দেইয়ু মেটিজ

আমি খুব অল্প বয়স থেকেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী এবং উচ্চাভিলাসী।
আজীবনই সবকিছুকে বড় করে দেখতে ভালবাসি, বড় চিন্তা করতে ভালোবাসি। আমার পকেটে ক্যাশ যদি মাত্র ১০ হাজার ডলার থাকে, আমি অনায়াসে ১০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট করার স্বপ্ন তৈরী করতে পারি। করেছিও ওমনটা।

আমার এই উচ্চাভিলাসী চরিত্রটাকে কয়েকজন বন্ধুসম মানুষ আরও একটু চাংগা করে দিতে সহায়তাও করেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ভীতুর ডিম, বড় কিছু তারা ভাবতেই চায় না। আর বাদবাকী যারা বড় কিছু ভাবে- তারাও শর্টকাট রাস্তায় চলতে অভ্যস্থ।

অথচ, এটা যেন বিশ্বাসই করতে চায় না যে, ‘বড় হবার কোন শর্টকার্ট রাস্তাই নেই’।

আর তাইতো আমি শর্টকার্ট পথে কখনওই হাঁটি না। বুঝে শুনে ধীরে সুস্থে সামনে আগাতে ভালবাসি। হাল ছাড়ি না, প্রচন্ডভাবে লেগে থাকি। সম্ভবত এজন্যই আমার আব্বা খুব ছোট বেলায় আমাকে ‘বিচ্ছু’ উপাধিও দিয়েছিলেন। যেটাকে ধরবো, সেটাকে আর ছাড়বো না।

যাই হোক, আজ আরও একটা গল্প বলি। এখন বুঝে উঠতে পারছি না যে এক পর্বে লিখবো না কি দুই পর্বে। দেখা যাক, আমি তো আগে ভেবে নিয়ে কিছু লিখি না, তাই ঘটনা যেভাবে মোড় নিবে সেদিকেই চলবো।

মুলত কমপিউটার স্কুল দিয়ে আমি আমার ব্যবসায়িক জীবন শুরু করি। এরপর তা সম্প্রসারণ করি টেলিকম ও ইন্টারনেট সার্ভস প্রদানে। আস্তে আস্তে কমপিউটার রিলেটডে পণ্য নিয়েও কাজ করা শুরু করি। আর যারা আমার পুরাতন পাঠক, আপনারা তো জানেনই যে আমার হাতে কমপিউটার টাইপিং এর অবিশ্বাস্য স্পীডের কথা। আমি প্রতি মিনিটে একটা সময় ১২০টি ওয়ার্ড টাইপ করতে পারতাম। এখন অতটা পারি না তারপরও ৯৫/১০০ পর্যন্ত স্পীড তুলতে পারি। অর্থাৎ আমি মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ১২০ বার ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাংলা বা ইংলিশে টাইপ করতে পারতাম। আমি জানি না বাংলাদেশে আর কেউ তা পারে কি না।

এর সংগে সেই ২০০০ সাল থেকেই আমি নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি। অর্থাৎ আমার দিনগুলোই কাটতো কমপিউটার আর ইন্টারনেট দিয়ে সেই ২০ বছর আগে- যখন সবে বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট সম্পর্কে তেমন একটা জানতেও পারতো না।

পরিচিত সার্কেলে আমার এই বিশেষ গুনটি ছড়িয়ে পরতে সময় লাগলো না।

২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় এলো। বিএনপি ক্ষমতায় এসেই ঢাকার রাজপথে চলা টু-ষ্ট্রোক ‘বেবী ট্যাক্স’ বন্ধ ঘোষনা করে ফোর-ষ্ট্রোক সিএনজি চালিত অটো এবং কালো ও হলুদ রঙয়ের ট্যাক্সি ক্যাব পরিসেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো।

