বিএল বিশ্বাস

বিএল বিশ্বাস এর সংগে আমার পরিচয় গুয়াংজুর সানিআলীতে একটি গেষ্ট হাউজে। ভদ্রলোক চায়না থেকে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ইমপোর্ট করেন। পরিচয় থেকে সম্পর্ক মোটামুটি অনেক দূরই এগুলো।
ভদ্রলোক যখন জানলেন আমি নিয়মিত কোলকাতায় যাই- তখন ওনি আমাকে ওনার অফিসের এড্রেস, মোবাইল নাম্বার দিলেন; আমিও আমার ইন্ডিয়ান এয়ারটেল এর নাম্বারটি দিলাম।
আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলে- পরদিনই সব ভুলে যাই। বিএল বিশ্বাসের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কোলকাতার নিউ মার্কেটের পাশে সেন্টার পয়েন্ট হোটেলে বসে আছি; হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। কাজ নেই।
মোবাইল ফোন এর কন্টাকস দেখতে লাগলাম। কাকে ফোন করা যায়। ডিকেটটিভ ব্রাঞ্চের কোলকাতার বড় কর্তা আমার বন্ধু মি. ঠাকুরকে ফোন দিলাম, মোবাইল বন্ধ। ডা. রায়কিশোর চৌধুরী বললেন খুব ব্যস্ত, কাল দেখা করবেন।
হঠাৎ বিএল বিশ্বাসের নামটা সামনে চলে আসলো। আমি মনে করতে পারছিলাম না- কে এই ভদ্রলোক! ফোন দিলাম।
মি. বিশ্বাস ফোন রিসিভ করেই ‘হাই মি. পিয়াস, কখন ঢুকলেন কোলকাতায়?’
মুহুর্তেই ওনার কথা মনে পড়ে গেল। আমি কোথায় আছি জানতে চাইলেন। বললাম।
ভদ্রলোক বললেন আপনাকে আমি ঠিক ১৫ মিনিট পর ফোন দিচ্ছি।
এবং দিলেনও।
আমাকে হাঁটা পথের একটা ঠিকানা বললেন। কোলকাতা শহরটা আমার কাছে অলমোষ্ট ঢাকার মতোই; অনেকটাই পরিচিত- প্রায় সব অলিগলিই আমি চিনি।
নিউ মার্কেটের কাছেই ওনার সংগে দেখা হল। ওনি আমাকে ধরে নিয়ে তার গাড়ীতে বসালেন। সামান্য দূরেই কোলকাতা ক্লাব। ভেতরে ঢুকলাম। হালকা স্নাকস সংগে ভোদকা অর্ডার করলেন।
আগেই বলেছি আমার কোন কিছুতেই কোন নেশা নেই। ১০ পেগ ভদকা খেলেও আমার কিছুই হয় না; কেউ বুঝতেও পারে না যে আমি ড্রিংকস করেছি।
আড্ডায় মেতে উঠলাম।
এক পর্যায়ে মাতাল মি. বিএল বিশ্বাস বলতে থাকলেন, ‘আচ্ছা দাদা বলুন তো, কোন গাধারা চায়নার মতো দেশের সংগে ভারতকে তুলনা করে? এই গাধারা জীবনে কোনদিন চায়না গেছে? কি ছিমছাম ঝকঝকে দেশ। সবাই কাজ করছে রোবোটের মতো। নিয়ন্ত্রিত সবকিছু। কোন মিছিল নাই, মিটিং নাই, বনধ নাই; অতি সস্তা রাজনৈতিক হট্ট্রগোল নেই। সবাই ব্যস্ত অর্থ উপার্যন নিয়ে।
রিজার্ভ এতটাই উদ্দৃত্ত যে- সারা পৃথিবীকে এরা ডেকে ডেকে লোন দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর দেখুন দাদা, আমার দেশের লোকজন এখনও রাস্তা-ঘাটে বাথরুম করে। ডাষ্ট দিয়ে ভর্তি একটা দেশ। ওহ, অসহ্য লাগে আমার।’
আমি বুঝতে পারলাম মি. বিশ্বাস বেশী খেয়ে ফেলেছেন; সত্য কথাগুলি সুরসুর করে মুখ দিয়ে বের হচ্ছে।
এক পর্যায়ে আমাকে উনি একটা প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা দাদা আপনিও বলুন তো আমেরিকা কেন গায়ে পড়ে ভারতের পক্ষ নিচেছ? ইদানিং ভারতকে সব বিষয়ে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তাদের বন্ধু পাকিস্তান থেকে সরে আসছে কেন?’
