স্মার্ট ট্রাম্প কার্ড

বাংলাদেশে কমবেশী শ’পাচেক টাকা হলে একজন দিনমজুরকে দিয়ে বা হেলপারকে দিয়ে মোটামুটি দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
 
আমেরিকার হিসাবটা আরেকটু ভিন্ন।
বাংলাদেশে ব্যাংক, এয়ারলাইন্স বা মোবাইল কোম্পানীগুলিতে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদগুলির চাকুরী বেশ লোভনীয়। ভাল বেতন পাওয়া যায়, এয়ারকন্ডিশন্ড অফিসের ভেতরে চেয়ার-টেবিলে বসে যেমন কাজ করা যায় আবার বেতনটাও যোগ্যতার তুলনায় বেশ লোভনীয়ই বটে।
 
শুনে কিন্তু আপনি হোচট খাবেন যে- এই আমেরিকায় মানুষের সবচে অপছন্দনীয় চাকুরী হলো ব্যাংকের এক্সিকিউটভ, এয়ারলাইন্স কর্মী ইত্যাদি। কারণ ওখানে বেতন মাত্র ১২ থেকে ১৩ ডলার ঘন্টা হিসাবে শুরু হয় এবং ট্যাক্স কাটার পর সেটা খুবই কম হয়ে যায়। সুতরাং এদেশে কেউ-ই ওসব সস্তা চাকুরী করতে চায় না।
 
তাহলে দামী চাকুরী কোনটা এখানে?
আমেরিকায় দিনমজুর বা হাতের কাজ জানা লোকদের বেতন সবচে লোভনীয়। একজন দক্ষ প্লাম্বার বা কন্সট্রাকশন লেবার দৈনিক ন্যূনতম ৩০০ ডলারেরও বেশী আয় করে- যা মাসে ৯ থেকে ১০ হাজার ডলারে গিয়ে ঠেকে; ওটার বাংলাদেশের হিসাবে অংকটা হয় ৮ লাখ টাকারও বেশী।
 
আচ্ছা চলুন তো একটা হিসাব করি।
মনে করুন বাংলাদেশে একজন ডেইলী-লেবারকে যদি দৈনিক ৫০০ টাকা নয়- তাকে দৈনিক ২৮ হাজার টাকা বেতন দিতে হতো- তাহলে পদ্মা সেতু তৈরীতে কতজন লেবারের প্রয়োজন হতো এবং ঐ পদ্মা সেতুটি তৈরীর বাজেট কত লাখ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকতো?
 
থাক, এটা অনেক জটিল অংক।
জটিল অংক আপাতত থাকুক। আপাতত একটা সংবাদের কোটেশন শুধুমাত্র এড করে দিই- ‘ইউরোপে চার লেনের নতুন মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়ছে ২৮ কোটি টাকা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ ব্যয় ১০ কোটি টাকা। আর চীনে তা গড়ে ১৩ কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশের তিনটি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ব্যয় ধরা হচ্ছে কিলোমিটারপ্রতি গড়ে ৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেন নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। ফলে মহাসড়ক নির্মাণ সবচেয়ে ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।’
 
আমেরিকা বা ইউরোপে যদি দৈনিক (৮ ঘন্টার বেতন) ২৮ হাজার টাকা লেবারকে দিতে না হতো- তাহলে তাদের খরচ হতো কত টাকা?
 
পদ্মা নদীর উপর নির্মিতব্য সেতুটির পেছনে যে পরিমান টাকা নষ্ট করা হচ্ছে তা দিয়ে আরও ৫টি সমমাপের সেতু তৈরী করা সম্ভবপর ছিল- যদি ওখানে থেকে প্রকৃত খরচের চেয়ে ৫ গুন টাকা চুরি করা না হতো। টাকাটা জনগণের, আমার, আপনার কষ্টের আয়ের টাকা। আর এই টাকা চুরি করছে দেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক থেকে শুরু করে ঠিকাদাররা সকলে মিলে।
 
আমি কিন্তু পদ্মা সেতুর চুরি নিয়ে লিখতে বসিনি।
তবে, আরও একটা বিষয় বলে তারপর মুল বক্তব্যে যাবো- নইলে আমার কথাগুলি বুঝতে কষ্ট হবে আপনাদের।
 
বিগত বিএনপি-জামায়াতের সরকারের সময় দেশের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা সাহেব। ভদ্রলোক নিজে আবার আমার নিজ থানা দোহারের মানুষ এবং আমাদেরই নির্বাচিত এমপি।
 
