ইসকন আম্লীগ হিবৌখৃ ঐক্য পরিষদ

শেখ মুজিব স্বপরিবারে মারা যাবার পর এই বাংলাদেশে সুদীর্ঘ ২০ বছর পর্যন্ত আর আওয়ামী লীগ বা শেখ মুজিবের নাম নেয়া হয়নি।

বাঙালী স্মৃতিভ্রষ্ট জাতি।
সবকিছু ভুলে যায়। ৭২-৭৫ এর দুঃশাসনের স্মৃতিও ভুলে যায় তারা।

এই আমি ষ্টুপিড-সহ বাংলাদেশের মানুষ আবারও সেই মুজিব কন্যা মিয়া হাসিনাকে, তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এবং তার পরিণাম আজ সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে উপস্থিত।

নিজ দেশে আজ মুসলিমরা অবহেলিত।
৮% হিন্দুর দেশে ৩০% হিন্দু আজ সরকারী কর্মকর্তার চেয়ারে বসে রয়েছে। ইসকন না কি এক ফিসকন নাকি সারাদেশের মুসলিমদের হুমকী-ধামকীর উপর রাখছে। কোথাকার কোন পরিত্যাক্ত মাতারী প্রিয়া সাহা, পিজুষ বন্দোপাধ্যায়রা যাচ্ছে-তাই করে বেড়াচ্ছে, করে যাচ্ছে!

আর ৯০% মুসলিম বসে বসে নিজেদের আঙুল চুষে বেড়াচ্ছে।
আমার ভাবতেও অবাক লাগে, সামান্য মাত্র ৩১৩জন সাধারণ মুসলিম বদরের যুদ্ধে বিশাল এক পরিণত কাফের যোদ্ধাদের ধরাশায়ী করে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তলন করেছিল।

আজ আমাদের ঈমানী শক্তি ‘দশের মধ্যে ম্যাক্সিমাম ১’-এ এসে ঠেকেছে।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পরও আজ দেশের মুসলিমরা জেগে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে।

চট্রগ্রাম বা সিলেটের মুসলিমরা একযোগে একটু জোরে ফুঁ দিলেই তো ওসব ইসকন-ফিসকনরা হাওয়ায় উড়ে যাবার কথা।

সবচে বড় সমস্যা আজ মুসলিমরা নিজেরাই সংঘবদ্ধ নয়।
সকলেই ব্যস্ত অতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায়।

মালদ্ভিস, শ্রী লংকার পর নেপালে ধরাশায়ী হবার পর ‘ভারত’ আজ তার ক্ষমতা, দাপট আর হিন্দুত্ববাদের উগ্রতাপূর্ণ বাহাদুরী দেখাচ্ছে নিরীহ বাংলাদেশের উপর।

ভারত-বর্ষ আদতে একটা অক্ষম রাষ্ট্র।
উল্লেখ করার মতো বা দৃশ্যমান এমন কোন উন্নতি ভারত আজ অবধি করে উঠতে পারেনি যা থেকে ভারতকে শক্তিশালী কোন রাষ্ট্র বলা চলে।

আজও ভারতীয়রা প্রকাশ্য রাস্তায় ‘বাথরুম’ করে; নিজেদের বাড়ীতে একটা ‘প্রাইভেট বাথরুম’ তৈরী করার মতো যোগ্যতাও আজ তারা করে উঠতে পারেনি। আর ভারতীয়দের সামরিক শক্তি এতটাই তুচ্ছ যে, পাকিস্তানের কাছে কথায় কথায় মার খেয়ে যাচ্ছে; চায়নার নাম শুনলে ভারতীয় সেনাদের নিজ-নিজ প্যান্টের ভেতরেই নাকি ‘বাথরুম’ হয়ে যায়।

সেই ভারত, সেই ‘র’কে ভয় পায় বাংলাদেশীরা!
বিষয়টা অত্যন্ত হাস্যকার।

কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি আজ ভারতীয়দের কথায় আর হিন্দুদের কথায় উঠবস করে। এবং এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে সুবিধাবাদী উগ্র হিন্দুরা এবং ভারত-রাষ্ট্র নিজে।

আমরা সুসংগঠিত হতে পারছি না।
আর সুসংগঠিত যেন না হতে পারি কোনদিনও ঠিক সেজন্য দেশের সাহসী ইসলামী নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে তথাকথিত বিচারের নামে। বিএনপি-জামাতের ক্ষমতাকে বিচ্ছিন্ন ও বৈরী করে দেয়া হয়েছে।

দেশে ইসলামী আন্দোলনের কোন দূরদর্শী ও সাহসী নেতা নেই।
এমন একটা অবস্থানে আজ বাংলাদেশ!

