ফ্যাসিষ্টের পাহারাদার

লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রতি বছর বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে। এ তালিকায় প্রথম সেরা ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান।


পরিস্কার অর্থ দাঁড়াচ্ছে যে, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার অবস্থা বর্তমানে খুবই শোচনীয়। যদিও সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের ৫৬টি, পাকিস্তানের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
১৯৭০ সালের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশ থেকে সবকিছু চুরি করে নিয়ে গেছে- তারা মনেহয় শিক্ষাটুকু বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়েছিল; ফেলে গেছে শুধুই মাকালফলগুলি। কিন্তু তাই বলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সব মাকালফলই থেকে যাবে? অবশ্য, বাংলাদেশের শিক্ষার মান মুলত নেমে গেছে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই- পরিসংখ্যান সেটাই নির্দেশ করছে।


দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চেতনা নির্ভর। সেখানে শুধুই চেতনার জয়জয়কার। কারণ চেতনা বিলি করতে কোন মেধার দরকার হয় না, গবেষনাও লাগে না; নেই প্রয়োজন যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কোন কাজ করারও। শুধুমাত্র হাতে বন্দুক থাকলেই চেতনার নেতৃত্ব দেয়া যায়। দিচ্ছেও তাই। তাদের একমাত্র কাজের নাম ‘লুটপাট’ এবং ‘গুলি’ বা ‘গুম’।


চেতনার প্রথম পাঠ হলো, বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবর রহমান। এছাড়া বাংলাদেশে আর কিছু নেই, প্রয়োজনও নেই। যেহেতু (চেতনা মতে) শেখ মুজিব সারা জীবন জেল খেটেছে সেহেতু সেই ঐ চেতনাজীবি আওয়ামী জাতির পিতা। তাদের যুক্তিতে শুধুমাত্র জেল খাটলেই জাতির পিতা হওয়া যায়।


এখন বিএনপি যদি কোন কালে এসে তারেক রহমানের বন্ধু মামুন অথবা উই আর লুকিং ফর শত্রুজ খ্যাত লুৎফুজ্জামান বাবরকে জাতির পিতা দাবী করে বসে তাতে আমি অন্তত ‘চেতনাদীপ্ত যুক্তি’র কোন অভাব খুঁজে পাবো না- বেচারা দু’জনই বিগত টানা প্রায় ১২-বছর যাবৎ জেল খেটে চলছেন। (শেখ মুজিবও ক্ষমতায় যাবার জন্য রাজনীতি করে জেল খেটেছেন, এরাও রাজনীতি করেই জেল খেটে চলছেন। শেখ মুজিব, মামুন, বাবর সকলেই ক্ষমতায় বসেই লুটপাট আর স্বজনপ্রীতি এবং দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার বর্বর প্রাকটিস করেছে। হিসাব সব একই।)


হ্যা, বলছিলাম চেতনার কথা। এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশটিকে কোন কালেও ‘চেতনা’ প্রদর্শন করতে দেখিনি। আমেরিকায় বেসিকেলী ‘অন্যতম জাতির পিতা’ (এদেশে জাতির পিতা মোট ৭ জন) জর্জ ওয়াশিংটন, এবং প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনকে স্বরণ করে বছরে ১টি দিন ‘প্রেসিডেন্ট’স ডে’ নামে পালন করা হয়। ব্যস এতটুকুই। এর বাইরে ফেডারেল ক্যাপিটল সিটির নামকরণ করা হয়েছে জর্জ ওয়াশিংটন এর নামের সংগে মিলিয়ে; আর সেই সংগে রাজধানীতে একটি ‘মুনুমেন্ট’ করা হয়েছে যার নাম ‘ওয়াশিংটন মনুমেন্ট’; ওয়াশিংটন ডিসির একটি শর্ত রয়েছে যে ঐ শহরে ওয়াশিংটন মুনমেন্ট এর’চে উঁচু কোন ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়া হবে না। এই পর্যন্তই। এদেশে কেউ দিবারাত্র জাতির পিতা জাতির পিতা বলে মুখে লালা ফেলে না।


