১৭ কোটি আশরাফুল মাকলুকাত

বাংলাদেশের সতের কোটি মানুষ।
 
অর্থাৎ ১৭ কোটি আশরাফুল মাকলুকাত বসবাস করছে এই মাত্র ১৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাটাতে।
 
নিঃসন্দেহে ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার জায়গাটুকু ১৭০ মিলিয়ন লোকের বসবাসের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই সামান্য জায়গাটুকু ব্যবহার করে এই ১৭০ মিলিয়ন লোককে তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান এর সংস্থান করতে হয়, করতে হচ্ছে।
 
বিষয়টা অতি অবশ্যই অত্যন্ত কষ্টকর।
 
এই দেশে বলতে গেলে ন্যাচারাল গ্যাস ছাড়া কোন প্রাকৃতিক সম্পদও নেই। ঐ গ্যাসটুকুও নিজেদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ঠ নয়। এদেশে মানুষ যখন খুবই অল্প ছিল (আজ থেকে মাত্র এক-২০০ বছর আগেও) তখন মানুষ উর্বর জমি ব্যবহার করে এবং নদীর মাছ আরোহন করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
 
কিন্তু দুঃখজনক মজার বিষয় হলো তখনও তারা কিন্তু কষ্টেই ছিল।
তৎকালের জমিদাররাই ছিল সবকিছু, তারাই জমির মালিক, বাকীরা ছিলে স্রেফ প্রজা। শিক্ষা ছিল না। জমিদারদের ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর কথার বাইরে যাবার কোন সুযোগই ছিল না।
 
জমিদার, মোঘল, কোম্পানী, ইংরেজ, পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ এলো ঠিকই কিন্তু বাস্তবতায় সাধারণ মানুষগুলি এখনও সেই সাধারণই রয়ে গেল।
 
উপরোন্ত এখন এই সাধারণ মানুষদের সংখ্যা ১৭ কোটি।
জমিদারদের জায়গাটা দখল করেছে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি আর লাঠিয়ালদের জায়গাটা নিয়েছে পুলিশ বাহিনী।
 
যে ‘জমিদার’ এর যত ঘনিষ্ঠ তার হাতেই সব ক্ষমতা।
মুর্খ জমিদার তেলবাজীতে আনন্দ উপভোগ করে।
সুতরাং যে যত বেশী তেল মর্দন করতে পারে সে তত বড় ক্ষমতাবানে পরিণত হয়।
 
আরও একটা পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হয়ে আর তা হলো- আগের সেই সব জমিদারদের মধ্যে অভিজাত রক্ত ও শিক্ষার প্রচলন ছিল বংশপরম্পরায়। কিন্তু এখনকার জমিদারদের ভেতরে সেটাও নেই।
 
অতএব, বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
 
আর ১৭ কোটি মানুষ এটা ভেবেই ‘অস্থির’ এবং ‘স্থির’ যে, ‘আমাদের আর কোন কিছুই নেই, এভাবেই চলবে, এর থেকে বের হওয়াও অসম্ভব’।
 
‘যেহেতু আমরা গরীব, যেহেতু আমরা সহায়-সম্বলহীন, যেহেতু আমরা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধও নই এবং যেহেতু আমাদের টাকা নেই সেহেতু আমাদের এভাবেই জীবন পার করে দিতে হবে’।
 
আর ক্ষমতাসীন জমিদাররাও তার শিক্ষামন্ত্রী এবং পালিত বুদ্ধিজীবদের দিয়ে এই ১৭ কোটিকে বেশ ভালোভাবেই পোষ মানিয়ে নিয়েছে (মুলত চেতনাসমৃদ্ধ করে দিয়েছে) যে, আমাদের জাতির একজন বিশিস্ট পিতা ছিলেন, ওনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ, তারচে বড় মানুষ হওয়া অসম্ভব; তার অনেক স্বপ্ন ছিল- তোমরা ঐ স্বপ্ন দেখে দেখে বড় হও; আর কিছুই দরকার নেই।
 
তোমরা ১০০ কোটি টাকা খরচ করে লাইন ধরে জাতীয় সংগীত করবে, তোমরা ১৬ কোটি টাকা দিয়ে চেতনাসমৃদ্ধ রোবটের কথা শুনবে সেলফী তুলবে তাহলেই তোমরা যে ‘দেশপ্রেমিক’ সেটার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। দিবসগুলিতে খালি পায়ে ফুল দিবে, দু’চারটে দেশাত্মবোধক সংগীত করবে- ব্যস দেশ এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল হয়ে যাবে।
 
আর কি চাওয়ার আছে কিছু?
 
