ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী

ঢাকার জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীতে আমার প্রথম কোম্পানীটি রেজিষ্ট্রেশন করি ২০০২ সালে। এরপর বিভিন্ন ব্যবসায়িক এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রয়োজনে ঢাকা, স্যাংহাই, কুয়ালা লামপুর এবং সর্বশেষ নিউ ইয়র্কেও আমার একাধিক কোম্পানী রয়েছে। লিমিডেট কোম্পনীর ব্যানারে ব্যবসায় করার অনেকগুলি সুবিধার পাশাপাশি আভিজাত্যটাও একটা বড় কারণ।

১৬০০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর লন্ডনে ঠিক এরকমই একটি ‘কোম্পানী’র রেজিষ্ট্রেশন এর মাধ্যমে জন্ম লাভ হয়।
ঐ কোম্পানীটিকে আমরা সকলেই চিনি। খুব ভালো করেই চিনি।

স্মৃতি-ভোলা বাংলাদেশীদের জ্ঞাতার্থে কোম্পানীটির নামটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, ওটা ছিল ‘ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী’। জ্বি আপনি ঠিকই শুনছেন। শ্রেফ একটা রেজিষ্টার্ড ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর।

এই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী-টিই ১৬১২ থেকে শুরু করে ১৭৫৭ সাল সময়টাতে তাদের মেধা, যোগ্যতা, দুরদর্শিতা, অদম্য সাহস, শক্তি আর বুদ্ধি দিয়ে ভারতবর্ষের মতো একটা বিশাল মহাদেশ দখল করে নেয়।

এবং প্রায় ১০১ বছর ধরে একটি লিমিটেড কোম্পানী একটা একক উপমহাদেশকে তাদের ‘কোম্পানী আইন’এ শাসন করে।

হ্যা। একটি কোম্পানী- ভারতবর্ষকে ১০০ বছর শাসন করেছে।
না। বৃটিশ সরকার না।
এই কোম্পানী তাদের তৈরী নিজস্ব মুদ্রা চালিয়েছে ভারতবর্ষে। বৃটিশ মুদ্রা নয়।

কোম্পানীর ব্যবসা যখন অনেক বেশী বড় হয়ে গেল- তখন ‘বৃটিশ রাজ’ ঐ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কাছ থেকে ভারতবর্ষের মালিকানা অধিগ্রহণ করে। এবং বৃটিশ রাজ পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর শাসন করে তারপর ভারতবর্ষকে ৩টি টুকরো এবং কয়েকটি বিরক্তিকর অংশে বিভক্ত করে দিয়ে বাক্স-পেটোরা নিয়ে বিলাতে ফিরে যায়।

এই গল্প সকলেই জানেন।
কিন্তু, সঠিকভাবে কি জানেন?

আচ্ছা একবার, ঠান্ডা মাথায় কি কখনও ভেবেছেন সেই ১৭৫৭ সালে যখন ১০ হাজার মাইল দূরে থেকে একটা কোম্পানী এসে একটা বিশাল ভুখন্ডকে দখল করে নিল- তখন এই দেশটার অবস্থা কতটা উন্নত ছিল? মানুষগুলি কতটুকু সভ্য ছিল?

আমি ইতিহাসের ছাত্র নই; ইতিহাসে আগ্রহও ছিল না কোনদিন। তারপরও প্রয়োজনে, কৌতুহলে ইতিহাসের নানা গলিতে উকিঝুকি মারি প্রায়ই।

ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ভারতবর্ষ দখল করার আগে ভারতবর্ষ কেমন ছিল?
কোন অর্থ ব্যবস্থা?
কোন আইন-শাসন-বিচার ব্যবস্থা?
কোন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী?
আঞ্চলিক বা জাতীয় কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা?
কোন হসপিটাল? চিকিৎসা ব্যবস্থা সাধারণ জনগণের জন্য?