আসলে একজন ব্যক্তির পুজা করে কখনও একটা দেশ দাঁড়াতে পারে না। তাকে দুনিয়ার সবকিছুই জানতে হয়, শিখতে হয়, বুঝতে হয়, চলতে হয়। যোগ্যতা অর্জন করে অপরকে যোগ্যতা দিয়েই টপকাতে হয়। অথচ ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশকে আজ একমুখী পুজায় বাধ্য করে রাখা হয়েছে- যার পরিণাম দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই বাজে অবস্থা। ‘জিপিএ পাইপ’ প্রজন্ম তৈরী করা হচ্ছে!


যাই হোক, মাথায় বাংলাদেশের পতাকার পট্টি লাগিয়ে, শরীরে লাল-সবুজের টি-শার্ট জড়িয়ে আর শতকোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগিত গাইলে যে দেশ-প্রেম হয় না সেটা তো আগেই (আগের কয়েকটি লেখায় বিস্তারিত) বুঝিয়েছি। এখন আর ওসব ভন্ডামী নিয়ে না লিখলাম। এই পৃথিবীর দ্বিতীয় একটি দেশও আমি দেখিনি যারা খালি পায়ে মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে কথিত দেশপ্রেম উদযাপন করে। ফুল হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরাও তাদের দেব-দেবীকে দেয় কিন্তু সেজন্য তারা জুতা পরেই বেদীতে দাঁড়ায়- পায়ে মাটি লাগায় না। আমি ঠিক জানি না কোন গোবরভর্তি মাথাওয়ালার মাথা থেকে ওসব মিনার-পুজা বের হয়েছিল ‘তথাকথিত’ দেশপ্রেমের নামে!


কোন সভ্য জাতি শরীরে, টি-শার্টে পতাকা টাঙিয়ে দেশপ্রেম দেখায় না- ওটা দিয়ে বরং নিজেকে সজ্জিত করা চলে। সভ্যরা কাজ করে, এবং সেই কাজের সাফল্য দিয়েই বিশ্বের দরবারে নিজেদের মাথা উচুঁ করে তুলে ধরে। কাজ দিয়ে সাফল্য তুলে ধরতে গায়ে লাল-সবুজ মাখাতে হয় না। ওসব ছোটলোকী, ওসব নষ্টামী।


দেশপ্রেম আর নষ্টামী একসংগে যায় না।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি যখন ঘোষনা করে যে তারা ১০ টাকায় ছা, ছিংগারা, ছমচা বিক্রি করে তখনই বুঝা যায় ওদের শিক্ষার মানে কি অবস্থা। এরা প্রতিবছর কাদের হাতে তুলে দিচ্ছে শিক্ষার নামে ওসব কথিত সার্টিফিকেটগুলি।


যাই হোক, এসব সার্টিফিকেটওয়ালারাই কোটা ও ঘুষের জোরে আজ বাংলাদেশ পুলিশ আর ডিটেকটিভ, র‍্যাব, সিআইডি তে নেতৃত্ব দিচ্ছে; সংগে আগে থেকেই যুক্ত রয়েছে সেনাবাহিনীর ডিজিএফআই। এরা কি করছে? এদের কাজ হচ্ছে দেশের অবৈধ দখলদার ‘ফ্যাসিষ্ট’ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তার পেছনে লাগা। এটাই হলো এসব ‘জিপিএ-পাইপ’ সার্টিফিকেটওয়ালাদের অফিসারদের একমাত্র কাজ।


এদের কারণেই শুধুমাত্র জীবন বাঁচাতে নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য, মুহাম্মদ ওয়াহিদ উন নবী স্বপনের মতো শত শত মেধাবীরা।


