মুক্তমনা আমিও

সেকুলার ভাইয়েরা কোথায়?
আজ আমি আপনাদের সংগে, আপনাদের পক্ষে।

আসুন আমরা ‘মুক্ত মন’ নিয়ে মুক্তমনে আলোচনা করবো।
আমরা সবাই এখন থেকে ‘মুক্তমনা’।

আমরা শুধুই মুক্ত মন নিয়ে চেতনা প্রকাশ করবো।
মুক্ত মন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সামনে এগুবো।

সম্পূর্ণ মুক্ত মন, খোলা মন নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা হবে।
আমরা দুর্বার চিন্তা করবো। খাবো। ঘুড়বো।

ঘুরবো বানান ভুল হলো না কি?।
আরে ধ্যাৎ হলে হলো। কার কি এসে যায় এতে?
আমি তো মুক্ত। কে আমাকে কি করবে? আমার যা মন চায় আমি তাই করবো, তাই লিখবো।

প্রথমেই আমরা চলুন ‘ঈশ্বর’ নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

আমি আজ কোন যুক্তিও দেব না, কোন তর্কও করবো না। আপনাদের প্রথম কথাটা মেনে নিয়েই ‘মুক্ত আলোচনা’ শুরু করবো।

অবশ্য এটা না মানলে তো আপনারা আমাকে ‘মুক্ত মনা’ই ভাবতে পারবেন না! তাই না?
মানে আমি ‘মুক্ত ভাবে, মুক্ত মন নিয়ে’- যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানিও- সেটাও ‘মুক্তমন’ থেকে হবে না; তাই তো?
মানে?
ওহ বুঝছি। মুক্তমন নিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বও মানা যাবে না- এতটাই মুক্ত! (?)

যাক। তাও মানলাম।

সত্যিই তো ঈশ্বর থাকলেই কি না থাকলেই কি?
বরং ঈশ্বর থাকলেই নানা সমস্যা।
নানা বাধা। বিচারের ভয়। কত্ত কত্ত সমস্যা এসে উপস্থিত।

সুতরাং ‘ঈশ্বর নেই’।
আমি আপনাদের মতের সংগে এক মত হয়ে এবার চলুন আলোচনা সামনে এগিয়ে নিই।

আপনারা খুশী তো ভাইজানেরা?

যেহেতু ঈশ্বর নেই সেহেতু আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন।
আজ থেকে আমাদের আর কোন ভয় নেই।
আমরা এখন থেকে যা খুশী করতে পারবো।

মন চাইলেই ধর্ষন করতে পারবো।
মন চাইলেই রাষ্ট্রের রিজার্ভও আমরা হ্যাক করতে পারবো।
মন চাইলেই চুরি, ডাকাতি, লুটপাট সব কিছুই করতে পারবো।
মন চাইলেই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে ফেলবো।
মন চাইলেই আমরা যে কাউকে খুশী ‘দুর্দান্ত পার্ফমেন্স দিয়ে’ ‘চুপ কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালিও দিবো।
মন চাইলেই আমরা ট্যাংকের উপর নাচানাচি করতে পারবো।
মন চাইলেই আমরা যা খুশী তাই লিখবো। যা খুশী তাই বলবো।

আমরা বদরুল হবো।
আমরা ড. আতিয়ার হবো।
আমরা ড. আনোয়ার হবো।
আমরা ইনু হবো। আবার হজ্জ্বেও যাবো।
আমরা ড. জাফরিক বাল হবো।
আমরা প্রথম আলো হবো, মতিউর হবো। আনিসুল হবো।

কি আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে … লা লা লা লা …

কত শান্তি; তাই না!
কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা রঙে রঙে …

আপনারা মুক্ত মন নিয়ে চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে দারুণ দারুণ কথা বলেন।
ভাবছি আমিও যেহেতু আজ শুধুই ‘মুক্তমনা’ হয়ে গেলাম, সুতরাং আমিও মুক্ত মন, খোলা মন নিয়েই কথা বলবো আপনাদের সংগে। কি বলেন? কোন অসুবিধে নেই তো?

