গাড়ী ছিনতাই

আমার ব্যবসায়িক লাইফে আমি মোটে ৩টি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

তারমধ্যে একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, আমি ৭টা মাইক্রোবাস কিনেছিলাম।
আমি শুধু গাড়ীগুলোরই মালিক ছিলাম, আর ভাড়ায় দিয়েছিলাম একটি রেন্ট-এ-কার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে। ওরাই পরিচালনা করতো।

গাড়ীর নিরাপত্তা রক্ষার্থে সেই ২০০৬ সালেই আমি ডিজিটাল ট্রাকিং সিষ্টেম এড করি গাড়ীগুলোতে- যেন কখন কোথায় কোন গাড়ী রয়েছে সেটা আমি কমপিউটারে বসে দেখতে পারি।

তখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে কার ট্রাকিং সিষ্টেমটি অপরিচিত একটি বিষয়। আমার গাড়ীতে যে আমি ডিজিটাল ট্রাকিং সিষ্টেম সংযুক্ত করেছিলাম সেটা আমি সুচতুরভাবেই রেন্ট-এ-কার কোম্পানীকে বুঝতে দেইনি। আমি নিজে নিজেই শুধুমাত্র কারগুলো ট্রাক করতাম।

এভাবেই চলছিল।
তার আগে বলে নেই- আপনি যদি নিজে ড্রাইভার না হোন এবং নিজে অপারেট না করেন তাহলে গাড়ীর ব্যবসা হচ্ছে সবচে বাজে একটা ব্যবসা। আমার লাইফটাকে ঐ ৭টা গাড়ী মিলে ‘হেল’ করে ছেড়ে দিয়েছিল।

যাই হোক, সেটা অন্য গল্প। অন্য প্রসংগে এলে লিখতেও পারি।
মুল গল্পে ফিরি। গাড়ীগুলো রেন্ট-এ-কার কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে পরিচালিত হলেও গাড়ীগুলো আমার পার্কিং এ থাকতো এবং ড্রাইভারদের আমিই নিয়োগ দিতাম।

ঢাকার লাইফে আমার অনেকগুলো ড্রাইভার এর সংগে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমার পার্সোনাল গাড়ীর জন্য ২০০৪ এর দিকে নূর ইসলাম নামে একটা ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছেলাম। আমার দেখা এই দুনিয়ার সেরা ড্রাইভার এই ছেলেটি।

অসাধারণ ছিল তার ব্যবহার, অত্যন্ত দায়িত্ববান, এবং তুখোড় গাড়ী চালাতে জানতো সে। আমি নূর ইসলামকে সবসময় একটু বেশী আদর করতাম। ওকে বেতন বেশী দিতাম অন্যদের চেয়ে। ওর উপর আমি সবসময় নির্ভরশীল ছিলাম।

আমি কেন যেন বুঝতাম যে, এই ছেলেটার হাতে গাড়ী থাকলে আমার কোনই চিন্তা করতে হবে না। ও ড্রাইভ করলে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তাম যাত্রা পথে। এভাবেই চলছিল।

কিন্তু গোলমাল হয়ে গেল যখন একসংগে এতোগুলি গাড়ী কিনে ফেললাম। বড় বিনিয়োগ হয়ে গেল। বিনিয়োগ তুলে আনতে হবে। পার্সোনাল ড্রাইভার থেকে আমি নূর ইসলামকে সড়িেয়ে দিয়ে সবগুলি গাড়ীর ড্রাইভারদের ইনচার্জ এর দায়িত্ব দিয়ে দিলাম। আর আমার পার্সোনাল ড্রাইভার হিসাবে অন্য একজনকে নিয়োগ দিলাম।

ঢাকার আমার ভালো একজন বন্ধু মেহেদী ভাই।
তিনি নিজেও ব্যবসায়ী। তিনি একটা প্রাইভেট কার কিনবেন বলে মনস্থির করেছেন। আমার কাছে আসতেন পরামর্শ নিতে। আমরা একই সংগে টেলিকম প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী হিসাবে ব্যবসা করতাম। আমার আসলে কিন্তু গাড়ীর ব্যবসার কোন অভিজ্ঞতাই ছিল না। আমি মুলত টেলিকম ও ভিওআইপি যন্ত্রপাতি (তখন বৈধ ছিল) আমদানী ও সরবারাহকারী হিসাবে ব্যবসা করতাম। সংগে অন্য আরও ৫টি ভিন্নভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিল।

