সত্য যখন মুখোমুখি!

অক্টবরের ১৪ তারিখের বিকেলে জেএফকে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পর একটা ইয়োলো ক্যাব নিয়ে সোজা চলে গেলাম ঢাকায় বসে অনলাইনে ভাড়া করা একটা বাসায়- বাসাটা ছিল হারলেম এ। হারলেম ম্যানহাটন এর আপটাউনে ওয়ান টুয়েন্টি ফাইভ এ অবস্থিত।
 
আসলে তখন তো আমি হারলেম কি বা কোথায় সেটাই জানি না বা বুঝিও না। আমার কাছে তখন পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন নামটাই একমাত্র পরিচিত স্থান। এছাড়া আর কিছুই জানি না।
 
জানার কথাও না।
প্রায় ১০ হাজার মাইল দূরের দু’টি দেশ বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড স্টেটস। আমরা ইন্ডিয়ান অরিজিন আর এরা আমেরিকান; চেহারা, চিন্তা, চামড়া, চোখ, নাক, কান, কথা বলার ঢং, ভাষা, শব্দের উচ্চারণ ইত্যাদি কোন কিছুতেই কোন মিল নেই।
 
জেএফকে এয়ারপোর্টে সামান্য একটা ট্রলি নিতে গুনতে হলো ৬ ডলার- যেটা আমার জানা এই পৃথিবীর সব এয়ারপোর্টই ফ্রি ব্যবহার করা যায়। এক লিটার পানির বোতল কিনতে হলো ৪ ডলারে। অর্থাৎ সবকিছুই আমার কাছে অপরিচিত, অন্যরকম, ভীতিকরও। এদের ইংলিশ উচ্চারণ ও শব্দ-কৌশলও আমার কাছে তখন খুবই অচেনা।
 
সন্ধ্যার আগে বাসায় পৌছলাম- পৌছতেও সে কি বিড়ম্বনা।
বাসা ভাড়া নিয়েছি কিন্তু বাড়ীওয়ালা ইমেইলে জানিয়ে দিয়েছে- সে কোন ফোন রিসিভ করবে না। বাসার মেইন গেইট খোলা থাকবে; আমাকে তিন তলায় উঠে যেতে হবে সিড়ি দিয়ে এবং বা পাশের গেটে চাবি ঝুলানো থাকবে। ওটাই আমার রুম, নীচ তলায় কিচেন রয়েছে ওটা আমি ব্যবহার করতে পারবো। ব্যস। তার আর কোন খবর নেই। সাতদিন পর চলে যাবার সময় চাবিটা যেন ঠিক ঐ জায়গামতোই রেখে চলে যাই।
 
ইয়োলো ক্যাব ঠিক বাসার গেটে নামিয়ে দিয়ে বলল এইটাই তোমার বাসার ঠিকানা- নেমে যাও। ৬০ ডলার ভাড়া আর ৫ ডলার টিপস দাও। আমি তাই করলাম। এইভাবে কেউ টিপস চেয়ে নেয়- সেটাও জীবনে প্রথম দেখলাম।
 
আমি বুঝতেই পারলাম না ঠিক কোথায় আমাকে নামিয়ে দিয়ে গেল!
বাসার নাম্বার মিললাম শুধু ‘১৬ ই’ লেখা গেটে- আর কিছুই বুঝছি না। একবার গেট ঠেললাম- খুললো না। পুরোপুরি বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম রাস্তায়- সংগে লাগেজ।
 
একজন হোয়াইট ভদ্রমহিলা তার ছোট্ট বাচ্চাকে ষ্ট্রলারে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছে- আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজে যেচে বললো, ‘আমি কি তোমাকে কোন হেল্প করতে পারি?’
 
আমি তাকে বললাম, ‘দেখ ইয়োলো ক্যাব আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল কিন্তু আমি তো ঠিক আমার বাসা খুঁজে পাচ্ছি না- কি করি বলো তো? আমি আজই প্রথম আমেরিকায় এসেছি।’
 
ভদ্রমহিলা বাসা কিভাবে ভাড়া নিয়েছি জানতে চাইলো; আমি বললাম অনলাইনে থেকে ৩৫০ ডলার পেমেন্ট করে ভাড়া নিয়েছি ৭ দিনের জন্য। এবার তো মহিলা আমাকে ভয় পাইয়ে দিল, ‘তুমি করেছো কি? অনলাইনে তো কত রকমের চিটিং হয়- তোমার টাকাটাই তো ধরা খেয়েছো!’
 