আমি কিন্তু বেশ ফিলিংস পাচ্ছি, ‘মুক্ত মনা’ হবার পর। ভালোই লাগছে।
চিন্তা করা যায়- কত বিশাল এবং মুক্ত মন আমাদের! কত সহজেই আমরা ঈশ্বরকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলাম! এক কথায় বলে দিতে পারলাম কেউ আমাদের সৃষ্টি করেনি।
আমি স্বাধীন। আমি মুক্ত। সুতরাং যা মন চায় আমি ভাবতে পারবো। বলতে পারবো।

আচ্ছা ভালো কথা। মুক্ত মন মানে তো মুক্তভাবে, যা মনে আসবে তাই বলবো।
কিন্তু সেদিন তারেক রহমান সাহেব যখন বললেন ‘জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট’- তখন তাকে গালিগালাজ করলেন যে?

আমি যদ্দুর বুঝি ভদ্রলোক তো ‘কঠিন যুক্তি ও দালিলিক প্রমাণ’ দিয়েই বলেছেন জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট।

দেশের স্বাধীনতা দিবস আমরা পালন করি ২৬শে মার্চ। কিন্তু মুজিবনগর সরকার গঠিত হলো ১০ই এপ্রিল।

তো, মাঝখানের এই ১৬দিন কোথায় গেল?
চলুন একটু মুক্ত মন নিয়ে আলোচনা করি।

প্রেসিডেন্ট ছাড়া কি কোন দেশের স্বাধীনতার ঘোষনা হতে পারে?
জিয়াউর রহমান কিন্তু নিজেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান ঘোষনা দিয়েই স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেছিলেন। পরে যদিও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ‘শেখ মুজিবের পক্ষে’ কথাটা ব্যবহার করেছেন। তাতে কিন্তু তিনিই যে নবগঠিত রাষ্ট্রটির প্রধান- সেটাই বহাল থাকে।

আপনারা যদি তারেক সাহেবের মুক্তমন ব্যবহার করতে না দেন- তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঠেলাঠেলি করে ১০ই এপ্রিলে নিয়ে পালন করুন। ২৬শে মার্চ বাদ দিন। ১৬ দিন পর দেশ স্বাধীন হলে কি এমন ক্ষতি?

মুক্ত মন বলে তো কথা- না কি ভাইজানেরা?

মুক্ত মন মানেই তো স্বাধীন ভাবে অনুসন্ধান।
মুক্ত মন মানেই তো মুক্তভাবে চিন্তা করা।

মাহমুদুর রহমান সাহেব তার মুক্তমন দিয়ে অনুসন্ধান করে প্রকাশ করলেন শেখ মুজিবুর রহমান কোলকাতার এক বাঙালী কুমারী হিন্দু কন্যার ‘অবৈধ জারজ’ সন্তান দেবদাস চক্রবর্তী। তিনি দালিলিক প্রমাণও উপস্থাপন করেছিলেন। আমিও দেখেছি।

মুক্তমন নিয়ে এটা মানতে সমস্যা কোথায় একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

কথা পাচ্ছেন না! তাই তো?
আমি কি একটু সহযোগীতা করবো?

আচ্ছা। আমি তো আজ আপনাদের পক্ষে।
ভয়ের কি আছে। চলুন মাথা খাটাই।

আমেরিকার সবচে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সাহেবের কথা মনে আছে?
এই ভদ্রলোকের মা কিন্তু তার নানীর ‘অবৈধ জারজ’ কন্যা সন্তান ছিলেন।

আব্রাহাম লিংকন কিন্তু সেটা গোপন করেননি কোনদিন।
তাহলে, আপনারা ভয় পাচ্ছেন কেন?