নতুন একটা ব্যবসার দিগন্ত খুলে গেল যেন।
এরমধ্যে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। আমার সেই ‘ইসরাফিল আলম মামা’ ২০০১ এর নির্বাচনে জীবনে প্রথম বার এমপি নির্বাচন করে পরাজিত হলেন। তার একটা ভাগিনা (আমার প্রিয় বন্ধু রামিনটন ভাই) নয়া পল্টনের শাহীন ভাইয়ের সংগে কোন ভাবে পরিচিত হলেন এবং শাহীন ভাই গাড়ীর ব্যবসায়ের কিছুটা অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যক্তি। রামিনটন ভাই সেই শাহীন ভাইকে বললেন, ‘আমাকে কিছু কালো বা হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব এর জন্য গাড়ী এনে দিতে পারবেন কি না?’

শাহীন ভাই নিজেও উচ্চাভিলাসী মানুষ।
তিনি ডান-বাম সামনে পিছনে কিছু না ভেবে বলে দিলেন, ‘হ্যা, কেন পারবো না? অবশ্যই পারবো। কতগুলি গাড়ী লাগবে এবং কত সিসি গাড়ী চাই, কোন ব্রান্ডের গাড়ী চাই বলেন।’

অনভিজ্ঞ মানুষ রামিনটন ভাই শুধুমাত্র বলেছিলেন, ‘ভালো একটা গাড়ী হলেই চলবে’।

ওদিনই সন্ধ্যায় শাহীন ভাই আমার অফিসে চলে আসলেন- তখন আমি সবে মাত্র আমার ব্যবসা ঢাকায় মুভ করেছি। তার সংগে আমার পরিচয়ও স্বল্পকালিন। তিনি আমাকে এসে বললেন, ‘পিয়াস ভাই আমাকে ভালো একটা গাড়ী খোঁজ করে দিতে পারবেন? ১৫০০ সিসির মধ্যে। আমি গাড়ী ইমপোর্ট করতে চাই’।

আসলে, আমি গাড়ী আমাদানী করবো- সেটা ভাববার মতো ম্যাচিওরিটি তখনও আমার আসেনি। তখন আমার বয়স ২৫ হবে হয়তো। কিন্তু বিষয়টি আমার কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং মনে হলো। ওদিকে শাহীন ভাইয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা আমি জানি, তার পক্ষে রিক্সা নিয়ে চলাফেরা করাও কষ্টকর। তারপরও আমি ভাবতে থাকলাম, ক্ষতি কি? দেখা যাক কি হয় শেষটায়।

আমি লেগে গেলাম আমার কাজে।
টানা ৩ দিন ইয়াহুতে গাড়ী খোঁজ করা শুরু করলাম। ডানহাতি, বাহাতি ইত্যাদি সব গাড়ীই রয়েছে বিশ্বজুড়ে। শতশত কোম্পানী। কোনটা রেখে কোনটার সংগে যোগাযোগ করবো। মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানী পেলাম, ইমেইল পাঠালাম। ওরা জানালো যে তাদের কোম্পানী এখনও অনেক ছোট এবং তারা বিদেশে এক্সপোর্ট করার মতো পজিশনে নেই। টয়োটা, হোন্ডা, নিশান, কিয়া এসব তো বাংলাদেশে রয়েছেই- সুতরাং ওসব বাদ দিয়ে গেলাম।

পাচ্ছিনা তো পাচ্ছিই না।
সপ্তাহ খানেক পর একটা অতি চমৎকার গাড়ী আমি খুঁজে পেলাম। সেটা ছিল কোরিয়ান দেইয়ু কোম্পানীর ভারতীয় প্লান্টে তৈরী করা ‘দেইয়ু ম্যাটিজ’ নামের একটি কিউট গাড়ী। আমি উত্তেজিত হয়ে গেলাম, রক্ত টগবগ করে ফুটছিল যেন। মনে মনে ‘উইরেকা’ বা ‘এই তো পেয়ে গেছি’ বলে চিৎকার করছিলাম যেন।

