মনে রাখবেন ভ্রমনে বের হবার আগে।

’বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে

বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,

দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।’

’দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শিষের উপরে

একটি শিশিরবিন্দু।’

নিজের দেশ দেখা দিয়ে আগে শুরু করুন।

কথা দিচ্ছি আপনি শুরু করুন, ইচ্ছে জাগ্রত রাখুন। এরপর দেখতে পাবেন এই পৃথিবীই আপনাকে তার অন্দরে অন্দরে টেনে নিয়ে যাবে।

আপনাকেও আর তখন টাকার চিন্তা করতে হবে না।

   Send article as PDF