ম্যাজিক ২৭০

ম্যাজিক ২৭০
 
বেশ কিছুদিন যাবৎ অনেকেই আমাকে আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করছেন। আমি মার্কিন মুল্লুকে থাকি- তাই হয়তো ‘একটু’ বেশী কিছু তথ্য জানাতে পারপারবে; হয়তো-বা এই আশায়।
 
আমার নিজেরও আগ্রহের কোন কমতি ছিল না এই বিষয়টাতে- আমেরিকায় আসার পর থেকেই। খুব খেয়াল রাখার চেষ্টা করতাম- নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপ।
 
কিন্তু, যতই খেয়াল করছি ততই বিস্মিত হচ্ছি!
সত্যিই অদ্ভূৎ এক দেশ আমেরিকা।
এবং, অদ্ভুৎ এক বৈচিত্রময় সৌন্দর্যের নাম আমেরিকা।
 
আমি আগেও বলতাম, ক্রিষ্টোফার কলম্বাস আবিষ্কারের পর থেকেই দল বেঁধে ইওরোপের সাদা এবং অসম্ভব সাহসী মানুষগুলি নতুন পৃথিবীর দিকে রওয়ানা হয়। এই সাদা মানুষগুলি ভয়বহ রকমের মেধাবীও।
 
আজ থেকে চার-পাঁচশত বছর আগে আটলান্টিকের মতো বিশাল আর উত্তাল একটা মহাসাগর নিজের আর পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামান্য পাল-তোলা কাঠের নৌকায় করে পাড়ি দেবার মতো সাহস কয়জন রাখে?
 
বাংলাদেশের মানুষকে যদি আজ সুযোগ দেয়া হয়- যারা যারা ইচ্ছে আমেরিকায় গ্রীনকার্ড নিতে পারবে- যদি তারা কক্সেস বাজার থেকে ইঞ্জিনবিহীন স্রেফ আদিম যুগের পাল-তোলা নৌকায় করে আমেরিকা অবধি পৌছতে পারে!
– কয়জন পাওয়া যাবে?
– আপনি একটু ভেবে দেখুনতো যাবেন কি না?
 
অার সে-সময় বিশাল আমেরিকা ছিল বিরান ভূমি। ভালুক, কুমিরদের রাজত্ব। আমেরিকার মতো ভয়ংকর আবহাওয়া আমি অন্তত পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখিনি।
 
সেই আমেরিকায় চলে আসতে থাকে লাখে লাখে মানুষ।
ভাবুন তারা কতটা সাহসী।
ভাবুন তারা কতটা মেধাবী।
ভাবুন তারা কতটা উচ্চাভিলাষী।
তাদের ধৈর্য্য, একাগ্রতা, দূরদর্শিতা, মেধা, প্রজ্ঞা এসব অচিন্তনীয়।
 
সেই মানুষগুলির দেশ আজকের এই আমেরিকা।
এই আমেরিকা এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ।
এই আমেরিকা বর্তমান বিশ্বের মাতাব্বর।
 
আমার অবাক লাগে- এখনও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল থেকে কিছু যুবক বলিভিয়া, পেরু দিয়ে সাউথ আমেরিকায় ঢুকে ব্রাজিলের গহীন জঙ্গল ভেদ করে কুমির, সাপ, বাঘের ও চোরাচালানীদের রাজ্য এবং ভয়ংকর সব নদী, পাহাড় আর জংগল পেরিয়ে মাসের পর মাস পায়ে হেঁটে এঁকে এঁকে কলম্বিয়া, পানামা, কোষ্টারিকা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস বা এলসালভেদর হয়ে গুয়েতেমালা পার হয়ে অবশেষে মেক্সিকো ঢুকে; তারপর একটা ছোট নদী সাঁতরে টেক্সাসের বর্ডার দিয়ে মার্কিন মুল্লুকে ঢুকছে।
 
আমি এদের এভাবে আসাটাকে ভাল চোখে দেখি না সত্যি; কিন্তু আমি এদের সাহস, ধৈর্য্য আর ক্ষমতাকে স্যালুট করি। আসলে এরাই তো আমেরিকার যোগ্য বাসিন্দা। এবং আশ্চর্য্যজনকভাবেই সত্যি- আমেরিকা সবচে বেশী অপছন্দ করে তার ভূখন্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করাটা- কিন্তু এভাবে যারা আমেরিকায় ঢুকছে তুলনামূলক ভাবে এদেরই গ্রীনকার্ড দ্রুত এবং বেশী হচ্ছে।
 