এই ভদ্রলোক তাদের সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে একটা ‘প্রকল্প’ নিয়ে প্রচন্ড রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। তার সেই প্রকল্পটি ছিল- দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে একটা করে পাসপোর্ট দিবেন- সেটাই হবে মানুষের পরিচয় পত্র। ঐ পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাওয়া যাবে না- তবে ওটাই হবে বার্থ সার্টিফিকেট এবং ওটাই হবে ভোটার আইডি কার্ডও।
 
‘সহজ সরল’ বলাটা অযৌক্তিক হবে- ‘বোকা’ বাঙালী এটাকে চোখ বন্ধ করে একটা মহৎ প্রকল্প হিসাবেই দেখবে এবং সময় পেলে হয়তো ওটা বাস্তবায়নও হবে। অথবা এমনটিও হতে পারে যে, বেগম জিয়া সেটার পারমিশন দেননি বলেই ব্যারিষ্টার হুদা সাহেব বিএনপি থেকে বিদায় নিয়ে বর্তমানে হাসিনার মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভূক্ত হতে বিশেষ তৎপরতার পাশাপাশি বেগম জিয়ার বিরোধীতায় ব্যস্ত দিনাতিপাত করে চলছেন!
 
আসলে ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার সেই ‘পাসপোর্ট প্রকল্প’টি মোটেও কোন সময়োপযোগী প্রকল্প ছিল না। তবে, সেখানে একটা বড় সংখ্যা ছিল। আর সেই সংখ্যাটি হলো ১৭ কোটি জনগন।
 
মাত্র ১৭ কোটি মানুষকে দেবার কথা বলে সেই কথিত পাসপোর্ট প্রতি যদি ১০০০ টাকাও বেহাত করা যায় তখন টাকার অংকটি যেখানে গিয়ে পৌছবে- সেটা দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিগত ১০ বছরের সর্বমোট আয়ের চেয়েও বড় একটা অংকে গিয়ে ঠেকবে- তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
 
হাতের কাছে স্মার্টফোন থাকলে এবং সেই ফোনে ‘ক্যালকুরেটর এপস’ ডাউনলোড করা থাকলে ১৭ কোটিকে ১০০০ দিয়ে একটু গুন করে টাকার এমাউন্টটা হিসাব করে নিতে পারেন উৎসাহী যে-কেউ।
 
নাজমুল হুদার কিন্তু ‘বিশাল লস’ হয়ে গেছে!
 
এবার চলুন মুল প্রসংগে যাই।
লেখাটা বেশ বড় হবে, আমার লেখা একটু বড়ই হয়- ছোট করতে পারি না।
 
একটা দেশের মানুষের অতি অবশ্যই একটা ‘পরিচয় পত্র’ প্রয়োজন রয়েছে।
 
বাংলাদেশেও এখন নাকি ‘স্মার্ট আইডি কার্ড’ দেয়া হচ্ছে।
তবে, ওই কার্ডটি ভোটার আইডি কার্ড নয়- ওটা দিয়ে আপনার ইনকাম ট্যাক্স এর হিসাবও পাওয়া যাবে না, আপনি ব্যাংক ডিফল্ডার কিনা সেটাও বোঝার সুযোগ নেই।
 
তাহলে, সেই কার্ডটা ঠিক কি কাজে লাগে- বলতে পারবেন?
জানি, বলবেন ওটা দিয়ে ‘ফটো আইডি’ হিসাবে ভেরিফিকেশন করা যায়।
 
আর কিছু?
না। আর কিছুই না।
ওটা দিয়ে নকল বা চোরাই ভোটও ঠেকানো যাচ্ছে না।
 
তাহলে যে দেখা যাচ্ছে ওটার অবস্থা অনেকটা ঐ ‘সেনাবাহিনী’র মতো ! না মানে বলতে চাচ্ছিলাম- ওটা দিয়ে তো ‘ঘাসও কাটা যায় না’!
 
যদি ঘাসও কাটা না যায়- তাহলে ১৭০০ কোটি টাকা খরচ করে কেন এই স্মার্ট কার্ড?
 
এবার চলুন আরেকটু ভেতরে ঢুকি।
একজন নাগরিক এর পরিচয় এবং পরিচয় পত্র কিভাবে করা উচিৎ বা করা প্রয়োজন?
 