তাহলে এর ভবিষ্যতটা কি?
ভবিষ্যত অন্ধকার?

না। আমি তা বিশ্বাস করি না।
বিশ্বাস করি না এই কারণে যে, শাহজালাল (র) এদেশে এসে হিন্দুদের পরাজিত করেই আমাদের পূর্বপুরুষদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন; সেদিন আমরা পরাজিত হইনি।

সুবিধাবাদী হিন্দুদের প্ররোচনা, প্রকাশ্য সহায়তা ও বিশ্বাসঘাতকতায় মুসলিমদের পরাজিত করেই ইংরেজরা ভারতবর্ষকে করায়াত্ব করতে পেরেছিল। কিন্তু সেটাও চিরস্থায়ী হয়নি।

একক ‘বৃটিশ ইন্ডিয়া’ ভেংগে ঠিকই মুসলিমদের জন্য পাকিস্তান সৃষ্টি হতে পেরেছিল।

সেই পাকিস্তানকে আবারও চক্রান্ত করে বিচ্ছিন্ন করে ভারতীয়দের ষড়যন্ত্রে ও সহযোগীতায় জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ এবং ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল ভারতীয় সেবাদাসী একটা সরকার।

কিন্তু তারপর?
হ্যাঁ, এদেশটি কিন্তু ঠিকই আবার ঘুড়ে দঁড়িয়েছিল। অন্তত ইতিহাস তার ঠিকই স্বাক্ষ্য দেয়।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সামনে কিন্তু ভারত কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই পারেনি।

এমনকি এরশাদের মতো মেরুদন্ডহীন প্রেসিডেন্টও তার শাসনামলে ভারতের সামনে নিজ শিরদাড়া শক্ত করেই রাখতে সামর্থ ছিলেন।

অকুতভয় বেগম খালেদা জিয়া কোনদিনই ভারতকে দু’পয়সার মূল্যও দেননি। সুযোগ দেননি।

এমনকি ততদিনে বাংলাদেশ ‘এমন’ একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনী এবং মাথা উঁচু করে থাকা প্রশাসন তৈরী করতে পেরেছিল যাদের দৃরতার কাছে শেখ হাসিনা নিজেও পরাজিত হয়েছে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ শাসনকালে। এই শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন অবস্থাতেই ভারতীয় বিএসএফ জওয়নরা কুড়িগ্রামের যুদ্ধে বিডিআরের কাছে ‘লাশ’ হয়ে মাথা নীচু করে দেশে ফিরে গেছে।

আর তাইতো শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা নিয়েই সর্বপ্রথম যে কাজটা করেছেন সেটা হলো দেশের সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে সম্পূর্ণ অযোগ্য, অথর্ব কিছু মেরুদন্ডহীন টাউট-বাটপার এবং উগ্রহিন্দু অফিসারকে।

যারা সামান্যতমও দেশপ্রেম নিয়ে প্রশাসনে বা সেনাবাহিনীতে ছিলেন তাদেরকে করে দেয়া হয়েছে ওএসডি।

এমন একটা অবস্থা তৈরী করে রাখা হয়েছে- যেখানে সামান্য ৮% সংখ্যালঘু থেকে সামান্য কিছু উগ্র হিন্দুরা আজ এই মুসলিম মাটিতে পা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মুসলিমরা অসহায়, নিরুপায়।

আমি জানি হাসিনার মৃত্যুতেই শেষ হবে বাংলাদেশের ভারতীয় এবং উগ্রহিন্দুত্ববাদের খেলা।