একদিন সন্ধ্যায় মেহেদী ভাই আমার পান্থপথের অফিসে আসলেন নিজের মোটরবাইক নিয়ে। বসে গল্প করছি। তখন হঠাৎই মেহেদী ভাই আমাকে বললেন, ‘আচ্ছা আপনি যে গাড়ীতে কি ডিভাইস না কি লাগাইছেন- যেটা দিয়ে গাড়ী দেখা যায়; আমাকে একটু দেখান তো।’

ওদিন বিষুদবার ছিল।
বিকেলের দিকে মোটামুটি ফ্রি হয়ে যেতাম।
মেহেদী ভাইকে কমপিউটারের মনিটরে আমার কাষ্টমাইজড ম্যাপ ওপেন করে ৭টা গাড়ী দেখালাম- প্রতিটি পয়েন্ট চলমান, কোনটা পার্কিংএ বসা ইত্যাদি।

মেহেদী ভাই খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন ম্যাপটি।
এর মধ্যে একটি গাড়ী ছিল কাঁচপুর ব্রীজের পর আবদুল্লাহপুর নামের এলাকায়। আমি আবদুল্লাহপুর নামটাও জানতাম না। মেহেদী ভাই জানতেন। তিনি গাড়ীর লোকেশন আবদুল্লাহপুর দেখে এবং গাড়ীটি সেখানে পার্ক করা দেখে- হঠাৎ মেহেদী ভাই কেমন যেন চমকে উঠলেন!

আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি বললেন যে, ‘ভাই, আপনার গাড়ী তো ছিনতাই হয়ে গেছে। আপনি কি করছেন এখানে বসে?’

আমি মেহেদী ভাইয়ের কথার আগামাথা কিছুই বুঝলাম না।
তিনি আমাকে বললেন যে জলদি এখনই যেন গাড়ীর ড্রাইভারকে ফোন করি।

আমি গাড়ীটির নাম্বার মিলিয়ে দেখলাম যে সেটা আজ নুর ইসলামের ড্রাইভ করার কথা। আমি সংগে সংগে মেহেদী ভাইয়ের কথায় আস্থা রেখে নূর ইসলামকে ফোন করলাম।

সে আমার ফোন রিসিভ করলো না কিন্তু রিং হচ্ছিল।
মেহেদী ভাই বললেন, ‘বুঝেন অবস্থা। আপনি দেখি কোন খোঁজই রাখেন না; কিভাবে এই ব্যবসা করছেন? আপনি তো শেষ হয়ে যাবেন। নারায়ণগঞ্জের যত গাড়ী ছিনতাই হয়, তার সবগুলি হয় ঐ আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে। ওটাই ওদের আস্তানা। আপনার গাড়ীর লোকেশন বলছে যে গাড়ীতে ওদের আয়েত্বে রয়েছে।’

আমি সত্যিই কিছু বুঝতে পারছিলাম না।
আবারও নূর ইসলামকে ফোন করলাম। বেশ কয়েকবার ফোন বাজার পর নূর ইসলাম ফোন রিসিভ করলো। আমি প্রশ্ন করলাম, ‘নূর ইসলাম কোন সমস্যা তোমার? সমস্যা থাকলে আমাকে বলো’।

ড্রাইভার নুর ইসলাম খুবই ফিসফিসিয়ে আমাকে বলল, ‘স্যার গাড়ীতে সবগুলি ডাকাত। আমাকে পেপসির সংগে ঘুমের শক্তিশালী ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দিছে। আমি খেতে বাধ্য হয়েছি। আমি ওদের খুব টেকনিক্যালি গাড়ী থেকে নামিয়ে রেষ্টুরেন্টে পাঠালাম। আমি আর ৩০ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যাবো। ওদের আমি বুঝতে দেইনি যে, আমি টের পেয়েছি যে ওরা আমাকে ওষুধ খাইয়েছে। ওরা জানে আমি কিছুক্ষনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যাবো। কিন্তু আমি এখনই গাড়ী টান দিছি। সিটাগং রোডে উঠে পরেছি। আপনি জলদি আসেন। আমি যতদূর সম্ভব ঢাকার দিকে এগুতে থাকবো। ওরা টের পেয়ে যাবে যে আমি খালি গাড়ী নিয়ে সটকে পরেছি। কিন্তু আমার শরীর ভালো লাগছে না।’

আমি সংগে সংগে নূর ইসলামকে নির্দেশ দিলাম, তুমি কোন একটা পেট্রোল পাম্পে গাড়ী ঢুকিয়ে ফেলো। এবং সেই পাম্পের ম্যানেজারকে নোটিশ করো এবং আমাকে পাম্পের নাম জানাও। আমি আসছি।’

মেহেদী ভাই সংগে সংগে তার মোটর সাইকেল বের করলেন। আমাকে আমার পার্সোনাল গাড়ী নিতে দিলেন না- এতে সময় নষ্ট হবে; মোটর সাইকেলে নাকি তাড়াতাড়ি পৌছে যাবো।

আমি আমার পার্সোনাল ড্রাইভারকে আরেকজন অফিস স্টাফ নিয়ে কাচপুরের দিকে রওয়ানা হবার নির্দেশ দিলাম। এবং রেন্ট-এক-কারকে ফোন করে জানতে চাইলাম নুর ইসলামের গাড়ী আপনি কার কাছে ভাড়া দিয়েছেন?