সত্যি বলতে কি ওই সময়ে অামি নিজেও ‘এই’ উত্তরটাই খুঁজছিলাম।
বিএল বিশ্বাস যে অবস্থায় রয়েছে- তাকে এর উত্তর দেয়ার কোন মানেই হয় না।
আমি নিজের মনে ভাবতে লাগলাম।
বর্তমানে চায়না এবং ভারতবর্ষ উভয় দেশের জনসংখ্যাই প্রায় ১৩০ কোটি। ২০৩০ সাল নাগাদ চায়নার জনসংখ্য হবে ১২৫ কোটি এবং ভারতের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০ কোটি।
চায়নাতে বর্তমানে মিলিওনিয়ার এর সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন; অপরদিকে ভারত বর্ষে এই সংখ্যাটা মাত্র ১৮৫ হাজার।
বিশ্বের সবচে বড় অর্থনীতির দেশ আমেরিকার (মাত্র ৩২ কোটি মানুষ) সংগে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে চায়না; আর ভারত সেখানে অস্তিত্বশূন্য।
চায়নার ২.৩ মিলিয়ন সৈন্যের বিপরীতে ইন্ডিয়াতে রয়েছে ১.৩ মিলিয়ন।
চায়নার জিডিপি (পার ক্যাপিটা) যেখানে ১৫,০০০ ডলার সেখানে ভারত বর্ষের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৮,০০০ ডলার।
আয়তনে চায়না ভারত বর্ষের প্রায় তিন গুন বড়।
এক চায়নার সমর্থন পেয়ে মায়ানমার পুরো দুনিয়াকে তোয়াক্কা না করে পার করে দিচ্ছিল বছরের পর বছর; উত্তর কোরিয়া মাথা উচুঁ করে হুমকী দেয় আমেরিকাকে। এক সময়ের বিশ্ব শক্তি জাপান চায়নার ভয়ে দৌড়ের উপর, দক্ষিন কোরিয়া তো কথাই বলে না। সারাক্ষন আমেরিকার কাছে চায়নার বিরুদ্ধে বিচার দিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া।
এই যখন তুলনা-মূলক অবস্থা চায়নার সঙগে ভারত বর্ষের; সেখানে কিভাবে আমেরিকা ভারতকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে?
ভারত বর্ষের ১০ ভাগের এক ভাগ নয় আয়তনে সেই পাকিস্তান- ভারতকে কথায় কথায় হুমকী দিয়ে বেড়ায়!
তাহলে কিসের শক্তি ভারতের?
পারমানবিক বোমা শুধু ভারতের নয়, পাকিস্তানেরও রয়েছে।
আসল বিষয়টা অন্যত্র!
আসল খেলাটা খেলছে আমেরিকা।
এখানে আমেরিকার স্বার্থ সুস্পষ্ট!
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সম্পূর্ণভাবেই আমেরিকার কব্জায়। জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়ায়, অষ্ট্রেলিয়ায় আমেরিকার সেনা বাহিনীর ঘাটি রয়েছে। এশিয়ান অঞ্চলে অবস্থিত আমেরিকান টেরিটরী গুয়ামে রয়েছে আমেরিকার সবচে বড় বিমান ঘাটি। যেখান থেকে তারা মুহুর্তেই পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কন্ট্রোল করতে সক্ষম।
ইওরোপের জার্মানী, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অনেক দেশে আমেরিকার সৈন্য রয়েছে। এছাড়া তুরষ্কসহ পুরো ইওরোপ ন্যাটোর সদস্য- যেখানে রাশিয়ার কোন অস্তিত্বই নেই!