এই কঠিন পরিশ্রমী মানুষগুলি আমেরিকার বাসিন্দা।
এই কঠিন পরিশ্রমী মানুষগুলি-ই চাঁদের মাটিতে পা রেছে আজ থেকেও প্রায় ৫০ বছর আগে।
এই কঠিন পরিশ্রমী মানুষগুলি ২০৩০ এর মধ্যেই মঙ্গলে মানব বসতি গড়ার লক্ষ্যে প্রায় ৩৫ হাজার বিজ্ঞানীকে উচ্চ বেতন গবেষণা করে যাচ্ছে- মার্কিন সরকারের বাজেটে। এই একটা বাজেট-ই বাংলাদেশসহ এই পৃথিবীর অনেকগুলি দেশের টোটাল অর্থনীতির চেয়েও কয়েকগুন বড়।
 
এই আমেরিকায়ই তৈরী হয়েছে কমপিউটার, ইন্টারনেট, সেলফোন, ফেসবুক, গুগুল। আজ যে আধুনিক পৃথিবীতে আমরা বসবাস করছি- এই যে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে বিমান সবই এই ভুখন্ড থেকেই যাত্রা শুরু করেছে।
 
আমি বেশ কিছুদিন অথবা কয়েক মাস আগে একটা আর্টিকেলে বলেছিলাম- এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের জন্য নির্ধারিত ইন্টারনেট কান্ট্রি ডোমেইন রয়েছে। যেমনটা থাকে ফোনের জন্য কান্ট্রি কোড। যেমন বাংলাদেশের জন্য ডট-বিডি.কম, ভারতের জন্য ডট-ইন.কম, ইউকের জন্য ডট-ইউকে.কম, জাপানের জন্য ডট-জেপি.কম, কানাডার জন্য ডট-সিএ.কম ইত্যাদি।
 
কিন্তু আমেরিকার জন্য সরাসরি ডট.কম।
আমিরিকা দেশটা হলো আসলে একটা ইন্টান্যাশনাল কান্ট্রি।
 
আমেরিকার ভেতরে ৫০টি ষ্টেট রয়েছে। আপনি গুগল আর্থ-এ গিয়ে আমেরিকার যে-কোন শহরের উপর মাউছ ক্লিক করলে দেখবেন- শুধুমাত্র শহর আর ষ্টেটটির নাম দেখাবে। কিন্তু বাদ-বাকী পৃথিবীর যে-কোন শহরের উপর মাউছ দিয়ে ক্লিক করলে দেখবেন শহর এবং দেশের নাম দেখাবে। আপনি আমেরিকা নামের কোন দেশ খুঁজে পাবেন না।
 
আসলে আমেরিকা তো আমেরিকাই। এটা ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি।
আপনি যদি আমেরিকায় চলে আসেন। তাহলে আপনার এখানে ব্যাংক একাউন্ট বা হেলথ সুবিধা নেবার জন্য আপনার ভ্যালিড পাসপোর্ট আইডি দেখাতে হবে। আপনি আপনার নিজ দেশেরটাই দেখান- ব্যস হয়ে গেল। আর কিছুই দরকার নেই। এই পৃথিবীর কোন দেশে পাবেন এমন সুবিধা?
 
আপনি ব্যবসা করবেন? শুধু পাসপোর্ট রয়েছে নিজ দেশের; ভিসা বা বৈধতা কিছুই নেই আপনার! নো চিন্তা। কি দরকার ওসবের- এটা তো ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি। আপনার ঐ পাসপোর্টেই সব হয়ে যাবে।
 
কি বলছেন? পাসপোর্টও নেই? বা আপনার দেশের সরকার আপনাকে পাসপোর্টও দিচ্ছে না! ঠিক আছে- বাদ দিন। দরকার নেই।
আপনি ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একটা ‘ওয়ার্ল্ড পাসপোর্ট’ নিয়ে নিন। আপনার কোন দেশই নেই তো কি হয়েছে- আপনি বিশ্ব নাগরিক!
 