এসব ‘জিপিএ-পাইপ’ওয়ালা পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, আর ডিজিএফআই সদস্যরা ফ্যাসিষ্ট সরকারের পাহাড়াদার। এদের একমাত্র কাজ ফ্যাসিবাদের এর বিরুদ্ধে কোন কথা বললে তাকে যত উপায়ে সম্ভব ‘হ্যারাজ’ করা। জোরপূর্বক, অন্যায়ভাবে, আইনবর্হিভূতভাবে, গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই তুলে নিয়ে গিয়ে দেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালতে হাজির না করে আটক রেখে চুড়ান্ত রকমের শারীরিক নির্যাতন করে পুংগ করে দেয়া- যেন বাদবাকী জীবনে আর ভয়ে কথা বলতে না পারে। এভাবে বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুন ছেলেদের জীবন আজ পুংগ হয়ে রয়েছে; মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চিরতরে।


আর যাদের কিছুই করতে পারছে না, তাদের বিভিন্নভাবে হুমকী দিচ্ছে এবং ‘আরও একটি’ কাজ করছে- মুলত যা নিয়ে আজ লিখতে বসেছি। সেই কাজটি হলো, ‘পাগলা কুকুর লেলিয়ে দেয়া’।


কারা এইসব ‘পাগলা কুকুর’?ঐ যে বললাম, জিপিএ-পাইপ সার্টিফিকেটওয়ালাদের মাথা থেকে আর কতটুকু বুদ্ধি বের হবে? যারা ম্যাক্সিমাম ছা, ছিংগারা, ছমচা বানাতে শিখে গ্রাজুয়েট হয়েছে তারা আর কি করবে? বড়জোর একটা কামড় দিবে? হ্যাঁ দিচ্ছেও তাই।
জানতে পারলাম এসব ‘পাগলা কুকুর’দের নাকি অনলাইন বাজারে ছেড়েছে ডিজিআইএফ এর নেতৃত্বে, এরা নাকি আবার ট্রেণিং এবং কারাগরি সহায়তা নিচ্ছে ভারতের মুম্বাই ভিত্তিক ফেসবুক ফেরীফাইড বুম নামের কোন অখ্যাত টাউটদলের। এরা ফেসবুকে ভুয়া নাম ও ছবি ব্যবহার করে আইডি খুলে। তারপর যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লিখে মানুষকে সচেতন করতে চায়- তাদের ফলোয়ার হয়। এরপর তাদের পোষ্টকৃত লেখাগুলোতে এসে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পক্ষে কমেন্ট করে, অশ্লীল গালিগালাজ করে।
এইসব জিপিএ-পাইপওয়ালা পাগলা-কুকুরগুলির বিশ্বাস, এইসব সভ্য ও ভদ্রলোকদের যদি অশ্লিল গালি দেয়া যায় তাহলে তারা লজ্জায় আর ফ্যাসিবাদ বিরোধী কিছু লিখবে না। থেমে যাবে। আসলে কুকুর তো কামড় ছাড়া কিছুই জানে না- কি আর করবে?


অথচ, এই শেখ হাসিনার পাহাড়াদার জিপিএ-পাইপওয়ালা পাগলা-কুকুরগুলি জানেই না যে, ওসব ফেইক-আইডিগুলো যাষ্ট একটি ক্লিকের রিপোর্ট করে বন্ধ করে দেয়া যায় (আমি ইতিমধ্যে বিগত ১ মাসে এরকম প্রায় ২০০ ফেইক আইডি রিপোর্ট করে বন্ধ করিয়ে দিয়েছি)।


এরা যে কমেন্টগুলি করে, সেগুলি আপনি যদি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েন- তাহলে নিজেই লজ্জা পাবেন যে, বাংলাদেশের এসব ‘সরকারী অনলাইন কুকুর বাহিনীর’ যোগ্যতা নিয়ে। যারা না দিতে পারে কোন যুক্তি, না পারে যুক্তি খন্ডাতে, আর না জানে দু’লাইন ক্রিয়েটিভ কিছু লিখতে। আসলে কোটায় বা ঘুষ দিয়ে নিয়োগপত্র তো পেয়েছে জিপিএ-পাইপ সার্টিফিকেট এর কল্যানে। কিন্তু ওসব দিয়ে যে দু-লাইন লেখার যোগ্যতা অর্জিত হয় না সেটা ওদের কে বুঝাবে!


