রাজনীতি

কিছু বিষয় এমনও থাকে যা জোর করে আদায় করা কখনওই সম্ভবপর হয় না। যেমন: সম্মান, বিশ্বাস, ভালোবাসা। এসব বিষয়গুলি ধরে রাখাও খুব সহজ ব্যাপার নয়। শুধুমাত্র কাজ দিয়েই সম্মান, বিশ্বাস ও ভালোবাসা আদায় করা যায়, ধরে রাখা যায়।

আজকের দিনে জন্ম নেয়া একজন বড় মানুষ ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান। তিনি সম্মান, বিশ্বাস ও ভালোবাসা সবটুকুই তার জীবদ্দশায় অর্জন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এই মাত্র ৩ বছরেই তিনি তার সারা জীবন ধরে অর্জিত ৭ কোটি মানুষের যাবতীয় সম্মান, বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট করে দিয়েছিলেন।

শেখ মুজিবর রহমান কোন সভ্য ও শিক্ষিত দেশে জন্মগ্রহন করলে এবং সুসভ্য দেশে বসবাস করলে অবশ্য বড় নেতা হয়ে উঠতে পারতেন না; কারণ মানুষ তার প্রচারিত মিথ্যা ও চাতুরতা ধরে ফেলতে পারতো। কিন্তু পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তান যেহেতু সুসভ্য বা শিক্ষিত দেশ ছিল না- ছিল ৯০% অশিক্ষিত, অলস ও বোকাদের দেশ সেহেতু সুযোগটি তিনি বেশ ভালোই কাজে লাগাতে পেরেছিলেন।

আর সুযোগটি কাজে লাগাতেই, তিনি তার নিজেরই রাজীনীতির গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবের দেখানো পথ ধরে রাজধানী করাচীতে গিয়ে জাতিয় রাজনীতি না করে বরং ঢাকায় বসে আঞ্চলিক রাজনীতি করেছেন।

যে বনে বাঘ নেই সে বনে শেয়ালই রাজা। শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন একজন উৎকৃষ্ট শেয়াল। আর দেশবাসী তাদের যাবতীয় মুরগীগুলি ঐ উৎকৃষ্ট চতুর শেয়ালের কাছেই বর্গা রেখেছিলেন। এবং মাত্র ৩ বছরেই চতুর শেয়ালটি তার জিম্মায় থাকা সবগুলি মুরগীই খেয়ে শেষ করে দিয়েছিলেন।

একজন মানুষকে বিবেচনা করা হয় তার ক্ষমতাকালীন সময়টুকু বিবেচনা করে। মানুষের হাতে যখন ক্ষমতা থাকে না তখন তাকে বিচার বিশ্লেষন করার সুযোগ কম থাকে। তাকে বিপ্লবী বলা যায়, তাকে আপোষহীন বলা যায়। কিন্তু তার হাতে ক্ষমতা দিলেই তার আসল চরিত্র বোঝা সম্ভব হয়।

অত্যন্ত জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক নেতা এডলফ হিটলারকে আমরা জার্মানীর নির্বাচিত চ্যান্সেলর হয় ক্ষমতাসীন হতে দেখেছি যিনি ক্ষমতা হাতে পেয়েই নিজের দেশেরই ৭ মিলিয়ন মানুষকে বিনাবিচারে হত্যা করেছেন এবং সম্পূর্ণ পৃথিবীটাকেই ধ্বংশের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। জার্মনীর এই গণতান্ত্রিক ‘মহান নেতা’ হিটলারকে শ্রদ্ধা করে এমন বিবেকবান মানুষ এই পৃথিবীতে কয়জন পাওয়া যাবে? শেখ মুজিবর রহমানও তদ্রুপই বাংলাদেশের একজন ‘মহান নেতা’।

পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবর রহমান শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানে একক সংখ্যাগড়িষ্ঠতা অর্জন করেন সত্তরের নির্বাচেন, পশ্চিম পাকিস্তানের ১টি আসনেও তার দল জয়ী হতে পারেনি। ঠিক অনুরুপভাবেই পশ্চিম পাকিস্তানের আরেক আঞ্চলিক নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো সাহেবও পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় সবগুলি আসনে বিজয়ী হন এবং পূর্ব পাকিস্তানে ১টি আসনও জয় করতে পারেননি। আর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নিজেও চড়ান্ত মাপের একজন ক্ষমতালোভী ব্যক্তি যিনি ক্ষমতা ছাড়তে মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। শুরু হয় ত্রিমুখী ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়া এমন একটি রাষ্ট্র যার প্রকৃতপক্ষে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো এমন এক অসহায় অবস্থায় যেখানে শুরু হয়ে গেল বাস্তব সংঘাত।

আপাদমস্তক দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন শেখ মুজিব পাকিস্তানের মতো বিশাল দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না; কারণ তিনি সামান্য বাংলাদেশের প্রধান হিসাবে যে ব্যর্থতা দেখিয়েছেন তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে যে কি করতেন সেটাই ভাবতেই হতবাক হতে হয়।

সে যাই হোক, এই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হয়ে উঠে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং জন্ম নেয় বিশ্বের বুকে নতুন একটা রাষ্ট যার নাম বাংলাদেশ।

শেখ মুজিবর রহমান এবার এই নতুন সৃষ্ট রাষ্ট্রটির একছত্র ক্ষমতাধর হয়ে উঠলেন। তিনিই সর্বেসর্বা। ক্ষমতাসীন হয়েই শেখ মুজিবর রহমান দেশের সকল বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে বসেন এবং প্রতিটি লাভজনক সচল প্রতিষ্ঠানই একএকটি দুর্নীতি ও লুটপাটের কারখানায় পরিণত হয় যার নির্মম বাস্তবতা আজও বাংলাদেশে বিদ্যমান।

আইয়ুব খানের আমলের গড়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাট কল আদমজী জুট মিলটি আজ অস্তিত্বহীন। মুজিব বলতেন কর্ণফূলি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ সরাসরি করাচী গিয়ে আবার সেখান থেকে নাকি বাংলাদেশে এনে বিক্রি করা হতো যার জন্য বাংলাদেশে কাগজের মূল্য বেশী ছিল; অথচ আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশে সেই একই কর্ণফুলি পেপার মিলের কি অবস্থা সেটা প্রতিটি বাংলাদেশীর নিজেদের গিয়েই দেখে আসা উচিত। বলা হতো, বা সহজ ভাষায় মুজিব বলতেন পশ্চিম পাকিস্তানে চিনির দাম কম আর পূর্ব পাকিস্তানে চিনির দাম বেশী। আজ একটু ঘুড়ে আসুন ইসলামাবাদ থেকে দেখে আসুন কোন দেশে চিনির মূল্য কতো? পাকিস্তান আমলে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্ব করে বলা হতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড- আজ সেই স্বাধীন বাংলাদেশে মুজিবের স্বপ্নে পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা বাদ দিয়ে ছা, ছমচা আর ছিংগাড়া বিক্রির মহান এক কারখানা- স্থান হয় না বিশ্বের সেরা ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিষ্টেও।

শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন মিথ্যায় পরদর্শী একজন নেতা। তার মোহনীয় ভাষা ও গম্ভীর গলায় উচ্চারণে কিছু ভিন্নতা থাকায় তিনি একজন ‘মহান নেতা’ পরিণত হতে পেরেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ও তার পরিবারের ‘প্রশ্নবোধক’ অবস্থান থেকে শুরু করে দেশে ফিরে ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে তিনি নিজেকে একজন নীচ প্রকৃতির শাসক, অদক্ষ এডমিনিষ্ট্রেটর, লোভী ও দাম্ভিক একনায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। পাকিস্তান আমলে যে লবন বিক্রি হতো মাত্র ৭৫ পয়সা কেজিতে সেই লবনের মূল্য তিনি উঠিয়েছিলেন ৩০০ টাকায়। ৭৪রে দেশকে তিনি উপহার দিলেন স্মরণকালের ভয়াবহতম এক দুঃভিক্ষের। তার দুঃশাসনে মানুষ হয়ে পরে বিপর্যস্ত। তার শাসন ব্যবস্থা এতটাই নিকৃষ্ট মানের ছিল যে তা শুধুমাত্র বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী দুঃশাসনের সংগেই তুলনা করা চলে।