এটাই আমেরিকা।
 
আপনি নিউ ইয়র্ক এ রয়েছেন। সুতরাং আপনি নিউ ইয়র্কার। আপনার কোন বৈধতা নেই।
দরকারও নেই। নিউ ইয়র্ক গভর্ণমেন্ট আপনাকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে বাচ্চাদের ফ্রি স্কুলিং ইত্যাদি সবই দেবে।
 
এই তো মাস কয়েক আগে- এক নির্বাচনী প্রচারণায় প্রেসিডেন্টশিয়াল ক্যান্ডিডেট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষনা দিয়েই দিল- আমেরিকা থেকে অবৈধদের বের করে দেয়া হবে।
 
নিউ ইয়র্ক সহ কয়েকটি ষ্টেট পরদিনই ঘোষণা দিল- আমার ষ্টেটে আমি অবৈধদের থাকার পারমিশন দেবো। সব সুবিধা আমি দেবো। প্রেসিডেন্ট কোন অবৈধদের খুঁজেও পাবে না।
 
আসলে এবার মজার বিষয়টা বলি।
আমেরিকায় ৫০টি ষ্টেট রয়েছে। প্রতিটি ষ্টেটে রয়েছে নির্বাচিত সরকার এরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ রাজ্য পরিচালনা করে। এই ৫০ টি ষ্টেট আসলে সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা ৫০টি দেশ। একটি ষ্টেট এর সংগে অন্য আরেকটি ষ্টেটের কোন কিছুই মিলবে না। প্রতিটি ষ্টেটই আলাদা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ; সংগে রয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন আইন।
 
যেমন নিউ ইয়র্ক ষ্টেটসহ টেক্সাস, ক্যালিফোর্ণিয়া ও আরো অধিকাংশ ষ্টেটেই ‘প্রস্টিটিউশন’ সম্পূর্ণ বেআইনী এবং হারাম। কিন্তু আপনি ফ্লোরিডায় চলে না- সেখানে গিয়ে প্রস্টিটিউট হোন- কোন সমস্যাই নেই; ওরাজ্যে এটাও হালাল বা বৈধ।
 
নিউ ইয়র্কের ঠিক পাশের রাজ্য নিউ জার্সী। হাডসন নদী পার হয়ে ওপাড়ে গিয়ে একজন অবৈধ অভিভাসী স্বাধীনভাবে হাটা-চলা করবে- সম্ভব নয়। পুলিশ ধরে নিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে তুলে দেবে- তারপর সোজা বিমানে চড়ে ঢাকা!
 
এই ৫০টি ষ্টেটে আবার রয়েছে শত শত সিটি। প্রতিটি সিটিতেই রয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। এবং সিটিগুলিও চলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে- যারা সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের প্রতিটি স্তরে গণতন্ত্র-ই এখানকার ঐতিহ্য। নির্বাচিত ষ্টেট গর্ভাণমেন্ট নির্বাচিত সিটি কে নির্দেশনা দিতে পারবে কিন্তু নির্দেশ দিতে পারে না।
 
প্রতিটি ষ্টেটে রয়েছে নিজস্ব নির্বাচন কমিশন এবং তাও ভিন্ন ভিন্ন নামে; ভিন্ন ভিন্ন আইনে। এবং সকলেই স্বাধীন। কারো পক্ষে কোথাও হস্তক্ষেপ করা কোনই সুযোগ নেই।
 
মার্কিন কেন্দ্রিয় সরকারকে বলা হয় ফেডারেল গভার্ণমেন্ট। এবং এই ফেডারেল গভার্ণমেন্ট এর প্রধান ব্যক্তি হলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এই প্রেসিডেন্ট কোন ষ্টেটকে কোন নির্দেশও দিতে পারেন না।
 
নিউ ইয়র্ক ষ্টেট কিভাবে চলবে- সেটা নিউ ইয়র্ক গভার্ণমেন্টই বুঝবে। ফেডারেল গভার্ণমেন্ট কিছুই করতে পারে না সেখানে।
 
এত শক্তিশালী একজন প্রেসিডেন্ট- তার নিজ দেশের কোন ষ্টেটেই তার কর্তৃত্ব নেই!
আসলে আমেরিকার ফেডারেল গর্ভার্ণমেন্ট এর হাতে থাকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক- কেন্দ্রিয় অর্থণীতি দেখে; থাকে এফবিআই সারা দেশের তথা সারা বিশ্বের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে বেড়ায়; থাকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা; পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় যেটাকে ‘আমেরিকার পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়’ না বলে ‘বিশ্বের স্বরাস্ট্র মন্ত্রাণালয়’ বলাটাই বেশী যুক্তিযুক্ত হয়।
 