আমি দৃঢ়তার সংগে বললাম, ‘না। আমি খুব হিসাব করেই পেমেন্ট করেছি- মার খাবার প্রশ্নই আসে না এবং এটাই বাসার ঠিকানা।’
 
এবার ভদ্রমহিলা আমাকে বললেন, ‘তুমি আমার বেবির ষ্টলারটা ধরে দাড়াও, আমি দেখি কি করতে পারি’।
 
আমি দাঁড়ালাম, তিনি গেটে গিয়ে ধাক্কা দিলেন এবং গেট খুলে গেল। আমি পুরাপুরি স্পীকার হয়ে গেলাম! আমার ধাক্কায় গেট খুললোনা আর উনি কিনা সেই একই গেট খুলে ফেললেন!
 
এবার তিনি বললেন, ‘এই বাসাই যদি হয়- তাহলে তুমি তিন তলায় চলে যাও তোমার রুমও তাহলে রেডী রয়েছে। আমি দাঁড়ানো রয়েছি তোমার বাকী লাগাজটাও পাহাড়া দিচ্ছি।’
 
যাই হোক, বাসা পেয়ে গেলাম।
ওদিন আর কিছু খেলাম না। ঘুমালাম। পরদিন সকালে নীচে নেমে খুঁজাখুজি করে পাশেই একটা ম্যাকডোনাল্ডস পেয়ে গেলাম। চায়না ও মালয়েশিয়াতে আমি সাধারণত যে-কদিনই থাকতাম- ম্যাকডোনাল্ডস খেয়েই জীবন ধারণ করতাম; কাজেই ভেবে নিলাম ভালই হলো।
 
কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডস এ খাবার অর্ডার করতে গিয়ে ওদের কথা তো কিছুই বুঝি না। একটা অল্প বয়েসী ব্লাক মেয়ে আমার অর্ডার নিচ্ছিল- অর্ডার ঠিকই দিতে পারলাম কিন্তু সে যে কি বলল তা সেদিন বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন বুঝি- কারণ তখন ওসব ভাষাগুলো আমার কাছে অপরিচিত ছিল। মেয়েটি আমাকে প্রশ্ন করেছিল ‘টু গো অর ষ্ট্রে হেয়ার?’ কিন্তু তখন তো আমি ওদের বলার ধরণ ও মানে বুঝতাম না। তাছাড়া ‘টু-গো’ শব্দটির সংগেও আমি আগে পরিচিত ছিলাম না।
 
নিউ ইয়র্কের শীতের কোন আগা-মাথা নেই।
কখন যে শীত পরে আর কখন যে গরম পরে সেটা বোঝা তখন ছিল অসম্ভব। সুতরাং লাগেজ থেকে আমার ব্লেজারটি বের করে দেখি একটু ময়লা হয়ে রয়েছে এবং আয়রনও করা দরকার।
 
এবার তো আসল বিপদ।
বিশাল বিশাল লন্ড্রি। লন্ডির ভেতরে সাজানো রয়েছে ৫০-৬০টা ওয়াশিং মেশিন। আমি আমার সামান্য একটা ব্লেজার কিভাবে এখানে ওয়াশ ও আয়রন করাবো ঠিক বুঝে উঠতেই পারছি না। এদের স্ট্যাইলও বুঝে উঠা কষ্টকর। কোন স্ট্যাইলের ইংলিশ যে এরা বলে- সেটাই তখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছি না।
 
যাই হোক, একটা ছোট লন্ডিতে ঢুকলাম এবং ওটার লেখা-লেখি দেখি উপলব্ধি করতে সামর্থ হলাম যে এখানে আমি কাংখিত সেবা পাবো। ব্লেজারটি দিলাম, বললাম এটা ওয়াশ করতে হবে। বয়ষ্ক ব্লাক দোকানদার নিয়ে একটা রিসিপ্ট ধরিয়ে দিল সেখানে দেখলাম ৭ ডলার লেখা। টাকাটা দিলাম এবং বাংলাদেশী ভাবনায় সহজ-সরলভাবে জানতে চাইলাম ‘কখন ডেলিভারী দিতে পারবে?’
 
দোকানদার আমার সেই ব্লেজারটি আমার হাতে ফেরত দিয়ে বলল, ‘নো নো নো; নো ডেলিভারী।’
 
এবারও আমি স্পীকার হতে গিয়েও মাথা খাটিয়ে বুঝলাম এরা ডেলিভারী মানে ‘ডেলিভারী’কেই বুঝে- আমার বাংলাদেশ থেকে শিখে আসা ডেলিভারী এখানে কাজে দিবে না; সংগে সংগে ভাষা সংশোধন করে বললাম, ‘কখন রেডী হবে- আমি কখন আসবো পিকাপ করতে?’
 
