মানবতা

ফেসবুকের নিউজফিড বিভিন্ন দুর্যোগে ভিন্নতা নিয়ে গরম হয়ে উঠে।
 
এই তো সেদিন উত্তরাঞ্চলে শুরু হলো বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ছেড়ে দেয়া বাড়তি পানিতে ভয়াবহ বন্যা। দেশের মানুষ ঝাপিয়ে পড়লো। অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন ঝাপিয়ে পড়লো বিভিন্ন ত্রান সহায়তা নিয়ে।
 
প্রতিদিনই দেখতাম ত্রান সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির টাইমলাইনে আবেদন। কেউ কিন্তু নিজের জন্য টাকা বা সহায়তা চাচ্ছে না- চাচ্ছে বানভাসী মানুষের জন্য যে তার ‘কেউ’ হয় না।
 
শুধুই একটু ভালোবাসা থেকে, আমার দেশের একজন অসহায় মানুষ তাকে সাহায্য করতে হবে- এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব ভেতর থেকে আসছে।
 
এটা ভালবাসার দায়িত্ব।
এটা মানবতার দায়িত্ব।
 
এবং এ দায়িত্ববোধ আমাদের রয়েছে, এটা মানবতার দায়িত্ব- এ দায়িত্ব আমরা সবসময়ই পালন করে এসেছি।
 
কিন্তু, আপনি এই দায়িত্বে আজ পর্যন্ত কোনদিন কিছু চেনা লোককে দেখেছেন কখনও? ড. জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, শাহরিয়ার কবির, জই মামুন, আবু হাসান শাহরিয়ার, মুন্নী সাহা, ডা. তুষার, ডা. ইমরান, কতগুলি ব্লগার রয়েছে- কিসব নাম যেন ওদের অমি পিয়াল টিয়াল, সুলতানা কামাল, আরাফাত না কি নাম আরেকটার, লুৎফর রহমান রিটন, মুনতাসির মামুন এইসব।
 
দেখেছেন এদের কাউকে কোনদিনও- ত্রান নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে যেতে কিংম্বা তাদের সাহায্যের জন্য একটু আবেদন জানাতে?
 
না। দেখেননি, দেখবেনও না।
 
ইভেন, মুন্নী সাহা নামের সেই মহিলারা বন্যায় ভেসে আসা ‘বঙ্গ বাহাদুর’দের জন্য মায়াকান্না করবে কিন্তু উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যাকে ‘ও কিছু না’ বলে তাচ্ছিল্য বা সংবাদযোগ্য নয় বলে উড়িয়ে দেয়।
 
অথচ মজার বিষয়টা হলো- এরা নিজেদের নাস্তিক, মুক্তমনা বলে প্রচার করে। তারা নিজেদের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতামুক্ত তথা ‘মানবতা’ই নাকি তাদের ধর্ম বলে থাকে।
 
‘মানবতা’ শব্দটির মানে কি- ওরা বলতে পারবে?
মানবতা কাকে বলে?
মানবতা কিভাবে প্রদর্শন করতে হয়?
 
প্রশ্ন করুন ড. জাফর ইকবালকে!
প্রশ্ন করুন আনিসুল হককে!
প্রশ্ন করুন ঐ সুলতানা কালাম, ডা. ইমরান, ডা. তুষার বা শাহরিয়ার কবির কে!
 
এরা এবং এদের ‘ধর্মাবলম্বীরা’ ওই ‘মানবতা’ শব্দটি-ই শুধু জানে- অর্থ জানে না।
 
বন্যার সময়ই মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা সেখানকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর আবারও শুরু করলো স্মরণকালের নৃশংসতম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ। পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতার এতটা করুণ পরিণতির কথা শোনা যায়নি বা আমি অন্তত দেখিনি।
 
একজন মানুষকে যে, এভাবেই নির্যাতন করা সম্ভব, সেটা আমার ধারণারও বাইরে ছিল- যা আমি নিজের চোখে ভিডিওতে দেখেছি! আৎকে উঠেছি আমি বারবার।
 