কিছু অস্থিরতার পর বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মুল হবে আওয়ামী লীগ নামের ‘বাষ্টার্ড দল’টি। বাংলাদেশের মাটিতে একজন আম্লীগও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না- এটা আমি গ্যারান্টি দিয়েই বলতে পারি।

সেদিন হয়তো বা পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে উগ্র হিন্দুদের কারণে কিছু সাধারণ সভ্য হিন্দু ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে- কিন্তু সেটার দায়ও এই হিন্দুদেরই নিতে হবে।

সাধারণ হিন্দুরা কি আজ নিজেরা ‘উগ্রতাবাদী হিন্দুত্ববাদ’ এর বিরোধীতা করছে না কি ‘সুবিধাবোধের খেলায়’ নিশ্চুপ মজা লুটছে? আমি তো পিনাকী ভট্রাচার্য আর গৌতম দাসসহ সামান্য হাতে গোনা কয়েকজন দেশপ্রেমিক হিন্দু ছাড়া আর কোন দেশীয় হিন্দুকে ‘সত্যের পক্ষে’ একটা বাক্যও খরচ করতে দেখছি না।

বাংলাদেশের কোন মুসলিম কোনদিনই কোন হিন্দুকে নির্যাতন করেনি।
বাংলাদেশের কোন মুসলিম কোনদিনই কোন হিন্দু সম্পত্তি দখল করেনি।
বাংলাদেশের কোন মুসলিম কোনদিনই কোন হিন্দুর বাড়ীঘরে আগুন দেয়নি।

কিন্তু তারপরও এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের গল্প তৈরী হতে দেখি প্রতিনিয়ত। বাস্তবতা হলো এই দেশে যেসব হিন্দুরা নির্যাতিত হয়েছে, বাড়ীঘরে আগুন দেয়া হয়েছে সবই করা হয়েছে রাজনৈতিক ফয়দা লাভের আসায়- কোন মুসলিম তা করেনি কোন কালেও। করেছে আওয়ামী লীগ।

প্রিয়া সাহা তার নিজের বাড়ীতে নিজের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়েছে ডোনাল্ড টাম্পের সাইনবোর্ড ব্যবহার করার জন্য।

তারপরও বাংলাদেশের হিন্দুরা একযোগে ঐ আওয়ামী লীগকেই তাদের আশ্রয় হিসাবে ভাবে। সিআর দত্ত, রানা দাসগুপ্তের মতো কিছু বিশ্বটাউটদের নেতৃত্বে হিন্দু একজোট হয়।

এবং হ্যা, বাংলাদেশে দুর্বল নিরীহ দরিদ্র মানুষ বরাবরই নির্যাতিত হচ্ছে টাউট-বাটপারদের হাতে এবং সেই লিষ্টে বেশী রয়েছে মুসলিমরাই, সংগে অন্যান্যরা হচ্ছে। কিন্তু হিন্দু হবার কারণে কি একজন হিন্দুও কোন কালে এই ভুখন্ডে নির্যাতিত হয়েছে? একজন হিন্দু সেই প্রমাণ দিতে পারবে?

আচ্ছা, কৈ- বাংলাদেশের কোন খৃষ্টান, কোন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তো কোনদিনও কোন মুসলিম কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে এমন অভিযোগ তো করছে না। তাহলে কেন হিন্দুরাই এমনটা করে বেড়াচ্ছে?

আমি দ্বার্থহীনভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে কয়েকটা কথা বলবো।
আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশী হিন্দুরা বাংলাদেশকে ততটুকুই ভালবাসে, নিজের মনে করে ঠিক যতটুকু ভালবাসে বা নিজের মনে করে একজন মুসলিম। আমেরিকায় আসার পর আমার অসংখ্য হিন্দুর সংগে পরিচয়। এরা কিন্তু আমেরিকায় বাংলাদেশকেই রিপ্রেজেন্ট করে। আমেরিকায় তারা কিন্তু খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশীদের সংগেই মেলামেশা করে। বাংলাদেশী হিন্দুরা ভারতীয় হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে- এমন একজনও আমি আজ অবধি খুঁজে পাইনি।