জমিদারদের একজন করে নায়েব থাকে, তাদেরও অর্থমন্ত্রী রয়েছে।
এসব অর্থমন্ত্রীরা আবার খুবই মেধাবী, বিশাল বিশাল ডিগ্রীধারী। কিন্তু তারা ‘স্বপ্ন’ পার হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ভারী ভারী ডিগ্রীও অর্জন করে থলে ভরে রেখেছে।
 
এসব ‘উচ্চ শিক্ষিত’ অর্থমন্ত্রীদের একটাই কাজ, আর তা হলো- ঐ যে ১৭ কোটি মানুষ তাদের থেকে ট্যাক্স আদায় করা। যে যত বেশী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে সে তত বড় নায়েব, ওহ সরি, ততবড় অর্থমন্ত্রী।
 
এই ১৭ কোটি মানুষ কিভাবে চলবে, কিভাবে পড়বে, কিভাবে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করবে- সেসব ভাবনার সময় তাদের কারো নেই।
 
তারা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়?
তারা রয়েছে মহিলারা কোথায়?
 
মুক্তিযোদ্ধা এবং মহিলাদের ঘর থেকে ডেকে ডেকে এনে কোটা প্রথার নামে চাকুরী ধরিয়ে দিলেই ‘স্বপ্ন’ পুরণ হয়ে দেশ ‘ডিজিটাল’ ছাড়িয়ে ‘এলটিএ’, ‘ফোর-জি’ হয়ে যাবে! সিংগাপুর অষ্ট্রেলিয়া হয়ে যাবে।
 
আর কি চাই?
সিংগাপুর অষ্ট্রেলিয়া পেয়েছেন তো!
 
ঐ ১৭ কোটিকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কিছু নেই।
যেহেতু আমরা গরীব, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নেই, সুতরাং আমাদের ভাবনাও কিছু নেই।
 
সিংগাপুর অষ্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছি- সেটাই অনেক।
‘চাষা-ভুষারা’ এরচে আর বেশী কি আশা করে! ‘বেশী উন্নয়ন কম গণতন্ত্র’র স্বপ্নও তো কম কিছু না!
 
সুতরাং এভাবেই চলবে।
না চললে তোমাদের দেশপ্রেম নেই, তোমরা পাকিস্তান চলে যাও।
যদিও পাকিস্তান এদের গ্রহণ করবে না কস্মিনকালেও!
 
তাহলে এরা যাবে কোথায়?
এদের পিঠ কি এখনও দেয়ালে ঠেকে যায়নি?
 
অথচ এই ১৭ কোটি মানুষ-কে আমরা কি একটি বারও ‘সৃষ্টির সবচে সেরা প্রাকৃতিক সম্পদ’ ভাবতে পেরেছি? ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ মানে ‘সৃষ্টির সেরা জীব’! আমরা কি ভাবতে পারি না?
 
তেলের খনির চেয়ে কি মানুষের মুল্য কম!
গোল্ডের খনির চেয়ে কি মানুষের মূল্য কম!
কয়লা খনির চেয়ে কি মানুষের মূল্য কম হয়ে গেল!
 
মানুষ কি প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ নয়?
মানুষ কি প্রকৃতির সেরা সম্পদ নয়?
 
এই ১৭ কোটি মানুষের মগজগুলি এই ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাতের চেয়েও শক্তিশালী কিছু রয়েছে কোথাও?
 