সেই অবস্থান থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ‘মানুষ’ বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছে। নাফ নদী সাতরে চলে এসেছে আমাদের কাছে ‘মানবতার আশ্রয়ে’।
 
বর্তমান অবৈধ সরকার তাদের দেশে ঢুকতে দেবে না। এমনকি এদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংগে যৌথ অভিযানেরও প্রস্তাব দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু দেশের গণমানুষের অবস্থানকে শেখ হাসিনা তার পৌষ্য বিজিবি দিয়ে আটকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে- ঢুকে পরেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
 
দেশের মানুষ কিভাবে তাদের দিকে ‘মানবতা’র উজ্জল দৃষ্টান্ত নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছে, সেটা দেখুন- তামিরুল ইসলাম মিল্লাত’কে আমি চিনি না, তিনি কোন একটা অনলাইন নিউজে লিখেছেন কক্সেসবাজার থেকে:
 
“স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে হনুফা বেগম এসেছেন মিয়ানমারের মংডু জেলার চাইন্দা গ্রাম থেকে। চার দিন হেঁটে তিনি শাহপরীর দ্বীপ হয়ে টেকনাফে এসেছেন। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনারা। সঙ্গে কিছুই আনতে পারেননি। এক কাপড়েই দেশত্যাগ করেছেন। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে চারদিনের অভুক্ত হনুফারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
 
নৌকা থেকে নেমে এপারে আসতেই একজন তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি জুস ও এক প্যাকেট বিস্কুট তুলে দেন। আরেকটু সামনে আসতেই আরেকজন তার হাতে তুলে দেন ঘর বানানোর পলিথিন। আরেকটু আগাতেই আরেক বাংলাদেশি তার হাতে গুঁজে দেন ৫০০ টাকা। আরও ১শ’ গজ সামনে আসতে আরেকজন তাদের হাতে তুলে দেন এক প্যাকেট বানরুটি। এর পর আর অনুভূতি ধরে রাখতে পারেননি হনুফা। প্রাণ খুলে হাসছেন। এমন মায়াবী-মিষ্টি হাসি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে আগে দেখেনি কেউ। আনন্দ অশ্রু মুছতে মুছতে হনুফা বলতে থাকেন, ‘কিছুক্ষণ আগে প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, দুর্গম পথ পেরোতে শিশুদের নিয়ে যে কষ্ট পেয়েছি, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম। গাছের পাতা ছাড়া খাওয়ার আর কিছু ছিল না। সন্তানেরা খেতে চাইছিল, কিন্তু আমরা কোনো খাবার সঙ্গে নিতে পারিনি। নিজ ভূমি থেকে আমাদের তাড়িয়ে দিল, অথচ আরেক দেশ আমাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে।
 
একেকটি হাত যখন তাদের স্পর্শ করছে, তারা যেন অন্য রকম এক অনুভূতি খুঁজে পাচ্ছে। নিজ দেশে ভিটেমাটি, স্বজন হারিয়ে আরেক দেশে এমন সহমর্মিতা তারা হয়তো আশাই করেনি। তাই তো মাত্র দুই প্যাকেট রুটি পেয়ে ভুবনজয়ী হাসি হনুফা বেগমদের মুখে।”
 
এই যে জুস, বিস্কুট, নগদ টাকা ইত্যাদি নিয়ে যারা এগিয়ে গিয়েছে তারা- ‘আমরা’। আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষ। যারা গিয়েছে তাদের আমরা নিয়ত দেখেছি ফেসবুকের নিউজফিডে। আমরা দেখেছি সেখানে এগিয়ে গিয়েছে দাড়িটুপিওয়ালা হুজুর। সেখানে গিয়েছে দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ।
 
তাদের সাহায্যের আঁকুতি জানিয়ে নিজেদের টাইমলাইনে কেদেছে, কেদেছি আমরা। না, তারা আমাদের কেউ না। তাদের কাউকেও আমি, আমরা চিনি না। কিন্তু তাদের প্রতি কাজ করেছে আমাদের ‘মানবতা’। আমাদের ভালোবাসা- শুধুই মানুষের প্রতি।
 
