বাংলার দেশ

ঢাকা শহরে যদি আপনার একটি চমৎকার অফিস এবং একটি ড্রাইভারসহ গাড়ী থাকে; এবং আপনার মাথায় যদি একটু ’বাড়তি মগজ’ থাকে তাহলে আপনি চাইলে ২-চারটে মন্ত্রী দিব্যি পকেটে পুরে ঘুরতে পারবেন।

এটা কোন ব্যাপারই না।

আর এর কারণটাও বেশ ঝকঝকে পরিস্কার।

বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে হলে ‘মেধাবী’ হওয়া বা ‘বুদ্ধি” থাকার প্রয়োজন নেই – খুব ভালো মাপের ’তোষামদী’ করতে পারলেই বড় মন্ত্রী হওয়া যায়। আর এসব মন্ত্রীরা যেহেতু মেধাবী নয়, এমনকি সেরকম বুদ্ধিমানও নয় সেহেতু – এরা নিজেরাই একটা ‘চালাক’ ও ’ডাটওয়ালা ’বুদ্ধিমানদের দেখা পাবার জন্য অধীর আগ্রহে উম্মুখ হয়ে থাকে। তাদের একটাই ধান্ধা থাকে কিছু চালাক লোকদের চালাকি ব্যবহার করে বাড়তি টাকা আয় করা; এবং করেও তাই।

আর ‘এদের’ যদি একটু মাথা খাটিয়ে ফাও ‘মাল’ কামানোর কোন একটা ‘ধান্ধা’ বের করে দেয়া যায় – তাহলে তো কথাই নেই।

যাই হোক, আমার একজন পরিচিত ’মানুষ’ ছিলেন, তার শুধুই একটা গাড়ী ছিলো (ড্রাইভারসহ); অফিসও ছিলো না; তার নাম ছিলো শাহীন। যদ্দুর মনে পরে সে একসময় বিএনপি আমলের ভূমিমন্ত্রী শামসুল ইসলামের এপিএস ছিলেন (যদি আমার স্মৃতিশক্তি বিট্রে না করে থাকে!)। কোনও একটা প্রজেক্ট নিয়ে তার সংগে আমার যোগাযোগ। তারপর একটু ‘ভালো সম্পর্ক’ হয়ে উঠে। বেশ কয়েক বছর আমাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ ছিলো।

একবার সে আমাকে তার একজন বন্ধুর সংগে পরিচয় করিয়ে দেবার আগ্রহ প্রকাশ করে। কয়েকদিন বলার পর আমি আগ্রহী হই। শাহীন ভাইকে কোন প্রশ্নই করিনি ঠিক কি জন্য তিনি আমাকে তার বন্ধুর সংগে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। প্রশ্ন করিনি কারণ, প্রয়োজন মনে করিনি। শাহীন ভাই খুবই বুদ্ধিমান ও ধুর্ত মানুষ। কাজেই নিশ্চয়ই কোন ‘ভালো’ কারণে থেকে থাকতে পারে বলেই আমি ধরে নিয়েছিলাম।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের মালিকের নামটা যেন কি?

ওয়েট একটু ‍গুগল করে নিই।

হ্যা মনে পরেছে, ডা. ইকবাল। পরবর্তীতে সে আওয়ামী এমপিও হয়েছিলো। এখন কোথায় কি অবস্থায় আছে জানি না।

গুলশানে এই ইকবাল সাহেবের একটি ‘ভবন’ রয়েছে নাম, ইকবাল সেন্টার। সেই ইকবাল সেন্টারের ৯ তলায় অফিস ছিলো শাহীনের বন্ধুটির।

দুর্দান্ত রাজকীয় এক অফিস। পরিপাটি। বেশ গোছালো, দেখলেই মনে হবে বিশাল এক ব্যবসায়ীর অফিসে এসেছি।

ভদ্রলোক তার অফিসে আমাদের লাঞ্চ করালেন। তারপর নানা গল্প। বাংলাদেশে কি কি প্রজেক্ট করা যায় এসব আলোচনা, কোন প্রজেক্টে কেমন লাভ হতে পারে এসব ফালতু প্রসংগ। আমি শুনছিলাম। কথা বলছিলাম কম। আসলে আমি টু-দ্য-পয়েন্ট ছাড়া কথা বলে আনন্দ পাই না।