সংগে সংগে ইমেইল পাঠালাম। এবং ওদিনই বিকেলে রিপ্লে পেলাম। কিম জন, দেউয়ু ইন্ডিয়া মোটরস এর জিএম। তিনি লিখলেন যে আমার কাছে তিনি গাড়ী বিক্রি করতে রাজী এবং পরবর্তী যোগাযোগ মোহামেদ নামে একজন করবেন, কোন সমস্যা হলে আমি যেন তাকে সরাসরি ইমেইল পাঠাই।

শুরু হলো যোগাযোগ। শাহীন ভাইকে গাড়ী দেখালাম। প্রাইস বললাম।
শাহীন ভাই এর যেন ঈদ চলে আসলো। আমি কিন্তু তখনও পর্যন্ত রামিনটন বা ইসরাফিল আলম নামের কাউকেই চিনি ন। ওদিকে ইমেইল চালাচালি হচ্ছে আমাদের।

শাহীন ভাই ১০০ গাড়ী আমদানী করবেন বলে ঠিক করলেন।
আমরা ব্যাংকে যোগাযোগ করলাম, এলসি করবো। মর্গেজ দিতে হবে, সেটাও মোটামুটি রেডী করে ফেললাম।

এরমধ্যে, শাহীন ভাই একদিন আমাকে এসে বললেন যে, ‘পিয়াস ভাই, কাল একটা ছেলেকে নিয়ে আসবো, নামটা খুব মজার- রামিনটন। আপনি কিন্তু কোন অবস্থাতেই আপনার ফোন নাম্বার তাকে দিবেনা। রামিনটন ভাই কিন্তু প্রচন্ড চতুর ও বুদ্ধিমান মানুষ যদিও বয়স অনেক কম, হয়তো ২১/২২ বছর বয়স হবে। আপনি তাকে ভুলেও আপনার কোন ইনফরমেশন তাকে দিবেন না।’

আমার স্বাভাবিকভাবেই খটকা লাগলো।
আমি ততদিনে বুঝে গেছি যারা কোন কিছু গোপন করতে চায়, বা কথা এড়িয়ে যায় অথবা সামান্য বিষয়েও মিথ্যা বলে- তাদের মধ্যে বড় ঘাপলা থাকে। কিন্তু শাহীন ভাইয়ের ঘাপলাটা তখনও বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

পরদিন রামিনটনকে তিনি নিয়ে আসলেন।
রামিনটকে আমার ভালো লেগে গেল। অত্যন্ত চটপটে একটা ছেলে। সাদা একটা পাঞ্জাবী পরে এসেছে। তাকে কমপিউটারের স্কীনে গাড়ী দেখালাম, স্পেসিফিকেশন প্রিন্ট করে দিলাম। তাকেও খুব উৎফুল্ল মনে হলো গাড়ী দেখে।

আমি জানতে পারলাম শাহীন ভাইয়ের কাছ থেকে যে, রামিনটনের মামা ইসরাফিল আলম, যিনি এমপি নির্বাচন করে ফেল করেছে আওয়ামী লীগ থেকে। সেই মুলত গাড়ী বিক্রি করবে তার কাষ্টমারদের কাছে- এবং একজন শ্রমিক নেতা হিসাবে তিনি খুব পপুলার।

যাই হোক, আমার তখন ফেল করা এমপি নিয়ে কোনই আগ্রহ ছিল না।
আমি শাহীন ভাইকে বললাম, একটা কাজ করেন, আমরা চলেন দিল্লী গিয়ে গাড়ীর ফ্যাক্টরী আর গাড়ীগুলো দেখে আসি। আমরা যেন কোন রকমের ধরা না খাই। শাহীন ভাই আমার কথায় রাজী হলেন। আমি ইনভাইটেশন চাইলাম কোম্পানীর কাছে, তারা দিনে দিনেই ইনভাইটেশন লেটার পাঠালো। ৩ দিনের মধ্যে ভারতীয় ভিসাও করে ফেললাম।

ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে আমরা বিমানে ফ্লাই করবো। সকাল ৮টায় ফ্লাইট আমাদের, কিন্তু সেই ফ্লাইট আকাশে উড়লো বিকেল ৪টায়। ২ ঘন্টার বেশী উড়ে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলাম। তখনকার এয়ারপোর্টটি ঢাকার এয়াপোর্টের চেয়েও ছোট ও বাজে ছিল। বাইরে বৃষ্টি হচেছ এবং প্রচন্ড শীত। বড়দিনের প্রস্তুতি চোখে পরছে দিল্লীর রাস্তাঘাটে। ওটাই আমার প্রথম দিল্লী ভ্রমন। তখনকার মুখ্যমন্ত্রী শিলা দিক্ষিত। দিল্লী মেট্রো রেল তৈরীর কাজ চলছে।

ওহ আসল কথাই তো বলিনি।
আমরা ১৮ তারিখে ফ্লাই করবো, টিকেটও করা হয়ে গেছে। কিন্তু একটা আশ্চর্য্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে। ১৫ তারিখের পর থেকে কিম জন বা মোহামদ কেউ-ই আমার কোন ই-মেইল এর রিপ্লে দিচ্ছে না। ৩ দিনে কম পক্ষে ৩০টা ইমেইল পাঠিয়েছি কিন্তু কোন খবরই নেই। শাহীন ভাইকে বিষয়টা বললাম, যে ওরা তো কোন যোগাযোগ করছে না। কি করবো?

শাহীন ভাই বললেন, কোন একটা সমস্যা হতে পারে।
ওখানে তো শীত, বড়দিন বা অন্য কোন বিষয়ও হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু টিকেট কেনা হয়ে গেছে সেহেতু আমরা যাবোই। যা হবার ওখানে গিয়েই হবে।

এয়ারপোর্ট থেকে আমার একটা অটো নিয়ে পাহাড়গঞ্জ যাচ্ছি হোটেল নিতে।

শাহীন ভাই শকুনের মতো দৃষ্টি দিয়ে রাস্তায় তাকিয়ে আছে ‘দেইয়ও মেটিজ’ নামের কোন গাড়ী রাস্তায় দেখার জন্য। কিন্তু তিনি ঐ নামের কোন গাড়ীই দেখতে পেলেন না। কিছু হতাশা কাজ করছে- ঘটনা কি? গাড়ী থাকবে না কেন? সব ব্রান্ড, সব মডেলের গাড়ী রয়েছে অথচ মেটিজ থাকবে না কেন?

আমাদের অটো ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম যে মেটিজ নামের কোন গাড়ী অছে কিনা ইন্ডিয়াতে? অটো ড্রাইভার কিছুই বলতে পারলো না।

হোটেল নিলাম, দিল্লীর বিশ্রি খাবার খেয়ে ডিনার শেষ হলো।
হঠাৎ শাহীন ভাই ‘ইউরেকা’ বলে উঠলেন। তিনি একটি মেটিজ কার দেখেছেন। তার চেখে খুশীর দ্যুতি জ্বলে উঠলো। রাতে ফ্রেস ঘুম দিলাম। বিমানের ফ্লাইটে আমার ক্যামেরা চুরি হয়েছে, তাই আমার মন ভালো নেই।

পরদিন সকালে আলু-পরোটা দিয়ে ব্রেকফাষ্ট করলাম।
আমার কাছে দেইয়ু মোটরস এর ২-টি ঠিকানা ছিল। একটা দিল্লীর অপরটি নয়ডার। নয়ডা হলো দিল্লীর কাছে একটি বড় শিল্পাঞ্চল। যা হরিয়ানা যাবার পথে পরে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আগে দিল্লী অফিসে যাবো। ওদের সংগে কথা বলি, আমরা যে এসেছি সেটা জানাই; তারপর দেখা যাবে কি হয়।

গেলাম দিল্লীর অফিসে।
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। এটা ওদের রেজিষ্টার্ড ঠিকানা। কোন অফিস নেই ওখানে। তবে ওদের সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলাম এবং নয়ডা’র ফ্যাক্টরীতে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই। একটা ট্যাক্সি নিয়ে নিলাম। প্রায় ২-আড়াই ঘন্টা লাগবে।

নয়ডায় বিশাল ফ্যাক্টরী, বাইরে গেটে বিশালকার সাইনবোর্ড বড় করে লেখা Daewoo Motors India Ltd.