তবে, সেখানে আপনি একটি মুহুর্তের জন্যও দেখতে পাননি ড. জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, শাহরিয়ার কবির, জই মামুন, আবু হাসান শাহরিয়ার, মুন্নী সাহা, ডা. তুষার, কতগুলি ব্লগার রয়েছে- কিসব নাম যেন ওদের অমি পিয়াল টিয়াল, সুলতানা কামাল, আরাফাত না কি নাম আরেকটার, লুৎফর রহমান রিটন, মুনতাসির মামুন- এদের।
 
কিন্তু দেখেছেন এরাই তাদের টাইমলাইন উজ্জল করে ব্যঙ্গ করে, রসিকতা করে ছড়া লিখেছে – ‘কান্দো কেনে ময়না?’ এরাই ঐ সকল দেশছাড়া উদ্বাস্তদের বলেছে তারা সন্ত্রাসী- তাদের দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। এই এরাই ঐ সকল লাখো লাখো রোহিঙ্গাদের দেশে ঢুকতে বাঁধা দেবার চেষ্টা করেছে, সুর মিলিয়েছে আরেক সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদী আর অং সান সুচীর সংগে।
 
এবং, এই ‘প্রমাণিত নষ্টপ্রাণী’-গুলিই নাকি বলে যে তাদের ধর্ম ‘মানবতা’!
মানবতা অর্থ জানে ড. জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির, ডা. তুষার, সুলতানা কামাল আর মুন্নী সাহারা?
 
মানুষ যতই সভ্য হচ্ছে ততই তারা তাদের সমাজ থেকে ‘মানব নির্যাতন’ তুলে নিচ্ছে। সভ্যতার সুউচ্চে থাকা সাদাদের দেশগুলিতে পর্যায়ক্রমে উঠে যাচ্ছে ‘ডেথ পেনাল্টি’র মতো শাস্তি।
 
শাস্তি হিসাবে ইতিমধ্যেই অনেক দেশ ‘মৃত্যুদন্ড’ প্রথা বিলোপ করেছে। কানাডা, ইওরোপ সহ অনেক দেশেই আজ আর মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় না। আমেরিকারও বেশীরভাগ ষ্টেটেই মৃত্যুদন্ড নেই।
 
একজন মানুষকে ‘মেরে ফেলা হবে’- এটা কোন অবস্থাতেই কোন সভ্য আইন হতে পারে না- আমি বিশ্বাস করি না।
 
রাষ্ট্রিয়ভাবে অনেক সময়ই বিচারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু একটা সময় দেখা গেল সেই মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি আসলে নির্দোষ ছিল- তখন কোন বিচার, কোন ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার জীবন তাকে ফিরিয়ে দেবেন?
 
শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
চোখের বদলে চোখ শুধু পুরো পৃথিবীকেই অন্ধ করে দিতে পারে।
 
মৃত্যুদন্ড না দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেও কঠোর শাস্তি দেয়া সম্ভব।
মৃত্যুদন্ড মানে মানবতারই মুত্যু।
 
ইভেন কোন প্রকার ‘শারীরিক প্রহার’ও অগ্রহযোগ্য; নির্যাতনব্যবস্থাকে আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।
 
একজন মানুষের গায়ে কেন আরেকজন মানুষ হাত তুলবে?
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আশরাফুল মাখলুকাত।
 
আমি যার জীবন দেবার ক্ষমতা রাখি না তার জীবন নেবার ক্ষমতাও আমার থাকতে পারে না।
 
সে যাই হোক, ২০১৩ সালে কিছু ভন্ডদের নেতৃত্বে ঢাকার শাহবাগে শুরু হলো ‘ফাঁসি চাই’ আন্দোলন।
 
বাংলাদেশের একদল ‘তথাকথিত মানুষ’ যোগ দিল সেই ‘ফাঁসি চাই’ নামক ‘মানবিক’ আন্দোলনে। ওমুকের ফাঁসি চাই, তমুকের ফাঁসি চাই ইত্যাদি। সেই কিছু বিরিয়ানী আর কন্ডোমীদের আহ্ববানে শেখ হাসিনার সরকার দেশের একটা সুপ্রতিষ্ঠিত আইনকে বিদ্যুৎ গতিতে পরিবর্তন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলো আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবকে।
 