আপনারা না মুক্ত মনা?
আপনারা না চেতনায় সমৃদ্ধ!
কৈ মতিউর রহমান! কৈ আনিসুল হক! কৈ মাহাফুজ আনাম!

আসুন না-রে ভাই। একটু মুক্ত মন নিয়ে সব প্রকাশ করি।

মুহাম্মদ (সা) ১১টা বিয়ে করেছিলেন। আপনারা এটা নিয়ে খুব রসিয়ে রসিয়ে লেখা লেখি করেন। আপনাদের মুক্তমন নিয়ে লিখবেন- কোন অসুবিধে নেই।

আমি একটা মুক্তমন নিয়ে প্রশ্ন করি।
মুহাম্মদ (সা) ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী একজন বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। হযরত খাদিজা (রা) যতদিন জীবিত ছিলেন- ততদিন কিন্তু মুহাম্মদ (সা) দ্বিতীয় বিয়ে করেনি। এই তথ্যটা কি জানেন?

মুক্তমন নিয়ে একটু ভাবুন তো- দেখি কতটা ভাবতে পারেন আপনারা?
আপনাদের শেখ হাসিনা স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞাকে রেখে যখন- মুক্তমনে, বিজ্ঞানীকে বিজ্ঞানমনোস্কতা বাদ দিয়ে, মানবতাবোধে উজ্জিবীত হয়ে, সাম্প্রদায়িকতার বাইরে গিয়ে মৃনাল কান্তি দাসের সংগে অবৈধ এবং ‘মুক্ত সম্পর্ক’ বজায় রাখতেন- সেটা নিয়ে চলুন আজ একটু মুক্ত আলোচনা করি।

করা যাবে তো?
চলুন না রে ভাই, চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে মুক্ত মন নিয়ে আমরা শেখ হাসিনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে একটু মুক্তালোচনা করি!

ওহ, এসব তো আলোচনা করা যাবে না- এসব মুক্তমনের মধ্যে পরেই না!

শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতে পারলে মুক্তমন হবে- অন্য কোথাও না?

আচ্ছা আপনারা ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে গালি দেন, সমালোচনা করেন।
আপনারা কি?

‘সেকুলার’- তাই তো?

তো, ‘সেকুলার’ও কি একটা সাম্প্রদায়িকতা নয়?
না কি আপনাদের গোত্র’কে সাম্প্রদায়িকতা বলা যাবে না?

ওহ, তাহলে যে বলেন ‘মুক্ত মনা’?
কি ভাবে মুক্ত মনা হয়- একটু বুঝিয়ে বলবেন?

আপনারা শুধু একদিকে, ধর্মের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে বলবেন আর নাম ফাটাবেন মুক্তমনা!

বাংলাদেশে কিন্তু অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবে মুক্ত মনের বীজ বপন হয়ে গেছে- মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামকেও উচ্ছেদ করা হয়ে গেছে সমুলে। এবার চলুন আমরা আরেক চরম মৌলবাদী সংগঠন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কে উচ্ছেদ করে আসি- মৌলবাদী নেতা নরেন্দ্র মোদীকে সাইজড করে আসি।

যাবেন?
যাবেন না? কেন? সেও তো মৌলবাদী!

ওহ আচ্ছা। বিজেপি আর ভারতের কাঁচা পয়সা আর উস্কানীতেই আপনারা যে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেন- সেটা থেমে যাবে? নগদ নারায়ন পাওয়া যাবে না? শাহবাগ বন্ধ হয়ে যাবে? ভারতীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না?

অাচ্ছা, আচ্ছা! এটা এক পাক্ষিক মুক্তমন!
আগে বলবেন তো! অত হিসাব কি আমি বুঝি?