আমেরিকায় কি প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে? বলতে পারেন?
আমি যখন চায়নাতে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত দৌড়ে বেরিয়েছি আমার চোখের সামনে দেখতে পেতাম সারি বাঁধা গোছানো লাখো লাখো ইন্ডাষ্ট্রিজ। মার্কেট, রাস্তায় লাখো লাখো দোকানে বসে চায়নিজ ছেলে-মেয়েরা তাদের সেইসব ইন্ডাষ্টিজগুলোতে উৎপন্ন পন্য (প্রডাক্ট) গুলো বিক্রির নেশায় মত্ত। চায়নিজ ভার্সিটিগুলো তৈরী করে যাচ্ছে কোটি কোটি শিক্ষিত হাত, বলিষ্ঠ মার্কেটিং জেনারেশন। তারা বিক্রি করে চলছে তাদের উৎপাদিক পণ্য গুলো বাদবাকী বিশ্বের কাছে।
 
হংকং এর কোন কিছুই নেই, মানুষ ছাড়া।
সিংগাপুরেরও কিছুই নেই, মানুষ ছাড়া।
 
অথচ হংকং কে বলা হয় এশিয়ার রাজধানী।
এই হংকং থেকেই মুলত নিয়ন্ত্রিত হয় চায়না, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জাপানের উৎপাদিত পণ্যসমূহ। হংকং তো স্রেফ একটা মার্কেটিং হাব।
 
হংকং এর মানুষের একটাই কাজ, আর সেটা হলো আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা। তাদের কোন পণ্য নেই বললেই চলে। তারা অর্ডার নেয় আর কালেকশন করে চায়না, কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপান থেকে বিক্রি করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকায়, আফ্রিকায়, মিডিলইষ্টে, ভারত আর বাংলাদেশেও।
 
সিংগাপুরও তাই-ই করে।
 
এসব করেই আজ হংকং বা সিংগাপুরিয়ানদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার ডলার- আমেরিকার চেয়েও বেশী।
 
দেশকে উন্নত করতে, কর্মমুখী করতে সবচে বড় প্রাকৃতিক সম্পদ তো ‘মানুষ’, আসরাফুল মাখলুকাত। পবিত্র কোরানেও বলা হয়েছে।
 
আর আমরা সেরা প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে শিখছি তেল, কয়লা, সোনা! আমাদের নাকি কোন প্রাকৃতিক সম্পদই নেই!
 
বাংলাদেশের চারপাশে ভৌগলিক দৃষ্টিতে একটু নজর দিন।
দেখুন, বিশাল ভারত- তাদের পণ্য তালিকা, দেখুন পাকিস্তান, তাদের পণ্য তালিকা, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট প্রডাক্টএর দেশ চায়না, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া আমাদের কত কাছে। হংকং পারছে, সিংগাপুর পারছে।
 
আর আমরা বসে বসে জমিদারী দেখছি, কোটা খুঁজছি চাকুরীর। প্রাকৃতিক সম্পদ নেই বলে বলে চিৎকার করে অলস কাঁদছি।
 
বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোও। যে-কোন প্রডাক্ট আমরা মুহুর্তেই পেয়ে যাচ্ছি যে-কোথাও বসে। জাগিয়ে দিন বাংলাদেশের ১৭ কোটিকে বিক্রি করুক ভারত-চায়না-জাপান-কোরিয়া-মালয়েশিয়ায় উৎপন্ন পন্যদ্রব্য। শেষ করতে পারবেন বিক্রি করে?
 
পারবেন না, গ্যারান্টি।
 
সারা পৃথিবীতে সকল পন্যেরই সমান চাহিদা। মানুষ পন্য খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নিয়ে পৃথিবী নয়। আপনি চায়নার পন্য বিক্রি করে আমেরিকায়, কানাডায়, অষ্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায়, সাউথ আমেরিকায়।
 
আপনাকে চায়নাতেও যেতে হবে না।
আলীবাবায় একটা দোকান খুলে বসুন। ই-বে তে, আমাজনে দোকান নিন। কি পন্য বিক্রি করবেন সিলেক্ট করুন, তারপর পোডাক্ট পোষ্ট করুন। দেখুন- কত কত সাড়া পান। বিক্রি করে শেষ করতে পারবেন না।
 
আর এসবের জন্য ‘বাংলাদেশ সরকার’কে শুধুমাত্র একটা কাজ করতে হবে।
 
আর তা হলো প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সাপোর্ট প্রদান। ডাক-যোগাযোগ এবং স্থানীয় ও আন্তর্জঅতিক টেলিযোগাযোগ খরচ ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা, সস্তায় দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা।
 
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ব্যস্ত রয়েছে নিজের আয় বাড়ানো নিয়ে চিন্তায় সময় ক্ষেপন করতে।
 
যে সরকার নিজেই অর্থনীতি বুঝে না, যে সরকার জনগণকে নিজের ‘সন্তান’ ভাবতে পারে না, যে সরকার জনগণের আয় বাড়ানোর চিন্তা করার ক্ষমতাই রাখে না- সেই সরকার কিভাবে একটা দেশকে নেতৃত্ব দেয়!
 