রিসিপ্টশনে গিয়ে আমার নাম বলে বললাম, তোমাদের কোম্পানীর জিএম কিম জন আছে কি না? তারা কথা বলে জানালো হ্যা। আমাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলো। মুখেই বিশাল মেটিজ কারের সাড়ি সাড়ি লাইন দেখতে পেলাম।

কিমের মন খারাপ।
আমাদের নিয়ে কনফারেন্স রুমে ঢুকলো। চা এলো। লিকুইড মিল্কের সংগে ২টি সুগার কিউব নিয়ে চামচ দিয়ে আমি চা নাড়ছি। তখনই সবচে বড় দুঃসংবাদটি দিলো কোম্পানীর জিএম কোরিয়ান ভদ্রলোক কিম জন। তার পাশে বসা অজয় বানশাল ও মোহমেদ।

বললেন তিনি, ‘আমাদের জন্য একটু বড় দুঃসংবাদ। কয়েক বছর যাবৎই কোরিয়ান দেইয়ু মোটরস এর খারাপ দিন যাচ্ছিল এবং তার ঢেউ এসে পরে ইন্ডিয়াতেও। দেইয়ু ইন্ডিয়ার ব্যাংকে দেনা বাড়তে বাড়তে এখন তা প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপিতে গিয়ে পৌছেছে। এমতাবস্থায় ব্যাংকগুলো মামলা করায় মুম্বই হাইকোর্ট আমাদের কোম্পানীর যাবতীয় কাযকর্ম স্থগিত ঘোষনা করেছে। তাই আমরা তোমাদের কোন ইমেইলও করতে পারিনি। আমরা এখন আর অফিস করতে পারছি না।’

তারা আরও বিস্তারিতভাবে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল।
যাই হোক, শেষটায় তারা জানালো যে তাদের হাতে সম্পূর্ণ রেডী অবস্থায় ৩১২টি মেটিজ কার রেডী রয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের কাছে এইসব কার সেল করতে পারবে না। এবং একমাত্র মুম্বই ‘ডেবট রিকভারী ট্রাইবুন্যাল’ চাইলে তোমাদের কাছে এই গাড়ী বিক্রি করতে পারবে। তোমরা চাইলে ডিআরটি’র সংগে যোগাযোগ করো। আমাকে তারা ডিআরটির যোগাযোগের সব ইনফরমেশন দিয়ে দিলো।

আমি আর শাহীন ভাই গাড়ী গুলো দেখলাম।
শাহীন ভাইকে মনে হলো প্রচন্ড হতাশায় ডুবে গেছেন।

আমার অবশ্য কোন ভাবান্তর ছিল না। কারণ আমি তো জানিই যে, ‘যেটা হবার সেটা হবেই- আমার আটকানোর কোন ক্ষমতাই নেই’।

পরদিন শাহীন ভাই তার সফর সংক্ষিপ্ত করে মনের দুঃখে ঢাকা ফিরে গেলেন।

আমি গেলাম না। দিল্লীতে ৩ দিন বেড়াবো। তারপর রাজধানী এক্সপ্রেস এ যাবো কোলকাতা। সেখানে নিউ ইয়ার (থার্টি ফাষ্ট নাইট) উদযাপন দেখবো। তারপর নতুন বছরের ২ তারিখে ঢাকা ফিরবো।

   Send article as PDF