তিনি জানালেন ‘তার এক পরিচিত লোক কাষ্টমার নিয়ে এসেছিল। ওই লোক তার এক পরিচিত মহিলার হাজবেন্ড।’

আমি প্রশ্ন করলাম যে, ‘আপনি জলদি সেই মহিলার সংগে যোগাযোগ করেন এবং জানতে চান সেই লোক এখনও তার হাজবেন্ড আছে কিনা- অর্থাৎ তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে কিনা?’

রেন্ট-এ-কারওয়ালা আমার এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে হেসে দিলেন, ‘ভাই কেমন মজা করছেন এটা?’

আমি সিরিয়াসভাবে বললাম, ‘আপনাকে যা বলা হয়েছে সেটা করে আমাকে এখনই জানান। নুর ইসলামের ড্রাইভ করা গাড়ী ছিনতাই হয়েছে।’

রেন্ট-এ-কারওয়ালা এবার সত্যি সত্যিই ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি আমাকে জানালেন যে, ‘আমি ৫ মিনিটের মধ্যে খবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি।’

ওদিকে মেহেদী ভাই এবং আমি মোটর বাইকে রওয়ানা হয়ে গেছি। মেহেদী ভাই দুর্দান্ত মোটর সাইকেল চালান। কিভাবে কিভাবে যেন খুব দ্রুত যাত্রাবাড়ী পৌছে গেলেন। আমি আমার ফোন দিয়ে ট্রাকিং সার্ভিস প্রভাইডার এর সংগে সার্বক্ষনিক কন্টাক্টে আছি এবং অপারেটর আমাকে আমার গাড়ীর অবস্থান প্রতি ২ মিনিট পর পর আপডেট দিয়ে চলছে।

এভাবে আমরা শনিরআখরা, সাইনবোর্ড পার হয়ে গেলাম।
একটু পর জিপিএস ট্রাকিং অপারেটর আমাকে জানালো যে, (পেট্রল পাম্পটির নাম আমি মনে করতে পারছি না) ‘ওমুক’ পেট্রোল পাম্পে ঢুকেছে গাড়ী।’

আমি এবার কিছুটা নিশ্চিত হলাম।
কিন্তু নূর ইসলাম আর আমার ফোন রিসিভ করছে না।

আমি বুঝে ফেললাম যে সে অজ্ঞান হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। প্রায় ৩০ মিনিট সময় এর মধ্যে পার হয়েছে। কতক্ষন সে সুস্থ থাকবে?

ঠিক তখনই রেন্ট-এ-কারওয়ালা আমাকে কল দিলো।
ভয়ে ভয়ে বললো, ‘স্যার আপনি কিভাবে বুঝলেন যে ওদের ডিভোর্স হয়ে গেছে? সত্যিই তো ওদের ডিভোর্স হয়েছে আর ৬ মাস আগে। আমি তো ওদের নাম্বারে ফোন করে পাচ্ছি না।’

আমি রেন্ট-এ-কারওয়ালার ফোন কেটে দিলাম; এই চরম মুহুর্তে তার সংগে কথা বলার কোন মানে হয় না।

আমরা আরও সামনে এগুচ্ছি, মা ও শিশু হসপিটালের কাছাকাছি পৌছে গেছি। মেহেদী ভাই আমাকে বললেন, এখানে কয়েকটা পাম্প আছে- আপনি আপনার গাড়ীটি কোন পাম্পে রয়েছে দেখেন। আমি নির্ধারিত পাম্পের নাম বললাম এবং হাতের ডানদিকে দেখতে পেলাম আমার গাড়ীটি পার্ক করা রয়েছে।

দ্রুত আমি গাড়ীতে পৌছলাম।
ড্রাইভার নুর ইসলাম অজ্ঞান হয়ে রয়েছে।
একজন স্থানীয় থানার পুলিশ (এসএসআই) গাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পেট্রোল পাম্প ম্যানেজার খবর দিয়ে রাস্তা থেকে পুলিশ ডেকে এনেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে।