আমেরিকার উদাহরণ-ই দিই।
আমেরিকা তার নাগরিকদের কোন ‘জাতিয় পরিচয় পত্র’ দেয় না।
 
কারণ এটার কোনই প্রয়োজন নেই।
কিন্তু আমেরিকার যেটা প্রয়োজন- সেটা ঠিকই তাদের রয়েছে।
 
এদেশে একজন মানুষ জন্ম গ্রহনের পরপরই তার নাম রাখা হয়।
নাম কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই রাখা হয়। আমি শুধু সিষ্টেমটি বলছি।
 
একজন মানুষের ৩টি নাম থাকতে পারে। ফাষ্ট নেইম, মিডল নেইম এবং লাষ্ট নেই। একজন মানুষের তার নামের সংগে একটি তার জন্ম তারিখটিও জড়িত।
 
নাম এবং জন্ম তারিখ হয়ে গেল।
এবার বাড়তি হিসাবে ঐ নবাগত নাগরিকের জন্য রাষ্ট্র সংগে সংগেই তৈরী করে দেয় তার একটা ‘বার্থ সার্টিফিকেট’; এবং একটি ‘সোসাল সিকিউরিটি নাম্বার’ এসাইন করে দেয়।
 
ব্যস হয়ে গেল।
বাদবাকী জীবন ঐ ‘মানুষ’টিকে আইডেন্টিফাই করার জন্য তার শুধুমাত্র ফাষ্ট ও লাষ্ট নেইম এবং নিজের জন্ম তারিখটি হলেই তার পরিচয় প্রদান সম্পন্ন হয়ে গেল। আর কিছুই প্রয়োজন হয় না।
 
এবং ঐ বার্থ সার্টিফিকেটটি তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করে।
আর, ঐ সোসাল সিকিউরিটি নাম্বারটি হলো এমন একটা ইউনিক নাম্বার যেটি দিয়ে তার সারা জীবনের যাবতীয় কর্মকান্ড, ঠিকানা, পড়াশোনা, চাকুরী, আয়-ব্যয়, ট্যাক্স গ্রহন বা রিফান্ড, তার চরিত্র, ক্রিমিনাল এক্টিভেটিজ (যদি থাকে) ইত্যাদি সবই সরকার ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জেনে নিতে পারে মুহুর্তেই।
 
সংগে আরও একটা তথ্য যোগ করি, আমেরিকার মাটিতে ভুমিষ্ঠ হওয়া সন্তানটি কিন্তু তার বাবা-মা’র সম্পত্তি নয়- সে রাষ্ট্রের সম্পত্তি এবং ঐ সন্তানের যাবতীয় দায়-দায়িত্বও রাষ্ট্রই বহন করে তার ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত।
 
মুল প্রসংগে ফিরি।
বাংলাদেশেও ‘এই একই কাজ’টি (না, সন্তানের দায়িত্ব নেবার কথা বলছি না) অর্থাৎ জন্মের সংগে সংগে বার্থ সার্টিফিকেট ও সোসাল সিকিউরিটি নাম্বার দিয়ে দেবার জন্য হাজার কোটি টাকার অপচয়ের প্রয়োজন হয় না; বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদ বা জেলা পরিষদ অথবা সমাজ কল্যান অধিদপ্তরই এটা করে ফেলতে পারে।
 
তাহলে আমেরিকায় ‘আইডি কার্ড’ কিভাবে প্রদর্শিত হয়?
এটা আরও সহজ উত্তর। এদেশে বিনামুল্যে কোন আইডি কার্ড দেয়া হয় না। যার প্রয়োজন সে নিজের জন্য নিয়ে নিতে পারে। আর এখানে আইডি কার্ড’টির কনসেপ্টও দারুন।
 
প্রতিটি ষ্টেটেই রয়েছে ‘ডিপার্টমেন্ট অব মোটর ভেহিক্যালস’ বা ‘ডিএমভি’ কতৃপক্ষ। এদের কাজ হলো বাস, ট্রাক, বা যে-কোন গাড়ী বা মোটর সাইকেল এর রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, গাড়ীর ট্যাক্স নেয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া, যে-কোন ‘মোটর ভাইয়েলস’ থেকে অর্থ আদায় করা ইত্যাদি।
 
ঐ যে বললাম ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ ওটাই এই দেশের পরিচয় পত্র- যেটা ষ্ট্রেট এর নামে হয়। যে ড্রাইভিং জানে না- তাকে দেয়া হয় ‘নন-ড্রাইভার লাইসেন্স’; যে ড্রাইভিং শিখতে চায় তাকে দেয়া হয় ‘ড্রাইভার লার্নার পারমিট’ আর যে ড্রাইভিং জানে- তার জন্য রয়েছে ‘ড্রাইভার লাইসেন্স’। আর ষ্টেট ভেদে এই লাইসেন্স বা ‘ষ্টেট আইডি কার্ড’টি পেতে রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা দিতে হয় ৩৫ ডলার থেকে ৭৫ ডলার পর্যন্ত। ফ্রি কেন দিতে যাবে?
 
