মিথ্যা ভিত্তির উপর বসবাস

কালো মতো ছেলেটা তখন ফ্রান্সের কোন এক স্কুলে অষ্টম গ্রেডে পড়ুয়া ছাত্র।
 
টিচার ক্লাসে ঢুকলেন। একটা সাদা কাগজ নিলেন। সাদা মানে ধবধবে সাদা এফোর সাইজ পেপার। সেই কাগজের ঠিক মধ্যিখানে কালো কলম দিয়ে একটা বিন্দু আঁকলেন। তারপর ক্লাসের ছেলেদের সামনে কাগজটা তুলে ধরে প্রশ্ন করলেন ‘এটা কি?’
ছাত্ররা উত্তর দিল, ‘একটা একটা বিন্দু’।
 
টিচার তার ছাত্রদের উপর কিঞ্চিত বিরক্ত হলেন! বললেন, ‘তোমরা এতবড় কাগজটা দেখলে না- বিন্দুটা তোমাদের চোখে পড়লো?’
 
সেই বিন্দুটা আসলে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। বিষয়টা ছিল, ঐ একটা বিন্দুই ঐ ক্লাসের সেই ‘কালো মতো ছেলেটা’কে ‘পরিবর্তন’ করে দিয়েছিল সেই সেদিনই।
 
সেই কালো বা নিগ্রো ছেলেটাকে আপনারা সকলেই চিনেন।
তিনি জাতিসংঘের সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল কফি আনান। ঘানার নাগরিক।
 
যাই হোক।
গ্যালিলিও গ্যালিলি আমার একটা ঝামেলা করে দিয়ে গেছেন।
 
তিনি না কি পড়ন্ত বস্তু নিয়ে এরিস্টোটল প্রতিষ্ঠিত মতবাদকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলে গেছেন, ‘তোমাকে কেউ যদি বলে এক কেজি পাথর এবং এক কেজি তুলা উপর থেকে এক সংগে ফেললে পাথরটি আগে মাটিতে পরবে- তুমি সেটা বিশ্বাস করো না- যতক্ষন না পর্যন্ত নিজে সেটা করে প্রমাণ পাও’।
 
কি বিশ্রী একটা ব্যাপার! চাট্টিখানি কাজ? পাথরই বা পাবো কোথায়?
আর তুলা-ই বা কোত্থেকে সংগ্রহ করি, বলুন তো?
 
পাথর আর তুলা জোগাড় করতে না পারলেও সেদিন থেকে কি যে হলো, কারো কোন কথাই আর অন্ধভাবে সরাসরি মেনে নিতে পারি না।
 
নিজে সম্ভ্যাব্য সবগুলি সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করি।
নির্ভরযোগ্যতা খুঁজি।
 
এবং পরিশেষে নিজের যুক্তি, তত্ব এবং বাস্তবতা মিলিয়ে সত্যতাটুকু গ্রহন করি।
 
যুক্তি আর বাস্তবতার বাইরে যেতেই পারি না।
 
আর সেই গ্যালিলিও এর কারণে যখনই যা কিছু পড়ি- সেটার ভেতরে চলে যাবার একটা অভ্যাস তৈরী হয়ে গেল।
 
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমরা কিছু বিষয় জানি। শহীদদের স্মরণ করি।
 
আমাদের গর্বের আর গৌরবের ইতিহাস মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। কিন্তু যখন সেই গর্বের ইতিহাসে ঢুকিয়ে দেয়া হয় মিথ্যার বেসাতী- তখন আমি আর তা মেনে নিতে পারি না।
 
আমি নির্ভেজাল সত্যকেই ভালবাসি। আর মিথ্যাকে দৃঢ়চিত্তে ঘৃণা করি।
 
আমাদের দেশীয় ইতিহাস আমাদের জানায় যে তৎকালিন পাকিস্তানী শাসকরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। বাংলা ভাষায় কথা বলতে দেবে না, মায়ের ভাষায় আমরা আর কথা বলতে পারবো না। আমাদের উর্দূতে কথা বলতে হবে। ইত্যাদি।
 