যাই হোক, প্রসংগ সেটাও না।

মুল কথাটা হচ্ছে, তিনি একটা মজার কথা বলেছিলেন কথায় কথায়।

তিনি বলেছিলেন, তার বক্তব্য অনেকটা এরম, “আমার হাতে যখন প্রচুর টাকা থাকে তখন আমি চুপচাপ হয়ে যাই। অল্প খরচ করি। এমন একটা ভাব নিয়ে চলি যে – আমার কিছুই নেই। সাধারণ গাড়ী ব্যবহার করি। অফিসের প্রাচুর্য কমিয়ে আনি। আর যখন হাতে টাকা থাকে না বা ক্রাইসিসে থাকে তখন আমার চলাফেলা হয়ে উঠে রাজকীয়। রাজকীয় অফিসে বসি, কয়েকটা ল্যান্ড ফোন ইউজ করি – তারমধ্যে একটি ডাইরেক্ট নাম্বারও থাকে যা সবাইকে দিই না; অফিস ভর্তি কর্মচারী আর ব্যবহার করি একটি আলিশান গাড়ী। এসব এজন্য করি যে মানুষ বুঝতে পারে এই লোকটা অনেক পয়সাওয়ালা কাজেই তাকে বিশ্বাস করা যায়, তার হাতে পয়সা দিলে সে নস্ট করবে না। আদতে কাজটি হয় উল্টো! এরা পাবলিক বুঝে না বা বুঝবেও না।’

আমি ভদ্রলোকটির কথায় উৎসাহ পাই।

বোঝার চেস্টা করি তার বক্তব্যের সারমর্ম। কি বলতে চান তিনি?

শেষটায় বললেন, ‘বুঝতেই পারছেন তাহলে আমার বর্তমান অবস্থা কেমন? আসলে জলদি একটা ভালো প্রজেক্ট দরকার। হাত একদম খালি।’

যখন বিদায় নিবো, তিনি নীচ পর্যন্ত এসে তার গাড়ীর কাছে নিয়ে গেলেন, গাড়ীটি দেখালেন। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে সেটা একটা লেটেস্ট মডেলের দামী গাড়ী ছিলো।

এই পুরো গপ্পের সারাংশ হচ্ছে, ‘উপর দিয়ে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’।

তাহলে এতগুলো গল্প কেন বললাম?

কারণ নিশ্চয়ই রয়েছে। এবার চলুন মুল গল্পে যাই।

বাংলাদেশের জন্মের অদ্যাবধি পরপরই অর্থাৎ মুজিব আমলে আমেরিকার সেক্রেটারী অব স্টেট বা পররাস্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হেনরী কিসিঞ্জার। ভদ্রলোক এখনও দিব্যি বেঁচে আছেন। তিনি নাকি তখন ‘বাংলাদেশ’কে উপাধী দিয়েছিলেন – ‘বটমলেস বাস্কেট’। হেনরী কিসিঞ্জার মার্কিন রাজনীতিতে খুবই সম্মানিত একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন – তার জন্ম আমেরিকার মাটিতে হয়নি বলে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি; তিনিও আলবার্ট আইন্সটাইনের মতোই একজন জন্মসূত্রে জার্মান ইহুদী এবং পরবর্তীতে আমেরিকান সিটিজেন হয়েছিলেন। নইলে তিনি নিশ্চিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন বলেই ধরে নেয়া হয়।

কথাটা হেনরী কিসিঞ্জার সরাসরি বললেও বাংলাদেশ যে সত্যিকারার্থেই একটি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ সেটা কিন্তু বুদ্ধিমান মানুষ মাত্রই বিশ্বাস করে।

ছোট্ট একটি দেশ, ১৭ কোটি তার মানুষ।

পৃথিবীর সবচে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ এই বাংলাদেশ।

’প্রডাক্টিভ’ উৎপাদন বলতে এক গার্মেন্টস ছাড়া আর উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই বললেই চলে। আর রয়েছে সস্তা জনশক্তি রপ্তানীর ব্যবসা। অর্থাৎ শুধুমাত্র ম্যানপাওয়ার আর গার্মেন্টস রপ্তানী থেকেই এদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে। আর বাদবাকী সবই ব্যয়। দেশে উল্লেখ করার মতো ইন্ডাষ্ট্রিজ নেই, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বা ছিলো না কোনও কালেও। খাবার পানি বাদে মোটামুটি সবই আমদানী করে চলতে হয় দেশটির। ফরেন রেমিটেন্সে একবার ঘাটটি পরলে দেশটি সাম্প্রতিক শ্রী লংকার চেয়েও বাজে অবস্থায় পতিত হবে।

জিয়াউর রহমানের পর বাংলাদেশ অদ্যাবধি কোন ভালো বা দূরদর্শি নেতৃত্ব পায়নি যে দেশটিকে সঠিক পথে পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখে। আর একটি দেশকে সামনে টেনে তুলতে হলে যতটা মেধাবী একজন পরিকল্পক ও অর্থনীতি বুঝেন এমন নেতার প্রয়োজন সেটা বাংলাদেশ একদিনের জন্যও পায়নি। এটাই বাংলাদেশের সবচে বড় সমস্যা হয়ে রয়েছে। সকলেই শুধুমাত্র সাময়িক জোড়াতালি দিয়ে সমস্যা কাটিয়ে নিতে চেস্টা করে গেছে। দূরদর্শি কোন পরিকল্পনা দেশটিতে দেখা যায়নি কখনও।

শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দখল করেন ২০০৯ সালের শুরুতে। এবার ক্ষমতা হাতে নিয়েই তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন যে – তিনি আর ক্ষমতা ছাড়বেন না। যেটা তার সংগে সংশ্লিষ্ট সকলেই জানতেন। এমনকি আমিও এমন একটা ‘কথা’ ২০১০ সালের গোড়ার দিকেই জানতে পারি যদিও সত্যি বলতে আমি তা বিশ্বাস করিনি। বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু সময়ের কিছু পটপরিবর্তনের সংগে সংগে শেখ হাসিনার কর্মকান্ড আমাকে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলো।

শেখ হাসিনা ক্ষমতা হাতে নিয়েই তার কথিত সেই ‘কম গণতন্ত্র বেশী উন্নয়ন’ তত্ব হাজির করেছিলেন। সেসময় আমার এক বন্ধুদের আড্ডায় যখন এই ‘কম গণতন্ত্র বেশী উন্নয়ন’ নিয়ে আলোচনা চলছিলো, তখন আমি কিছুটা শাউট করেই বলেছিলাম, ‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের বুঝেটা কি? একটা দেশের ‘সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ না করে একটি দুইটা ব্রীজ-টানেল বা কিছু খাপছাড়া রাস্তা ও কিছু অট্টালিটা তৈরীকে উন্নয়ন বলে না। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী কোন নেতারই একটি ‘সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ কথাটি বোঝার যোগ্যতা নেই। এরা দেশটাকে সমুলে ধ্বংস করে দিবে; আর কম গণতন্ত্রের নামে হত্যা করবে বিরোধীমতের সকল মানুষকে। ওই মিটিং এ উপস্থিত আমার কিছু বন্ধু সেদিন আমার সংগে একমত হতে পারেনি। কিন্তু আজ তারা আমাকে সেদিন তাদের মতামতের জন্য ভুল স্বীকার করে।

শেখ হাসিনা মুলত যে কাজটা করেছিলেন সেটা খুবেই সস্তা দরের একটা কাজ। যে কাজ করার জন্য কিছু ‘চটকদার’ ভাব দেখাতে হয়। শেখ হাসিনা ঠিক তাই-ই দেখিয়েছিলেন। এরচে বেশী কিছুই না।

কিছু মানুষ রয়েছে, যারা কিছু ঘুষ-টুষ বা কমিশন দিয়ে এবং কিছু বড়বড় আত্মীয় বা বন্ধুদের জোরে ব্যাংক থেকে নামকাওয়াস্তে কিছু মর্গেজ জমা রেখে শতশত কোটি টাকা লোন করে ফেলে। অতপর সেই লোনের টাকা দিয়ে প্রথমেই একটি দামী গাড়ী কিনে। একটি রাজকীয় বাড়ী করে এবং দাপুটে অফিস ভাড়া নেয়। নিজের লাইফস্ট্যাইল পরিবর্তন করে ফেলে; গরীব মানুষদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে চলে। এরা কোন ব্যবসা বাণিজ্য করে না, ব্যবসা বাণিজ্য বুঝেও না। দু’টাকা যে আয় করবে মাথা বা শরীর খাটিয়ে সেই যোগ্যতাও তাদের থাকে না। দু’-৪-পাঁচ বছর পর্যন্ত সেই লোনের টাকায় রাজকীয় বিলাসী জীবনযাপন করে; স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে ইওরোপ-আমেরিকা ঘুরে বেড়ায়। একসময় দেওলিয়া হয়ে যায়। ব্যাংক টাকা ফেরত দেবার জন্য তাগাদা দেয়, দৌড়ের উপর রাখে।

শেখ হাসিনার অবস্থা বর্তমানে ঠিক তেমনটি হয়ে উঠেছে।

শেখ হাসিনা কম গণতন্ত্রের নামে প্রথমেই বিরোধীমতের মানুষদের ধরে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দেয়; কঠিন নির্যাতন করে পুংগ বানিয়ে ফেলে। কিছু মানুষকে গুম করে, কিছু মানুষকে দেয় ক্রসফায়ারে আর কিছু মানুষকে রাস্ট্রিয়ভাবে কথিত বিচারের নামে হত্যা করে।

ফলাফল দেশের মানুষ ভীতু হয়ে যায়।

সকলে ভয় পাওয়া শুরু করে, হাচিনার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