তাহলে বরং আরেক মৌলবাদী গ্রীক দেবী থেমিস’কে ফেলে দিই! কি বলেন?
ওহ! ওটা দেবী না? ওটা ভাস্কর্য!
আপনারা দেখি কোনটা ‘বেলুন’ আর কোনটা ‘কনডম’ তাও ঠিক-ঠাক জানেন না মশাই! কিসের মুক্তমনা হলেন?

গ্রীকদের ধর্মীয় দেবী তাহলে মুর্তি না! ওটা ভাস্কর্য!
কি শিক্ষা আপনাদের! কোথা থেকে নকল করে সার্টিফিকেট জুগিয়েছেন?
চাপার জোরে আর মিডিয়ার নষ্টামীতে আর কত কাল?

ইন্ডিয়ার ভিসা করে রাখুন- আপনাদের ৫ বছরের ভিসা দিবো! জলদি গুলশানে যান, লাইনে দাড়ান!

মুক্তমনা’র মানে জানেন?
বানান করতে পারেন?
অর্থ দেখেছেন?

নাকি ‘লিমিটেড মুক্তমনা’?

আমাদের আলোচনা মনে হয় জমছে না!
আপনারা মনে হয় পেরে উঠছেন না?

হাটে হাঁড়ি ভেংগে দিচ্ছি- না কি?

থাক, থাক, আপনাদের আর ছোট করবো না।

শেষটায় একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেই বিদেয় নিবো।

ঠিক আছে, প্রথম আলোচনাটাই আবার শেষে নিয়ে অাসি। সাইক্লিক অর্ডার বলে তো একটা কথা রয়েছে।

আপনারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানেন না, তাই শুধুমাত্র ঈশ্বরের অস্তিত্ব যারা স্বীকার করে, আস্তিকদের বিরুদ্ধে আপনাদের শক্ত অবস্থান।

আচ্ছা বলুন তো দেখি, আস্তিকরা কি করে, আর আপনারা ঠিক কি করেন?

আস্তিকরা ধর্মের ভেতরে থাকতে বলে।
অসৎ কাজ করতে নিষেধ করে। মানুষের উপকার করতে বলে। গরীবকে সাহায্য করতে বলে। রাষ্ট্রকে ন্যায়পরায়ণতা শিখায়। এবং ফাইনালী ধর্মীয় আচার পালন করে।

আর, আপনারা কি করেন?
আস্তিক, বিশেষ করে শুধুমাত্র মুসলমানদের ও তাদের ধর্মকে গালাগালি ছাড়া আর কি করেন আপনারা?

‘তুখোর রাজাকার’ জামায়াতে ইসলামীর দুই মন্ত্রী’র মেয়াদে দুই টাকার অসৎ ব্যবহারও পাওয়া যায় নি।

আর আপনাদের নাস্তিকদের যারা মন্ত্রী মিনিষ্টার- তাদের অবস্থা কি? কে কত বেশী চুরি করে তার প্রতিযোগীতা- এই তো পার্থক্য?

আপনারা পৃথিবীর মানুষকে সৎ পথে চলার জন্য কোন দিন কোন গাইড লাইন দিয়েছেন?
মানুষকে সৎ জীবন যাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন?
মানুষকে সৎ পথে উপার্যিত অর্থে খাবার খেতে, জামা কাপড় পড়তে উপদেশ দিয়েছেন?
ধর্ষন, ইভ টিজিং, পরকীয়া সহ অন্যান্য অনাচার করার কোন গাইডলাইন কি আপনাদের রয়েছে?

না, এসবের কিছুই নেই।
তাহলে আপনারা- ঠিক, ‘করেণ টা’ কি?

গালাগালি?
কুকুরও তো সারাদিন ঘেউ ঘেউ করে। আপনাদের নিকটাত্মিয় না তো?