তার অপরাধ ৭১রের যুদ্ধের সময় ২০ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র আব্দুল কাদের মোল্লা আর মিরপুরের যুদ্ধকালীন পাকিস্তানী রাজাকার ৪৫ বছর বয়সী ‘কসাই কাদের’ এর নাম প্রায় একই- সুতরাং এই কাদেরই সেই কাদের।
 
ওবায়দুল কাদের নামের আরেকজন কাদেরকে যদিও খুঁজে পাওয়া যায় তবে সেই ‘কাউকা কাদের’ তো আর ইসলামী ব্যক্তিত্ব না যে তাকে ‘কসাই কাদের’ হিসাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে! শেখ হাসিনা ফাঁসিতে ঝোলাবে ‘ইসলামী ব্যক্তিত্ব’কে- সুতরাং আইন পরিবর্তন। ঝোলাও ফাঁসিতে।
 
এই ধারা চলতে থাকলে এই ‘কাওয়া কাদের’ও যে একদিন ‘কসাই কাদের’ হবে না বা ফাঁসিতে ঝুলবে না- সেই নিশ্চয়তা কে কাকে দিবে?
 
এভাবে ‘মানবতা’ হয় না।
 
আর, এভাবে ঐ শাহবাগীদের মিছিলে যেসব নষ্টমানুষগুলি ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই করে কুকুরের মতো চিৎকার করতো- এবং সেই কুকুরের দলে যখন ফাঁসি চাই বলে যোগ দিতো সেই সব ড. জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, শাহরিয়ার কবির, জই মামুন, আবু হাসান শাহরিয়ার, মুন্নী সাহা, ডা. তুষার, কতগুলি ব্লগার রয়েছে- কিসব নাম যেন ওদের অমি পিয়াল টিয়াল, সুলতানা কামাল, আরাফাত না কি নাম আরেকটার, লুৎফর রহমান রিটন, মুনতাসির মামুন-রা তখনও কি সেটা ‘মানবতা’র আন্দোলন হতো?
 
না, এভাবে মানবতা হয় না।
অর্ধম কখনওই মানবতা শিক্ষা দেয় না, দিতে পারে না, দিতে পারেনি।
 
মানবতা এবং ধর্ম একে অপরের পরিপুরক।
 
আর তাইতো আমরা দেখতে পেয়েছি মুহাম্মদ (সা) যেদিন মক্কা বিজয় করে ফিরলেন সেদিন পরাজিত হত্যাকারীদের হাতে পেয়েও তিনি তাদের ক্ষমা করে দিলেন।
 
মুহাম্মদ (সা) সেদিন পরাজিত কারো গায়ে একটা ফুলের আঁচরও কাটতে দেননি তার অনুসারীদের।
 
মানবতার প্রথম শিক্ষা তো আমরা পেয়েছিলাম মুহাম্মদ (সা) এর ব্যক্তিগত আচরণে।
মানবতার প্রথম শিক্ষা তো আমরা দেখেছিলাম ইসলাম ধর্মে।
 
এবং আজও আমরা মানবতা দেখছি পশ্চিমা সাদাদের দেশেও।
 
কিন্তু কোথায় ‘মানবতা’ বাংলাদেশের ওইসব নষ্টমানুষগুলির মধ্যে?
খুঁজে পান আপনি?
 
আচ্ছা ঐ নষ্টমানুষগুলির মধ্যে কি আপনি এমন ‘একটি’ সভ্যতাও দেখেছেন যেটা অনুকরনীয়?
 
ঐ নষ্ট মানুষগুলির থেকে ‘একজন’ মাত্র মানুষের নাম বলুন তো যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল? একজনও পাবেন না ওদের দলে। তারপরও ওরাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, ওরাই মানবতাবাদী, ওরাও নাকি মানুষ!
 
আমার এই লেখার জবাব দিতে বলুন ড. জাফর ইকবালগংদের।
 
মানবতা শব্দটি উচ্চারণ করতেও মানুষ হতে হয়।
ওরা তো মানুষই না।
 
   Send article as PDF