গান পর্যন্ত রচিত হয়েছে:
“ওরা তোমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়
যখন তখন শিকল পড়ায় …”
 
অথচ বাস্তবতা হলো, এই ইতিহাসটি সম্পূর্ণভাবেই মিথ্যা।
 
সম্পূর্ণ মিথ্যা কিছু কথাকে একটা পবিত্র ইতিহাসে ঢুকিয়ে দিয়ে মূলত একটা জাতিকে মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
 
আর বাস্তবতা হলো, মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত কোন কিছুই টেকসই হয় না, হতে পারে না।
 
নির্ভেজাল সত্যটুকু জেনে বরং আত্মতৃপ্তি লাভ করা যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আত্মতৃপ্তির মূল শিক্ষা থেকে-ই বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।
 
মিথ্যার কি খুব বেশী প্রয়োজন ছিল?
 
প্রকৃত সত্যটি ছিল, পাকিস্তান সরকার ‘পাকিস্তান রাষ্টের রাষ্ট্রভাষা’ শুধুমাত্র উর্দূ করতে চেয়েছিল।
 
পাকিস্তানে তখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল একটি প্রদেশ এবং সেই পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক ভাষা ছিল বাংলা। পাকিস্তানের আরও অন্যান্য প্রদেশেরও নিজস্ব ভাষা ছিল বা এখনও রয়েছে।
 
পাকিস্তানে মাত্র ৭% জনসংখ্যার মূল ভাষা উর্দূ। কিন্তু উর্দূই পাকিস্তানে রাষ্ট্রিয় ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রিয় দেশে একাধিক প্রদেশ থাকে এবং প্রাদেশিক স্বাতন্ত্র থাকে; যেমনটা ভারতেও রয়েছে।
 
পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক ভাষা বাংলার পরিবর্তে উর্দূ করতে চায়নি।
 
পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক ভাষা বাংলাই ছিল এবং বাংলাই থাকতো। আমরা বাংলাতেই কথা বলতাম। আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়ার মতো ষ্টুপিড চিন্তা কেউ কোনদিনও করেনি।
 
ভারত বর্ষে আজ ৩০টি ভাষা ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তানেও ৭টি ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে। কোন ভাষাকে মুছে ফেলা হয়নি বা মুছে ফেলার কথাও কেউ বলেনি। পুরো ভারত বর্ষে যেমনটা ব্যবহৃত হয় হিন্দী, তেমনটাই পাকিস্তানেও তারা চাচ্ছিল উর্দূকে ব্যবহার করতে। কিন্তু কোন প্রাদেশিক ভাষাকে বিলুপ্ত করে নয়।
 
পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ পাকিস্তানের রাষ্ট্র বা জাতিয় ভাষা হিসাবে শুধুমাত্র উর্দূকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেরা আন্দোলন করে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের যৌথ রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে আমার বাংলা ভাষাকে বিশ্বের কাছে উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন।
 
এটা আমাদের গর্বের ইতিহাস।
কিন্তু সেই গর্বে ইতিহাসে কি মিথ্যা কথাগুলি না ঢুকালেই চলতো না?
 
কেন আমাদের মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে?
আমার কি গর্ব করার মতো সত্যের অভাব পরেছে?
 
এমনকি এখনও, এই ২০১৭ সালেও করাচীর একটা বড় সংখ্যায় মানুষ বাংলা ভাষাতেই কথা বলে। 
 
গর্বের সত্য থাকার পরও মিথ্যাটা যুক্ত করাটা কি খুব বেশী দরকার?
এতে কি প্রকান্তরে পবিত্র সত্যকেই খাটো করা হচ্ছে না?
 
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়।
একটা ৯ মাস ব্যাপী যুদ্ধের মাধ্যমে এবং ভারতীয় সহায়তায় বাংলাদেশ জন্মলাভ করে।
 
কিন্তু এখানেও রয়েছে মিথ্যার বেসাতি।
বলা হয় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। অর্থাৎ ৯ মাসের যুদ্ধে ৩ মিলিয়ন লোক নিহত হয়েছে।
 
চলুন একটা সরল অংক করি।
৩ মিলিয়ন লোক যদি শহীদ হয়ে থাকে এবং দেশে মোট ৬৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। তাহলে প্রতিটি গ্রাম থেকে গড়ে ৪৪ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। আমার গ্রাম থেকে ২ দুইজন মানুষ শহীদ হয়েছেন। বাকী ৪২ জন শহীদ আমার গ্রামে নেই।
 
আপনার গ্রামে মোট কতজন শহীদ হয়েছে?
 