না। ছিল না।
ছিল জমিদারী প্রথা। ছিল আঞ্চলিক রাজা। ছিল বাংলা’র রাজা সিরাজের মতোই খন্ড খন্ড রাজ্য নিয়ে অসংখ্য রাজা। আর সেই সংগে মহারাজা ছিল দিল্লীর লাল-কেল্লায়।

জমিদার, রাজা আর মহারাজারা ব্যস্ত থাকতো তাদের ভোগ-বিলাস নিয়ে।
তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারতো। প্রজারা ছিল রাজাদের অধীনে। প্রজাদের কাজ ছিল চাষাবাদ করে এবং ‘জ্বি হুজুর’ ‘জ্বি হুজুর’ করা।

ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারতবর্ষ দখল করে ভারতীয়দের উপকার করেছে। তারা একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরী করে দিয়েছে। অর্থব্যবস্থা, আইন, সালিশ, পুলিশী ব্যবস্থার প্রবর্তন করে দিয়েছে। যাতায়াতের জন্য সড়ক, রেল লাইন তৈরী হয়েছে।

তবে এদেশের মানুষগুলি উপর দিয়ে ‘জি হুজুর’ ছাড়তে পারলেও ভেতরে ভেতরে সেই হাজার বছরের ঐতিহ্য ‘জি হুজুর’ অতি যত্ন করে রেখে দিয়েছে।

বৃটিশরা চলে গেল।
ভারত হলো। পাকিস্তান হলো। এবং বাংলাদেশও হলো।
এবং ফাইনালী আবার সেই ‘জি হুজুর’ প্রথা ফেরতও এলো।

বাংলাদেশে শেখ মুজিব আসলেন।
বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানও আসলেন।

এবং তারা চলেও গেলেন।
এবং তাদের স্ত্রী-সন্তান রেখে গেলেন সংগে ‘সেই’ প্রজাদেরও।
সুতরাং ‘জি হুজুর’ও এবার আরও শক্তভাবে ফেরতও আসলো।

জিয়াউর রহমান সাহেবের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা।
এবং বাংলাদেশের ‘জি হুজুর’ প্রজাসাধারণ।

এটা ২০১৬ সাল।
আজ থেকে আরও আড়াইশত বছর আগে আমেরিকা তাদের দেশ থেকে বৃটিশদের যুদ্ধ করে বিদায় করে নিজ দেশ’টি স্বাধীন করেছে। আর সেই বৃটিশরা আমেরিকা থেকে পরাজিত হয়ে ঐ সময়টাতেই ভারতবর্ষসহ আরও অনেক অঞ্চলই দখলে নিয়েছে।

আজ থেকে আড়াইশত বছর আগে- আমেরিকানরা একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন।
এই আড়াইশত বছরে তাদের সংবিধান এক মুহুর্তের জন্যও স্থগিত হয়নি। প্রতি চার বছর পরপর সেদেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। একজন ব্যক্তি ২ মেয়াদের বেশী প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। আমেরিকায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সমঅধিকার রয়েছে। শক্ত আইন এবং আইনের শাসন রয়েছে। মানুষ আইন শুধু মানেই না- আইন আমেরিকার মানুষকে এতটাই সভ্য করেছে যে- ‘সভ্যতা’ দেখতে হলেও সকলকে জীবনে একবার আমেরিকা ভ্রমন করা উচিৎ।

বাংলাদেশের মানুষ অসভ্য অথবা, তারা ‘সভ্যতা’র সংজ্ঞাটাও জানে না।

আমাকে অনেকেই বলে- আমি সবসময় বাংলাদেশ নিয়ে নেগেটিভ কথা বলি। আমার লেখায় দেশ প্রেম নেই।
কেউ কেউ অনুরোধ করে, ‘প্লিজ বাংলাদেশের ভাল দিকগুলি লিখেন, সকলে জানুক আমরা কত মহান জাতি’, ইত্যাদি।

আমিও মাঝে মধ্যে চিন্তা করি। লিখবো।
কিন্তু খুঁজে পাই না- কি লিখবো?
বাংলাদেশে টানা ২০ বছর ব্যবসা করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি আমার’চে বেশী ভালো আর কে জানে? কে চেনে?

যে-দেশে একটা দামী গাড়ী এবং ‘এক পকেটে’ সোনারগাঁ-শেরাটনে নিয়ে খাওয়ানোর মতো দু’টো পয়সা থাকলে ‘অন্য পকেটে’ ১০টা মন্ত্রী ঢুকিয়ে রাখা যায়; তাদের পোষ মানানো যায় সেদেশের ভালো কথা আমি লিখতে পারি না।

যে-দেশের মানুষ এক দিকে শেখ হাসিনা এবং অপর দিকে খালেদা জিয়া ছাড়া কিছুই চোখে দেখে না- তাদের যে আমি ‘মানুষ’ বলেই মানতে পারি না।

