টাইম ট্রাভেল!

টাইম ট্রাভেল কখনই সম্ভব না।
টাইম ট্রাভেল চিন্তাটাই একটি ভ্রান্ত চিন্তা।

অনেকেই ভাবছেন আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে ট্রাভেল করা সম্ভব হলে টাইম ট্রাভেল করে অতীতে চলে যাওয়া যাবে। আসলে এটি নিতান্তই একটি অনুর্বর, অলস এবং তরল চিন্তা বই কিছুই না।

প্রথম কথা হচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করা একদিন সম্ভব হবে। অর্থাৎ মানুষ একটা সময় এমন এক মহাদ্রুত গতির যান তৈরী করতে সক্ষম হবে যা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইলের চেয়েও বেশী দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে।

মহাশূন্যে যেহেতু কোন বাঁধা নেই, এবং আলো নিজেই যেহেতু সেকেন্ডে ১৮৬,০০০ মাইলে গতিতে চলতে পারছে সেহেতু বুদ্ধিমান ও ক্রিয়েটিভ কোন প্রাণীর পক্ষে এমন যান উদ্ভাবন করা অসম্ভব নয়।

মুহাম্মদ (সা) মেরাজের রাত যে বোরাক নামক প্রানীর পিঠে করে সপ্তম আসমান (ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ) পরিভ্রমণ করেছেন সেটা আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে পরিভ্রমণ করেছে। তবে, মুহাম্মদ (সা) কিন্তু বোরাকের পিঠে সাওয়ার হয়ে অতীতে পরিভ্রমণ করেননি। তিনি কিন্তু বিগত শতাব্দীতে যানটি একটি বারের জন্যও। তিনি প্রথমে মক্কা থেকে গিয়েছেন জেরুজালেম; এরপর তিনি উধ্বাকাশে আরোহন করেছিলেন মহান আল্লাহর সংগে সাক্ষাৎ করতে। এবং মুহাম্মদ (সা) ঐ একই প্রানীর পিঠে সাওয়ার হয়ে মক্কায় ফিরেও আসেন। কিন্তু এই সম্পূর্ণ ভ্রমণে পৃথিবীর ১ সেকেন্ড সময়ও অতিক্রম করেনি, অর্থাৎ ঐ সময়টাতে সম্ভবত সোলার সিষ্টেমকেও হয়তোবা স্থির করে দেয়া হয়েছিলো। মহান আল্লাহপাক চাইলে মুহাম্মদ (সা)কে অতীতে ভ্রমণ করাতে পারতেন; কিন্তু তিনি তা করাননি। মনে রাখতে হবে ইসলাম একটি বিজ্ঞানময় ধর্ম এবং পবিত্র কোরআন এর প্রতিটি আয়াত বিজ্ঞানময় ও যুক্তিযুক্ত।

যাই হোক, আমি এই আর্টিকেলে ধর্মীয় চিন্তাটি আনতে চাচ্ছিলাম না; কিন্তু বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ই পবিত্র কোরআন দিয়ে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। শুধুমাত্র এই কারণেই আমি ঘটনাটি এখানে উপস্থাপন করলাম। তাছাড়া, দ্রুত গতিতে চলার এই একটি মাত্র ঘটনাই (শবে মেরাজ) আমাদের সামনে উদাহারণ হিসাবে পাওয়া যায়। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা যথেষ্ঠ চিন্তা জোগায়।

এবার আমার আলোচনায় ফিরি।
আমি কেন বলছি যে টাইম ট্রাভেল অসম্ভব চিন্তা?

আমরা যদি চিন্তা করি কিভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেকেন্ডেরও কম সময়ে এই বিশাল পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগ করছি তখন কিন্তু বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই জটিল মনে হবে। আমরা তো (বাংলাদেশের অনেকেই) এটাও দেখি যে – আজ থেকে অর্ধ শতাব্দি আগে মানুষ যে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে উপগ্রহ চাঁদে ভ্রমণ করেছে- সেটাও ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ বিশ্বাস করে না। তারা ধারণা করে বিষয়টি একটি গল্প, সেই সময়ের প্রযুক্তিতে তা সম্ভব নয়।

কিন্তু আসলেই কি তাই?
’বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি‘ যা-ই বলেন না কেন, কোনটাই আসলে ‘খুবই জটিল’ কিছু নয়। খুবই সহজ-সরল সাদা-মাটা চিন্তার সমন্বয় থেকেই আজ এতোসব আপাত জটিল প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, হতে পেরেছে।