যাই হোক, আরও মজার বিষয় আছে। এরা আবার ফেইক আইডিও তৈরী করে- আমার নামেও তৈরী করেছিল যা আমি তৈরীর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রিমোভ করিয়ে দিতে পেরেছি। আমার বেশ কয়েকজন শুভাকাংখীকে ঐ ফেইক আইডি দিয়ে তারা ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠায়- তারা আমাকে ইনফর্ম করে। আর আমিও ফেবু কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করে দিলে সেটা রিমোভ হয়ে যায়।


সরকারী ওসব ছিচকে জিপিএ-পাইপ গোয়েন্দাদের বলছি, আপনাদের যোগ্যতায় কুলাবে না যে আমাদের সংগে পেরে উঠবেন; আমাদের সংগে টেক্কা দেবার মতো মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, দক্ষতা আর ক্রিয়েটিভিটির ধারেকাছেও আপনারা ভিড়তে পারবেন না- আমাদের কাছে ভীড়তে হলে ‘এক্সট্রা অর্ডিনারী ব্রেন’ দরকার হয়; জিপিএ-পাইপ সার্টিফিকেট দিয়ে এসব হয় না।


নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে ডিজিএফআই এর দুইটি বিশেষ ইউনিট [সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি) ও পাবলিক রিলেশন্স মনিটরিং সেল (পিআরএমসি)— হ্যাকিং ও বিভিন্ন ধরণের সাইবার অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত। এসব অপরাধ কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তু হলেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক ভিন্নমতালম্বী, বিরোধী গোষ্ঠী ও ছাত্র সংগঠকরা। উভয় ইউনিটই বেসামরিক চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মাধ্যমে “আক্রমণাত্মক সাইবার কার্যক্রম” পরিচালনা করে। এসব কর্মীরা সরাসরি পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি করেন।


আবার ঠিক এই দাবিরই সত্যতা মিলেছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের সাম্প্রতিক এক টিভি সাক্ষাৎকারে। ফেসবুকে সরকারের সমালোচনাকারী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিরোধীদের (যাদেরকে “ষড়যন্ত্রকারী” ও “গুজব প্রচারকারী” হিসেবে বর্ণনা করা হয়) বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাই ছিল ৩ এপ্রিল সময় নিউজে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু।


মন্ত্রী জব্বার ওই সাক্ষাৎকারে সময় নিউজের প্রতিবেদককে বলেন, “[ফেসবুক] তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য অজুহাতগুলো দাঁড় করায় যেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছুটা অসুবিধা ফেস করতে হয়। তবে আমরা এটাও বলে রাখি যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যেমনি করে কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আমাদের ছেলেমেয়েরা কিন্তু এই কর্তৃপক্ষ ছাড়াও কোথায় কে কি করছে সেটি আইডেন্টিফাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতন, তাদের আইডি হ্যাক করার মতন অথবা বন্ধ করার মতন ব্যবস্থা নিতেও আমরা সক্ষম হয়েছি। এটি সুখের বিষয়, আমি বলবো।”
তিনি আরও বলেন, “দেশবাসী আশ্বস্ত হতে পারেন যে আমাদের এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমরা যে টিমটা এখন কাজ করছি সেই টিমটা অত্যন্ত সতর্ক, অত্যন্ত সক্ষম, প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং সেই কারণেই কারো পক্ষে পার পেয়ে যাওয়াটা সম্ভব হবে না।”