দেশের সরকার প্রধানকে সর্বপ্রথম অর্থনীতি বুঝতে হবে।
দেশের সরকার প্রধানকে সর্বপ্রথম ‘জনগন’কে ‘সন্তান’ ভাবতে হবে।
একজন ‘সন্তান’কে মাসে ২ লাখ ডলার বেতন দিবেন আর বাকীদের দিকে তাকানোর সময়ও পাবেন না- এভাবে চলতে পারবে না; চলতে দেয়া যাবে না।
 
বাংলাদেশ সরকার, সরকারী কর্মকর্তা, অর্থমন্ত্রী এরা ‘অর্থনীতি’ বুঝে না। তাদের তা বোঝার মতো জ্ঞান বা দূরদর্শিতাও নেই।
 
এরা লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বসে রয়েছে ‘ট্যাক্স’ তুলে নিজেরা খাবে।
 
আর দেশের ১৭কোটি মানুষকে শোনাবে আমাদের কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই শুধুমাত্র কিছু স্বপ্ন রয়েছে। ওটা দিয়েই আমাদের সামনে সিংগাপুর আর অষ্ট্রেলিয়া দেখবো।
 
আর আমরাও তাই-ই দেখে যাচ্ছি।
আমরা দেখতে দেখতে ঘুমাচ্ছি। জেগে উঠার কোন তাড়া নেই।
 
আমেরিকার ৩২ কোটি মানুষের ৬৪ কোটি হাত এই পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষকে প্রতিনিয়ত ‘উঠ-বস’ করাচ্ছে শুধুই ‘মাথার বুদ্ধি জোরে’।
 
আমি এখন আমেরিকার এমাথা থেকে ওমাথা ঘুড়ে বেড়াতে পারছি। দেখছি প্রতিনিয়ন। এখানে আমি যা দেখছি- আমার চোখ জ্বলে উঠছে প্রতি নিয়ত। আজ সকালে ফিরলাম সান ফ্রান্সসসিকো থেকে, ওটা ক্যালিফোর্নিাতে। চায়নার মতো সেখানে হাজার হাজার ইন্ডাষ্টিজ আমি নিজের চোখে দেখেছি।
 
কিন্তু মজার বিষয়টা কি জানেন?
আমি দেখেছি ওসব ইন্ডাস্টিজগুলোতে ‘মানুষ’ তার মগজ ব্যবহার করে তৈরী করে চলছে সফটওয়ার, বাড়াচ্ছে হার্ডওয়ার ক্যাপাসিটি বা তৈরী হচ্ছে নতুন কোন চিন্তা!
 
নিজের চোখে দেখে আসলাম ফেসবুক, ইয়াহু, পেপল অফিস ও তাদের কার্যক্রম। সামান্য বুদ্ধি দিয়ে কিভাবে এরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এই পৃথিবীর। ইচেছ রয়েছে যাবো দেখতে নাসা, বোয়িং আর উইন্ডোজকেও।
 
আমেরিকার একটাই পণ্য- সেটা ‘বুদ্ধি’।
এরা শুধুই ‘বুদ্ধি-বৃত্তিক পণ্য তৈরীতে ব্যস্ত’।
 
আর আমরা প্রতিনিয়ত ব্যস্ত রয়েছি ‘চেতনা’ আর ‘স্বপ্ন’ নিয়ে।
 
আমাদের কোন তাড়া নেই।
 
মালদ্বিপস, ভুটান আজ আমাদের পেছনে ফেলে তরতর করে সামনে উঠে যাচ্ছে।
 
আমরা ব্যস্ত স্বপ্ন ও চেতনা নিয়ে।
 
সেদিনের মালয়েশিয়া সিংগাপুর আজ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানে নিজেদের পৌছে নিয়েছে।
 
আমাদের যে একটা পরিবর্তন দরকার- সেটা আমরা জানি না।
 
বুঝি না।
বোঝার চেস্টাও করি না।
   Send article as PDF