এভাবেই আস্তে আস্তে আমাকে শিখতে হচ্ছে প্রতি মুহূতে নিত্য নতুন শব্দমালা। ভাষার ব্যবহার, উচ্চরণ। এখন আমি জানি এরা ‘সিডিউল’ চিনে না বলে ‘স্ক্যাজুয়াল’। এরা ‘জিরো কে বলে ‘ও’ আবার ‘জি’ এবং ‘জেড’ দু’টোই এদের কাছে ‘জি’। এরা ‘ডাবল জিরো’ বা ট্রিপল টু বা ট্রিপল এইট এসব বুঝে না- এদেরকে বলতে হয় ‘জিরো জিরো’ বা ‘টু টু টু’ বা ‘এইট এইট এইট’।
 
আমরা যেভাবে বাংলা মতো করে একটানে ইংরেজী শিখেছি এখানে সেটা তারা বুঝে না- তাদেরকে কথা বলার সময় প্রতিটি ওয়ার্ডকে ই আলদা আলাদা ভাবে স্পষ্ট এবং শক্ত করে থেমে থেমে বলতে হয়।
 
এই তিন বছরে আমি আমেরিকায় এসে এদের সংগে উচ্চারিত শব্দ ও শব্দ-কৌশল যা যা শিখেছি তা তা যদি আমি এখন বাংলাদেশে এসে ব্যবহার করা শুরু করি- তাহলে বাংলাদেশ তা বুঝবে কেন?
 
দীর্ঘ শানে নজুল দিলাম।
দীর্ঘ শানে নজুল না দিলে জটিল কোন কিছু সহজে বোঝানো অসম্ভব হয়ে পরে অনেক সময়।
 
আপনি দীর্ঘদিন যেটা দেখবেন, জানবেন, শুনবেন সেটা অটোমেটিকেলী আপনার ভেতরে আত্বস্থ হয়ে উঠবে। আপনি তখন তার বাইরে নতুন কিছু গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন না- যদি না বাধ্য হন। তার উপর যদি আপনার ভেতরে অনুসন্ধিৎসু বিষয়টা অনুপস্থিত থাকে- তাহলে তো কথাই নেই।
 
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে অলমোষ্ট অর্ধশত বছর।
এই অর্ধশত বছরে আমাদের মাথায় কিছু কিছু স্পেসিফিক বিষয় সুপরিকল্পিতভাবেই ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। যেমন: ‘পাকিস্তান আমাদের শুধুমাত্র শাসনই করেছে, আমাদের মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছে, ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, আমেরিকা ৭ম নৌবহর পাঠিয়েছে ভারতের সংগে যুদ্ধ করতে, শেখ মুজিব একাই দেশ স্বাধীন করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠনের চেতনা নিয়ে’ ইত্যাদি আরো বেশ কিছু বানোয়াট, মিথ্যা এবং ভুয়া তথ্যমালা আমাদের শিখতে বাধ্য করা হয়েছে।
 
কিন্তু আমরা যদি আজ খোলা মন নিয়ে ইন্টারনেট ঘেটে, দেশী বিদেশী নামী লেখকদের লেখা, সাক্ষাৎকারমূলক আলোচনা, তৎকালিন দেশী-বিদেশী সংবাদ পড়ে প্রকৃত ঘটনাসমূহ জানতে পারি, নিজেদের মিথ্যাগুলো ধরে ফেলি এবং সেই সংগে তৎকালীন ঐতিহাসিক সত্য কথাগুলো মানুষকে বলি বা জানাই- তখন সেটা দীর্ঘদিনের জানা মিথ্যাগুলোর সংগে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠে।
 
যারা সত্যকে ভালবাসে, সত্য জানতে আগ্রহী, যারা মিথ্যা আবেগে না ভেসে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে কাজ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় তারা ঠিকই যাচাই বাছাই সাপেক্ষে সত্যকে মেনে নেয়। সত্যকে শ্রদ্ধা করে। বিগত দিনে নিজের ভুল জানাকে শুধরে নেয়।
 
কিন্তু যারা নির্দিষ্ট আবেগ দ্বারা আবদ্ধ, কিছু বোঝার মতো বুদ্ধি থাকলেও সেটাকে ব্যবহার করে শুধুই নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য (ভালমন্দ ধার ধারে না), দশজনের ক্ষতি করে হলেও নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে, ক্ষমতা ও অর্থ-ই যাদের একমাত্র চাওয়া- সমস্যা হয়ে উঠে তাদের জন্য।
 
সত্যকে মেনে নেয়া, নতুন তথ্যকে স্বাগত জানানো তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে উঠে তখন। মিথ্যাকে মূলমন্ত্র হিসাবে গ্রহন করা এসব ব্যক্তিরা তখন হয় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হয়ে উঠে হিংস্র। যুক্তি ও সাহসের অভাবে এরা আলোচনায় আসে না। এরাই তখন নির্ধারিত কয়েকটা বাক্যে আবদ্ধ জীবন কাটায়। এবং সেই বাক্যগুলিও খুবই সামান্য। যেমন: ‘তুই পাকিস্তান যা’, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি’, ‘তুই রাজাকার’, ‘ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি।প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এসব হাতে গোনা কয়েকটি বিভক্তিকর শব্দ বা লাইন-ই এদের একমাত্র খুঁটির জোর।
 