কিন্তু এখনও মধ্য এশিয়ান সাবেক সোভিয়েট ভুক্ত স্বাধীন দেশগুলি রাশিয়ার কব্জায় রয়ে গেছে। আমেরিকা একটা সময় বাংলাদেশে এক্সেস চেয়েছিল- কিন্তু অদূরদর্শী বাংলাদেশ সরকার সেই সুযোগটি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে আমেরিকার সৈন্য থাকলে লাভ বরং বাংলাদেশই পেত। পৃথিবীর যে দেশগুলিতেই আমেরিকার সৈন্য রয়েছে- সে দেশ গুলিই অসম্ভব উন্নতি করেছে।
আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি অসম্ভব দূরদৃষ্টিসম্পন্ন।
মাত্র ৩২ কোটি মানুষের দেশ সারা পৃথিবীর অর্ধেক অর্থনীতির মালিক; বাকী প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের মালিকানায় বাকী অর্ধেক অর্থনীতি।
বর্তমানে আমেরিকা এমন একটা উচ্চতায় রয়েছে- রাশিয়া বা চায়না অথবা অন্য কোন দেশ আরও ৫০০০ বছর চেষ্টা করেও আমেরিকার ধারে-কাছেও ভীড়তে পারবে না; পারাটা অসম্ভব।
আমেরিকার ভয় চায়নাকে। রাশিয়াকে আমেরিকা ভয় করে না।
বর্তমান পৃথিবী অর্থনীতি নির্ভর, অস্ত্র নির্ভর নয়।
আর আমেরিকার ভয় চায়নার ‘টাকা’কে। টাকা দিয়ে চায়না সারা পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে; যে কন্ট্রোলটা আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অস্ত্রের জোড়ে।
আর এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমেরিকার উদ্দেশ্য চায়নার কাছা-কাছি দেশগুলিতে তাদের উপস্থিতি আরও জোরদার করা।
পাকিস্তানের চেয়ে এই মুহুর্তে ভারত-ই হতে পারে আমেরিকার এ অঞ্চলের সবচে বিশ্বস্ত বন্ধূ। পাকিস্তানের জংগী দুর্নাম রয়েছে যেটা ভারতের নেই। ভারত বর্তমানে এই পৃথিবীর সবচে বড় গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে স্বাধীনতার পর একদিনও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়নি।
আর, বিশ্ব সন্ত্রাসে সবচে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ তো আমেরিকাই।
যেহেতু, তারা হিসাব-নিকাশ করে ভারতকেই পছন্দ করে; তাদের দৃষ্টি দিয়ে দেখলে- এটাই যুক্তিযুক্ত এবং স্বাভাবিক।
ভারত এ অঞ্চলের সুপার পাওয়ার।
ভুটান তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে; ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত ভারত দেখাশোনা করে। নেপাল অস্থির। একসময় পরিপূর্ণভাবে ইন্ডিয়ার কন্ট্রোলে থাকলেও এখন চায়না নেপালে নাক গলাচ্ছে। মালদ্বীপস আর শ্রী লংকা ভারতের গ্রীপেই রয়েছে। পাকিস্তাতে হাত দেবার স্পর্ধা ভারত বর্ষের নেই। আফগানিস্থান পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে।
বাকী ছিল একমাত্র বাংলাদেশ।
২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ ঠিকই ছিল। কিন্তু ২০০৬এ বেগম খালেদা জিয়ার গোয়ার্তুমির জন্য বাংলাদেশটার সর্বনাশের শুরু।
২০০৭-২০০৯ সময়কালীন তত্বাবধায়ক সরকারের মাঝামাঝিতে মূলত বাংলাদেশে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ শুরু হয় এবং এতে প্রসন্ন ভূমিকা রাখে আমেরিকা।
বেগম জিয়া এবং শেখ হাসিনা উভয়েই তাদের অদূরদর্শি নেতৃত্বে সচেতনভাবেই ভারতের হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানায়; ক্ষমতার সিড়ি হিসাবে- ভারতের সাপোর্টের আশায়।
আর, ভারত সেই সুযোগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়ে আগ্রাসী ভূমিকায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বাকী জীবন ক্ষমতায় থাকার নেশায় ভারতের কব্জায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়।
‘২০১৪’ শেখ হাসিনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসে।