আমি এখানে অসংখ্য পাকিস্তানী হিন্দু বা মুসলিমকে দেখেছি ভারতীয় মুসলিম বা হিন্দুদের সংগে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি করে ব্যবসা ও বসবাস করছে কিন্তু বাংলাদেশী হিন্দুরা তেমনটা করেছে- আমি খুঁজে পাইনি। ইভেন আমেরিকায় কোলকাতার বাঙালী বাবুদের সংগেও বাংলাদেশী হিন্দুরা সখ্যতা গড়ে না।

এবং এসবের একটাই কারণ এবং সেটা হলো শুধুই দেশপ্রেম।

যাই হোক, হিন্দুদের উদ্দেশ্যে যে কথাটা বলছিলাম সেটা হলো, বাংলাদেশ একটা মুসিলম প্রধান দেশ। যেমনটা নেপাল হিন্দু প্রধান। বাংলাদেশে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। বাংলাদেশে মুসলিমরাই ক্ষমতাসীন থাকবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে, বাংলাদেশের স্বকিয়তায় মুসলিম আবহাওয়াই বিদ্যমান থাকবে।

ভারত এমন কোন মহাশক্তিধর দেশ না যে বাংলাদেশকে দখল করে নিতে পারবে কোন কালেও। কারণ বাংলাদেশে আমেরিকার কোন স্বার্থ না থাকলেও চায়নার স্বার্থ রয়েছে শতভাগ। চায়না নিজে থেকেই বাংলাদেশের মানচিত্রে কাউতে হাত দিতে দিবে না।

সুতরাং বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে।
আপনারা ‘আত্মসুবিধা ও উগ্রতাবাদী’ ওসব হাতে গোনা গুটি কয়েক হিন্দু নেতাদের বয়কট করুন। প্রকাশ্যে তাদের বয়কট করুন। সোসাল মিডিয়াতে তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের শান্তিবাদী মানসিক অবস্থা জানিয়ে দিন।

ইসকন বা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধের ডাক দিন।
প্রকাশ্যে ঘোষনা দিন, ওরা মোটেও আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করছে না।

মনে রাখবেন, ঐসব সামান্য কয়েকজন নেতা-পাতিনেতার জন্য নিজেরা বলির পাঠা হতে যাবেন না। ওরা আপনাকে দু’পয়সা কামিয়ে দিচ্ছে না।

বাংলাদেশে ঐ ইসকন আর ঐক্য পরিষদ পরাজিত হবেই।
হাসিনা মরার পরপরই ওরাও মরবে। বাংলাদেশ নিজে থেকেই ওদের মারবে।

দিল্লীতে বসে নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় হাত দেবার সাহস অন্তত করবে না; বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদীর হাত ‘অতটা’ লম্বা না।

আমি চাই না বাংলাদেশের সংখ্যালঘু একজন নিরীহ মানুষও ক্ষতিগ্রস্থ হোক।
শেখ মুজিবের মারা যাবার পর বাংলাদেশটা যা হয়েছিল হাসিনা মারা যাবার পর তারচেও অনেক বেশী পরিবর্তিত হবে ইনশাল্লাহ।

এদেশে আমি আমার কৈশরে, যুবক বয়সে কোন হিন্দু-মুসলিম বৈরীতা দেখিনি। কোন মুসলিমকে কোন হিন্দুর বিরুদ্ধে বা কোন হিন্দুকে কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত করতেও দেখিনি। আমার ব্যক্তিগত বন্ধুর তালিকাতে হিন্দুদের সংখ্যাটাও অনেক দীর্ঘ।

বাংলাদেশে ‘হিন্দু-মুসলিম বৈরীতা’ তৈরী করেছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশে ‘হিন্দু-মুসলিম বৈরীতা’ প্রচার করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশে ‘হিন্দু-মুসলিম বৈরীতা’কে শুধুমাত্র বৈরীতাতেই সীমাবদ্ধ না রেখে দাংগা বাধাতে তৎপর ইসকন।

সুতরাং বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ, ইসকন এবং ঐ অসভ্য সাম্প্রদায়িক হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ এবং নির্মূল করা হবেই হবে। সেটা আজ অথবা আগামীকাল।

আমরা শুধুই শেখ হাসিনার করুণ মৃত্যু দেখার দিন কাউন্ট-ডাউন করছি।

   Send article as PDF