ব্লাক ক্যাটের মৃত্যুতে কিঞ্চিত শোকগাঁথা

কোন মৃত্যু নিয়ে-ই আনন্দ করার কিছু নেই।
সকলকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে।
 
শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার এবং শাহবাগে চেতনাবাজদের উত্থান
বাংলাদেশটাকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে।
বাংলাদেশ তার জন্মের পর
এতটা ক্রান্তিকাল আর কোনদিনও পাড় করেনি।
দেখেওনি!
 
শাহবাগীরা যেদিন থেকে একটা দেশকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলল
প্রকাশ্যে। দিনে। দুপুরে। নোংড়া মিডিয়ার নির্লজ্জ বেহায়াপনার মাধ্যমে।
ভারতীয় হাইকমিশন আর হাসিনার প্রসন্ন হাতের ভরষা পেয়ে
 
সেদিনই এই বাংলাদেশের মৃত্যু ঘটে।
সেই বাংলাদেশ এখন অনেক দূরে।
 
শাহবাগীরা ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই’ বলে যে মানুষের মৃত্যু কামনা শুরু করলো
সেই মৃত্যুর আনন্দ এখন বয়ে চলছে সমাজের প্রতিটি ঋন্দ্রে ঋন্দ্রে।
 
২রা জুলাই ২০১৬ তে যেদিন মিরপুরের সেই ওসি সালাউদ্দিন-
সেদিনও মৃত্যুর আনন্দ দেখেছি- ভীতু মানুষের চোখে-মুখে!
যেন পশু জবাই এর আনন্দ।
 
অথচ সেই ‘পুলিশ সালাউদ্দিন খুন’টা ভীতু মানুষরা কেউ করেনি।
অসহায় মানুষগুলি ‘প্রকৃতির খেলা’কে স্বাগত জানিয়েছিল শুধু।
 
এখন মানুষ পুলিশের মৃত্যুতে আনন্দ পায়।
এখন মানুষ কালো বিড়ালের মৃত্যুকে ‘উদযাপন’ করে।
 
সেই কালো বিড়াল যদি মানুষের রূপেরও হয়- হোক গে!
কি এসে যায় তাতে!
 
পশু মানুষ হয় না; কিন্তু মানুষতো পশুও হয়।
শাহবাগ সেই পশুদের জন্মস্থান।
শাহবাগ সেই পশুত্বের জন্মস্থান।
 
আমি ভাবছি ভিন্ন হিসাব।
মানুষ ব্লাক ক্যাটের মৃত্যুতে এতটা আনন্দ পাবে কেন?
ব্লাক ক্যাট-ই তো প্রধান না!
 
যে মহিলার নেতৃত্বে এইসব ব্লাক ক্যাট
যে মহিলার নেতৃত্বে এইসব শাহবাগী পশুর জন্ম
 
সেই মহিলার মৃত্যুতে তাহলে কি হবে?
সেই মহিলার মৃত্যুতে বাংলাদেশে তো ‘ঈদ উদযাপন’ হবে সেদিন
 
সেই বড় ঈদ উদযাপনের-ই একটা মহড়া কি এটা?
ব্লাক ক্যাট কি তারই একটা নমুনা দেখিয়ে গেল?
 
যেই ‘ঈদ’ মানুষ উদযাপন করেছিল সেই ১৫ই আগষ্ট
 
অথচ, আজ-
মানুষ তো ব্যক্তি সুরঞ্জিততের মৃত্যুকে উদযাপন করছে না!
করছে, আওয়ামী উইকেট পতনের আনন্দ উদযাপন।
 
সামান্য ব্লাক ক্যাটদের মৃত্যু মানুষকে এতটা আনন্দ দেয়!
তো, ব্লাক ক্যাট আর শাহবাগী গডমাদারের মৃত্যু পর-
ঠিক- কি অপেক্ষা করছে?
 
কত কত টন মিষ্টি বিক্রি হবে সেদিন?
কতবার প্রকম্পিত হবে জাকারবার্গের ফেসবুক!
 
কত মিলিয়ন স্ট্যাটাস হবে? না কি বিলিয়ন?
কত লাইক? কতো ইমো! কতো শেয়ার!
আর আনন্দের কমেন্টস!
 
কত হাজার মানুষ মারলো এই গড মাদার?
শাহবাগী আদালত! পুলিশ লীগ! রাব!
ক্রস ফায়ার! গুম! সেকুলার! শেখ হাসিনা!
শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে শত শত মানুষ
 
আর তাই, আজ- মানুষের মৃত্যু মানুষকে আনন্দ দেয়!
এমনও কি হয়? হতে পারে? হয়-
যখন মানুষগুলি হয়ে উঠে পশু!
 
হচ্ছে তো!
শাহবাগ তা শিখিয়েছে!
 
শেখ হাসিনার এতটুকু বোঝার মানসিকতাও কাজ করে না?
তার বাবার পরিণতির কথাও সে মনে করে না?
 
না কি দেশবাসীর প্রতি প্রতিশোধের আগুন তাকে-
আগুনের দিকে-ই নিয়ে চলছে?
 
সময় সত্যিই খুব কঠিন উত্তর দাতা।
আমরা যে- সময়ের-ই অপেক্ষা করছি।
শুধুই অপেক্ষা।
 
আমরা তো একটা বড় ঈদের অপেক্ষা করছি।
ছোট ছোট ওসি সালাউদ্দিন, ছোট ছোট ব্লাক ক্যাট
 
এসব তো স্রেফ ছোট্ট ছোট্ট রেকি!
ঈদের আগে গরু কেনার আনন্দ!
না কি এরচেও বেশী?
 
দমবন্ধ মানুষ! মুখ থাকতেও কথা না বলতে পারা মানুষ!
স্বাধীনতাহীন মানুষ! অধিকারহীন মানুষ!
বুটের তলায় পৃষ্ঠ গণতন্ত্র আর ক্রসফায়ারে মানবতা!
চাকুরী নেই! ব্যবসা নেই! অথচ আর একদল লুটছে সব!
 
কত দিন সহ্য হয়?
কে পারে সহ্য করে থাকতে?
 
রাতের শেষে দিন তো আসবেই
অমাবশ্যার পর যেমন পূর্নিমা!
   Send article as PDF