এরপর বেশী উন্নয়নের প্রচারণায় নামে শেখ হাসিনা ও তার লাঠিয়াল বাহিনী ও মোসাহেবগণ। যারা ‘উন্নয়ন’ শব্দটির প্রকৃত অর্থও জানতো না, এমনকি এখনও জানে না। উন্নয়নের নামে পৈত্রিক উন্নয়ন বাড়াতে থাকে, প্রথমেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। শেখ হাসিনা জানে মানুষ মুর্খ থাকলে তাদেরকে ভুলিয়ে রাখা খুবই সহজ। সে সহজ রাস্তাতেই হাটা শুরু করে।

মোসাহেবদের নামিয়ে দেয় সেই কথিত উন্নয়নের প্রচারণায়। তৈরী করে একটা বড় ব্রীজ, একটি টানেল, কিছু ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেল। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেবার দাম্ভিকতা আমরা এই সেদিনও দেখেছি তার মন্ত্রীদের মুখে মুখে। তারা একেকবার বাংলাদেশকে সিংগাপুর বানিয়ে দিয়েছে। কখনও বানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া আর মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে ঢাকাকে দেখেছিয়ে লস এঞ্জেলেস!

সেই ফ্লইওভার, সেই মেট্রোরেল, সেই টানেল, সেই বিদ্যুৎ, সেই মধ্যম আয়ের দেশ, সেই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, সেই উন্নয়নের রোল মডেল সবই আজ বিদ্যুতের লোড শেডিং এর ব্লাক-আউটের মতোই তাদের মুখ থেকে ব্লাক-আউট হয়ে গেছে। ঠিক যেমন অনেক আগেই ব্লাক-আউট হয়ে গেছে শেখ হাসিনার পূর্বে আগের ব্যবহৃত উপাধী ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ যা এখন আর কোন সাধারণ আওয়ামী কর্মীটি পর্যন্ত ভুলেও উচ্চারণ করার স্পর্ধা দেখায় না।

এখন আর কথিত জিডিপি, কথিত মধ্যম আয়, কথিত ৩,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয়ের গল্প বলতে চায় না – বন্ধ হয়ে গেছে তাদের মুখ। এখন শুধুই ‘দুঃর্ভিক্ষ’ হবার ভয় দেখাচ্ছে সেই উন্নয়নের রোল মডেল ও তার মোসাহেবরা।

কথিত সেই উন্নয়নের নাম করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে ১৭ কোটি মানুষের মাথার মর্গেজ দেখিয়ে দেশে ঋণ এনে তা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য এবং মোসাহেবরা ফুর্তি করে উড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি ফরেন রেমিটেন্স থেকে আয় করা রিজার্ভের টাকাও অলমোস্ট আজ গায়েব করে দিয়েছে হাচিনা ও তার পরিবার।

এবং এখন যখন নিজেরাই বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের নীচের মাটি আজ ফাকা; ঝুড়ির তলা খুলে গেছে – তখন সে নিজেই জনগণকে সম্ভ্যাব্য দুঃর্ভিক্ষ মোকাবেলা করার ভয় দেখাচ্ছে।

যেই শেখ হাসিনা সেদিনও বিদেশে চাকুরী করতে যাওয়াদের ‘শখে বিদেশ যায়’ বলে তুচ্ছ-চাচ্ছিল্য করেছেন সেই শেখ হাসিনার এখন শেষ কামড় বসেছে ঐ প্রবাসীদের পাঠানো ফরেন রিজার্ভের ইনকামের উপর। সেদিনও প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আজ নেমে ২৮ বিলিয়ন হয়ে গেছে। যার শেষ হতে কয়েক মাসও লাগবে বলে মনে হচ্ছে না। গত মাসেও সরকার চালাতে ব্যাংক ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়েছে শেখ হাসিনা।

এরপর কি করবে?

তলাবিহীন ঝুড়ি কোন কিছুতেই যে পূর্ণ হয় না সেটা শেখ হাসিনাকে কে বুঝাবে?

তার নিজের বাবাও তো তা আমৃত্যু বুঝেনি।

শেখ হাসিনা কোত্থেকে বুঝবে?

শেখ মুজিব ঠিক যেভাবে ৭৪রের দুঃর্ভিক্ষ দিয়ে দেশের মানুষকে ভুগিয়েছিলো; মুজিব কন্যা হাচিনাও তেমনি আরেকটি দুঃর্ভিক্ষের খুব সন্নিকটেই পৌছে দিয়েছে দেশটাকে।

সাধারণ মানুষগুলোর কপালে আরও কি কি দুর্গতি অপেক্ষা করছে – সেটা একমাত্র তিনিই জানেন।

মহান আল্লাহ-ই একমাত্র পারেন দেশের মানুষগুলোকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করতে।

   Send article as PDF