আমেরিকায় ফেডারেল গর্ভণমেন্ট এর বলতে গেলে কোন ‘নির্বাচন কমিশন’ নেই।
 
এবং এই ‘ডিএমভি’ কতৃপক্ষই বছরের যে-কোন সময় তার নাগরিকদের ‘ভোটার রেজিষ্ট্রেশন’ করার সুযোগ দিয়ে থাকে বা যা একটা চলমান প্রক্রিয়া এবং যে-কোন সময় তথ্য আপডেটও করা যায়। ঘটা করে বাংলাদেশের মতো হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে আবার কেন্দ্রে এসে ফটো তুলে ভোটার তালিকাভুক্তির ফালতু, বিরক্তিকর নষ্টামী এখানে নেই।
 
২০০৭ সালে (তখনও আমি আমেরিকায় আসিনি- এসব জানতামও না) আমার অনেকটা ‘এরকমই প্রস্তাবনা’ প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কি অতটাই ‘মূর্খ’ যে এই রকম বলতে গেলে ‘খরচাহীন প্রস্তবনা’ দেশে বাস্তবায়িত করবে- যেখান থেকে তারার টাকা চুরি করতে পারবে না?
 
আর তাইতো আমার দেয়া তখনকার প্রস্তবনাটি বাস্তবায়িত হয়নি- অবশ্য হবে যে সেটা আমি ভাবিওনি; কারণ আমি তো বেশ ভালোই জানি যে চোর-ডাকাত আর টাউট-বাটপার না হলে বাংলাদেশে নেতা বা আমলা হওয়া যায় না।
 
এবার আসুন উপরোক্ত সেবাগুলি সবই যেহেতু ডিজিটাল সেবা (সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেখানো ডিজিটাল মুলা নয়)- সেহেতু ওরমক একটা ‘ডাটাবেইজ’ যদি থাকে তাহলে সেটাকে মাধ্যম ধরে বর্তমান প্রচলিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটা ‘নির্ভেজাল ভোটিং সিষ্টেম’ ডেভেলাপ করা খুবই সহজ। সেখানে জাল ভোট বা ভোট চুরির কোন সুযোগই থাকবে না।
 
আর তখন ঐ ‘ইভিএম’ এর নামে নতুন মুলাও বাজারজাত চলবে না।
 
কিন্তু সমস্যাও রয়েছে- বাংলাদেশ তো!
ঐ ডাটাবেইজ বা ভোটিং সফটওয়্যার এর নিয়ন্ত্রণ যার হাতে দিবেন- সে নিজেই তো বড় চোর হয়ে বসে থাকবে।
 
দেখেননি?
এরশাদের মৃত্যুর পর দেশের ‘প্রধান বিচারপতি’ পদ-টিকে কি পরিমাণ কাটা-ছেড়া করেছেন দুই নারী বেগম জিয়া আর শেখ হাসিনা! বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হলো, আরেক বিচারপতি খায়রুলকে দিয়ে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ধ্বংশসাধন করা হলো, আরেক বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহাকে তো এক লাথ্থি দিয়ে আমেরিকার গ্রীনকার্ড হোল্ডারই করে ফেলা হলো সব্বার চোখের সামনে।
 
এরপর যার হাতে ঐ ভোটিং সফটওয়্যার এর চাবি থাকবে- তারও বয়স বাড়ানো হবে, প্রয়োজনে দেয়া হবে আরোও কয়েকটা লাথ্থি; বাধ্য করা হবে হ্যাকিং করতে।
 
অবশ্য আমেরিকার কোন একটা প্রাইভেট কোম্পানীকে ওটার দায়িত্ব দিলে অন্তত চুরি বা হ্যাকিং এর সম্ভবনাটা কমে যাবে শতভাগ এই নিশ্চয়তা দেয়া যায়। জানেন তো এই যে আমরা ইন্টারনেট এর ‘ডোমইন নেইম’ ব্যবহার করি সেটাও কিন্তু আমেরিকার একটা প্রাইভেট কোম্পানীর মালিকানার অংশ। সেখানে কিন্তু চুরি বা হ্যাকিং হয় না।
 
যাই হোক, আমি সম্ভবত অনেকেরই অনেক প্রশ্নেরই উত্তর এখানে দিতে পেরেছি।
 
আসলে আমরা চাইলে সবই সম্ভব।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তো আসলে চায় না যে দেশটা সভ্য হোক, সুন্দর হোক। পরিচ্ছন্ন হোক, উন্নত হোক।
 
এদেশে এমন মানুষও অগণিত যারা সামান্য ৫০০ টাকা পেলে একটা ভোট বিক্রি করে দেয়- করবেই বা কি! পরবর্তী ৫ বছরে আরতো কিছুই পাবে- সেটা যে তারাও বুঝে।
 
সেক্ষেত্রে কি আর করা!
   Send article as PDF