আপনি কোন যুক্তিতেই ৩ মিলিয়ন শহীদ দেখাতে পারবেন না।
 
কেন মিথ্যা বলেন?
কেন আমরা মিথ্যা নিয়ে থাকবো?
 
কেন?
কেন?
 
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে সর্বোচ্চ ২ থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন; এই সংখ্যাটাকে ৩ মিলিয়ন না বললে কি আমাদের স্বাধীনতার গুরত্ব কমে যেতে? কেন মিথ্যার উপর আমাদের নির্ভর করতে হবে?
 
এরকম আর শত শত মিথ্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ী আসন পেতে বসে রয়েছে।
 
বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা নয় মাসের গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানকে হটিয়ে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করে।
 
হ্যাঁ। মানছি, যে-কোন কারণেই হোক আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান রয়েছে কিন্তু সেটা কি স্রেফ ‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ’? আমাদের যে লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা তাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে শহীদ হয়ে দেশটাকে স্বাধীনতা এনে দিল সেটা গৌন হয়ে গেল ‘ভারত-পাকিস্তান’ যুদ্ধের অন্তরালে!
 
অথচ, এটা নিয়ে আমরা কোন প্রতিবাদ করি না।
আর সেই মিথ্যা ইতিহাসের লেখক ভারতকে আজ পর্যন্ত আমরা এই অত্যন্ত স্পর্শকাতর মিথ্যা ইতিহাস তৈরীর অভিযোগ একটা স্মারক লিপি পর্যন্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছি!
 
মিথ্যার উপর যাদের নির্ভরতা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়- তারা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহস জোগাতে পারবে না- এটাই তো বাস্তবতা।
 
আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই করে নেবার অপরাধে আমরা ভারতকে অভিযুক্ত করারও সাহস দেখাতে পারি না। কি একটা বীরের জাতি আমরা?
 
ভারতের সংগে শেখ হাসিনা ‘সামরিক মেমোরেনডাম’ সাক্ষর করে এসেছে।
 
একটা দেশ কখন আরেকটা দেশের সংগে সামরিক চুক্তি করে?
 
ভারত এমন কোন আহামরী দেশ না যে তাকে কৈফিয়াত দিয়ে চলতে হবে!
 
ভারত বাস্তবিকভাবে মোটেও কোন আঞ্চলিক বড় শক্তি না। আমি আগেও বলেছি যে বনে বাঘ নেই সে বনে শেয়ালই রাজা। কিন্তু ভারত যে অঞ্চলে বাহাদুরী ফলাতে চায় সে বনে শুধু বাঘই না, ভয়ংকর সিংহও রয়েছে। একপাশে পাকিস্তানী বাঘের থাবা অন্য দিকে চায়নার সিংহের হুংকার! ভারতকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না!
 
সেই ভারতকে কেন আমরা ভয় করবো?
সামরিক চুক্তি যদি করতেই হয়- বাংলাদেশ সেই চুক্তি করবে আমেরিকার সংগে।
সামরিক চুক্তি যদি করতেই হয়- বাংলাদেশ সেই চুক্তি করবে চায়নার সংগে।
 
আমেরিকা বা চায়নার কাছে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন কালেও হুমকীর মুখে যাবে না।
 
কিন্তু, অবশ্য অবশ্যই ভারতের কাছে আমাদের স্বাধীনতা সবসময়ই হুমকীর মুখে।
অথচ, আমরা কিনা সেই ভারতের সংগেই সামরিক চুক্তি করবো?
 
কোন প্রতিবাদ নেই।
মিথ্যার উপর যে দেশের ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত- সে দেশে তো মিথ্যা দিয়েই সবকিছু চলবে!
 