যে দেশের সকল ক্ষমতা পুলিশের হাতে। তারা মন চাইলে যে-কাউকে অাটক করতে পারে, গুম করতে পারে, হত্যা করতে পারে, জংগী বানাতে পারে, সন্ত্রাসী বানাতে পারে এবং কিছু কাঁচা টাকা অথবা কোন মন্ত্রীর ফোন পেলে চরম সন্ত্রাসীকেও ‘সভ্য মানুষের’ সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দিতে পারে- আমি সেই দেশের মানুষকে ‘মানুষ’ মানতে রাজী নই।

শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া’র ভেতরে কি যোগ্যতা রয়েছে একটা দেশকে নেতৃত্ব দেবার?
আজ যদি শেখ হাসিনা অথবা বেগম খালেদা জিয়াকে চায়নার বেইজিং শহরে কোন ‘সেক্রেটারী ছাড়া’ হাতে নগদ ১০০০ ডলার দিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে আসা হয়- আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারে- ওরা দু’জন বাকী জীবনে আর বাংলাদেশে ফিরেও আসতে পারবে না; যদি চায়নিজ পুলিশের করুণা না হয়।

একদল কুশিক্ষিত আমলারা মুলত দেশ চালায়। যারা হাসিনা-খালেদাদের ‘জি হুজুর’, ‘জি হুজর’ করতে পারে- তারাই পদোন্নতি পায়। তারাই বড় অফিসার হয়।

যারা শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে ‘জি হুজুর’ ‘জি হুজুর’ করে মুখের লালা ঝরাতে পারে- তারাই মন্ত্রী হয়, এমপি হয়। পুলিশের বড় অফিসার হয়।

এদেশে যোগ্যতার কোন মূল্য নেই।
এদেশে স্পীড মানির মূল্য রয়েছে।

বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচে সস্তায় শ্রম বিক্রি হয়।
অথচ এই বাংলাদেশে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরীতে পৃথিবীর সবচে বেশী টাকা খরচ হয়।
একটি ব্রীজ তৈরীতে ইওরোপ-আমেরিকার চেয়েও বেশী টাকা খরচ হয়।
একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি এয়ারপোর্ট কিংম্বা একটি ষ্টেডিয়াম বা ফ্লাইওভার তৈরীতে পৃথিবীর সবচে বেশী টাকা দরকার পরে বাংলাদেশে।

কারণ অতি সাধারণ।
যে-কোন সরকারী কাজে বা কেনাকাটায় ‘প্রকৃত’ মুল্যের চেয়ে প্রায় ২০গুন বেশী মুল্যে কার্যাদেশ দেয়া হয়। এবং ঐ ২০গুন টাকার সম্পূর্ণ দায় এসে পরে অতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর। আর ঐ ২০গুন টাকা হরিলুট করে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, তাদের মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ এবং সবশেষে স্থানীয় সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতারা।

এবং পরিণামে আজকের বাংলাদেশ!
যেটাকে আমি ‘দেশ’ নয় ‘ডাষ্টবিন’ বলি।

এই হাসিনা-খালেদা’দের অযোগ্যতার বলি আজ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
তারপরও, আজ সর্বত্র এখনও ‘হাসিনা’ ‘খালেদা’রা সব কিছু।

আমার ঘৃণা হয়। বমি আসে ওদের নাম শুনলে।

আমি জানি, আমার এই লেখা অনেক-কেই কষ্ট দিচ্ছে।
তাদের শুধু বলবো, যান। একটু বিদেশ ঘুরে আসুন। এটা ২০১৬ সাল। নয়া দিল্লী যান, ইসলামাবাদ যান, হংকং, স্যাংহাই, সিংগাপুর, কুয়ালালামপুর যান। দেখে আসুন তারা কোথায় আর বাংলাদেশ কোথায়?
আমেরিকায় আসতে হবে না সভ্যতা দেখতে- আমেরিকা আপনাকে তো ভিসাই দেবে না।

অনেকেই অভিযোগ করেন- আমি দেশকে তুচ্ছ তাচিছল্য করি।
নিজেকে অনেক বড় করে উপস্থাপন করি।
হ্যা করি। কারণ যারা অন্ধ তাদেরকে তো চোখে আঙগুল দিয়েই দেখাতে হবে।

ঢাকার অতি ক্ষুদ্র গন্ডিতে বসে- প্লিজ আমার কথায় আমার সংগে তর্কে জড়ানোর সাহস করবেন না। 
যদি পারেন- আমাকে যুক্তি দিয়ে পরাজিত করেন- আমি আপনাকে দাড়িয়ে স্যালুট করবো।