আমি গাড়ীর কাছে যেতেই পুলিশ আমাকে বাঁধা দিলো।
আমি পুলিশকে বললাম, ‘এটা আমার গাড়ী। গাড়ীটি ছিনতাই হবার হাত থেকে বাঁচিয়েছে আমার ড্রাইভার, নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে সে গাড়ীটি এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।’

পুলিশ অফিসারটি ঠিক পুলিশের মতোই আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলো, ‘আপনি কোত্থেকে এসেছেন?’
আমি জবাবে বললাম, ‘পান্থপথ থেকে’।
তিনি বললেন, ‘এই গাড়ীটি এখানে এসে পৌছেছে মাত্র ১০ মিনিটও হবে না। আপনি পান্থপথ থেকে কিভাবে এখানেই চলে আসলেন? কিভাবেই বা আপনি জানলেন যে গাড়ী এখানে?’

আমি অফিসারকে বললাম, ‘ট্রাকিং প্রযুক্তির কথা’।
কিন্তু ওই পুলিশ অফিসার এমন কোন প্রযুক্তি যে আছে সেটা বিশ্বাস করতে পারলেন না। তাই তার সন্দেহ আরও বেড়ে গেল।

আমি তাকে জিপিএস ট্রাকিং অপারেটর এর সংগে কথা বলিয়ে দিতে চাইলে তিনি তাতেও রাজী হলেন না। তার বক্তব্য, আমি এতো দ্রুত কিভাবে এখানে পৌছলাম!

যাই হোক, আমি তাকে বললাম যে আমি তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সংগে কথা বলবো। তিনি বললেন যে একজন অফিসার আসতেছেন। আমার নিজের গাড়ীটি এরমধ্যে পৌছে গেছে। আমি পুলিশকে বললাম যে আমার অসুস্থ ড্রাইভারকে জরুরী ভিত্তিতে হসপিটালে পাঠাতে হবে- ওকে আমি ওই গাড়ী দিয়ে নিয়ে যাবো, অনুমতি দেন।

কিন্তু এই ব্যাটা পুলিশ আমাকে সেই অনুমতিও দিবে না।
আমিও রেগে গিয়ে তার সংগে কথা বলছিলাম, কাকে ফোন দিয়ে এই পুলিশকে সাইজড করা যায় সেটা ভাবছিলাম। মেহেদী ভাই বার বার আমাকে ঠান্ডা মাথায় পুরো বিষয়টা হ্যান্ডেল করতে অনুরোধ করে যাচ্ছে।

যাই হোক, আমি মুলত চিন্তিত ছিল নূর ইসলামের জীবন নিয়ে, তাই কোন অবস্থাতেই ঠান্ডা হতে পারছিলাম না। ঠিক তখনই একজন দায়িত্বপূর্ণ পুলিশ অফিসার এসে উপস্থিত হলেন। আমি তাকে খুব সংক্ষেপে আমার ড্রাইভারের জীবনহানীর আশংকার কথা জানিয়ে তাকে হসপিটালে পাঠানোর অনুমতি চাইলাম, বললাম আমার অন্য গাড়ীও সংগে আছে, ড্রাইভারও আছে। ওকে এখুনি হসপিটালে না পাঠাতে পারলে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। আমি ওর পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারবো না। আমি অফিসারকে জিপিএস সম্পর্কেও বলাতে তিনি এবার নড়েচরে বসলেন।

বললেন, ‘আমি বিষয়টা সম্পর্কে আগে শুনেছি কিন্তু কখনও এই প্রযুক্তি নিজের চোখে দেখিনি।’

আমি তাকে অপারেটর এর সংগে কথা বলিয়ে দিলাম। এবং গাড়ী ও আমার আইডি চেক করে তথ্য যাচাই করে নূর ইসলামকে হসপিটালে পাঠানোর অনুমতি দিলেন।

ইতিমধ্যে আমার আরও একজন ড্রাইভার ও সেই রেন্ট-এ-কারওয়ালাও এসে পৌছেছে এই স্পটে। পুলিশ কেস লিখে নিলেন, ৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজী খেয়ে আমার গাড়ী ছাড়লো।

এটা আসলেই একটা দারুণ এডভেঞ্চার ছিল।
সেই ছিনতাইকারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে এসব কিছুই হয় না।

সেদিন মেহেদী ভাই না থাকলে এবং নুর ইসলাম ওই গাড়ীতে ড্রাইভার হিসাবে না থাকলে- আমি হয়তো আমার এই গাড়ীটি ছিনতাইকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হতাম না।

আমার আরও একটি গাড়ী ছিনতাই হয়েছিল এবং সেটা আমি দীর্ঘ ৩ বছর পর নিজেই উদ্ধার করেছিলাম।

সেই গল্প আরেকদিন বলবো।

   Send article as PDF