সকলে তা মেনেও নিবে।
 
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো- ভারতীয় নেতৃত্বে শেখ হাসিনার মূল উদ্দেশ্যই ছিল দেশে জংগীবাদের অস্তিত্ব কায়েম করা। এবং সেই নীল নকশা বলেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটা বৈধ রাজনৈতিক দলকে জংগীবাদে অভিযুক্ত করতে এমন কোন হীন অপচেষ্টা নেই যা শেখ হাসিনার সরকার করেনি। বা এখনও করছে না।
 
বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই ‘অপারেশন ক্লিন হার্টে’র মাধ্যমে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড চালু করেন এবং সেই বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রতিষ্ঠা করেন রাব।
 
অস্বীকার করবো না যে বেগম খালেদা জিয়ার সমেয় ঢালাওভাবে মানুষ হত্যা করা হয়নি। কিন্তু যাত্রাটা তার হাত দিয়েই হয়েছিল।
 
আর, শেখ হাসিনা সেই রাবের সাজানো বাগানটাকেই তার অনুকুলে ব্যবহার করে যাচ্ছেন দুর্ধর্ষভাবে।
 
আজ, দেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই।
আজ, দেশে কোন মানবাধিকার নেই।
আজ, দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে প্রকাশ্যে।
 
ঠিক যেই কাজগুলি করেছিলেন শেখ মুজিবর রহমান সেই ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে তার ক্ষমতাকলীন সময়ে।
 
আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করে দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষের ভেতরে মিথ্যা ঢুকিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শেখ মুজিবকে বানানো হয়েছে নবী, ‘প্রফেট অব বেঙ্গল’।
 
শেখ হাসিনা আজ দেশের পুলিশ আর রাবকে মানুষ হত্যার লাইসেন্স দিয়েছে- যখন যাকে ইচ্ছে তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হচ্ছে।
 
সাধারণ মানুষকে মন চাইলেই হত্যা করে জংগী ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হ্চ্ছে।
এসব দেখার কেউ নেই, প্রতিবাদ করার কোন সুযোগ নেই- কার স্বাধ হয়েছে যেচে গিয়ে রাবের গুলি খাবে? জংগী ট্যাগ নিবে?
 
বেগম জিয়াকে দেখলাম কিছুদিন আগে দেশের নপুংসক প্রেসিডেন্ট এর কাছে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ এবং একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা অনুরোধ করতে।
 
আমি তখন অট্টহাসি হেসেছিলাম।
 
এই সেই বেগম খালেদা জিয়া- যিনিই মুলত সেই ১৯৯১ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের ভালবাসাকে পুঁজি করে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রে মূল ভিত্তিকেই হত্যা করেছিলেন।
 
বেগম খালেদা জিয়াই প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে নপুংসক বানিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াই সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় দলীয় এমপিদের পর্যন্ত নপুংসক বানিয়েছিলেন।
 
তাহলে, সেই বেগম জিয়া কোন ভরষায় আজ প্রেসিডেন্টের কাছে যান?
 
আম্লীগ বা বিএনপি কেউ কোনদিন দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ভরশা করেনি।
আম্লীগ বা বিএনপি কেউ কোনদিন দেশের মানুষের শক্তিকে সম্মান করেনি।
আম্লীগ বা বিএনপি কেউ কোনদিন দেশের মানুষকে সত্য কথা বলেনি। সত্য ইতিহাস জানতে দেয়নি।
 
তারা ইতিহাস শিখিয়েছে তাদের নিজেদের মতো করেই।
আর, আজ সেই মিথ্যার হাতেই বন্দী হয়ে অঝোরে কাঁদছে বাংলাদেশ।
 
দেশের শেষ ভরশাস্থল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আজ মিউ মিউ বেড়ালে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার অবৈধ টাকার কাছে।
 
এখন শুধু একটাই ভরশা দেশের ১৮ কোটি মানুষ।
 
মানুষের নিজেদের ক্ষমতার শক্তি ছাড়া এই দেশটাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
 
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের সাধারণ মানুষই দেশটাকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছিল।
 
   Send article as PDF