ভারতের প্রত্যক্ষ ভূমিকা এতটাই জোড়ালো হয়ে উঠে যে, এক পর্যায়ে আমেরিকার এম্বাসেডর নিজে পর্যন্ত নয়া দিল্লীর সাউথ ব্লকে উড়ে যান ‘দর কষাকষি’র জন্য।
শেখ হাসিনা ব্যক্তি স্বার্থে সবকিছু ভারতের জিম্মায় দিয়ে দিতে শুরু করে ২০১৪ এর পর থেকে। বাংলাদেশ কে কেকের মতোই পিস পিস করে কেটে কেটে একটা একটা করে অর্গান ভারত বর্ষের হাতে তুলে দিতে থাকে।
এবং মাত্র দুই বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্র বিন্দু বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক যা বাংলাদেশ ব্যাংক নামে পরিচিত- সেটা এখন সম্পূর্ণভাবেই ভারতের নিয়ন্ত্রণে।
ভারত বাংলাদেশের উপর দিয়ে সড়ক এবং নদী পথে ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশের যোগাযোগ থেকে শুরু করে সর্বশেষ রামপালের নামে সুন্দরবনকেও নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে ভারত।
অপরদিকে শেখ হাসিনাকে টাকার মোহ আচ্ছন্ন করে রাখে।
তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের অতি কষ্টের টাকা থেকে মাসে ২ লাখ ডলার (১ কোটি ৬০ লাখ টাকা) বেতন দেয়া হচ্ছে যা বর্তমান পৃথিবীর সবচে বেশী বেতন।
সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান এর নাম করে ৪২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি আত্মসাৎ করে; তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ৬৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় অটিজম এর নাম করে।
১২ হাজার কোটি টাকায় যে ব্রীজ করা সম্ভব- সেই পদ্মা সেতু তৈরী হচ্ছে আপনার-আমার পয়সার ২৮ হাজার কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ ১৫ হাজার কোটি টাকা চুরি করে খেয়ে ফেলেছে ড. আতিয়ার রহমান; ভাগ বাটোয়ারা করেছে হাসিনা পরিবারের সংগে।
৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিং করেছে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতীয় উপদেষ্টার সংগে ভাগাভাগি করে।
বাংলাদেশের একটা একটা করে সবকিছু এখন ভারতের দখলে।
এবং এই সেদিন বিএনপি’র ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ পর্যন্ত নয়া দিল্লী যেয়ে শপথ বাক্য পাঠ করে আসলেন- ক্ষমতায় আসলে তারাও ভারতকে বাকী যা যা রয়েছে সবই দিয়ে দেবে বিনা বাক্য ব্যয়ে; তবুও যেন আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে একবার পা’চাটার সুযোগ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় ভারতের ভেতরে ঢুকেছে।
ভারত যতটা না চেয়েছে- বাংলাদেশ তারচে দ্রুততায় ভারতের ভেতরে ঢুকেছে।
ওখান থেকে বের হওয়া খুব সহজ কোন বিষয় না; তবে অসম্ভবও না।
আওয়ামী লীগ জনসমর্থনহীন পুলিশী সরকার। একটু জোড়ে কোন ঝড় উঠলেই আওয়ামী লীগ উড়ে কোথায় যে যাবে- তার কোন কুল কিনারা নেই।
বিএনপি মনে হয় না প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব দিতে পারবে- ভারতের ভেতর থেকে বের হয়ে আসার। সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতা এখনও অবধি বিএনপি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিধ্বস্ত জামায়াতে ইসলামী অদূরদর্শী একটা রাজনৈতিক দল, রাজাকারের তকমাই যে দল নিজে দায়িত্বে ঘোচাতে ব্যর্থ হয়- তাদের দ্বারা কিছুই সম্ভব নয়।
আজ আয়তুল্লাহ খোমেনীর কথা খুব মনে পড়ছে।
ইরান তখন আমেরিকার ভেতরে ঢুকে ছিল শাহ্ এর নেতৃত্বে; আয়তুল্লাহ খোমেনী তার মেধা, দূরদর্শিতা আর চমৎকার নেতৃত্ব দিয়ে সেদিনের সেই ইরানকে এক ঝটকায় আমেরিকার ভেতর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন।
কিন্তু, আমাদের কি হবে?
   Send article as PDF