দেখুন, আমরা এই কত বড় বড় অংক কষি, ক্যালকুলাস, ত্রিকোনমিটি করি, জটিল সূত্র মিলাই। এসব কি আসলেই অতি জটিল? অতি জটিলই যদি হতো তাহলে গাছ থেকে সামান্য আপেল ফল মাটিতে পড়া দেখে বিজ্ঞানী নিউটন মধ্যাকার্ষণ সূত্র আবিস্কার করতে পারতেন না। বিষয়টি মোটেও কোন জটিল বিষয় নয়, মানুষ স্যার আইজ্যাক নিউটনেরও জন্মের বহূবহূ বছর আগে থেকেই জানে যে, যে-কোন কিছুই উপর থেকে নীচের দিকে পতিত হয়। শুধুমাত্র ’কেন পতিত হয়’ সেটা নিয়ে ভাবতে পারেনি। স্যার আইজ্যাক নিউটন পেরেছেন। তিনি বুঝেছেন যে আমাদের গ্রহ সবকিছুকেই নিজের দিকে আকর্ষণ করে। ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবুন, বিষয়টি ভেরী সিম্পল। কিন্তু আমরাই আগে সিম্পলভাবে ভাবতে পারিনি- এটা আমাদের ব্যর্থতা বা চিন্তার সীমাবদ্ধতা।

ইন্টারনেট বিষয়টি নিয়েই বলি।
এটা কি খুবই জটিল কিছু? মোটেও না।

ধরুন আপনার নিজেরই একাধিক কমপিউটার রয়েছে। আমরা প্রথমে পেন ড্রাইভ বা ফ্লপি ডিক্স দিয়ে এক কমপিউটার থেকে অন্য কমপিউটারে ড্যাটা ট্রান্সফার করতাম। পরে দুই (বা একাধিক) কমপিউটারে কেবল দিয়ে জোড়া লাগিয়ে ড্যাটা ট্রান্সফার করা শুরু করলাম যেটাকে বলা হয় ’নেটওয়ার্ক’। এরপর একটি ’নেটওয়ার্ক’ এর সংগে অন্য একটি ‘নেটওয়ার্ক’কে ক্যাবলের সাহায্যে যুক্ত করে দেয়ার চিন্তা থেকেই তৈরী হয়ে গেল ‘ইন্টারনেট’। বিষয়টি মোটেও কঠিন কোন চিন্তা ছিলো না, ছিল খুবই সরল-সহজ-সাধারণ চিন্তা মাত্র। কিন্তু আমাদেরই চিন্তাগুলি গোছাতে একটু বেশী সময় লেগেছে; এটুকুই।

একটি বিষয় নিয়ে যদি ভাবেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, পৃথিবীর মানুষ যখন তিন বা চার চাকার গাড়ী আবিস্কার করলো, তার অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই মানুষ বিমান আবিস্কার করে ফেলতে পেরেছে। খুব বেশী সময় কিন্তু ব্যবধান নেই গাড়ী এবং বিমান আবিস্কারের মধ্যে। কারণটাও খুবই সহজ, দু’টোই আবিস্কার হয়েছে ‘ইঞ্জিন’ আবিস্কারের ফলে। আবার দেখুন, গাড়ী বা বিমানে এমনকি আমরা যে ল্যাগেজ ব্যবহার করি তাতেও থাকে ‘হুইল’ বা ‘চাকা’। এই হুইল বা চাকা যদি আবিস্কার না হতো তাহলে কি আদৌ কোনদিন গাড়ী আবিস্কার হতে পারতো? অথচ, একটু ঠান্ডা মাথায় যদি ভাবতে পারেন- তখন আপনি হাসবেন যে ‘হুইল’ বা সামান্য ‘চাকা’ আবিস্কারের আবার কি আছে? এটা কোন বিষয়? অথচ আপনি কি জানেন যে এই সামান্য হুইলটি আবিস্কার হয়েছে খুব বেশী বছর হয়নি। লাগেজের হুইলতো আবিস্কার হয়েছে মাত্র কয়েক দশক আছে!