আপনাদের নাস্তিকতা দিয়ে যদি সমাজের কোনদিন ১ পয়সার সামান্য একটু উপকারও হতো- আমি সবার আগে আপনাদের নাস্তিকতাকে সমর্থন দিতাম।
আর, আপনাদের নাস্তিকতা তো ‘জারজ উৎপাদন কারখানা’ বই কিছুই নয়।

কিন্তু, আস্তিকতার জন্যই আজও পৃথিবী এতটা সুন্দর।
আস্তিকতায় বিশ্বাসীরাই সুন্দর সমাজ, আইন, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
মানুষকে সভ্য করেছে। মানুষকে সুশিক্ষিত করেছে। নারীকে মায়ের সম্মান দিয়েছে। মানুষকে সভ্য হতে শিখিয়েছে।

এই পৃথিবীর কোথায়, কোন নাস্তিক তার নাস্তকতা দিয়ে এই পৃথিবীর দুই পয়সার উন্নতি করেছে- বলতে পারবেন?

কিন্তু এই সুন্দর পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর তার সবই এসেছে আস্তিকতার হাত ধরে।

আপনারা অশিক্ষিত, মূর্খ বলেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা দেখান।

আপনাদের ‘একমূখি মুক্তমন’ চোখে আংগুল দিয়ে প্রমাণ করে দেয়- আপনাদের ভেতরে কোন শিক্ষা নেই। সচেতনতা নেই। আপনারা মূর্খ। আপনারা অসভ্য। আপনারা কুকুর।

নিজেদের বিজ্ঞানমনোষ্ক বলে আনন্দ নেন আপনারা?
বিজ্ঞান বুঝেন?
বয়স কতো আপনাদের? কি করেছেন জীবনে? কি দিয়েছেন রাষ্ট্রকে? দেশকে? নোবেল পেয়েছেন? অথবা অস্কার? কি আবিস্কার করেছেন?

আপনাদের থেকে এই দেশ, এই পৃথিবী সামান্যতম কিছুই পায়নি।
কিন্তু আপনারা ঢের নিচ্ছেন।

শাহবাগের ‘ব্যবহৃত কনডম’ প্রমাণ করে দেয় আপনারা, নাস্তিকরা, সেকুলাররা, মুক্তমনারা কতটা সভ্য, বিজ্ঞানমনোস্ক, বুদ্ধিমান!

সামান্য জার্মানী, সুইডেন এর ভিসার জন্য আর কত নীচে নামবেন?
আর ওদেশে গিয়েই বা কি করবেন?
কি যোগ্যতা রয়েছে আপনাদের সাদাদের দেশে গিয়ে কাজ করে খাবেন?
– থালা-বাসন পেয়ালা ঘষতে যাবেন?

আপনাদের একটা ‘সৃস্টিকর্ম’ দেখাতে পারবেন- যা দিয়ে একজন মানুষও উপকৃত হয়েছে এই পৃথিবীতে- যাতে আপনারা নিজেদের বলতে পারবেন ‘মানবতাবাদী’?

সারাদিন ধর্মকে গালাগালি দিয়ে সেই ধর্মীয় মতেই বিয়ে করেন!
সেই ধর্মীয় মতেই শেষ বিদায় নিতেও লজ্জাবোধ হয় না আপনাদের? যৌবনে ইসলামকে গালাগালি করে মরার অাগ দিয়ে হজ্জেও যান?

বাহ্। আপনারা পারেনও!
‘সেকুলার’, ‘মুক্তমনা’ বিজ্ঞানমনোষ্ক’, ‘মানবতাবাদী’ এসব শব্দগুলিকে আপনারা দুষিত করেছেন।

এসব অনেক ভারী শব্দ।
আপনারা এর যোগ্য নন।

সেই যোগ্যতাই আপনাদের নেই!
আপনারা তো এসব শব্দের অর্থই জানেন না।

আমি কুকুর সম্প্রদায়ের কাছে ‘সরি’।
আপনাদেরকে কুকুরের সংগে তুলনায় নিয়েছিলাম।

আপনারা কুকুরেরও নীচ।

   Send article as PDF