তো ‘বিজয় সফটওয়্যার এর চোরাই মালিক’ মোস্তাফা জাব্বার মশাই আপনি তো আমাকে বেশ ভালোই চিনেন, জানেন; এফবিসিসিআই এর বিভিন্ন সভা, ডিনার, মিটিং এ আপনার সংগে কথাও হয়েছে অনেক বার। আসেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম আপনার বাংলাদেশ সরকারকে। আমার আইডিটি হ্যাক করে দেখান, দেখি আপনাদের জিপিএ-পাইপ সার্টিফিকেটধারী ‘অত্যন্ত সতর্ক, অত্যন্ত সক্ষম, প্রযুক্তিসম্পন্ন টিম’টি আমার কোন লোমটি স্পর্শ করতে পারে! আমার চ্যালেঞ্জটি গ্রহন করেন। দেখি পারেন কি না- কি মাপের প্রযুক্তিসম্পন্ন টিম আপনাদের দেখি।


আসলে এই এরাই তারা যারা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো একজন সামান্য ‘কমপিউটার বিক্রেতা’কে বানিয়ে ফেলেছে তথ্য-প্রযুক্তিবিদ, কমপিউটার বিজ্ঞানী- তাদের কাছে একটু আধটু হ্যাক করা বিজয় সফটওয়ার চালিয়ে দেখাতে পারলেই যে বিশাল প্রযুক্তিবিদ হয়ে যাওয়া সম্ভব! সবই জিপিএ-পাইপ প্রযুক্তির কারসাজি।


আপনাদের হাতে একটি বন্দুক আছে বিধায় দেশের মানুষ আপনাদের ভয় পেয়ে কিছু বলে না, মুখ বন্ধ রাখে।


আমাদের মুখ বন্ধ করার যোগ্যতা, মেধা, দক্ষতা, শিক্ষা বা ক্ষমতা কোনটাই আপনারা রাখেন না- সেই মেধাই তো আপনাদের নেই। পারবেন কিভাবে? দেশের মানুষের টাকা-পয়সা লুটেপুটে খাচ্ছেন খেতে থাকেন। সময় আসবে- আপনাদেরও চিনে রাখা হচ্ছে, সামনে একদিন দাঁড়াতেই হবে। সে দিন কি করবেন?


তারচে বরং সুসভ্য হোন। ফ্যাসিষ্টের দালালী না করে, দেশের মানুষের দালালী করুন- যাদের টাকায় নিজে স্ত্রী-সন্তানদের তিন বেলা খাবার কিনে খাওয়াচ্ছেন তাদের প্রতি দায়িত্ববান হোন। শেখ হাসিনা নিজেই তো আমাদের টাকায় খানা খায়, আপনারা তার ভরসা না করে দেশের জনগণকে ভরসা করেন- তাতে কিছুটা কাজে দিবে।


আপনাদের আরও একটা যোগ্যতা (!) প্রমাণ দিই।আমার একটি লেখার বিরুদ্ধে আপনার সরকারীভাবে ফেসবুকের কাছে নালিশ দিলেন- সেই লেখা ‘লোকল রিষ্ট্রিকশন’ এর কারণে বাংলাদেশে ব্যান করে দিলো- লেখাটি প্রকাশের ১ মাস পর। তো, ১ মাস পর সেই লেখার কি আদৌও কোন সামাজিক ভ্যালূউ থাকে? আপনাদের যোগ্যতাটুকু বুঝতে পেরেছেন তো?


এসব ‘ছ্যাচড়ামি’ বাদ দিন।আমাদের সংগে লাগার যোগ্যতা আপনাদের ঐ ‘ফ্যাসিষ্ট অবৈধ বাংলাদেশ সরকার’ অর্জন করতে পারেননি, পারবেনও না কোন কালে। শুধুশুধু সময় নষ্ট করছেন।


সুপথে আসুন।ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাম, গাদ্দাফি, শেখ মুজিবরাও ধ্বংশ হয়েছে- কেউ চিরকাল অন্যায় করে টিকে থাকতে পারে না।


আপনারাও পারবেন না। বিদায় আসন্ন। সময় আসবেই।

   Send article as PDF