হ্যা, সত্যিই তাই।
এসব আদতে কোন বিষয়ই নয়। খুবই সহজ-সরল চিন্তা থেকেই গুছিয়ে গুছিয়ে আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এতো দূর অবধি এগিয়েছে। এখানে জটিল কিছুই নেই বা ছিলোও না।

আরও দেখুন, স্যার আইজ্যাক নিউটন বলে গেছেন বায়ুশূন্য (বাঁধাহীন অবস্থানে বা মহাশূন্যে) স্থানে কোন বস্তু যদি চলতে থাকে তাহলে তা চলতেই থাকবে অনন্তকাল, যতক্ষন না অবধি তাকে বাঁধা দিয়ে থামানো হয়। নিউটনের এই ’সামান্য’ চিন্তা (সূত্র)কে মাথায় নিয়ে ইলন মাস্ক ’হাইপারলুপ’ প্রযুক্তি তৈরী করে ফেললেন। টানেলের ভেতর থেকে বায়ুশূণ্য অবস্থায় বিমানের চেয়েও দ্রুত গতিতে ট্রেন চলবে এই পৃথিবীর মাটির উপর দিয়েই। চোখ বন্ধ করে ভাবেন- যখন বিষয়টি বুঝতে পারবেন তখন হাসবেন যে এতো সহজ একটি বিষয় আমার মাথায় আগে কেন আসলো না? কেন ইলন মাস্কই আগে তা তৈরী করে ফেললেন!

কিছুদিন আগে ‘সাবমেরিন কেবল’ এর ইতিহাস নিয়ে একটু ইউটিউবে ঘাঁটাঘাটি করছিলাম। অবাক হয়ে দেখছিলাম আমেরিকার বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীরা কি পাগলের মতোই না বিশাল আটলানটিক মহাসাগরের নীচ দিয়ে বারংবার চেষ্টা চালিয়েছেন ইওরোপ ও আমেরিকাকে জোড়া দিতে; তাও পালতোলা নৌকায় চেপে। কতবার যে তাদের তার ছিড়ে গেছে- তার ইয়েত্তা নেই। উদ্দেশ্য আমেরিকা থেকে টেলিফোনে সরাসরি কথা বলবে ইওরোপে। আমেরিকার টেলিফোন আবিস্কারের গল্প শোনার পর বৃটেনের ডাক বিভাগের প্রধান নাকি হাসাহাসি করে বলেছিলেন, ‘আমাদের ডাক যোগাযোগই ভালো- মানুষ একে অপরকে চিঠি লিখতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে, করে। কোন পাগলের ঠেকা পরেছে কানের কাছে যন্ত্র ধরে দূরে আরেকজনের সংগে গল্প করবে টাকা নষ্ট করে!’

এই মানুষ রকেটে করে মহাশূন্যে পাড়ি দিতে চাইলো, সেটাও কি খুবই জটিল কিছু? তলোয়ার এর যুগ পেছনে ফেলে বন্দুক এবং কামানের পর মানুষ ক্ষেপনান্ত্র আবিস্কার করে ফেললো। দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য তৈরী করে ফেলল রকেট প্রযুক্তি। চলল যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষ হবার পর সেই রকেটকে নিয়ে চিন্তা করতে লাগলো এটা দিয়ে যদি পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাশূন্যে চলে যেতে পারতাম?

যা চিন্তা, তাই-ই কাজ।
মানুষ পৃথিবীকে ভেদ করে মহাশূন্যে পৌছে গেল। ইলন মাস্ক আবিস্কার করে ফেলল বিশাল সাইজের স্পেসশীপও। কিন্তু গতি? যেহেতু মহাশূন্যে কোন বাঁধা নেই সেহেতু আপনি চাইলে যে-কোন গতিতেই চলতে পারবেন- যদি উপযুক্ত জ্বালানী ও ইঞ্জিন থাকে। তবে, আরও একটা গতিও রয়েছে, সেই গতির জন্য আপনাকে বুদ্ধি খাটাতে হবে; সেই গতিতে চলতে তেল-ইঞ্জিন কিছুই লাগে না। মানুষ আজ থেকে ৫০ বছর আগেই সেই বুদ্ধিটা বের করে ফেলেছে। মহাশূন্যের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের ’গ্রেভেটি’ বা ‘টান; বা ’আকর্ষন’ বল কে কাজে লাগিয়েই ৫০ বছর আগে প্রতি সেকেন্ডে ১৭ মাইল গতি (ঘন্টায় ৩৮,০০০ মাইল) তে ছুটে চলছে ভয়েজার-১ এবং ভয়েজার-২ নামের স্পেসপ্রোভ। ৫০ বছর আগেই মানুষ এতটা করতে পেরেছে, ভাবতে পারছেন? খুব কি কঠিন? যারা একটু মহাকাশ বিজ্ঞান বুঝেন- তারাও জানেন বিষয়টি ‘ভেরী সিম্পল’।

