পুলিশের বন্দুকের গুলি

একটি দেশে পুলিশ রাখা হয় দেশের অভ্যন্তরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। পুলিশকে বেতন-ভাতা, রাষ্ট্রিয় সুযোগসুবিধাও দেয়া দেশের জনগনের নিরাপত্তা বিধান করা তথা সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য।

আর, পুলিশ দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিবে বলেই মানুষ ট্যাক্স দেয়, ভ্যাট দেয় যেখান থেকে পুলিশের বেতন হয়, ভাতা হয়, রাষ্ট্রিয় সুযোগ সুবিধা পায়।

কিন্তু দেশের এইসব সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকা দিয়ে আজ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র কিনে দেশের মানুষের বুকেই গুলি করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে দেশের মানুষকে।
এটা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। এখন সময় এসেছে ‘গান-ফ্রি’ বাংলাদেশ গঠনের।

পুলিশের হাতেও বন্দুক থাকতে পারবে না। বিকল্প হিসাবে অত্যাধুনিক টেসার গান (Taser Gun) এবং স্টান গান (Stun Gun) বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে কাষ্টমাইজ ভার্সন এনে তা পুলিশকে দেয়া হোক।

পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং প্রয়োজনে সন্ত্রাসীকে আটক করা। আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা এবং আক্রমণকারীকে পরাস্থ করা। তার মানে দেশের মানুষকে হত্যা করা নয়। আক্রমণকারীকেও হত্যা করা যাবে না- তাকে আটক করে আদালতে দাখিল করা পুলিশের দায়িত্ব।

এমনকি একজন খুনীকেও, একজন সন্ত্রাসী বা ধর্ষককেও বিনা বিচারে হত্যা করার কোন ক্ষমতা কারোর নেই- সেই ক্ষমতা বাংলাদেশ সংবিধানও কাউকে দেয়নি।


পুলিশ সন্ত্রাসী বা অস্ত্রধারী আক্রমনকারীকে ইলেকট্রিক বা লেজার নিয়ন্ত্রিত টেসার গান বা স্টান গান কিছু সময়ের জন্য ‘অজ্ঞান’ করে দিতে পারবে মুহুর্তেই। এরপর এরেষ্ট করে হসপিটালে নিয়ে সুস্থ করে তারপর আদালতে পাঠাতে পারবে যথাযথ অভিযোগ দিয়ে।
এতে একজন মানুষও আর বিনা-বিচারে মারা যাবার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।


অপরাধী আটকও হবে, পুলিশেরও আত্মরক্ষায় কোন ঝুঁকি থাকবে না। দেশের মানুষ তার কষ্টের টাকা ট্যাক্স দেয় নিজের টাকায় কেনা গুলিতে নিজের অসহায় মৃত্যু দেখতে নয়।
বিচার-বর্হিভূত যে-কোন হত্যাকান্ড সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হোক। একজন মানুষও আর যেন পুলিশের গুলিত নিহত না হয়।


যে মানুষটাকে আজ বিনা বিচারে হত্যা করছেন- সে আপনার বেতন দাতা। যার অন্ন আপনি খান তার সংগে নেমকহারামী করা কোন অধিকার আপনার নেই।


আজই পুলিশের হাত থেকে স্বয়ংকৃত সব অস্ত্র কেড়ে নেয়া হোক।একজন মানুষ হত্যারও কোন অধিকার পুলিশের থাকতে পারে না, থাকতে দেয়া যাবে না।


বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আরও আলোচনা করে একটি সমাধানে পৌছা একটা সুসভ্য রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।

   Send article as PDF