আসলে আমেরিকার প্রসিডেন্ট তো হলেন বিশ্বেরই প্রেসিডেন্ট।
এই পৃথিবীর সবচে শক্তিশালী মানুষ।
 
কিন্তু এই ‘শক্তিশালী মানুষ’টি নির্বাচিত করার ক্ষমতা থাকে শুধুমাত্র আমেরিকার ভোটার সিটিজেনদের হাতে। এবং যাদের ফিফটি পার্সেন্ট ভোটারই ভোট দিতে অনাগ্রহ দেখায়।
 
৩২ কোটি মার্কিনীর মধ্যে থেকে ১৬ কোটি ভোটারের মাত্র ৫০% অর্থাৎ কমবেশী ৮ কোটি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করে এই পৃথিবীর সবচে শক্তিশালী মানুষটি কে হবে!
 
আর সারা পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের মানুষ প্রতি চার বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবার দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে; চায়ের টেবিলে আলোচনায় ঝড় তোলে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যস্ত থাকে।
 
অথচ।
অথচ এই আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের কোন রাস্তা-ঘাট, সাবওয়ে, রেষ্টুরেন্ট বা কোন অফিস আদালতে গিয়ে বোঝার কোন উপায়ই নেই- যে এই দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী পরশু দিন!
 
না। কোন কোন সাড়া শব্দ নেই। নেই কোন উত্তেজনা।
নেই কোন পোষ্টার, মিছিল, পাবলিক মিটিং, রাস্তার জনসভা।
কোথাও কোন গাধা বা হাতিও দেখা যাবে না।
 
আপনি বুঝতেই পারবেন না যে, ‘যে’ নির্বাচনটির জন্য সারা পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষ ‘তাকিয়ে’ রয়েছে পৃথিবীর সকল মিডিয়ার দিকে- সেই দেশে বসে বোঝার কোন উপায়ই নেই- কি হচ্ছে।
 
এদেশের নির্বাচন শুধু টিভি নিউজ চ্যানেলগুলিতে প্রচারিত ব্রেকিং নিউজ আর বিজ্ঞাপনে।
 
যাই হোক।
আগামী পরশু দিন নির্বাচন। এখন সানডে ইভিনিং। কাল মানডে।
 
সবার মতো আমিও তাকিয়ে দেখি টিভি পর্দা, নিউজ।
আপনি বাংলাদেশে বসে যতটুকু দেখছেন- জানছেন; আমিও ততটুকুই।
 
তাহলে এবার বলুন, আমার কাছ থেকে নতুন কি আর জানতে চান?
আমি তো নিজেই কিছু জানি না। আপনাকে কি জানাবো?
 
তারপরও আমার নিজের কিছু হিসাব রয়েছে।
আমেরিকায় ভুত রয়েছে। দেশটার মানুষ শুধু পাগল-ই না; এটা ভুতেরও দেশ।
অসংখ্য ভৌতিক বিষয়াদি এদেশে ঘটে থাকে।
 
যেমন ধরুন- বিগত আড়াইশত বছর যাবৎই এদেশে কোন দল- না রিপাবলিকান না ডেমোক্রাট কোন দলই টানা দুই মেয়াদের বেশী প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারে নি।
 
অর্থাৎ ডেমোক্রাট বিল ক্লিনটন টানা দুবার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তারপরের নির্বাচনে ডেমোক্রাট আল গোর সংখ্যা ভোটে জিতেও ইলেকট্রলার কলেজ নির্বাচনে ও কোর্টের রায়ে টানা তৃতীয় ডেমোক্রাট প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না।
 
প্রেসিডেন্ট হলেন ছোট জর্জ বুশ। তিনিও দুবার। তিনি রিপাবলিকান।
 
তারপর এলেন কালো মানিক বারাক ওবামা। ডেমোক্রেট। দু’বার।
 
এবার তৃতীয়বার কি ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট আসবেন? হিলারী কি পারবেন এই ভৌতিক বাঁধা পার হতে?
 
আবার দেখুন গত আড়াশত বছরের ইতিহাসে কোন মহিলা আজ অবধি মার্কিন প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচনে দাাঁড়াতেই পারেননি। হিলারী ক্লিনটন মহিলা।
চতুর, বুদ্ধিমান আমেরিকানরা দেবে তাদের ‘নাটাই’ একজন মহিলার হাতে?
 
টোয়ান্টি সিক্স মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন।
দেখা যাক ম্যাজিক ২৭০ কোন দিকে যায়!
   Send article as PDF