বিজ্ঞানী আইনসটাইন কোন রকম অতি উন্নত টেলিস্কোপ ছাড়াই, শুধুমাত্র তার জটিল মাথাটি খাটিয়ে যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ করে বলে গেছেন ‘ব্লাক হোল’ এর কথা। মানুষ বিস্মিত হয়েছে ‘ব্লাকহোল’ সম্পর্কে অনুমান করে। তারপর এইতো গেল বছর টেলিস্কোপ দিয়ে মানুষ দেখেও নিলো একটি ব্লাক হোল, প্রমাণিত হলো আইনসটাইন এর চিন্তা। আমরা যে ব্লাকহোলটি সেদিন দেখলাম- সেটা আসলে আজ থেকে প্রায় ৫ কোটি বছর আগের (পৃথিবীতে তখন ডায়নোসার যুগ চলছিলো)। কারণটাও খুবই সাধারণ, ঐ ব্লাকহোলটি পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে অবস্থিত যে সেখান থেকে পৃথিবীতে আলো এসে পৌছতেই ঐ ৫ কোটি বছর সময় খরচ হয়ে গেছে।

যাই হোক, এই ব্লাক হোলের কথা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগেই বলে রেখেছেন। “অতএব, আমি নক্ষত্রসমূহের পতিত হবার স্থানের (ব্ল্যাক হোলের) শপথ করছি, নিশ্চই এটি এক গুরুতর শপথ, যদি তোমরা তা বুঝতে।” (সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত ৭৫​-৭৬)। জ্বি আমরা আজ এখন তা বুঝতে পেরেছি।

যাই-ই হোক শেষ কথা বলি।

যারা ভাবছেন আলোর গতিতে বা তারচেও বেশী গতিতে চলতে পারলেই আপনারা টাইম ট্রাভেল করে অতীতে বা ভবিষ্যতে রওয়ানা দিবেন; তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন?

এক। ধরুন, আপনারা এমন একটি স্পেসশীপ আবিস্কার করেই ফেললেন যা আলোর চেয়েও দ্বিগুন গতিতে চলতে পারে। এবার বলুন আপনি রওয়ানা দিবেন এই পৃথিবীরই ৬২০ খৃষ্টাব্দ দেখতে, যাবেন মক্কা নগরীতে। আপনি আপনার স্পেসশীপটি কোনদিন চালাবেন? প্লানেট ভেনাসের দিকে নাকি প্লানেট মার্সের দিকে? দু’টো রাস্তা তো দু’দিকে চলে গেলো! আপনি বরং প্লাক্সিমা সেনচুরীর দিকেও যেতে পারেন; নাকি কেপলার সোলার সিস্টেমের দিকে রওয়ানা দিবেন? কোন দিকে গেলে অতীতে যাওয়া যাবে? পৃথিবীর বায়ুমন্ডল দিয়ে তো আর স্পেসশীপ চালাতে পারবেন না (বাতাসের ঘর্ষনে জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাবেন); তাহলে না হয় ঢাকা থেকে সোজা মক্কার দিকেই চলে যেতে পারতেন। কোন দিকে যাবেন ’অতীতে যেতে’ একটু ভেবে বলুন তো- আমরাও শুনি।

শুনুন একটি পাটিগণিতের অংক দিই, করে দেখান, কাগজ কলম নিন।
মনে করুন ৩ কাঠা জায়গার উপর একটি ২ তলা ভবন তৈরী করতে ৮ জন রাজমিস্ত্রীর সময় লাগে ৩ মাস। তাহলে ঐ একই স্থানে একই সাইজের ভবনটি তৈরী করতে ৩০ কোটি রাজমিস্ত্রীর কতদিন সময় লাগবে?

অংকটি পারবেন কষতে?
অংক সবসময় সত্য হয় না, আর তাইতো অংকে লজিকও ব্যবহার করতে হয়। আমার কাছে এমন অংকও আছে যেটা দিয়ে ৩ = ৪ বা ১ = ২ প্রমাণ করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু তাতে কি অংক সঠিক হয়ে যাবে?

আসলে লজিক বা যুক্তির বাইরে কিছুই হয় না।
টাইম ট্রাভেল অংক দিয়ে কষা হয়তো বা সম্ভব হলে হতেও পারে কিন্তু ৩০ কোটি রাজমিস্ত্রী দিয়ে ২ তলা একটি ভবন ৩ কাঠা জায়গার উপর করতে গেলে কি হবে- সেটাও ভেবে দেখতে হবে। টাইম ট্রাভেলটাও ঐ ৩০ কোটি রাজমিস্ত্রী দিয়ে ২ তলা বাড়ী তৈরীর মতোই ‘অনুর্বর, অলস এবং তরল’ ও যুক্তিহীন চিন্তা!

আর তাই তো জটিলভাবে নয়, সবকিছুকেই সরল-সহজ ভাবে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে।

   Send article as PDF