আমাকে বলার আগে নিজে আয়নার সামনে দাড়ান। খালি পায়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে আর কয়েকটা সংগিত গেয়ে বা ‘চেতনাবাজি’ করে দেশ প্রেম হয় না। ধান্ধাবাজি হয়।

না। বাংলাদেশ আমাকে বিনিময়ে কিছুই দেয় নি; আমার দরকারও নেই।
আপনাকেও দিচ্ছে না কিছুই- বাংলাদেশ।

আপনি বোকা, তাই ট্যাক্স দিয়েই যাচ্ছেন- রাষ্ট্র যে জনগণকে সেবা দিবে সেটাও আপনি জানেনই না।

জানেন না কারণ ঐ একটাই- আপনি ‘সভ্যতা’ কি, সেটাই জানেন না। সভ্যতা শিখেন-ই নি। কিভাবে নিজেকে ‘সভ্য’ দাবী করেন? শুধু জামা-কাপড় পড়লেই সভ্য হওয়া যায়?

দেশের প্রতি আপনার যতটুকু দায়িত্ব তারচে বহুগুন বেশী দায়িত্ব আপনার প্রতি একটা রাষ্ট্রের।

নইলে- রাষ্ট্রর কাজ কি? শুধু ট্যাক্স নেয়া? ট্যাক্স নেয়া ছিলা জমিদারদের কাজ। বাংলাদেশ কারো বাপ-দাদার জমিদারী নয়।
হাসিনার বাবারও নয় খালেদার স্বামীরও নয়।

বাংলাদেশ আপনার শিক্ষার জন্য কি করেছে?
আপনার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের কি অবদান রয়েছে?
আপনার আয় নেই- রাষ্ট্র কি করেছে আপনার জন্য?

কিছুই করেনি; কিন্তু আপনি রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দিচ্ছেন?
এটা অসভ্যতা। এখানে রাষ্ট্রই অসভ্য। যেখানে রাষ্ট্রই অসভ্য সেখানে মানুষতো অসভ্য হবেই।
কিন্তু আপনিই তো রাষ্ট্রকি অসভ্য হবার সুযোগ করে দিয়েছেন। ‘জি হুজুর’ জি হুজুর’ করে চলেছেন- আপনার চেয়েও অযোগ্য হাসিনা-খালেদাকে।

আপনার চারপাশে প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে।
আপনার চারপাশে ১০ টাকার জন্য শিশু হত্যা করা হচ্ছে।
আপনার চারপাশে মেয়েদের ধর্ষন করা হচ্ছে। মেরে ফেলা হচ্ছে।
আপনার চারপাশে প্রতিদিন পুলিশ বাহিনী মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে।
দেশের বিচারপতিরা ঘুষ খাচ্ছে। আমলারা, লুটপাট চালাচ্ছে।

কিন্তু আপনি নিজেকে সভ্য-ভদ্র দাবী নিয়ে বসে রয়েছেন, কিছু্ই দেখছেন না। আপনি বলছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

আপনি অন্ধ। আপনার মনের সংগে চোখ দু’টিও নষ্ট হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ একটা স্থবির রাষ্ট্র।
যাদের উপর দায়িত্ব দেশকে সামনে এগিয়ে নেবার- তারা দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে।

বাংলাদেশের যা কিছু উন্নতি তার সবটুকুই ‘প্রাইভেট সেক্টর’ এবং ‘জনশক্তি’র বিনিময়ে অর্জিত। অথচ এই কষ্টের রেমিটেন্সও চুরি করে খাচ্ছে সরকারী কর্মকর্তারা।

আপনি চুপ করে আছেন।

এবং ফাইনালী এখন বাংলাদেশকে চালাচ্ছে গুলশানের ভারতীয় দুতাবাস।
বাংলাদেশ সরকার আজ ভারতীয় দুতাবাসের কথায় উঠ-বস করে।

আপনি চুপ করে রয়েছেন।

আপনি পুলিশকে ভয় করেন- আপনাকে গুম করে দেবে।
গুম করা কি বন্ধ রয়েছে?

আপনি কথা বলতে পারছেন না।
কিন্তু আপনি স্বাধীন!

আপনি কি বুঝতে পারছেন আপনি কেমন আছেন?

এখনও ‘জি হুজুর’ ‘জি হুজুর’ করে যাবেন?

করেন। করতে থাকেন।

   Send article as PDF