Unrest 3W

বলছিলাম থি-ডব্লিও (3W) নিয়ে।

WWW মানেটা হল World Wide Web, এগুলি পুরোনো কথা; সবাই জানেন। বাট, অনেকেই যা জানেন না- তা’র কিছ বলতে চাচ্ছিলাম।

আমেরিকান সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম তাদের অফিসের ভিন্ন ভিন্ন কমপিউটারগুলি ক্যাবলের মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসার চিন্তা থেকে নেটওয়ার্কের বিষয়টি সামনে আনেন। নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হল। কিন্তু তারা আরও কিছু করতে চাইলো। একটা নেওয়ার্কের সাথে অন্য আরেকটি দূরবর্তী নেটওয়ার্ককে সংগুক্ত করতেও সফল হল এবং সৃষ্টি হল ‘ইন্টারনেট’ যুগের। ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ক থেকে সহজ কানেক্টটিভিটির জন্য তৈরী হল ব্রাউজিং সফটওয়্যার বা তিন-ডব্লিও (www) এর।

আমেরিকানরা সত্যিই পারেও!

এই থ্রি-ডব্লিও এর পরের যে ইউনিক ডোমেইন নেইম থাকে সেটিরও সৃষ্টি হলো সময়ের প্রয়োজনে। একটি ডোমেইন এখন বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ৯ ডলারে বছর প্রতি।

বিক্রি করছে- www.icann.org নামের একটি প্রাইভেট সংস্থ্যা যার অফিস লস এঞ্জেলেস এ। স্বয়ং আমেরিকান সরকারেরও কোন হাত বা কতৃত্ব নেই এতে। সারা বিশ্ব এদের মুখাপেক্ষী। এই কোম্পনীটি পৃথিবীর প্রতিটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে ডোমেইন নেমের মাধ্যমে।

উইন্ডোজ, আপেল, গুগল বলেন আর ফেসবুক বলেন- সবই সৃষ্টি উত্তর গোলার্ধের এই দেশটিতে।

এগুলিও মূল কথা নয়। 
মূল কথা বলতে চাচ্ছিলাম বাস্তব জীবনের থ্রি-ডব্লিও নিয়ে।

নিউ ইয়র্কের তিন ডব্লিও যাকে মূলত বলা হয়ে থাকে ‘আনরেষ্ট থি-ডব্লিও’ (Unrest 3W)।

W = Weather | W = Work | W = Women

নিউ ইয়র্কের এই তিনটি ডব্লিও সত্যিই বড় বেশী অস্থির, অবিশ্বাস্যোগ্য ও অতর্কিত।

এখানকার ভয়ংকর বা বিশ্রী আবহাওয়া কখন কিভাবে যে চেঞ্জ হয়ে যায় তা ভাবাও কষ্টকর। মাইনাস ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত আমি নামতে দেখেছি। প্রচন্ড শীতের দিনগুলিতে মারাত্বক তুষারের সাথে সাথে ফ্রিজিং রেইন, অনেক সময় আবার ‘ব্লেজার্ড’। ওহ্, ভয়ংকর।

নিউ ইয়র্কের চাকুরী? আরও অস্থির। ঘন্টায় ৩ ডলার থেকে শুরু করে ঘন্টায় ৩০০ ডলারও আয় করা যায় এখানে কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই তার। কখন থাকবে তাও কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে না।

আর বাকী থাকলো শেষ ডব্লিওটি বা এখানকার মহিলাদের চরিত্র- কখন কার কাছে থাকবে কেউ জানে না, বুঝে না। সকালে বাসায় রেখে বিকালে ফিরে হয়তো দেখলেন ‘নাই’।
– কিছু বুঝলেনই না!

এই তিনটা ডব্লিও সত্যিই অস্থির করে রেখেছে নিউ ইয়র্ক তো বটেই পুরো আমেরিকাকেও।

ইদানিং নিউ ইয়র্কে ভালই শীত পড়ছে। 
এবার নাকি ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ আসছে নিউ ইয়র্কে! লম্বা সময় জুরে শীতে কাঁপার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি।

   Send article as PDF