শেখ মুজিব শুধুমাত্র তার অতিকাছের মানুষদের জন্যই ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। তার কোন নেতা, তার কোন কর্মী প্রকাশে একটি খুন বা ধর্ষন করে অথবা চাঁদাবাজী করে ধরা খেয়ে নিশ্চিন্তে শেখ সাহেবের ধানমন্ডির বাড়ীতে চলে যেতেন। সংগে নিতেন বাজার থেকে কেনা এক বালতি তাজা মাগুর মাছ। শেখ সাহেবকে সালাম দিয়ে বলতেন, ‘বঙ্গবন্ধু, নিজের পুকুরের চাষের মাছ নিয়ে আসলাম আপনার জন্য, আপনাকে না দিয়ে কিভাবে খাই?’। ব্যস, মহান হৃদয়ের বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে টেনে নিতেন। একসংগে দুপুরের খাবার খেতেন তারপর খাবারের টেবিলে সেই খুন, সেই ধর্ষক বা সেই চাঁদাবাজ শেখ মুজিবকে বলতেন, ‘বঙ্গবন্ধু, এলাকার লোকেরা আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে- বলছে আমি নাকি খুন করেছি, আমি নাকি ধর্ষন করেছি, আমি নাকি চাঁদাবাজী করেছি! আপনি কিছু একটা করুন।’

সংগে সংগে মহান নেতা শেখ মুজিব সেই খুনীকে, সেই ধর্ষককে, সেই চাঁদাবাজকে নিজের প্রশস্ত বুকে টেনে নিতেন। তারপর তাকে ক্ষমা করে দিতেন। বানিয়ে দিতেন আওয়ামী লীগের আরও বড় নেতা। সেই সব বড় নেতারাই আজ শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভা ‘উজ্জল’ করে রেখেছে। তাদেরই একজন খুনী-ধর্ষক মোজাম্মেল আজ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রী।

শেখ মুজিব বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসাবে নিন্দিত হবে- তিনি দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিলেন শুধুমাত্র তার নিজের বাকশাল ছাড়া; শেখ মুজিব স্বাধীন মতপ্রকাশের বাঁধাদানকারী হিাসবে গন্য হবে- তিনি মাত্র ৪টি তাবেদার সংবাদপত্র বাদে দেশের বাদবাকী সবগুলো সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ ঘোষনাকারী।

বর্তমানে যেমন সরকারী আমলা, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কিছু চিহ্নিত নেতারাই দেশের সকল টাকা-পয়সা ও ক্ষমতা ভোগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছে; সন্ত্রাসী, চাাঁদাবাজী, খুন, ক্রসফায়ার, গুম, ধর্ষন আর দুর্নীতির মহাউৎসব চলছে দেশময় তখনও ঠিক এমনটারই নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ মুজিব আর তার সহযোগী ছিল রক্ষীবাহিনী নামের আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রক্ষীবাহিনী ছিল তখনকার সমাজের ত্রাস। খুন, রাহাজানি, হত্যা, ধর্ষন, গুম, ক্রসফায়ার তখন চলছিল শেখ মুজিবের পাহাড়াদার এই রক্ষীবাহিনীর নেতৃত্বে।

১৯৭৪ সালের দুঃভিক্ষে ৭ কোটি মানুষের জন্য ৭ কোটি কম্বল ত্রান হিসাবে এসেছিল আর সেই ৭ কোটি কম্বল পুরোটাই দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে বিদেশে পাচার করে সেই অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছিলেন শেখ মুজিবগং।

শুধুমাত্র লুটপাটে নয়, ক্ষমতাকে মুজিব পরিবারের জন্য চিরস্থায়ী করতে বাংলাদেশে পারিবারিক উত্তরাধিকারের নামে একদলীয় বাকশাল চালু করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেন শেখ মুজিব। আজ ঠিক যেভাবে উত্তর কোরীয়ায় একটি মাত্র পরিবার দেশের সবকিছুর মালিক- ঠিক তেমনটাই ছিল শেখ মুজিবের স্বপ্ন। যাই হোক, শেখ মুজিবের সেই স্বপ্ন বানচাল করে দিয়েছিল কিছু দেশপ্রেমিক জুনিয়র সেনা সদস্য।

শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কলংকমুক্ত হতে পেরেছিল।
কিন্তু বাঙালী বড়ই ভুলোমনের সংস্কৃতিতে আচ্ছন্ন। তারা বার বার ভুলে যায় সবকিছু। সেই ভুল থেকেই সেই আওয়ামী লীগকে তারা আবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে আসে ১৯৯৬ সালে। আওয়ামী লীগকে যে শেখ মুজিব বিলুপ্ত করে গিয়েছিলেন সেটাও মানুষ ভুলে যায়, বাকশালের কবর থেকে নতুন করে জন্ম নেয়া সেই আওয়ামী লীগ আজ আবার মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার বাকশালীয় দর্শনে নেতৃত্ব দিয়ে চলছে।

মুজিব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন বাংলাদেশী নাগরিক নেই; তার পরিবারের সকলেই বৃটেন ও আমেরিকার নাগরিক। এই পরিবারের কেউ কোন কালেও বাংলাদেশে ১টি টাকাও ট্যাক্স রিটার্ণ দাখিল করেছে বলে জানা যায় না। অথচ এই বিদেশী পরিবারটিই আজ বাংলাদেশের জনগনের টাকায় ভোগ বিলাসে মাতোয়ারা হয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে চলছে। বাংলাদেশের জনগনের একাধিক বাড়ী তারা লিখে নিয়ে বসে রয়েছে নিজেদের নামে। বাংলাদেশের মানুষের কষ্টের ট্যাক্সের শতশত কোটি টাকা খরচা করে আজ পালন করা হচ্ছে তথাকথিত মুজিব বর্ষ।

দেশটাকে ভোগ করার জন্য শেখ হাসিনা আজ প্রকাশ্যে ভারতীয় দালালীতে মত্ত হয়ে রয়েছে- হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন বিজেপির ঢাকা অফিস (ভারতীয় হাই কমিশন) আজ ঠিক করে দিচ্ছে বাংলাদেশ কিভাবে চলবে, কে মন্ত্রী হবে, কে সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান হবে, কে সচিব হবে, কে এমপি হবে।

বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে তাদের ভাগ্য করাচী থেকে দিল্লীতে বদল করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি। কিন্তু আজ সেটাই হয়েছে। শেখ মুজিব পরিবার সেই কাজটিই, শেখ মুজিবের সেই স্বপ্নটিই বাস্তবায়ন করিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু এই মুজিব পরিবার ও ভারতীয় সন্ত্রাসীরা যদি ভেবে থাকে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের শেষ সরকার প্রধান, তারাই সারাজীবন ক্ষমতাবাজী করবে- তাহলে তারা সত্যিই এক আহাম্মকের স্বর্গে বসবাস করছে।

বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই আবারও জেগে উঠবে।
এই পৃথিবীতে কোন জাতিকে কোনকালেও অনির্দিষ্টকাল ধরে দাবিয়ে রাখা যায়নি। মানুষের দেয়ালে আজ পিঠ ঠেকে গেছে। মানুষ ঘুরে দাড়াবেই। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আর প্রকৃতির নিয়ম কখনওই মিথ্যা হয় না।

আমি বিশ্বাস করি ঘুরে দাঁড়াবেই বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ আর সন্ত্রাসী ভারতীয়দের হাত থেকে মুক্ত হবেই বাংলাদেশ।

যতই চাপিয়ে দেয়া হোক তথাকথিত মুজিব বর্ষ, যতই অপমানে অপমানে পুর্যদস্ত করে তোলা হোক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের- ভুলে গেলে চলবে না যে বাংলাদেশ শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে। মুক্ত করবেই নিজেদের দেশের মানুষ।

আবারও স্বাধীন হবে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা ধ্বংশ হোক, ভারতীয় আগ্রাসী হাত ভেংগে যাক।

স্বাধীন বাংলাদেশে আবারও মুক্তভাবে নিঃস্বাস নেবার জন্য মুখিয়ে রয়েছে দেশের ১৭ কোটি মানুষ। শেখ মুজিবের মতো আর কোন আগাছার লালন যেন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে না হতে পারে- তা নিশ্চিত করাই আজ সময়ের দাবী।

   Send article as PDF