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিএনপি দীর্ঘ প্রায় পনের বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও এরা প্রকৃত জাতীয়তাবাদী একটা শক্তিশালী মিডিয়াও প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেনি। অতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে তারা বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেছে ঠিকই কিন্তু একজনও মিডিয়াকর্মী সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা বিএনপির একটা অমার্জনীয় অপরাধ।
 
অথচ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পক্ষে, সত্যের পক্ষে, যুক্তির পক্ষে সাহসের সংগে কথা বলা বিএনপি কর্মীর কিন্তু দেশে কোন অভাব পরিলক্ষিত হয় না, অন্তত এই ফেসবুকিয় যুগে। কিন্তু গবেষনা করে কিছু তথ্য, সত্য, ইতিহাস খুঁজে বের করা কাউকে সেভাবে চোখে পরে না।
 
তথাকথিত চেতনাবাজীতে অভ্যস্থ সেই চরিত্রহীন সেকুলারগোষ্ঠী, নষ্ট বাম আর আওয়ামী লেখক কুলের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দেশের মিডিয়াসমূহ।
 
আর এই নষ্ট মিডিয়াগুলোই আমাদের শিখিয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনাবাজী রাস্ট্র, মুক্ত বুদ্ধিচর্চার নামে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করা, ইসলাম ধর্মকে প্রতি মুহূর্তে ছোট করা, দেশের সবরকম অপরাধের সংগে ইসলামকে সম্পৃক্ত করে কৌশলে মানুষকে ইসলাম বিরোধী হিসাবে গড়ে তোলার এক সূদূরপ্রসারী চক্রান্ত।
 
ঠিক সেই মুহূর্তে পিনাকী ভট্রাচার্য (Pinaki Bhattacharya) তার প্রতি মুহুর্তের ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রকৃত সত্যগুলোকে তুলে ধরা শুরু করেন। প্রকাশ করেন দু’টি গবেষনাধর্মী বই ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’ এবং ‘মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৭১’।
 
পিনাকী ভট্রাচার্য তার এই বই দু’টোতে ইতিহাস থেকে তথ্য ও তত্ব ঘেটে বাস্তব প্রমাণসহ সকল প্রতিষ্ঠিত মিথ্যাকে এক তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের অসংখ্য অজানা বিষয়কে তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন কোন কিছুর পরোয়া না করে।
 
অথচ এই কাজগুলি বাংলাদেশে আরও অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল; কিন্তু কেউ তা করেননি এই দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরেও।
 
পিনাকী ভট্রাচার্য সত্যের পথে, বাস্তবতার পক্ষে, প্রতিষ্ঠিত মিথ্যার ভীত নড়িয়ে দিয়েছেন।
 
সেকুলার গোষ্ঠী, নষ্ট বাম ও আওয়ামী লীগের বেতনভূক্ত কথিত লেখকরা পিনাকী ভট্রাচার্যের একটি লাইনেরও উত্তর দেবার সাহস, যোগ্যতা, বা যুক্তি সামনে আনতে পারেনি। পারবেও না কোনকালে।
 
পিনাকী ভট্রাচার্যকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তারা অসংখ্য অযৌক্তিক এবং তথ্যহীন চেতনাবাজী লেখা সামনে আনার চেষ্টা করেছে কিন্তু কেউ তা গ্রহন করেন। কাজেই, তাদের সামনে এখন মাত্র একটাই রাস্তা খোলা রয়েছে আর সেটা হলো তাকে হত্যা করা, তার মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া।
 
এবং সেই নষ্টামীর শেষ চেষ্টাই সেদিন বগুড়াতে করা হয়েছিল। দ্রুত পরিস্থিত উপলব্ধি করে ফেলায় ব্যর্থ হয়েছে সেইসব আততায়ী। আমি জানি হাচিনা প্রশাসন কোন আইনী ব্যবস্থাই গ্রহন করবে না পাছে তারা নিজেরাই গিল্টি প্রমাণ হয়ে যায়।
 
বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন করতে, সত্য, যুক্তি, প্রকৃত ইতিহাস জানতে পিনাকী ভট্রাচার্যকে আর দীর্ঘদিন কাজ করে যেতে হবে। তাঁকে কোন ভাবেই হারানো যাবে না। পিনাকী দা’কে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করবো নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে সিরিয়াস হবার জন্য।
 
বাংলাদেশকে দেবার জন্য পিনাকী দা’র এখনও অনেক কাজ বাকী।
   Send article as PDF